শহরের প্রান্তরে লুক্কায়িত লজ্জা, প্রুফ্রকের বেনামী এই জঞ্জাল জমিতে গতরাতের ধস্তাধস্তির চিহ্ন যত্রতত্র; সভ্য সমাজের ফেলে দেওয়া ভাঙাচোরা খেলনা, দোমড়ানো মোচড়ানো আসবাব পত্র, বিকেলের বাতাসে পলিথিনের পোড়া গন্ধ। আস্তাকুড়ের উপত্যকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে কিছু কাদাখোঁচা মানুষ, আবর্জনার স্তূপের উপর বসে থাকা কালো ছেলেটার হাতে দাগ লাগা সাদা ফানুস; তার কাদা মাখা ছেড়া প্যান্টের পকেটে বেলুন হওয়ার অপেক্ষায় কতগুলো কুড়িয়ে পাওয়া নিরোধ। পঁচিশ টাকা বেশি গোনার আশায় গনিকা পৃথিবীর অন্ধকার দেখা থেকে পারেনি তাকে করতে রোধ। অনেকগুলো মারন রোগ বাসা বাঁধছে সেই বীরাঙ্গনা বারাঙ্গনার একটা শরীরে। এখানে ফেলে রেখে অজানা পাপ শহরের ঝাঁচকচকে ভিড়ে মিশে তার অজানা বাপ।
আগের দিনগুলোর ক্লান্তি নিয়ে বেজারমুখে সন্ধ্যে আবার ফিরছে, সূর্য আজ আবার মুখ লুকিয়েছে বস্তির ওপারে; দূরে কাছে রাতের শহর জাগছে, মেয়েমানুষের ঘরে মদ্দালোকের আনাগোনা বাড়ছে, পচা মাটিতে কেউ যেন দামি আতর ঢালছে।