Submit your work, meet writers and drop the ads. Become a member
Samar Bhowmick Apr 2020
কত আনন্দ বেদনায় ধরিত্রীর দিনরাত গত
আধাঁর বাঁধার পথ পেরুতে হবে শত শত।।

জানি মনোবল হারালেই কেবল শূণ্য মানুষ
আলোকিত আঁধারে নিরবে হারাবো হুশ।।

ইচ্ছেরা মরে গেলে জীবন বলতে কিছু নাই
ইচ্ছে সবল সচল রেখে বেঁচে থাকা চাই।।

অজানা আঁধার পথে হেঁটে যেতে বহুদুর
ইচ্ছে জুড়ালো হলে সহসাই নতুন ভোর।।

বাঁধা পাড়ি দিবো শিখিবো দেখিবো নতুন কিছু
বুকে জড়ালে অজানা ভয় মানুষের জীবন মিছু।।

বুদ্ধি নিয়ে ধরনীতে এসেছি আছে জম্মের দায়
পৃথিবীর জন্য করিবো কিছু হৃদয়ে রাখা সায়।।

জগৎকে দিবো নতুন কিছু যাহা কল্যাণ কর
সকল প্রাণ আত্মিয় আমার কেহ নয় পর।।

সমুখে আসিলে কষ্ট নষ্ট জীবন ভাবিনি তো কভু
কষ্ট নিবেন নিজ হাতে তুলে পরিত্রান দিবেন প্রভু।।

ধরিত্রী জানোক মানুষ মানে মহান প্রাণ
মানুষ সভ্যতার বন্ধু-সখা মানুষে স্রষ্টা বহমান।

হৃদয়ে সত্য রেখে যোগ্য কর্ম করে যাবো প্রতিদিন
উচিতে বিশ্বাস বিবেক রেখে মিটাবো জন্মের ঋন।।

রাত, ল্যাব এইড, ঢাকা।
16 মার্চ 2020
68 · Apr 2020
আসক্তি
Samar Bhowmick Apr 2020
তোমার উষ্ণ বুক আমাকে টানে নির্দ্বধায়
আমি কামনার উর্ধ্বে নই অণু
কোন সাদৃশ্য খুঁজি না তোমাতে
তবু চাই তোমার সমুদ্র কামনার সাতাঁর।

তুমি উত্তাল জলোচ্ছ্বাস হয়ে ভাসাও
রক্তিম ঠোঁটে দাও মুক্তির প্রেরণা
তুমি সৃষ্টির দেবী
তোমার নারীত্বে আমার বৈকুণ্ঠ ধারণা।

বজ্র ভয়হীন আমি
কামনার হৃদয়ে তোমার টান
অনুভবে মিশে থাকো তুমি; নিশিদিন
ঝরণাধারা মিশে নীল সাগরে।

তোমাকে ঘিরে ভাবনা সাজাই
স্বপ্নের ঘোরে খুঁজি চঞ্চল আদর
হিংসুটে প্রেম প্রেরণায় অশ্রু ঢালে
তবু অপূর্ণ কল্পনায় অমরতা চাই।
Samar Bhowmick Apr 2020
মৃত্যুর কাছে জোড়হাত নয়
করি জীবনের কাছে
জীবনে কত ঘটিয়েছি ত্রাস
তার হিসাব যাচে।

মৃত্যু সমাপ্তি টানবে জীবনের
এইতো জগতের বিধি
ছিলেম যতদিন কাঁদিনি কোনদিন
হয়ে ঈশ্বরের প্রতিনিধি।

কর্ম করেছি ধর্ম ছেড়ে
যাহা ছিলোনা ধার্য্য
কর্মফল ভোগ করিতে হবে
জানি অনিবার্য্।

তুচ্ছকে তাচ্ছিল্য করেছি সদা
ক্রোধের আগুন মেখে।
এখন ক্রন্দন আসে আমার
মৃত্যু সামনে দেখে।

আমায় দেখে ভাবো সবাই
মৃত্যুর জন্য বাঁচি
মানুষ হবো সবার সেরা
হোক মৃত্যু কাছাকাছি।

লোভ লালসা থাকবে মোদের
সত্য রুজির প’রে
আরাম আয়েশ সবই করবো
সচ্ছ হৃদয় ভরে।

সত্য পথে থাকলে সবাই
মৃত্যু যাবে দূরে
যদিও মৃত্যু আসে রে ভাই
স্বর্গে যাবো উড়ে।

সেই মৃত্যু যে পরম পাওয়া
ভীষণ গর্বের ধন
মৃত্যু ভয় থাকবেনা আর
বরং ভরবে মন।
67 · Apr 2020
পূর্ণিমা
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; আর কতটা কাছে এলে পূর্ণ হবে সমাপ্ত জীবন?
জীবনের হাসি আনন্দ সুখ একাকার হবে চারিধারে
বর্ণিল ফুলের মতো জমা হওয়া স্মৃতির স্তুপ হতে
বাতাসে ভেসে আসবে তোমার প্রেম পুষ্পের ঘ্রাণ
ভালোবাসার বর্ণমালা স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হবে
সোনালী হৃদয়ের বর্ণিল আভায়।

আমার চোখে চোখ রেখে স্বাক্ষী হবে ভালোবাসা
হাতে হাত রেখে পূর্ণতা পেলে স্বপ্ন
উড়ে যাবে হৃদয়ের দগ্ধ ছাই
জড়ো হবে অন্ধকারে খসে পড়া আপন শব্দ গুলো।

আকাশ ছুঁয়ে উড়ে বেড়াবে অদ্ভুত ভালোবাসা
আর অনুভূতি অনুভবের দরজায় টোকা দিতেই
জমে উঠবে প্রেম সচ্ছ বরফের মতো
ছন্দ পতনের ছন্নছাড়া জীবন নত হবে
স্বপ্নের ঘোর ভেঙে দৃশ্যমান বাস্তবতা
মধ্যে রাতে জন্ম নেয়া প্রেমের লাভায়।

আমি তুমি পরস্পর হাতে হাত রেখে
অপেক্ষা মাড়িয়ে নতুন সৃষ্টির ভেতর
দেয়ালে ঝোলানো আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে
পূর্ণিমার চাঁদের শান্ত রূপালী আলোয়
ভালোবাসার প্রতিবিম্বে দেখে নিবো
আকাঙ্ক্ষিত জীবনের গল্প ।।
67 · Apr 2020
আলো
Samar Bhowmick Apr 2020
আমার অন্তরে লালন করা
ভালোবাসার বীজ
প্রেমের প্রার্থনায়
প্রত্যাশিত মুল্যবান সত্য।

ভালোবাসা যে পথ দিয়ে গেছে
সে পথের প্রতিটি বাঁক
আমি অনুভব করি
এবং তোমার স্বর্ণালী স্পর্শে
সন্ত্রস্ত আকস্মিক চুম্বনে
মানবতার ঘ্রাণ বর্নাঢ্য সাক্ষী।

26 এপ্রিল 2020; 03:03, ঢাকা, বাংলাদেশ।

তোমার মৃদু মৃম্ময়ী হাসির সুর
হৃদয়ে মিশ্রিত লাল অন্তরে
জমে থাকা যত চোখের জল আমার
স্বপনের ঘরের আলো।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; বিশুদ্ধ যন্ত্রণা গুলো আমাকে দাও
আমাকে দাও হৃদয়ের যতো অসহ্য সন্ত্রাস
তোমার কান্নার কারণ আমাতে সমাহিত করো
সমাহিত করো হতাশা সকল, যন্ত্রনার আবাস
আমার চোখে দুঃস্বপ্ন ঢেলে দিয়ে
নিজের আকাঙ্খা গুলো জাগিয়ে নিও
ফেলে আসা কোন স্মৃতিময় অসুখ
যদি বাসা বেঁধে থাকে হৃদয়ের গহিনে
আমার ভালোবাসায় ভাসিয়ে দিও
কোন প্রলোভন নয় অণু; ভালোবাসি
সঙাহীন আপন আলোয় হৃদয়ের টান
অগাধ বিশ্বাস আর সাম্যের দোলায়
দোলাও তোমার শীর্ণ প্রাণ
হোক পরন্ত বিকেলের রোদ
না হয় হোক সন্ধ্যার আঁধার
রাত পোহাবেই, আসবেই আলো
ভয় নেই শংকা নেই প্রাণের মিছিলে।
আমি আশাহীন ভালোবাসি ;অণু
হৃদয়ের টানে ব্যাথিত প্রাণের কাছে আসি
লোভ লালসার পাহাড় পদদলিত করে
তোমার নাম লিখিয়েছি হৃদয়ের গোপন ঘরে
তোমার হাসিতে হাসবেন ঈশ্বর; অপেক্ষায় আমি
বিশ্বাস ভরসায় রাখো হাতে হাত, রাখো দিবাযামী
একদিন শিমুল পলাশ রক্তিম হলে বসন্ত বাতাস
ভালোবাসাও শিখে নিবে এই বৈরি সমাজ
ভুলের মাশুল গোণে কেটেছে যে দিন
সে দিন যাক ভেসে যাক
আমার দ্বিধাহীন সাম্যের হাতে
তোমার এ হাত চিরদিন থাক।।
Samar Bhowmick Jun 2020
সমর ভৌমিক
24 জুন 2020; 01:41

নরকে যেতে পারি অণু-
ভালোবাসা অবুঝ হলেও আমি সেই ছেলে।
ভালোবাসার দিব্যি নিয়ে প্রার্থনা রেখেছি ঠিক-
নিশ্চই প্রভু আমার নেতৃত্ব দিবেন।
তোমাতেই কাটবে জীবনের দিন
প্রলোভনের অধিকার মুক্ত হয়ে-
তুমি সমতায় ক্ষমা করবে আমায়।

আমার কন্ঠস্বরে তোমার সুর মিলাও
ভালোবাসি হৃদয়াবৃত শব্দ উদ্দেশ্যমূলক নয়,
আমি অনায়াসে পছন্দ করি; তোমার প্রতিটি মূহুর্ত-
দ্যাখো আমার হৃদয়ের খাদে যে সংগীত আছে,
স্বাক্ষ্য দিবে তোমায় ভালোবাসার।

তোমাকে বলেছি বার বার বহুবার-
ভালোবাসার আগুনে যন্ত্রণার তরল ঢেলে পরীক্ষা করো,
দ্যাখো অন্তরের বার্তায় শুধু তোমার শূণ্যতা-
তোমার স্নেহময় প্রেমের আশির্বাদ।

অণু তুমি কি শুনতে পাচ্ছ??
জীবনের দর কষাকষির অধিকার রাখিনি আমি
শুধু আমার বাঁচা তোমার হাতে দিয়ে-
আমার আত্মাকে সুস্থ করে দিতে,
আমার হাতে দাও প্রশান্তির হাত।

তোমার পায়ের কাছে জীবন প্রদীপ গভীর দহনে
তুমি দয়া বিতরণ করে সাথে থাকো অণু,
নিঃশ্বাস আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়-
তোমার প্রেমের সক্ষমতায়।

