Submit your work, meet writers and drop the ads. Become a member
33 · Apr 2020
যোগ্যতা
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু প্রতিটি কুয়াশা কণার অন্তরালে
রোদের ঝিলিক জ্বলে
একদিন কুয়াশা গলে যায়
দুঃখজনক হয় বোকামী গুলো।

দেখ অন্তরে ভিতরের গভীরে
একটি প্রেমের জন্ম
একটি শক্তিশালী সংগীত
যেখানে অস্পষ্ট কোন কথা নেই।

যেখানে আমাদের যত্ন গুলো
চুম্বনে পরিনত হয়; আর
চু্ম্বন গুলো হৃদয়ের স্পন্দন হয়ে
প্রবাহিত হয় আলিঙ্গনে।

জন্ম জন্মান্তরের বন্ধুত্ব
নিয়ন্ত্রন করে আমাদের
প্রেম ও প্রতিজ্ঞায়
আর তোমার একেকটি হাসি
আমাকে দান করে
অসীম যোগ্যতা।।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু আমার অসহ্য ভালোবাসার আবেশে
কখনও কখনও দিশেহারা শরীর
আমি উপস্থিত হই তীব্র মুহুর্তে
ইচ্ছে করে অগ্নি স্ফুলিঙ্গ ছড়াতে ছড়াতে
ডুব সাঁতার খেলি সুগভীর অসীম সমুদ্রে
আমি সমুদ্রের পাড় ঘেঁষে নামতে থাকি; আর
আস্তে আস্তে পায়ের তলা থেকে সরে যাক বালি
ভয়ের আস্তরনে ঢাকা শিহরিত মনে
অনিশ্চিত অব্যক্ত শিহরণে
তুমুল ঢেউয়ে দুলিয়ে মন
কয়েক দানা শস্য বীজে সপে দেই ভবিষ্যত
স্বচ্ছ আত্মার দুষিত শরীরে
সেই মিষ্টি নিষ্ঠুর সমুদ্রে।
অণু মনে মনে একবার ঝঙ্কার তোল
মনের গভীরে নিরুত্তাপ মনে
কোন এক শ্রাবণের মেঘলা সন্ধ্যায়
তোমার হৃদয় দুলিয়ে দেখো; ভালোবাসায়
বিরহ বুদবুদের ফেনায়
কত অহংকারী অথচ দুঃখী সমুদ্র।
তোমার অশ্রুসজল ভেজা চোখে
আমার দূরবর্তী চিন্তার আবরণ খোলে
রোমাঞ্চকর শব্দ দাও; আর
আমাকে সমর্থন করো নির্দ্বিধায়
বলো আহ্ নামবে এসো !!
আমার ক্ষুদ্র বুকে ঠোঁটের বিশাল চাবুক চাপিয়ে
তোমার বিশালতার নিরব চিৎকারে
আমি প্রবেশ করবো অন্তিম গুহায়
এক অরণ্য আধাঁরে
আর্কের আলো ছড়িয়ে হৃদয়ে হৃদয়
সংগোপনে ছাড়ি প্রশান্তির নির্লিপ্ত নিঃশ্বাস; আর
একসাথে হাসি হৃদয়ের কানায় কানায়।

৩০•০৪•২০১৯;০১:১০, ঢাকা, বাংলাদেশ।
Samar Bhowmick Apr 2020
এতটাই ব্যর্থ মানব জীবন কেমন করে হলো
স্রষ্টা তুমি কানে কানে বলো আমায় বলো।।

নীতি শিক্ষা নেওয়ার আগে নীতি গেলো চলে
সকল শিক্ষা গেল কেমন ভেসে বানের জলে।।

শিক্ষা থেকে শিক্ষা নিবো সেই দুনিয়া চাই
পার্থিবতা গ্রাস করেছে মানবতা নাই।।

মৌলিক শিক্ষা ভয়ে পালায় নীতি ভ্রষ্ট্রের ভিড়ে
সততার হয় রক্ত ক্ষরণ আপন হৃদয় ছিঁড়ে।।

সভ্যতায় সুশিল অভিনয় সমাজ করছে গ্রাস
বিবেক বুদ্ধি বিকিয়ে দিয়ে চলছে জ্ঞান সন্ত্রাস।।

এমন যদি চলতেই থাকে দিন দুনিয়া মাঝে
স্রষ্টা ধরায় আসবে কেন আসবে কোন লাজে।।

সেরা জীবের সম্মান দিয়ে পাঠিয়েছিলো যারে
জ্ঞান বুদ্ধি খাটিয়ে কেমন ভুলে গেল তাঁরে।।

