হবে প্রায় একশত বছর,
হবে ভুক্ত-অভুক্ত গিয়েছে ক্ষণ,
হবে কোনো রাত কেটেছে নির্ঘুম,
অঘোর ঘুমে হারিয়েছে স্বপন।
এপারে কেউ, ওপারে তীর,
যাত্রী সংকট তবু ভীড়,
তবুও শূন্য বাহন,
দৌড়ালেই যদি হয়ে যেত প্রথম,
বসে থাকলেই হতো শোষণ!
এবারে ওপাড় দিমিত্রীর,
এপারে সিলভিওর,
এমনই তো হয়—এ যে লিখন।
খাতা আর পাতায় পেন্সিলের আঁকিবুকি,
চিত্রিত কোনো ছবি,
আদৌ ছবি হয়ে ওঠে না,
ছবিরও প্রাণ চাই,
সে প্রাণ বাঁধনে ভাসতে হয়—উদ্ভাসে,
নইলে জীবন কেমন করে সয়?
এ জীবন, সে জীবন, সবই জীবন,
মরণের ছোঁয়ায় ছুটন্ত,
দিনভর প্রতীক্ষা দিনান্তের,
রাতভর তারারা ছুটে আকাশের সীমান্তে।
পলকের মাত্রা অতিক্রান্ত,
তারার উন্মত্ত আলোয়-
মনের গহীনে প্রতিধ্বনিত হয় একাকিত্ব।
বেশ ভালো আছি!
মন ছুটে মনের সীমান্তে,
একুল থেকে অকূল এক ব্যাকুলতা,
সুদূরে শকুন, সুদূরে বন,
সুদূরেই অসম পরিণতি,
এবার বুঝি হবে ছুটি।
আসে ঝড়, আসে খর, দগ্ধ মন,
বিদগ্ধ দেহ ভুলে সারাক্ষণ।
অজানা সুন্দরের নেশায় উদ্বেলিত,
ভোগের সুখ বিবর্জিত,
প্রান্তহীন ঢেউ উপুড় করে বালুকাময় সৈকতে।
একপলক শ্রান্তি, চিকচিক কণা,
চোখের ভেতরে আলো-আঁধার,
আস্ত সূর্য, অন্তদিন।
কিশোর হেয়ালী, প্রবীণ মুগ্ধতা,
সব সবান্তে ছুটছে অজানায়।
এখানেও আকাশ নীল,
এখানেও আকাশ মেঘে ঢাকা,
এখানেও দিন ফুরোয়, উঠে চাঁদ,
ভাসে রূপালী আলো,
কুৎসিত অবয়ব হয়ে ওঠে সুশ্রী,
হয়ে ওঠে বিষণ্ন মন।
সুন্দরের মাঝেই অসুন্দরের প্রতিচ্ছবি জাগে,
জেগে ওঠে ক্ষুধা, জেগে উঠে ক্লান্তি,
জেগে ওঠে দুঃস্বপ্নের নাটিকা।
কৌশলে কখনো পেরে ওঠে,
কখনো হেরে গিয়ে হারিয়ে যায় রাতের গভীরত্বে।
দুলে ওঠে ঘণ্টা, দুলে ওঠে বন,
এক ঝাঁক শকুন উঁকি দেয় তখন।
অমোঘ প্রাপ্তির অসম সমাপ্তির আস্ফালন,
পরিপাটি চাদর, পরিস্রুত ঘর,
দেয়ালে হেয়ালে ছায়া ছায়া সুনিবিড় আমাজন,
তন্দ্রাচ্ছন্ন তবু নিদ্রাহীনতার চক্রান্তে
পরাজিত যাপিত জীবন।
This poem reflects my feelings of displacement after moving abroad, and the struggle to find my identity in a new culture.