শুধু ধুয়ে ফেলা বহু কারণের মতো ধুয়ে যাক অনুতাপ
মনে হোক সরে গেছে আমার সকল পাপ,
যদিও থাকার কারণ আমি জানি না-
তবু দয়া করে বলো তুমি আছো।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; তুমি আমাকে ভালোবাসো
প্রজন্ম তির্য্যলতা আমাকে ভালোবাসে
পরিবার ও সমাজ আমাকে ভালোবাসে
তোমাদের ভালোবাসা স্বপ্ন ভালোবাসি
আমার সেইসব শ্রেষ্ঠ অপরাধের দায়ভার
আর তোমাদের ছত্রছায়ার প্রচ্ছন্ন সমর্থন
নির্দ্বিধায় করি শত অপরাধ; প্রশ্নহীন
সভ্য সমাজে প্রাচুর্য্যের ভালোবাসা শিখে
সততার বিষর্জন; স্বপ্ন দেখি দুর্নীতির
ভালোবাসা ভালোবেসে স্বপ্ন গুহায় বিসর্জন
নৈতিকতার সকল বংশধর
রাষ্ট্র নীতিহীন ব্যভিচারী নির্দিষ্ট করে
ঘৃণায় মুখ ফিরিয়ে নিই;
কিন্তু রক্তের স্রোতে প্রবাহমান আদি ভালোবাসা
নৈতিকতা অস্বীকার করে বারবার; অন্যদিকে
প্রেমের প্রাপ্তি সুখের ঘৃণ্য অত্যাচার
আমি নিমিষেই বেপরোয়া মানুষ
তোমাদের নগ্ন সমর্থনে নগ্ন পুরুষ এখন
নগ্ন পৃথিবীতে অসীম চাওয়া পাওয়ার হিসেব
অথচ ধণী জ্ঞানী ভিক্ষুক নগ্নতেই ফেরা
এ যেন সভ্যতার এক অসভ্য প্রহর
প্রশ্নহীন সমর্থনে অর্ন্তদগ্ধ মন
মদের গেলাস গিলে নিকোটিনের ধোঁয়ায়;
উড়ে বাল্যশিক্ষার সকল নীতিকথা
দীর্ঘশ্বাসের অন্তঃগামী স্রোতে ভাসে
কখনও হয়তো মানুষ ছিলাম;
শূণ্য ছিলো হৃদয়
এখন বেপরোয়া বলিষ্ঠ পুরুষ
সমসাময়ীক সম্ভ্রান্ত সমাজপতি
ভালোবাসার অসামান্য তাগিদে
হাঁটছি নগ্ন পদে জিঘাংসু নগ্নতায়
ঈশ্বরের একটি হাসির জন্য;
অথচ
প্রজন্মের প্রতি আমি নির্দেশনা শূণ্য
দিকশূণ্য বায়ুমন্ডলের ক্ষ্যাপা ঝড়
বেপরোয়া বিজয়ী পুরুষ।।
65 · Apr 2020
অজানা
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; আমাদের আত্মা এক অবিনশ্বর সত্তা
আত্মার অদৃশ্য জঠরের ভিতর
প্রাণ অন্তর হৃদয়ের অদৃশ্য বলয়
আত্মার ভালোবাসা অদৃশ্য বাঁধন শূণ্য
আত্মায় কোন প্রাচীর নেই; সীমানা নেই
এমনকি কোন দেয়াল নেই কোথাও
অন্যদিকে অত্যন্ত চঞ্চল মন; প্রায় অপ্রতিরোধ্য
উচ্ছৃঙ্খল মন ভালোবাসার নামে বর্ণিল কথা বলে
নিয়ন্ত্রিত শরীরে শান্তি চায়: প্রশ্রয় চায়
আত্মা চায় সংহতি বন্ধুত্ব সহায়তা জাগ্রত বিবেক
জানো অণু ? মানুষের জন্মের সময় আত্মা থাকে উদার
বিস্তৃত এবং অনণ্য শান্তিপূর্ণ অন্তর প্রাণ হৃদয়
কিন্তু মন; শরীর ও আত্মাকে শাসন করে
দখল করে নেয় দৃষ্টি বিবেক বৃদ্ধি; আর
পার্থিব হিসেবের সকল অনুসঙ্গ
শরীর হতে বিভক্ত করে প্রাণ অন্তর হৃদয়
অগ্নিশর্মা যুদ্ধ করে বুদ্ধিমত্তার সাথে
প্রাচুর্য্যের অবগাহনে ছুটে নির্দিধায়
প্রলম্বিত মন সবার আগে বেছে নেয়
সমৃদ্ধি সৌন্দর্য্য রোমাঞ্চকর পার্থিব সুখ
কৌশলী শরীর হতে আত্মা অপসারন করে
পদদলিত করে অন্তর প্রাণ হৃদয়
জানো অণু ! প্রতিটি মানুষ
একটি মহান আত্মার জন্য জন্মেছিলো
আমাদের মতো মানবতাময় ভালোবাসার ভিখিরি হয়ে
অথচ মনের অপরিমিত দারিদ্রতায় বুদ্ধিমান প্রাণীগুলো
প্রাচুর্য্য প্রলোভনে শক্তিশালী জীবনধারার আশায়
মানবতহীন অহংকারী বুদ্ধিমান মানুষ
চিনেনা প্রাণ অন্তর হৃদয়; চায় না কল্পনার মুক্তি
মনে দুর্ভেদ্য অন্ধকার জানেনা জম্মের হেতু।।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; তুমি জানো না
দিচ্ছি লিখায় ফাঁকি
করোনার আতঙ্কে আছি
ভাবছি ক’দিন বাকি।

মৃত্যু ভয়ে কাটছে দিন
সকাল দুপুর রাত
মনে মনে খুঁজে বেড়াই
স্নেহময় হাত।

ভাবছি আমি সবার কথা
দুনিয়া জুড়ে ভাই
কেমন ভাইরাস ছড়িয়ে গেলো
বাঁচার উপায় নাই।

এ কেমন স্রষ্টার খেলা
না তাঁর অবহেলা
বারে বারে খুঁজি কারণ
কেন এই হেলাফেলা?

মানুষ কোলে জন্ম নিয়ে
বিবেক বুদ্ধি হ্রাস
তাতেই কি এনেছি ডেকে
এমন সর্বনাশ?

চলো পৃথিবীটা শান্ত করি
সত্য শুদ্ধ হই
ভালোবাসা দিই সকল প্রাণে
অমানুষ যেন নই।

সৎ চিন্তা করি সবাই
অহংকার দিই বাদ
মানুষ নামের পশু হলাম
ঘুচে যাক অপবাদ।

নাহয় প্রাণ এমনি যাবে
অপমৃত্যূর হাতে
অহংকার সব গিলে খাবে
পাপ যাবে সাথে।

মৃত্যুর কথা ভাবতে চাইনা
ভাবায় করোনা
মৃত্যুর কথা মনে হলে
কিছুই বড় না।

সম্রাট রাজা ধনী গরিব
মৃত্যুর স্বাদে বাধ্য
স্রষ্টার সাথে পাল্লা দেয়
নেই কারো সাধ্য।

উত্তম মানুষ হযে দেখো
ভয় কিছু নাই
মৃত্যু হলেও অপঘাতে
স্বর্গ নিশ্চিত ভাই।

যায় প্রাণ করোনার হাতে
যায় যাক চলে
তোমারা তবু মানুষ হইও
বিদায়ে গেলাম বলে।।
Samar Bhowmick Apr 2020
অদৃশ্য চিত্রপটে আঁকা
আমাদের ছবিগুলো
শোবার ঘরেই রেখো অণু
অদৃশ্য ভালোবাসা গুলো
গণিতের সাংকেতিক চিহ্নের মতো
জীবনের ভাঁজে ভাঁজে
লুকিয়ে রেখো
উচ্চারিত শব্দের বলাকা গুলো
নিঃশব্দে উড়তে দিও
মনের আকাশে
মান অভিমান আর কষ্টগুলো
হাওয়াই মিঠাইয়ের মতো
মিলিয়ে যেতে দিও
আপন স্নেহের পরশে
আর স্বপ্ন গুলো
তরতর করে বেড়ে উঠতে দিও
কলমি লতার মতো
মনের সরোবরে
দখিনা বাতাসে
দোলে উঠা জলের মতো
একটু ফাগুন দিও আমায়
তুমি আমায় একটু ছুঁয়ে দিও
একটু চঞ্চলতা দিও
তোমার বুদ্ধিদীপ্ত কৃষ্ণসাগরে
পঞ্চপান্ডবকে নামতে দিও নির্দ্বিধায়
যদি পারো অন্তত একবার;
একবার; আলিঙ্গনের অধিকার দিও
আমি স্বর্গ শিখরে দাঁড়িয়ে
একটি আলিঙ্গন চাই
ঠোঁটের ভাঁজ থেকে
অন্তত এক ফোঁটা বিষ চাই।।
Samar Bhowmick Apr 2020
এতটাই ব্যর্থ মানব জীবন কেমন করে হলো
স্রষ্টা তুমি কানে কানে বলো আমায় বলো।।

নীতি শিক্ষা নেওয়ার আগে নীতি গেলো চলে
সকল শিক্ষা গেল কেমন ভেসে বানের জলে।।

শিক্ষা থেকে শিক্ষা নিবো সেই দুনিয়া চাই
পার্থিবতা গ্রাস করেছে মানবতা নাই।।

মৌলিক শিক্ষা ভয়ে পালায় নীতি ভ্রষ্ট্রের ভিড়ে
সততার হয় রক্ত ক্ষরণ আপন হৃদয় ছিঁড়ে।।

সভ্যতায় সুশিল অভিনয় সমাজ করছে গ্রাস
বিবেক বুদ্ধি বিকিয়ে দিয়ে চলছে জ্ঞান সন্ত্রাস।।

এমন যদি চলতেই থাকে দিন দুনিয়া মাঝে
স্রষ্টা ধরায় আসবে কেন আসবে কোন লাজে।।

সেরা জীবের সম্মান দিয়ে পাঠিয়েছিলো যারে
জ্ঞান বুদ্ধি খাটিয়ে কেমন ভুলে গেল তাঁরে।।

এখনও সময় আছে রে ভাই মানুষ হবে চলো
মানবতার শিক্ষা নিয়ে সত্যি কথাই বলো।

প্রাণের মাঝে ঈশ্বর দেখো প্রাণীকে ভাবো ভাই
প্রাণকে ভাবো সবার উর্দ্ধে তার উপরে নাই

জগৎ সেরা মানুষ হলেও সবার একই প্রাণ
জগতের কল্যাণে তাই জীবন করো দান।

স্রষ্টা থাকেন প্রাণের ভিতর সচ্ছ হৃদয় যাঁর
হৃদয় গুণেই স্রষ্টার দর্শন হবে নিশ্চই তাঁর।।

লোভ লালসা সিকেয় তুলে আকাশ পানে চাও
সেই আকাশে ঠিকানা তোমার দেহ ছেড়ে যাও।।

পৃথিবীর সব অটুট রবে তোমার যাবে দেহ
নিজের নালিশ মিটাবে নিজে সাহায্যের নাই কেহ।।

করোনার দিকে তাকিয়ে দেখো কাহার করুণা চাই
স্রষ্টার স্নেহ বিনে করোনায় বাঁচার উপায় নাই।।

পাপকে তাই ত্যাগ করে আলোর পথে আসো
প্রাণী জমিন আকাশ বাতাস সমান ভালোবাসো।।

আকাশ বাড়ি সংসার ছাড়ি থাকবে অনন্ত কাল
সেই কালের চিন্তা করে ধরো জীবনের হাল।

/
রাত, ল্যাব এইড, ঢাকা।
64 · Apr 2020
ধূতরা
Samar Bhowmick Apr 2020
আজ আর কবিতা নয়
আজ বিষ খাবো; অমৃত ধূতরা
আমি মাতাল হবো
নেশায় বুদ হয়ে অণু’র শব্দ মালায়
অহংকার গোণবো অবেলার।

শরতের কাশঁফুলে জড়িয়ে দেয়া ভালোবাসা
অজানায় উড়তে উড়তে
সাদা মেঘের ভেলায় চড়ে
বুকের নীল আকাশে।

অনন্ত আহল্লাদে আমি নবীন; আর
প্রবীণ প্রতিজ্ঞার বাঁধনে জড়ানো মন
নেশাতুর হয়ে উঠে।

আজ মন ভর্তি নেশা চাই
দশ বিলিয়ণ স্নায়ুকোষের সুখ
জড়াজীর্ণ শরীরে স্নেহের সঞ্চালন
বয়স সংখ্যার স্থিতি; আর
মুঠোভর্তি কামিনির চুম্বন চাই
চাই অণুর হাতের ছোয়া।

আজ আর কবিতা নয়
শুধু পাশে থেকো ধূতরা।।
Samar Bhowmick Apr 2020
ফাগুনের প্রথম প্রহর
মনের রমরমা উল্লাসে
তুমি দ্যাখোনি কখনও
কোনটি প্রথম
তুমি এখনও জানো না
আয়ত্তাধীন ভালোবাসার সরূপ
অণু একবার দ্যাখো
যদিও অবিকল অবিচল
প্রেম ও বিশ্বাস
এমনকি আমাদের বিশ্রাম
স্বপ্ন সাধ প্রত্যাশায়
অপরিবর্তিত হৃদয়
যেহেতু জানি আমাদের
তবু নিশ্চিত হই অণু
যদি সবকিছু যদি মুছে যায়
তোমার চোখে
এবং যা ছিলো আমার সেরা
অথবা অবস্থান
যদি কখনও উল্টে ছিটকে যাই
এখনও যখন
তৈরী করিনি নিজেকে
জীবনের সহজ সংস্করণে
করছি নিত্যকর্ম
অণু তুমি দেখেনাও
ভুলের আকৃতি; আর
আমার ত্রুটি গুলো
বিচক্ষণতার সাথে
একবার তাকাও।
Samar Bhowmick Aug 2020
সমর ভৌমিক
14 আগষ্ট 2020; 02:21

আমাকে রহস্যের সাথে বেঁধে রাখো অণু, স্বর্গেও অবিকল চাই
যখন আমরা অনন্ত অর্জন করে স্বর্গে উড়ে যাবো-
তখনও বাসনা ভরে আত্মায় বহন করে প্রেমেই বিশ্বাস রেখো,
তালা বদ্ধ করে রেখো হৃদয়ে যেমন খুশি সঙ্গীতের মতো।
.
যত দ্রুততায় পারো দীর্ঘশ্বাসের বায়ু উড়িয়ে দিও-
সুতোয় বাঁধা জীবন কখন ছিঁড়ে যাবে কেউ জানে না,
বরং প্রেমের সাথে বেঁচে থেকো সময়ের শেষ গুণন,
এবং দুঃখ বাকি রেখো মায়াবী যৌবনে তোমার।
.
সমান্তরাল জীবনের পথে সময়ের সকল অনুভবে তুমি-
গত হলে সময় সবকিছু অতীত হবে আকার হবে নিরাকার,
যদি আকাঙ্ক্ষায় পরিদর্শন করো প্রেম জীবনযাপনের পথ
ভয়াবহ অনুতপ্তমনে সময়ের কাছে সময় চাইবে থামিবার।
.
প্রেম ছাড়া জীবনের কোন গন্তব্য নেই, নেই ধোঁয়াহীন সময়ের সঙ্গীত-
সভ্যতার বলিদানে নিজেকে হারিয়ে বেঁচে থাকে জীবন্ত পুতুল,
তুমি পুতুলের ভিতর আত্মা পুনরুদ্ধার করে ফিরে এসো অণু-
দ্যাখো অযত্ন অবহেলায় নিঃশ্বাসের বাতাসও দ্রুত পালিয়ে যায়।
.
সভ্যতার ঝাঁকুনিতে তাড়া খেয়ে কেবল মিথ্যা কল্পনার দিকে হেঁটে চলা
যেন উদাসীন অর্থহীণ বেগহীন চাপ মুক্ত জীবনে নিয়মের পরিক্রমা,
শুকনো পাতার মতো জীবন নোনা জলে স্নান করে গুনছে সময়-
উড়িয়ে জীবনের দিন পশ্চিমাকাশে নিয়তি রেখে পালায় জীবন।
.
এরচে অণু; চলো শাপলার মতো জলে ভেসে নতুন ফুল ফোটাই,
কখনো না কখনও পরিস্কার আকাশে জ্বলন্ত রোদের স্বচ্চ রশ্মিতে-
হৃদয় আলোকিত হবে জনতার, ক্ষয়িষ্ণু সভ্যতা পথ ছেড়ে যাবে,
আমাদের প্রেম হবে জীবনের জয়গানে আকাঙ্ক্ষার কৌশল।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; তুমিই আমার সবকিছু
এবং সব
আমি প্রেমে পড়েছি
শান্ত বাতাসের মতো
অন্তরের কষ্ট গুলো ঝাড়ুদিয়ে
ফুঁপিয়ে কাঁদছি
তোমার জন্য
অসহায়ের মতো কাঁপছে হৃদয়
মনের পাতায় তোমার নাম
বাতাসে তোমার গন্ধ
এর ঘ্রাণ
তুমি আশায় ছড়িয়ে দিয়েছো
কাছে থাকা
কাছে চাই
পাশে চাই আমার পাশে
আমার শুকনো মুখে
তোমার ধনুক ঠোঁটের ছোঁয়া চাই
চাই আমার কান্নার জলে
ধুয়ে ফেলো অভিমান।
63 · Apr 2020
কৃতজ্ঞতা
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; সহজ সরল অবয়বে
তোমার স্নেহাতুর নির্মল হৃদয়
ভালোবাসাময় মোহহীণ প্রাণ
অকুন্ঠ প্রেমের মায়াময় বন্ধন
বেধেঁছে আমায় আত্মার আলোয়।

তোমার সহাস্য সাবলীল কথাবার্তা
শান্ত সুশীল মখমলে আচরণ
স্বাধীণ চিন্তাশীল ভাবনা জাগ্রত অনুভব
পরোপকারী নিস্কাম কর্ম; আস্তিকতা
আশ্বস্ত করে আমার হৃদয়।

তোমার গতিশীল স্বচ্ছ জীবনবোধ
ভবিষ্যত যাত্রায় চঞ্চল উদ্দীপনা
ক্লান্তিহীণ ঈর্শনীয় অনুপ্রেরণা;আর
তোমার অসীম ধের্যের বাগান
আমাকে বারবার অনুপ্রাণিত করে।

তোমার সমাজ সচেতন মন
বৃদ্ধ আবাল বনিতার প্রতি ভালোবাসা
তোমার জন্মের প্রতি দ্বায়বদ্ধতা
সদা সত্যের পথে অবাধ যাত্রায়
আমি প্রশ্নাতীত বিমোহিত হই।

তোমাকে ভালোবাসী অণু
তোমায় অনুসরণে নিজের প্রতিবিম্ব দেখি
তোমার মানবতাকে সশ্রদ্ধ প্রণাম
তোমার মহত্বে পৃথিবী জাগোক
অণু; তোমাকে কৃতজ্ঞতা জানাই।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; এমন একটি প্রহর চাই
একটি উৎসবের আয়োজনে
তুমি অতীতের মায়ায় ক্রন্দনরত
প্রথাগত অনুষ্ঠান প্রস্তুত
অনাগত নতুন ফাগুন।
কেউ গান গাইছে
কেউ জড়িয়ে রাখছে তোমায়
আকাশ বাতাস আনন্দিত
সকলের হাতে হাতে বর্ণিল ফুল।
আনন্দের জোয়ারে
বাতাসে করতালির ঢেউ
এত সুন্দর মিষ্টি আওয়াজে
শান্তির বর্ণিল সমাহার।
তারপর হঠাৎ
“অণু” শব্দের গর্জনে
একটি বিস্ফোরণ
আমার কন্ঠে।
স্বর্গের মতো আনন্দময়
আমার আত্মা
জীবন ফিরে পাই
শুদ্ধ মানুষের।
আশির্বাদের ঘন্টা বাজে
ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই
এমন একটি প্রহর চাই আমার।
Samar Bhowmick Apr 2020
প্রতিদিন মনের ভিতর
অজস্রবার গড়াগড়ি খাও
আসো যাও
আমার ভালোবাসা
অথচ অণু;
ভালোবাসার সমস্ত কারণ সত্বেও
কখনই এক হতে পারি না
আমাদের দৃষ্টির মেলায়
নন্দিত নন্দন মুহুর্ত গুলো
ভাগ্যে অতি সামান্যই
অনায়াসে হাসতে
ইচ্ছের অর্ধেকও পারিনি
তুমি অনেক দুরে থেকেও
আত্মার একমাত্র বন্ধু
জনমের প্রেম।

26 এপ্রিল 2020;23:32
Samar Bhowmick Apr 2020
দেখে দেখে কর্ম শিখে
কিসের ধার্মিক আমি
ধর্ম শিখে ধার্মিক হতে
হৃদয়ে চাই পুণ্যভুমি।

সাজ সজ্জায় ধর্ম নাই
ধর্ম নাই দানে
উপfর্যনে সততা চাই
সততা চাই প্রানে।

ধর্ম কর্ম সবই করি
সৎ বু্দ্ধি নাই
সকল যাবে বিফল আমার
সকল হবে ছাই।

জানি আমি কর্ম হীনে
ধর্ম জেগে থাকে
অক্ষমতায় ধর্ম বাঁচে
যদি হৃদয় সচ্ছ রাখে।

স্রষ্টা তুষ্ট ডাকে শুধু
নাহি চাহে ধন
পরিক্ষা করেন তিনি
দিয়ে চঞ্চল মন।

দুনিয়া জুড়ে দেখি বিচার
দেখি রোগ শোক
পাপের শাস্তি দিতে তিনি
দিলেন নানা দুর্ভোগ।

সকল প্রাণের একই বায়ু
সেবন করে বাঁচি
তবু নিজে সবার সেরা
বলতে বলতে নাচি।

অহংকারে পতন নিশ্চিত
সদা শুনতে হয়
মনের ভিতর নেইতো তবু
সৃষ্টিকর্তার ভয়।

কর্ম যাহা আছে আমার
সত্য ভাবে করি
তবেই আমি ধার্মিক হবো
রইবো ধর্ম ধরি।।

16 মার্চ 2020, ল্যাব এইড, ঢাকা, বাংলাদেশ।
62 · May 2020
ভালোবাসা
Samar Bhowmick May 2020
অনেক ভাবনায় যদিও
সাহস পাচ্ছো না
অণু খুলতে পারি
হৃদয়ের দ্বার
দেখাতে পারি
তোমার পড়তে চাওয়া
হৃদয়ের পাঠ
দৃঢ়ভাবে আকড়ে ধরতে চাওয়া
যে পুরস্কার
যে উপহার
বা একটি অনিশ্চয়তা
একটি নিশ্চত প্রেরণা
বা একটি মায়ার বলয়
অথবা একটি আশা
কৈশোর থেকে বেঁচে থাকা হৃদয়ে
না বলা ভাষায়
একটি মিষ্টি সতন্ত্র যন্ত্রনা
হৃদয় আবৃত করা
অজানা ভয়
শংকা শিহরণ
প্রাণান্ত এক অলিখিত সংগীত
স্বর্গীয় প্রশান্তিময় মহা-প্রসাদ
পরম প্রত্যাশায়
অনন্ত অজানা স্বাদ
প্রতিদিন চির নবীন
আমার প্রেম, ভালোবাসা।।

02 মে 2020; 02:42, ঢাকা, বাংলাদেশ।
62 · Apr 2020
কখনও
Samar Bhowmick Apr 2020
কখনও আমার মন
রঙ্গিন প্রজাপতি হয়ে উড়ে
কখন কিভাবে
তুমি জানো না অণু
কখনও অপহরণ করে
তোমাকে; অসীম স্নেহ
কখনও প্রাপ্য ফুলের মধু
কখনও তোমার
অনুভুতির ভগ্নাবশেষ খুঁজে
হৃদপিন্ডের কম্পনে
কখনও চিন্তায় উড়ে যায়
কখনও চেতনায়
সামর্থ্যে থাকা সময়ের কাছে
কখনও তোমার মন জানতে চায়
আমার জীবন হয়ে
কখনও প্রতিদিন
তোমার ভিতরেই উড়ে বেড়ায।।
62 · Apr 2020
অনুসরণ
Samar Bhowmick Apr 2020
কখনও হতাশ হইও না অণু
যদি বাতাসে আমার কান্না ভাসে
তখন অনুমান করে ভেবে নিও
হিংসে বিদ্বেষ গুলো চিৎকার করছে।

তোমার সান্নিধ্য পাবার আশায়
কান্নার ঝড়ে গহিনে ডুবে যাচ্ছে
আমার আত্মার সমস্ত ক্রোধ
এবং বিরহ ব্যথার আগুন।

তোমাকে আরো বেশি ভালোবাসতে
কান্না হৃদয়কে উৎসাহিত করে
নিয়ে যায় স্বপ্নময় পথে অনেক দূর
যেখানে ভালোবাসার নতুন উপায়।

অণু; কান্নার শব্দ বিরূপ শুনালেও
আত্মায় আনে নতুন জোয়ার
অন্তরে খোলে দেয় প্রেমের স্বর্গদ্বার
আর সর্বদা উপহার দেয়
তোমার অপার স্নেহের প্রাঞ্জল প্রেম।

আমি নিশিদিন সে পথেই হাঁটি
অন্তরের অবিরাম ইচ্ছের মতো
আত্মায় উড়াই তোমার ভালোবাসা
আর অণুসরণ করি তোমাকে।
Samar Bhowmick May 2020
অণু; যাঁদের জন্য দুঃখ পাই
তাঁদের স্বপ্নগুলোর পরিপূরক হতে স্বপ্ন দেখি,
এবং এখনও ভালোবেসে যাই গোপনে;
আমার অস্তিত্ব দেহে বেঁচে নেই-
বেঁচে আছি বিশ্বাস ভাবনায়; মানবতায়-
আমি চাই তাঁদের শিক্ষিত করি,
ধীরে ধীরে বাঁচিয়ে তুলি মানুষে মানবতায়।

যদিও তাঁরা জীবনের অধিকারী-
যাপনের অধিকারী, জীবন
প্রভুর কৃপা কল্যানের অধিকারী হোক,
রাগযুক্ত বাতাসের পর্দা নামুক হৃদয় থেকে
গতিময় হোক ভাতৃত্ববোধ মায়া-
মানুষে মানুষে জীবে জলে অরণ্যে মৃত্তিকায়,
সমতায় ভাসোক জীবন-
আলো জল অন্ধকারের মতো।

আমি এখনও মানবতা পুরুদ্ধারে বিশ্বাসী-
প্রভুর কৃপা বৃথা হবে না,
মানুষের মনে কলুষতা কেটে যাবে একদিন
নতুন আলোতে রাঙাবে ধরণী-
এবং প্রায়শই গর্ব হয়; যখন দেখি
যখন দু’এক জন অনুকরণীয় মানুষ-
মানুষে প্রাণীতে কিংবা টবের শিশু চারা’র সাথে,
প্রাণের সখ্যতায় ভালোবাসে যায়।

কিছু প্রাণ সর্বদা বিশ্বে আগুন ধরিয়ে দেয়
এবং আনন্দের সাথে গুণে যায়-
অগ্নি দগ্ধ হৃদয়ের হাড় কঙ্কাল-
হিংস্রতারর উদ্ভট রসে হিংসার ক্ষরণে হাসে
অসুরের সর্বনাশা হাসি-
অজ্ঞানতার অন্ধকারে বিভৎস স্বপ্নের ঘোরে
ভুলে যায় নির্মল আনন্দ-
প্রেমহীন আত্মা অহরহ পদার্পণ নরকের পথে,
সন্দেহ এবং বিরক্তি স্নায়ু কোষের অলিতে গলিতে
অবিরাম ঘুরপাক খায়-
অবুঝের মতো বুঝে শরীরে নিজেকে বাঁচায়।

আমি মাঝে মাঝেই হতাশ হই
আবার হতাশাই আমাকে বাঁচিয়ে রাখে,
সময়ের আনাচে কানাচে আশার শব্দ শুনে
ভুলকে ভালোবেসে ফোটাতে যাই ফুল,
চাই মানবতার অপার সৌরভে ভরে উঠুক
বুদ্ধিদীপ্ত অবুঝ অসহায় মানব প্রজাতি-
ঈশ্বরের সুপারিশে ভুলের ভূমিকার বদল হোক
অদ্ভুত অভিনেতার মতো বদলে যাক অনুভব,
পৃথিবীতে প্রবাহিত হোক শান্তির সময়; সুখের
স্বর্ণালী ভবিষ্যতে উড়ে আসুক মানবতা।

আমি জন্ম নিয়েছি অনন্তকালীন জ্ঞানহীন সময়ে
চারিধারে আঁধারের বেড়াজালে ক্ষীন মানবতা,
পার্থিব দুর্দশা থেকে মুক্তি না পেলেও
চাই পুনরুত্থিত হোক প্রেম-
পৃথিবী থেকে সরে যাক দম্ভের অদ্ভুত বিশ্বাস,
সরে যাক সভ্যতার ক্রন্দন।।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু!!
তোমার হাস্যজ্জ্বল
মুখ;
আমি ক্ষুধার্ত।
অপেক্ষা করছি
আশা পূর্ণ হবে;
আশায়।
একদম চুপচাপ;
নিরবে
একটি চুমু চাই।
তবু বিভ্রান্ত ভাবনা
কেঁপে উঠে বুক
অচেনা গর্জনে।
আমার সুক্ষ আত্মা
শুনতে চায়
অন্তরে কান পেতে।
বুকের শতত শূণ্যতায়;
তোমার
একটি চুমু
চুমু’র রহস্যময় শব্দ।
61 · Apr 2020
ধুর! ছাই!
Samar Bhowmick Apr 2020
জীবনে ভালোবাসা পাইনি কখনও
স্বার্থের স্বাগত আচরণকেই ভালোবাসা ভেবেছি
গোলক ধাধাঁয় হেরেছি বারবার
অথচ প্রাণের সরলতায় ভালোবেসেছি
সমাজ পরিবেশ প্রতিবেশ স্বজন ও সম্পর্ক
কাউকে ভুল বুঝিনি কখনও
এমনকি যাঁরা ভুল বুঝে স্বার্থের জালে
মন রাখে লাভের ভান্ডারে তাদেরও।

এতটুকুও ভালোবাসা পাইনি
আফসোস নেই
কষ্ট হয় ইতর মানুষদের জন্য
কেননা স্বার্থের বাজারে আগামী প্রজন্ম
তারাও জানবে না
খোলসের ভিতরে কতটা নগ্নতা।

আবারও বলছি
আমাকে কেউ কোনদিন ভালোবাসেনি
যে টুকু ভালোবেসে ভালোবাসার দাবীদার
সেটুকু সম্ভবত প্রয়োজন
অথবা অনেকটাই দায়িত্ব বা কর্তব্যে
না হয় লোকলজ্জার ভয়।

আমি সত্যি কথা বলতেই পারি নির্ভয়ে
শর্তহীণ ভালোবাসার দাবীদার নেই
তুমি দুরে আছো অণু
দূর থেকে আমিও তোমার ভালোবাসা অনুভব করি
এখন পর্য্যন্ত সম্ভবত তুমিই একমাত্র এগিয়ে।

আমি তাঁকে প্রণাম করতে চাই
চাই কেউ বলুক নির্দ্বিধায়
বিনা শর্তে আমাকে ভালোবাসে আজও।

আমি জানি
কেউ রক্তের বন্ধনে
কেউ সম্পর্কের বেড়াজালে
কেউ কর্মের উৎকর্ষতায়
কেউ দীর্ঘ সম্পর্কের তলানী ঘেটে
অথবা কেউ করুণা করে
কিংবা আমার ভালোবাসার প্রতিদান
আর তুমি দূরে থেকে হলেও
এখন পর্য্যন্ত তুমিই এগিয়ে আছো অণু
যদিও জীবন সামান্যই আর বাকি।

সমাজবদ্ধ কোন মানুষ
বিনা শর্তে ঈশ্বরকে্ও কোনদিন
ভালোবাসতে দেখিনি
আর আমি তো
ধুর্! ছাই !!
Samar Bhowmick Apr 2020
একটি অদৃশ্য পথ
আমার কাছ থেকে তোমাকে দূরে নিয়ে যায় অণু
যদিও জানি প্রতিটি পথ একাকী পথ।
তোমার সংবেদনশীল নিঃশ্বাসের যাতায়ত
অবিরত অনুভব করি
হৃদয়ের গভীরে বারবার বহুবার
এবং তোমার স্নেহময় অবয়বের মধ্যে
সর্বদা আমার মণ খেলা করে
চোখের অন্তরালে ভেসে উঠে স্মৃতি
গতি ফিরে পায় প্রাণ।
মনের জানালায়
আমার চিন্তাভাবনা আর প্রেম
অল্প অল্প করে দৃশ্যমান হতে হতে
ভেসে বেড়ায় সময় থেকে বাস্পিভূত সময়ে।
উড়ে যায়, ফিরে আসে
জড়ো হয় হৃদয়ের ঠিকানায়
শরীরের চূড়ায় বৈদ্যুতিক শক হয়
তবু আমাদের দুরত্বের মধ্যে
আকাশের কালো মেঘ আমাকে সতর্ক করে না
আমার অপেক্ষার ভ্রমন সমাপ্তি করে না
হেটে যাওয়া জীবনের আলপথে
আমি তোমার ভালোবাসার জন্য এগিয়ে যাই
আবেগের যোগফল সাথে নিয়ে।
তবু তোমার সময় উড়ে চলে অণু
তোমার জন্য আমার ভালোবাসার মতো।।
Samar Bhowmick Aug 2020
সমর ভৌমিক
07 আগষ্ট 2020; 00:28

অণু’ই একমাত্র খুব মিষ্টি জীবনের জন্মধাত্রী
শীতল জলে আমার চঞ্চলতা শান্ত করতে-
স্নিগ্ধ সকাল সিঁদুরে বিকেলে আবেগের পর্যবেক্ষণ,
ভালোবাসার সহস্র রঙে রাঙা রামধনু।

তাঁর সহাস্য খুশিতে জড়ানো প্রেম
ভাগ্য এবং প্রকৃতির খাঁচায় বন্দির জন্য,
লক্ষ জোনাকী গলা টিপে হত্যা করি-
পৃথিবীর ছোট অন্ধকারে দীর্ঘ চুমুর আশায়।

অশ্রুগুলি সর্বশেষ শক্তি দিয়ে অন্তরে ঘুরে বেড়ায়
বাতাসের দ্বারা প্রবাহিত হয় আমার দীর্ঘশ্বাসে,
আকুল হয়ে আত্মায় ভ্রমন করে আহত সময়-
অসময়ের উপত্যকাগুলি অতিক্রমে চায় নিরব কবজ।

অণু নিষ্কলুষ মনের শাশ্বত রোদ, অনাদি, অনন্ত
জীবনের জীবন্ত জাদু আমার প্রার্থনা-
ফ্যাকাশে কোঁকড়ানো অস্তিত্বে পুনরুদ্ধারকৃত জীবন,
চোখের শেখানো জ্বলজ্বলে প্রেমের জ্যোতি।
61 · Apr 2020
পুরুষ
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু জানো ?
পুরুষ মানেই নির্যাতিত সময়ের যোগফল
কতটা সংগ্রাম পুরুষ জীবনের স্রোতে
বুঝেছিলে তুমি কখনও ?
পুরুষ কতটা ক্লান্তিতে হাসে; কতটা যন্ত্রনায়
চোখের কোনে স্বপ্ন ভাসে; লবনের স্রোত
অবিরাম মিশে শুষ্ক বাতাসে অচেনা হাসির মিছিলে
জেনেছিলে তুমি কখনও ?
পুরুষের পরম বন্ধু; শ্রেষ্ঠ হওয়ার উদ্দীপনা
পুরুষের পরম সাথী; জয়ী হওয়ার বিশ্বাস
একটি স্বপ্নের অনুপ্রেরণা; সর্বকর্মা ধৈর্য্য
কতটা নির্যাতন সইতে শেখায়
ভেবেছিলে তুমি কখনও ?
সেই নির্যাতিত পুরুষ পৃথিবীর সকল অনুষঙ্গ ছেড়ে
নারীকেই ভালোবাসে; নারীকেই
তোমার মতো নারীর সঙ্গ চায়
চায় নিজের মতো করে কেউ ভালোবাসুক
শুধু একজন হোক আজন্ম আপন প্রেমিক।
অবিকল আমিও ভালোবাসি অণু
ঈশ্বরের নিপুণ কারোকাজ তোমার স্নেহ; ভালোবাসি
সবুজ পাহাড়ের স্বচ্ছ ঝর্ণাধারা
তোমার হাতের আঙ্গুল;
ফাগুনের ফুল
শরতের শিশির;
তোমার কোমল স্পর্শ
দিঘীর জলে হাঁসের সাতাঁর;
তোমার উচ্চারিত শব্দের ঢেউ
আর নিরব যন্ত্রনায় বাঁচি; তবু
চাই তোমার অফুরান স্নেহ
চাই পাশে থাকুক এই মায়াময় মুখ।
সহস্রবার জেনেছে হৃদয়; বহু মতবাদে
নারী মোহময়; তবু ব্যকুল জল ভাসমান চোখ
তোমার সরল সুখ খুঁজে কান্নার মিছিলে
অগণিত দিন রাত্রি একাকী হয়েছে গত
তবু মনে হয় হৃদয়ের গভীরে অচেনা তুমি
তোমার সান্নিধ্যেই বিলিন হবে অন্তরের ক্ষত।
কতজন কতভাবে বুঝিয়েছে,
কতবার গায়ে বুলিয়েছে হাত
প্রত্যাশার ঘরে প্রাপ্তির ভীড়ে;
নারীর শূণ্য অযুহাত।
বুঝিয়াও বুঝেনা বুঝেনাই; এ মন
তোমাকেই ভালোবাসে সকল সর্বনাশে
যন্ত্রনায় মুচকি হাসে;
তোমার উষ্ণতা চায় যখন তখন।
তুমি কি জানতে কভু ? পুরুষ
অজস্র উপায়ে নির্যাতিত বারবার
গোলকের গোলক ধাঁধায়;
তবু ভালোবাসায় থাকে একাকার।।
Samar Bhowmick Jul 2020
সমর ভৌমিক
11 জুলাই 2020; 02:46

তোমাকে ভালোবাসি অণু
হৃদয় শিক্ষা দিয়েছে অনুমতি ছাড়াই,
অসীম কল্পনায় ভঙ্গুর আকৃতি-
আত্মার পাশে স্বপনের চাবি।

সময়ে হতে পারে সবকিছু পরিমাপ
অদৃশ্য বাস্তবতা বা সামান্য কারণ,
তবু স্বপনে তোমার সাথে দেখা করেছি,
কারণ প্রাণটা সেখানেই ছিলো।

ফিরে যেতে চেয়েছিলাম ছেলেবেলায়,
ততক্ষণে জীবন জাহাজ প্রেম সমুদ্রে ধ্বংস হয়ে গেছে-
অতীত অতীত বলে আটকে ছিলাম আমি,
সাদা পোষাকে একটি গোলাপের জন্য।

বদলে গিয়েছে আমার সকল ঋতু
এবং কেবল বসন্তের অপেক্ষায়-
চাঁদ হয়ে রাত ভোরে এনে দিবে,
স্যুটকেস ভর্তি বিষাক্ত চুম্বন।

জানি, কোন স্মৃতি ব্যর্থতার নয়-
আমার বসবাস নতুন স্মৃতির খোঁজে,
এবং অণুময় মহাসাগর অতিক্রম করা-
নিশ্চই বাকী রয়েছে শুরুর জন্য জীবন।

আমার কিছু নেই,
এবং সব আছে-
যদি সাথে তোমার মায়া,
সবুজ পত্র-পল্লবে বৃষ্টির নাচ।

ভালোবাসার সময় কতটা আছে জানা নেই-
হতে পারে তাড়াতাড়ি চলে যাচ্ছি সর্বদার বিরুদ্ধে,
আমাদের ছাড়া নেই সভ্যতার সংখ্যা,
সংখ্যা থাকতে থাকতেই প্রেম।

প্রতি রাতে কল্পনায় মুখোমুখি হই
শীত শীত ভাবে উষ্ণ নিঃশ্বাস প্রতিরোধের,
এবং আমাকে অন্ধকারে নিয়ে যায়-
একটি চুক্তির শপথ হোক।

চাই, এক আকাশের জন্য এক সাথে আঁকি
অজানা আয়ুর রেখা-
যদি শ্বাস নিতে ভুলে যাই কখনও,
জানবো তুমি সন্দেহ মুছে দিবে জগতের।

ওইদিন থেকে সভ্যতা ভয় পাবে
সুর্যাস্তের অপেক্ষা নয় আর-
কবির কলমে লিখবে আনন্দ,
সুতরাং জেনে যাবে প্রেম সর্বশেষ।
60 · Apr 2020
দিন গণি
Samar Bhowmick Apr 2020
আমার আপন বললো ফোনে
পাশেই করোনা’র বাস
ভাবছি শুনে তখন থেকে
না জানি সর্বনাশ।

বললো খোকা তের’তে আছি
নেই কোন ভয়
আজই গেলো একটি প্রাণ
তাঁদের তলা ছয়।

শুনিয়া মন কাঁদিয়া উঠে
অসহায় আঁধার অতল
শুধু প্রার্থনা করছি সর্বক্ষণ
বাড়াতে নিজ মনোবল।

আমিও একা আটকে আছি
নিজ গৃহে বন্দি
করোনা ভয়ে করছি যুদ্ধ
ভাগ্যের সাথে সন্ধি।

করোনা’র সাথে অসহায় সবাই
যেন পাথরের স্তম্ভ
নেই বাহাদুরি নেই ঝাড়ি-ঝুড়ি
নেই ক্ষমতার দম্ভ।

ভাই ভাতিজা স্ত্রী সন্তান
সবার ওখানেই বাস
করোনা তুই এখানে আয়
ওখানে নয় সর্বনাশ।

দিন রাত প্রভুকে ডাকি
বুকে ওদের কথা
আমার জীবন নিয়ে করোনা
মুক্ত রাখো তথা।

প্রার্থনা মোর সবার জন্য
যে যেখানো আছো
সবার মুক্তি চাইছি আমি
হৃদয় ভরে বাঁচো।

আবার সোনা বলতো দেখি
কেমন আছিস শুনি
পিতার হৃদয় কাঁদছে কেবল
আশায় দিন গণি।
60 · Apr 2020
দত্তক
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু আমি দত্তকের কথা বলছি
একটি প্রাণ দত্তক দেওয়ার কথা বলছি
আমার ভিতর থেকে যদি প্রাণ পুরুষ বেড়িয়ে দত্তক যায়
আবার আমি যদি তোমার ভিতর থেকে মানবী আত্মাকে দত্তক নিয়ে আসি
অনু তাহলে কি হয় জানো ?
সে এক অদ্ভুত অনুভূতি
সে এক অদ্ভুত ভালোলাগা ভালোবাসা।

অণু আমি দত্তকের কথা বলছি
আমি তোমার হৃদয় দত্তক নেওয়ার কথা বলছি
আমি আমার হৃদয়টাকে হৃদপিন্ড থেকে বের করে এনে
তোমার হৃদপিন্ডের খোলসের ভিতর দত্তক দিয়েছি
তখন তোমার হৃদপিন্ডটার কি হলো জানো ?
আমি পরম স্নেহে তোমার হৃদয়টাকেও দত্তক নিয়েছি
অণু’র হৃদপিন্ড এখন আমার হদয়ের স্পন্দন গোণে
আর আমি অণু’র হৃদস্পন্দন পাই
সে এক অদ্ভুত অণুভূতি
সে এক অদ্ভুত ভালোলাগা ভালোবাসা।

অণু আমি দত্তকের কথা বলছি
আমার প্রাণবায়ু দত্তক দেওয়ার কথা বলছি
তোমার প্রাণবায়ু দত্তক নেওয়ার কথা বলছি
আমার ফুসফুস থেকে সমগ্র প্রাণবায়ু বের করে এনে
অণু’র ফুসফুসের কাছে দত্তক দিয়েছি
আর আমার নিঃস্ব শূণ্য ফুসফুসে
অণু’র প্রাণবায়ু দত্তক এনে বেঁচে আছি
এখন অণু’র নিঃশ্বাসে আমি
আর আমার নিঃশ্বাসে অণু
প্রাণবায়ু দত্তক নিতে কখনও শুনেছো ?
সে এক অদ্ভুত অণুভূতি
সে এক অদ্ভুত ভালোলাগা ভালোবাসা।

অণু আমি দত্তকের কথা বলছি
ভালোবাসা দত্তক দেওয়ার কথা বলছি
ভালোবাসা দত্তক নেওয়ার কথাও বলছি
আমার হৃদপিন্ডের রক্তের স্রোতের ভিতর
আমার মস্তিস্কের নিউরণের ভিতর ভালোবাসার ঘর ছিলো
সে ঘরের সমস্ত ভালোবাসা আমি
অণু’র হৃদপিন্ডের স্রোতের ভিতর
মস্তিস্কের নিউরণের ভিতর ভালোবাসার ঘর আছে
সেই ঘর শূণ্য করে দত্তক দিয়েছি
আর আমার বুকের লাল খাঁচার ভিতর
মস্তিস্কের নিউরণে ভালোবাসার শূণ্য ঘরে
দত্তক এনেছি অণু’র ভালোবাসা
আমি এখন নিজেকে ভালোবাসতে গিয়ে অণু’কে ভালোবাসি
আর অণু আমাকে
সে এক অদ্ভুত অণুভূতি
সে এখ অদ্ভুত ভালোলাগা ভালোবাসা।

অণু আমি দত্তকের কথা বলছি
আমি অণুভূতি দত্তক দেওয়ার কথা বলছি
অনুভূতি দত্তক নেওয়ার কথাও বলছি
আমরা পরস্পর পরস্পরকে আমাদের প্রেম দত্তক দিয়েছি
আমাদের হাসি-কান্না দত্তক দিয়েছি
আমাদের স্নেহ-মায়া-মমতা দত্তক দিয়েছি
আমরা পরস্পর পরস্পরকে আমাদের আবেগ-বিবেক-দৃষ্টি-স্বপ্ন দত্তক দিয়েছি
আমাদের দৃঢ়তা-চঞ্চলতা-আশা-আকাঙ্খা দত্তক দিয়েছি
আমাদের সত্য-সরলতা-পবিত্রতা দত্তক দিয়েছি
আমরা পরস্পর পরস্পরকে আমাদের বিশ্বাস ও শূণ্যতার ঘর দত্তক দিয়েছি
এখন আমি নিজেকে বিশ্বাস করতে গিয়ে অণু’কে বিশ্বাস করি
আর অণু আমাকে
সে এক অদ্ভুত অণুভুতি
সে এক অদ্ভুত ভালোলাগা ভালোবাসা।

হ্যাঁ অণু আমি দত্তকের কথা বলছি
আমি নিজেকে দত্তক দিলাম তোমার কাছে
আবার তোমাকেই আমিও দত্তক নিয়েছি
আমিই এখন অণু
অণুই এখন আমি
সে এক অদ্ভুত অণুভুতি
সে এক অদ্ভুত ভালোলাগা ভালোবাসা।
59 · Apr 2020
উপহার
Samar Bhowmick Apr 2020
২২•০৪•২০১৯;০৬:৩০
••••••••○○○••••••••
তুমিই আমার একমাত্র অণু
আমার গ্রহের শক্তিশালী শান্ত বাতাস
তুমিই আমার মনের পাল উড়াও নিঃশব্দে
কেউ জানে না কখনও
আত্মার কত গভীরে অশ্রু জমে আছে
কামুক এবং মিষ্টি বিরহের
পাগল করা মনে কতটা রঙিন ভালোবাসায়
স্মৃতির পাতায় ইতিমধ্যেই তা অবিস্মরণীয় উৎসব
এবং আমার চমৎকার হৃদয়ের বাগান জুড়ে
রঙিন প্রজাপতি হয়ে উড়ে অবিরাম
একটি ভিন্ন সময়ে অথবা মুহুর্তে মুহূর্তে
যদিও একটি প্রতিকূল বিশ্বে বসবাস আমার
যেখানে আমার সহস্র টুকরো হারানোর স্মৃতি
আর নিজেকে পূনঃপূর্ণের ব্যার্থ চেষ্টা অবিরাম
কিন্তু অণু সেই রক্তাক্ত বুকের ভিতর
ঠান্ডা গুহায় নিরলস রয়ে যায় অবিকল অবিচল
আলোকপাত করে অনুভুতির কেন্দ্রে
মনের মোড়ানো হৃদয়ের গভীরে;আর
আমার অন্তরকে আনন্দিত করে
উপহার দেয় অণু'র জন্য নিবেদিত বর্তমান।
59 · Apr 2020
আফসোস
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; তুমি অবাক হবে শোনে
দীর্ঘদিন
আমি মূল্যহীন ছিলাম
ভালোবাসা ছাড়া।
একমাত্র
তুমি
আমাকে কাছে ডাকলে
তোমার অসহ্য ভালোবাসা
আমাকে সতন্ত্র করেছে
স্বতন্ত্র করেছে
আমার বোধ বুদ্ধি বিবেক।
তুমি একমাত্র কারণ
জীবনের
আমি এখন অপেক্ষা করি
তোমার একটি শব্দের
একটি অঙ্গভঙ্গির।
তোমার উদাসীনতায়
চুর্ণবিচূর্ণ হই
মনে হয়
তোমার প্রতিশোধ
স্পর্শ করেছে আমায়।
তোমার হাতে
অল্প সময় ছিলো
আমার প্রাপ্তি
যদিও তোমার দেয়া
অন্তস্থ ভালোবাসা
সেই স্বল্প স্থানে্
চিরস্থায়ী আফসোস।।
59 · Apr 2020
উপাখ্যান
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু তুমি কি কখনও ভেবেছিলে
আমরা কে কাকে বেশী ভালোবাসি
আমি না তুমি
তুমি না আমি ?
অথবা এমন ভাবনা
আমরা বেশি কে কার জন্য অপেক্ষার প্রহর গোনি
তুমি না আমি
আমি না তুমি ?
অথবা আমরা বেশী বেশি কে কাকে অনুভব করি
তুমি আমাকে
না আমি তোমাকে ?
অথবা এমন ভাবনা
আমরা কাকে বেশি বেশি রাখতে চাই দৃষ্টি সীমানায়
তুমি আমাকে
না আমি তোমাকে ?
অথবা আমরা কে বেশি বেশি স্বপ্নবাজ
আমি না তুমি
তুমি না আমি ?
অথবা এমন ভাবনা
আমরা কে একটু বেশিই স্পর্শের কাঙ্গাল
তুমি না আমি
আমি না তুমি ?
অথবা আমাদের ভালোবাসায় কে হেরে গেলো
আমাদের ভালোবাসায় কে জিতে গেলো
আমি না তুমি
তুমি না আমি ?
যদি এমন ভাবনা ভেবেই থাকো অণু
তবে তা বেহিসেবি ভালোবাসা নয়
সে এক হিসেবি গল্পের উপাখ্যান।
তাহলে ইচ্ছেমতো বলতেই পারো
আমাদের ভালোবাসা ছিলো না কখনও।
কেননা ভালোবাসা আত্মার
হৃদয় নিঙরানো স্নেহ শ্রদ্ধা ক্ষমার।
ভালোবাসায় কমবেশি থাকে না
ভালোবাসায় হার জিত থাকে না।
যদি এমন ভেবেই থাকো তাহলে বরং
আজ থেকে চলো নতুন করে ভালোবাসি।
Samar Bhowmick Jun 2020
তোমাকে অভিনন্দন অণু
স্বাগত জানাই-
হ্যাঁ এখানেই বসো-
এই নরম কেদারায়,
এটাই আমার অন্তরের নিরাপদ ঘর,
এখানেই বসবাস প্রশ্রয় দেয়া মনের আত্মা হৃদয়-
আর; আয়না থেকে থসে পড়া তোমার ছবি
স্নেহ মায়ায় জড়ানো প্রেম।

হ্যাঁ।বারো জোড়া হাঁড়ের খাঁচার ভিতর
ওটাই আত্মার নিরাপদ আলমারী-
ঐ যে- একটাই চাবি,
শুধু তোমার-
খোল, তোমার ইচ্ছে মতো খোল-
তাক থেকে প্রেমের চিঠিগুলি নামাও,
একটা একটা করে দ্যাখো-
দ্যাখো-তোমাকে হৃদয় দিয়ে চিনি
প্রাণের শ্বাশ্বত প্রেমের জন্য-
অনুভব অনুভুতির দীর্ঘ জীবনের জন্য,
যদি তুমি উপেক্ষাও করো আমায়-
সমস্ত জীবন তবু তোমার জন্য।

আমি সেই অপরিচিত ব্যক্তি
যিনি তোমাকে ভালোবাসে-
যিনি মানবীয় মায়াময়তাকে ভালোবাসে
তোমার চঞ্চলতা ব্যর্থতা; কিংবা
হিংস্রতা ঘৃণা নিন্দাগুলোকেও ভালোবেসে
নিজের কাছে রাখে হৃদয়,
পছন্দ অপছন্দের ধার দেনায়-
শব্দ স্নেহ দৃষ্টি স্পর্শের সাথে,
তোমার ফেলে দেওয়া নিঃশ্বাসের ঘ্রাণ।

অণু তুমি এ দিকে তাকাও-
এই যে এইখানে দ্যাখো-
তকতকে মেরুন লাল অভাবী হৃদয়,
প্রত্যেক বার এখানেই তোমাকে স্বাগত জানায়।
দ্যাখো, আর ওপাশটায়-
নিকোটিনের ধোঁয়ার ঝড়ে বিবর্ণ ফুসফুস,
বিষ শুষে নেয় অজস্র ভালোবাসায়-
কর্মঝড়ে নানান তান্ডবের মাঝে,
আহারে নিদ্রায়-
আনন্দ আহ্ণাদে সহস্র চিন্তায়-
আমার নিজস্ব দরজায় তোমাকে স্বাগত জানাতে,
গালে হাত রেখে বসে থাকে সময়।।
58 · Apr 2020
আমার ভয়
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; অন্ধকারের ইঙ্গিত করো না
আলোর দিকে তাকাও
দ্যাখো, আমরা নেমে যাচ্ছি কতটা গভিরে
আত্মার ইশারায়।
বাতাসের সাথে মিশে আছে আমাদের প্রেম
সমগ্র পৃথিবীর সকল অনুষঙ্গ জুড়ে
এবং কখন
আমি তোমার আত্মায় ঘুমিয়ে পড়েছি
তোমার হৃদয়ের আলোতে।
আমার সকল চিন্তার জলপ্রপাতে
তোমর প্রসারিত ভালোবাসা
এবং অবাধ যাতায়ত।
আমার প্রাণের জীবন্ত সকল সত্তার মাঝে
তুমিই একমাত্র মানবী
একমাত্র উজ্জ্বলতার দেবী।
আমার সহস্র জন্মান্তরের মধ্যে
তোমাতেই প্রথম থেমে যাওয়া
আমার প্রথম প্রেমের অনুভব
আমার প্রথম বন্দি হওয়া
আমার প্রথম ভয়
আমার ভয়।
আর আমি ভাবি
তুমি কি আমায় বুঝতে পারছো না?
Samar Bhowmick Apr 2020
করোনা ভেবে আৎকে উঠি
মৃত্যু নয়তো পাপ
কত দিন থাকবো বেঁচে
কিসের অনুতাপ ?

সঙ্গ সাথী যাঁদের বলি
কোন মৃত্যুতে যায়
মৃত্যুর পরে উৎসব করে
একটুখানি হায় হায়।

ক’দিন বাদে কে কাঁদে
কোথাও দেখি নাই
কাঁদার মধ্যে থাকে শুধু
কোথায় রেখে যাই।

যখন পূর্বসুরী সবাই গেল
একই পথে তাঁরা
তাদের গোষ্ঠী পূর্ণ হবে
আমরা গেলে মারা।

তুমি তাঁদের কথা ভেবে
তাঁদের জন্য কাঁদো
তাদের কাছে যেতে হবে
ভাবো কি আদৌ ?

মায়া যদি থাকতো প্রাণে
তাদের মায়া কই
বুঝাও এবার কিসের মায়ায়
কেন বেঁচে রই।

যাঁরা গেছেন মৃত্যুর পথে
তাদের প্রেম ভুলে
নিচ্ছি সবাই নিজের হতে
কোন পিরিতি তুলে ?

মায়া কায়া কিছু নয়
লোভের প্রতি টান
আমরাও তাই চাই এখন
না হারাতে প্রাণ।

একই ভাবে ভুলবে সবাই
আছে যতো মায়া
জগতে শুধু থাকবে সবার
কৃত কর্মের ছায়া।

কর্ম ফল হিসেব করো
কি করেছো ভালো
নরক হলো কঠিন আঁধার
পাবে সেথায় আলো?
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু আমার অতিষ্ঠ কর্ণকুহরে
তোমার স্নেহময় ফিস্ ফিস্ শব্দে
আমি খুজে পেয়েছি ভালোবাসার বেদী
আশা
হৃদয়
যেখানে অঙ্কুরিত হয় প্রেম।
সেই অদম্য আগ্রহে
তোমার জন্য রোদ খুঁজছি অণু
সেই রোদের আলোকচ্ছটায় আলোকিত হবে বিদ্বান পৃথিবী
আর,
তোমার জন্য আনবো স্বাধীনতা।।
58 · Apr 2020
প্রেম
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু
ভালোবাসা ঐশ্বরিক শক্তি
এ এক অদৃশ্য আলোক বিচ্ছুরণ
হৃদয়ে এক অমৃত তরঙ্গ ধারা
অসীম আকাশে নব বিচ্ছুরিত তারকা
আমার শব্দে
আমার ভাবনায়
আমার চিন্তা চেতনায়
আমার স্বপ্নে ও কল্পনায়
আমি চাইলেই লুকাতে পারি না
এ যেন এক বজ্র বিদ্যুৎ
অথবা
কোমল রশ্মিতে দ্রবিভূত
এক মায়ার পাহাড়।
অথচ
আমার সূর্য সমেত সহস্র সমস্যা  
মে্ঘাচ্ছন্ন অন্ধকার পৃথিবী
বন্যার ঘৃণীত জলের মতো
ঢালে ঢলে যাচ্ছে জীবন।
সত্যিকার প্রেম
ব্যথার বিষে নিয়ৎ গোসল
তবু বলি
আমি এখনও উষ্ণ আছি
ব্যাথা
উল্লাস
আনন্দ
আবেগ ও উষ্ণতায়।
তাই
গান গাইতে গাইতে
ঈশ্বরকে বলি
আমি তোমাকে ভালোবাসী।
58 · Apr 2020
উপস্থিতি
Samar Bhowmick Apr 2020
শরীরের লোভ লালসার ভিড়ে
মনে নেতৃত্বের আন্দোলন
সৌন্দর্য বোধের সকল অনুসঙ্গ
অণুকে আকর্ষণ করে

অণুর স্নেহের কাছে লজ্জিত হই
সন্ত্রাস ও মৃত্যু বপন করা হৃদয়ে
যখন নিজের কাছে খুঁজে পাই
নিষ্ঠুর পশুর হিংস্রতা

অথচ ভালোবাসার উঁচু তরঙ্গ
একই বুকে চলাফেরা করে
নিঃশ্বাসের বাতাসেও যাঁর নাম
জলের মতো নিরীহ

এতটা বন্ধুত্বেও জীবন লুকিয়ে থাকে
মানবতা সৌন্দর্য্যের গলিতে
লজ্জিত হয় মন অধিকৃত আত্মা
এক ফ্যাকাশে রোদে

অণু’র উত্থান আমার অন্তরে
জানা অজানা দিগন্তে
ঝিকিমিকি বালুকণি’র স্তরে স্তরে
তাঁর উত্তাল ঢেউ

আমার চিন্তাকে অপহরন করে
প্রলুব্ধ এক আনন্দ
মানবতাময়তায় আমার হৃদয়ে
এক সমুদ্র সুর্যের ঝলক

অণুর একটি উদার হাসি
আমাকে তারুন্যে ফিরিয়ে নেয়
মনে করিয়ে দেয়
তার মহিমান্বিত উপস্থিতি।।

29 এপ্রিল 2020; 01:21, ঢাকা, বাংলাদেশ।
Samar Bhowmick Apr 2020
পূর্ব জনমের অজানা অভিমানে
আমাকে রেখেছো দূরে
অসীমে সরে গিয়েও তুমি
রয়েছো হৃদয় জুড়ে।

পূর্ব জনমে ভালোবাসার সাধ
মোটেও মিটেনাই মোর
তুমি শূণ্যতায় কাটেনি রজনী
হয়নি নতুন ভোর।

ভালোবাসি শুধু ভালোবাসি
জন্ম জন্মান্তরের চাওয়া
অজানা অযুহাতে কেটে গেলো বেলা
আজও হলোনা একান্তে স্নেহ পাওয়া।

অণু তুমি স্মৃতির পাতা উল্টে দেখো
জন্মান্তরের ভালোবাসময় দিন
আজো বেহিসেবী অবিকল ভালোবাসি
মিটাতে দাও ভালোবাসার ঋণ।

জন্ম জন্মান্তর ধরে অজানা অপরাধে
আজও হলো না কাছে আসা
হৃদয় পুড়েছে সভ্যতার জঞ্জালে
তবু অবিকল আছে ভালোবাসা।

সাধ্য আমার বাধ্য নহে আজি
তোমার অভিমানে
কন্টক হার মানিবো কি করে
তুমি সদা জাগ্রত প্রাণে।

ক্ষমা করো দেবী অজানা যতো ভুল
ক্ষমার হৃদয় দাও বাড়িয়ে
অতৃপ্ত মন দগ্ধ প্রাণ
স্নেহের টানে দেখো ঠায় দাঁড়িয়ে।

অবুঝের মতো অবুঝ হয়ে
কেঁদে কেঁদে কেটেছে কত রাত
পৃথিবী তোমায় দিয়েছে খুঁজে
ফিরিয়ে নিও না স্নেহময় হাত।।
57 · Apr 2020
শিকার
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; তুমি আমার জীবন ফিরিয়ে দিয়েছো
ভালোবাসার স্নেহময় স্পর্শে
যদিও সমাপ্তি চেয়েছিলাম জীবনের
কিন্তু তোমার দুঃখিত মুখ
অজানাভাবে আমার পরিবর্তন এনেদিলো
তোমার মায়াময় উষ্ণ স্পর্শ
জ্বলন্ত রোদের মতো
আমাকে দেখালো পরিস্কার আকাশ
উপরে, আরো উপরে তাকিয়ে দেখি
তোমার এলো চুল
সামান্য বাতাসের গোলমালে তরঙ্গে
কথা বলে প্রানের
অথচ সামান্য অতীতেই আমি
কঙ্করের গুঞ্জনে ম্রিয়মান ছিলাম
সমুদ্রের মতো তোমার বিশালতায়
আমার প্রশংসা রইলো ; অণু
আমি চারদিকে তাকাই; দেখি বর্তমান
সহস্র বছরের নিদ্রা ভেঙ্গে জেগে উঠেছি
তোমার যাদু দ্বারা
মধুর স্বাদের সঙ্গে
তোমার মিষ্টি কথায়
কানে পাঠানো একান্ত ফিসফিস শব্দে
দ্যাখো অশ্রুও শুকিয়ে যায়
তোমার কোমলতার যত্নময় চাহনিতে
নিজেকে আর একা ভাবছি না
অন্তরে নিজেকে পিষে; প্রেম
বেছে নিয়েছে শিকার।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু মনকে আমি মন্দির বলি; ভালোবাসায়
তুমি মসজিদ গির্জা প্যাগোডা যাহাই বলো
মনের জমিন অতি পবিত্র জেনেই বলো
সে যদি হয় মানুষের
হোক সে অচিন অচল মানুষ
ভালোবাসা পবিত্র ভুমির পবিত্র ঘর।
সে মন্দিরেই বাস আমার আজিবন
যেখানে হিংসা নেই বিদ্রুপ নেই প্রতিযোগীতা নেই
নেই লাভ লোকসান হিসেবের খাতাপত্তর।
আমি তোমার খাতাপত্তরহীণ উচ্চারিত শব্দ
ভালোবাসি শব্দটাকেই শুধু ভালোবাসি না অণু
আমি ভালোবাসি, ভালোবাসি শব্দের ভিতরের বিশ্বাস
ভালোবাসি শব্দের গভীরে থাকা সততা সাম্য
ভালোবাসি শব্দের অলংকার মানবতা
ভালোবাসি শব্দের দৈর্ঘ্য ধৈর্য্য
ভালোবাসি শব্দের উচ্চতা শ্রদ্ধা
ভালোবাসি শব্দের গভীরতা স্নেহ
ভালোবাসি শব্দের প্রশস্ততা বন্ধুত্ব
আমি ভালোবাসি, ভালোবাসি শব্দের ঘনত্ব একাত্বতা।
তুমিও ঠিক আমার মতোই ভালোবাসো অণু
আমাকে, পৃথিবী, আমাদের প্রজন্ম ও পরিবেশ
ভালোবাসো আমাদের চেনা অচেনা স্বজন সুহৃদ।
তোমার মাতৃত্বে সেরা মানুষের প্রজন্ম চাই অণু
স্বর্গ থেকে ঈশ্বর নেমে আসুক
আমাদের নব প্রজন্ম মাঝে।
ভালোবাসা সেরা উপহার হোক আগামীর
পৃথিবী হোক উপহারময় শান্ত সুশীল
ভালোবাসায় খন্ডিত না হোক
পরিবার গোষ্ঠী সমাজ রাষ্ট্র।
পৃথিবী জুড়ে হোক একটি পরিবার
সকল প্রানের সম বিন্যাসে সম অধিকারে
প্রাণ প্রাণী তৃণ সবে হোক একাকার
আমাদের সাম্য স্নেহ শ্রদ্ধা ভালোবাসার বন্ধনে।
57 · Apr 2020
অ্যালবাম
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু, মনে পড়ে তোমার ??
কোন এক ফাগুনে লাল পলাশের নীচে
ঘাসের গালিচায় সহস্র পলাশের বিছানায় বসে
সেদিন আমাদের মধুমাখা শান্ত বিকেল
বাদামের সাথে আঙ্গুল খেলা করে কাটিয়ে দিয়েছিলো
ঠোঁট জ্বিহ্বা মুখগহ্বর পেট আর বাদাম
এক হয়ে আমাদের সাথে খেলতে পেরেছিল
এই আনন্দ গুলোকে সাজিয়ে রেখেছি; এখন পযর্ন্ত ।

অণু, মনে পড়ে তোমার ??
হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে
অজস্র ঝুঁটি এদিক সেদিক হাঁটছিলো; আর
যাঁরা আড়চোখে তাকিয়ে ছিলো
কিংবা চুপিচুপি তর্জনী তুলে দেখিয়েছিলো
সেই আড়চোখে মিটিমিটি দেখা
ফিসফিস করে বলা; আর
চুপিসারে নির্দেশিত সেই তর্জনীকেও
আমি সাজিয়ে রেখেছি; এখন পযর্ন্ত ।

অণু, মনে পড়ে তোমার ??
পরিচিত অনুভবে
প্রথম প্রণয়ের স্মিত হাস্যরস
প্রকাশ্য সাধারণের অনুভব থেকে
তোমার সেই ভয় পাওয়া অনুভূতি
দুঃশ্চিন্তা আর উৎকণ্ঠার বসত;কিংবা
আত্মসম্মান আহত হওয়ার শংকা গুলোকেও
আমি সাজিয়ে রেখেছি; এখন পযর্ন্ত ।

অণু, মনে পড়ে তোমার ??
তুমি মন খারাপ করে সন্ধ্যা থেকে রাত
পরদিন দুপুর গড়িয়ে গেলেও
বিকেল পযর্ন্ত না খেয়ে থেকেছিলে
সমুহ লজ্জাকাঙ্খায় নতশিরে কাটিয়েছিলে বেলা
সেই না খেয়ে থাকা বিপদ ভাবনা গুলোকেও
সাজিয়ে রেখেছি; এখন পযর্ন্ত।

অণু, মনে পড়ে তোমার ??
তোমার নিশ্বাসে ঝড়ো বাতাসের ঝড়ে
বাদামের লালচে পাতলা আবরন গুলো
যেভাবে পেরেছে তারাহুরো করে পালিয়ে গিয়েছিলো
আর তোমার কোমল আঙ্গুলের খেলায়
বাদামের প্রাচীর ভাঙ্গার পটাশ পটাশ শব্দ
এক অদ্ভুত রোমাঞ্চকর উন্মাদনা দিয়েছিলো আমায়
আমি সেই বাদামের প্রাচীর ভাঙ্গার শব্দ গুলো
প্রাচীর ভেঙ্গে পালিয়ে যাওয়া লালচে আবরন গুলোকেও
সাজিয়ে রেখেছি; এখন পযর্ন্ত।

অণু, মনে পড়ে তোমার ??
সেই সব স্মৃতির সাথে একাকার মিশে থাকা
আমাদের আত্মজ প্রেম
সহস্র চুমুতে ভেজা তোমার হাত
কাঁধ গ্রীবা কিংবা হাতের আঙুল
সেই স্পর্ধা প্রদর্শিত লুকানো তর্জনী
আর তোমার আতংকিত সময়টুকু
দিন রাত ঘুরে ঘুরে আমার অব্যক্ত হৃদয়ে
যতটুকু মধু সঞ্চয় করেছিলো
সেটুকু সাজিয়ে রেখেছি; এখন পযর্ন্ত।

২৮•০৪•২০১৯;২৩:২০, ঢাকা, বাংলাদেশ।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; পঞ্চ ইন্দ্রিয় পঞ্চ মন এক আত্মায়
অত্যন্ত জটিল বিভেদপূর্ণ শরীর আমার
তাঁর মধ্যে আমার আমি কে?
নিজেকে চিনতে পারিনি আজও
অথচ স্নেহ শ্রদ্ধাময় আবেগপূ্র্ণ মন
বিকশিত করতে পারিনি মানবতায়
নিথর আমিকে কতবার স্পর্শ করেছি
দেখিনি আত্মার গভীরে আনন্দের ধ্বনি
আমার আমিকে খুঁজতে গিয়ে;
নিজেই ব্যাধিগ্রস্ত অসহায় আজ
যেন শরীটাকে বহন করে চলেছি মাত্র
অধিকারের কোন লেশ নেই
আত্মার রহস্যময় শব্দ তরঙ্গ গুলো
বারবার স্তব্ধ করে আমায়
আমি বাকরুদ্ধ হই
জন্মের অজস্র প্রতিশ্রুতি ছিলো আমার
শ্রুতি মধুর অহংকারের কাছে বিলুপ্ত প্রায়
ইচ্ছা কথা প্রতিশ্রুতি কিছুই রাখতে পারিনি
লজ্জার আবরনে ঢেকেছি অবয়ব
তাহলে কি জন্ম হয়েছিলো অক্ষম সময়ে
মানবতার স্বর্ণালী রেখা টানার আগেই
কালবৈশাখি ঝড়ে আগাম বর্ষার ঘোলাজল
অস্পষ্ট করে দিলো বর্ণিল প্রাণ?
কতবার চেষ্টা করেছি নিজেকে চেনার
কত যুক্তি উপ-যুক্তি ঘেটে ঘেটে
কেটেছে সময়ের শাখা প্রশাখা
কিন্তু আমার আমি কে?
খুঁজে পেলাম না স্বার্থগত বৈরনিগ্রহ মনে
বারবার মনের গভীরে গিয়ে দেখলাম
সেখানে কোন আলোক বর্ণ নেই
আমি দিপ্তিহীন প্রভাশূণ্য এক প্রেতাত্মা।
Samar Bhowmick Apr 2020
24 মার্চ 2020

এক হাতে মৃত্যুর পরোয়ানা
অন্য হাতে অণুর প্রেম
মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে করতে
তবু অণুকেই ভালোবাসি
যদিও মৃত্যু স্বর্গের ছাড়পত্র
কেননা ঈশ্বর জানেন
অণু’র প্রেমের কলমে মানবতার কথা লিখেছি
সকল প্রাণে ভালোবাসার কথা লিখেছি
ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা লিখেছি
ধরিত্রীর শান্তির কথা লিখেছি।

এক হাতে অণুর প্রেম
অন্য হাতে মৃত্যুর পরোয়ানা
যদিও মৃত্যু স্বর্গের ছাড়পত্র
কেননা ঈশ্বর জানেন
আমি অণুর প্রেম দিয়ে
শিশু বৃদ্ধ প্রতিবন্ধীদের ভালোবাসার কথা লিখেছি
বাহাত্তর এর সংবিধানের কথা লিখেছি
বাক স্বাধীনতার কথা লিখেছি
বিশ্বজিৎ অভিজিৎদের কথা লিখেছি
ধরিত্রীর শান্তির কথা লিখেছি।

এক হাতে অণুর প্রেম
অন্য হাতে মৃত্যুর পরোয়ানা
তবু অণুকেই ভালোবাসি
যদিও মৃত্যু স্বর্গের ছাড়পত্র
কেননা ঈশ্বর জানেন
অণুর প্রেম দিয়ে তসলিমার স্বাধীনতার কথা লিখেছি
নিরপরাধ আবরার হত্যার কথা লিখেছি
নারীর অধিকার সম্ভ্রম রক্ষার কথা লিখেছি
প্রাণের অধিকারে সাম্যের কথা লিখেছি
ধরিত্রীর শান্তির কথা লিখেছি।
56 · Apr 2020
অবহেলা
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু’র সামান্য অবহেলা
জীবান্তক কষ্ট দেয় আমায়
বিরহ জাগে প্রাণে
যেন আমি অন্ধকার গ্রহে
অথবা হঠাৎ
কেউ নিভিয়ে দিলো তাবৎ দুনিয়া
মহাকাশের কৃষ্ণ গহ্বর গ্রাস করলো
আমার স্বপ্নময় পৃথিবী; আর
অন্তিম যাত্রার মতো আমি নিঃস্ব একা
পথ হারা বেদুঈনের মতো
ঠিকানা বিহীন হাঁটছি আর হাঁটছি
পথের বাঁকে বাঁকে; অনন্তপথ
অণু’র সামান্য অবহেলায়
শিমুল তুলোর মতো উড়ে
দুঃখের তপ্ত দীর্ঘশ্বাস
ফুলের বাগান গুলো
ভূতুরে চিতা
জ্বলে অদৃশ্য আগুন অগ্নিগর্ভা হৃদয়ে
চোখের কার্নিশ বেয়ে নোনা লাভার স্রোত
ভাসিয়ে নেয় মায়াময় সবুজ;
কুয়াশার গাঢ় আস্তরণে ঢাকে
আমাদের বর্নিল বসন্ত গুলো
অণু’র সামান্য অবহেলায়
দীর্ঘশ্বাসের পাখায় করে
ঈশ্বরের কাছে ছুটে যায় হৃদয়
অবুঝ শিশুর মতো হাজারো প্রশ্ন
প্রশ্ন গুলো আমাকে নিয়ে যায়
ভুলে যাওয়া সময়
আর নির্বাচিত ত্রুটির বাগানে
ঈশ্বর মনে করিযে দেয়
অভিযোগ ভালোবাসা নয়
অভিযোগে ভালোবাসা নেই
দোষ নির্বাচনে ভালোবাসা থাকেনা
জ্ঞান ফিরে অভিযোগের সৎকারে
তোমার কাছে ফিরি নির্দ্বিধায়
ভালোবাসি অণু তোমায় ভালোবাসি
তবু তোমার সামান্য অবহেলা
আমাকে তাড়িত করে নষ্টের বাগানে।
56 · Jun 2020
নোঙ্গর
Samar Bhowmick Jun 2020
বসন্তের ফুল বৃষ্টির জল ভোরের শিশির-
অনুভবে অনুরোধ করে অণু’কে ভালোবাসতে,
ক্ষুধার্ত হৃদয় আত্মা অন্তর মখমলে মন-
অপেক্ষা করে অণু’র আগমন।
রাতকে তুচ্ছ করে অনূভুতির মিছিল-
আমার খালি হাতে গুজে দেয়,
পান্না রুবির স্বপ্নময় শুভেচ্ছা গুলো।

আত্মা বিদ্রোহী হয়ে উঠে বিবেকের নিরবতায়্
ইচ্ছেমতো অনিচ্ছায় উদ্বেগ বাড়ায়-
সোজা পথ খুঁজে গোপনে্,
ঐশ্বরিক ভালোবাসার পবিত্র পূণ্য পথ।
আমার আকাঙ্খাকে উচ্চাকাঙ্খা করে তোলে,
অণু’র কন্ঠস্বরের স্বর্ণিল মোহময়তা-
সবুজ নীল নতুন বিদ্রোহী চেহারায়।

অণু’র মুখে সুখের বিমূর্ত শব্দটি শুনে
মাতাল শিরাগুলিতে জ্বলে উঠে রক্তাক্ত আগুন,
সংযুক্ত শক্তিশালী আত্মার শুভেচ্ছা ভালোবাসায়
অণু’র নির্দোষ সৌন্দর্যের হীরক হাসিতে-
শীতল প্রেমের ছোঁয়ায় আমার সাদা আকাঙ্খা,
শুদ্ধতায় তোলে নকশীকরা আত্মহারা ঢেউ,
বিড়বিড়িয়ে কথা বলে প্রাণের সাথে মন।

আত্মা মন প্রান অনুভবের মিছিলে-
প্রেমের আশ্চর্য লাল সূর্যের শিখা জ্বালায়,
সেকেন্ডের সহস্র ভাগ আমাকে নিয়ে যায়
অণু’র অন্তরের দুঃথিত শৈবাল সমূদ্রে।
সীমাহীণ ভালোবাসার গহ্ববরে রৌপ্য অনুভূতি
চিন্তনের সাথে সুখ পাখি হয়ে উড়ে-
অন্তরের প্রাচীরে ঘোরাঘুরি করা অব্যক্ত শব্দ
এবং স্নায়ুকোষের জ্বলন্ত আকাঙ্খা গুলো-
জাঁকজমকপূর্ণ নোঙ্গর করে অণু’র শৈবাল সমুদ্রে।।
56 · Apr 2020
শূণ্য আশা
Samar Bhowmick Apr 2020
কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সুযোগ পাইনি আজও
সম্পর্কের বেড়াজালে যতটুকু ভালোবাসা
পুরুটাই দ্বায়িত্বের নিজস্ব সীমানায়
অহংকারী গাম্ভির্য্য; আহত মন
নিরবে পুষে রাখি অবয়বের অন্তরালে।

জানিস অণু
অবহেলা প্রান্তরে মুঠোফোন
সাধারণ শুভেচ্ছা আসেনা কখনও
অথবা কোন কুশল সংবাদ
রিংটোন যেন তাচ্ছিল্যের চিৎকার
আত্মার সবুজ বনে অকষ্মাৎ দাবানল।

জানিস অণু
খরস্রোতা জীবনের পরতে পরতে দীর্ঘশ্বাসের ঢেউ
জীবনের দৃশ্যমান ভালোবাসাটুকু নিপুণ অভিনয়
তাঁরা মহান; যদিও নিছক কর্তব্যের দাবীদার
তির্যক শব্দ বেদানায় তবু দাঁত কেলিয়ে হাসি
বেদনাভূতি শূণ্য অবুঝ শিশুর মতো।

জানিস অণু
সম্পর্কের উপরে ভাসমান যে বিশ্বাসের সর
সবটাই মরুভূমির অনুর্বর শুষ্ক বালির পাহাড়
রস শূণ্য ঝরঝরে দৃষ্টি নন্দিত ঝলমলে বন্ধন
মুহুর্তেই উড়ে যায় দীর্ঘশ্বাসের বাতাসে।

জানিস অণু
রক্ত ধর্ম স্নেহের বন্ধনটুকুও ভাসমান কচুরিপানা
মানবতার অনন্ত দৈনদশায় দুর্বল দিন দিন
অর্থহীন অর্থে ব্যাপক স্নেহের সম্ভার; যেন
উন্মূখ হয়ে থাকা আমার লাশ টানা বেয়ারা।

জানিস অণু
নিতান্তই একান্ত আপন নিজস্ব সম্পর্ক গুলো
বারবার প্রণাম করে বিনিময়ের বিকলাঙ্গ পায়ে
কচুরিপানার মতো ভাসমান স্নেহের মানবতাটুকু
অবিকল সামাজিক মর্যাদার কোন এক সূচক।

জানিস অণু
তাচ্ছিল্যের পাহাড়ে আমি বনফুল কুড়াই
ঢেউ ভেঙ্গে লবনজলে ফেনা তুলি অলিন্দে
একাকীত্ব ঘোরপাক খায়; তবু আনন্দ
জগতে মানবতাহীন স্বার্থের ঘোর অন্ধকারে
আমরা এখনও ভালোবাসি শূণ্য আশায়
বেঁচে আছি নিঃস্বার্থ প্রেমিক যুগল
আমিও আমার শব্দে গ্রাস করা সভ্যতায়।।
Next page