এখনও সময় আছে রে ভাই মানুষ হবে চলো
মানবতার শিক্ষা নিয়ে সত্যি কথাই বলো।

প্রাণের মাঝে ঈশ্বর দেখো প্রাণীকে ভাবো ভাই
প্রাণকে ভাবো সবার উর্দ্ধে তার উপরে নাই

জগৎ সেরা মানুষ হলেও সবার একই প্রাণ
জগতের কল্যাণে তাই জীবন করো দান।

স্রষ্টা থাকেন প্রাণের ভিতর সচ্ছ হৃদয় যাঁর
হৃদয় গুণেই স্রষ্টার দর্শন হবে নিশ্চই তাঁর।।

লোভ লালসা সিকেয় তুলে আকাশ পানে চাও
সেই আকাশে ঠিকানা তোমার দেহ ছেড়ে যাও।।

পৃথিবীর সব অটুট রবে তোমার যাবে দেহ
নিজের নালিশ মিটাবে নিজে সাহায্যের নাই কেহ।।

করোনার দিকে তাকিয়ে দেখো কাহার করুণা চাই
স্রষ্টার স্নেহ বিনে করোনায় বাঁচার উপায় নাই।।

পাপকে তাই ত্যাগ করে আলোর পথে আসো
প্রাণী জমিন আকাশ বাতাস সমান ভালোবাসো।।

আকাশ বাড়ি সংসার ছাড়ি থাকবে অনন্ত কাল
সেই কালের চিন্তা করে ধরো জীবনের হাল।

/
রাত, ল্যাব এইড, ঢাকা।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু দ্যাখো একদিন ফিরে আসবেই
আমাদের পূর্বনির্ধারিত প্রেম
আমি প্রতীক্ষায় আছি
জন্ম থেকে জন্মান্তর পর্য্ন্ত
একদিন আমাদের সময় পরিপক্ক হলে
আমার কান্না;
আমার অপেক্ষাময় প্রেম
তুমি নিশ্চিত নিশ্চিন্ত নয়নে দ্যাখো;
অনন্ত ভালোবাসা
দিন দিন বড় হচ্ছে আমাদের ভিতর
আজন্ম অপেক্ষা শেষে
মনোরম বৃষ্টিতে আমরাও ভিজবো একসাথে
এমন ভাবনায় আমি; আর
উদারতায় ছুটে যায় প্রাণ; ভাবি
সকল অন্ধকার গহ্বর মিলিয়ে গেলে
আমাদের দেখা হবে কৈলাসে;
জীবনে সুখের কারণ
অবিকল তোমার পারফিউমের মতো হবে
পৃথিবীর গন্ধযুক্ত বায়ু
অবিচ্ছিন্ন ঠোঁটের ভাষায়
বাস্পায়ীত হবে আশার ভিজা জল
তোমার চোখে তারার মেলায়
ফিরে আসবেই
আমাদের পূর্বনির্ধারিত প্রেম
মুছে ফেলো আশার ভিজা জল
অণু তোমাকে সহস্র আদর।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; তোমার কাছে
আমার আত্মসমর্পণকৃত মন
আত্মসমর্পণকৃত দেহ
এবং আমাকে;
আমার হাত
আমার ভাষা
এবং আমি
তোমার ভালোবাসার প্রতিরক্ষায়।
তোমাকে ভালোবাসি
আমার দাবি
তোমাকে সন্তুষ্ট করার জন্য
সব করতে পছন্দ করি।
এবং আমার প্রত্যাশা
তুমি জিজ্ঞাসা ছাড়াই বলতে পারো
আমি হিংস্র নই
এবং আরো;
তুমি চাও আমি তোমাকে পাই
এমনকি তোমার ত্বক
আশা করে;
তুমি আমাকে কাছে ডাকো।।
Samar Bhowmick Apr 2020
দেখে দেখে কর্ম শিখে
কিসের ধার্মিক আমি
ধর্ম শিখে ধার্মিক হতে
হৃদয়ে চাই পুণ্যভুমি।

সাজ সজ্জায় ধর্ম নাই
ধর্ম নাই দানে
উপfর্যনে সততা চাই
সততা চাই প্রানে।

ধর্ম কর্ম সবই করি
সৎ বু্দ্ধি নাই
সকল যাবে বিফল আমার
সকল হবে ছাই।

জানি আমি কর্ম হীনে
ধর্ম জেগে থাকে
অক্ষমতায় ধর্ম বাঁচে
যদি হৃদয় সচ্ছ রাখে।

স্রষ্টা তুষ্ট ডাকে শুধু
নাহি চাহে ধন
পরিক্ষা করেন তিনি
দিয়ে চঞ্চল মন।

দুনিয়া জুড়ে দেখি বিচার
দেখি রোগ শোক
পাপের শাস্তি দিতে তিনি
দিলেন নানা দুর্ভোগ।

সকল প্রাণের একই বায়ু
সেবন করে বাঁচি
তবু নিজে সবার সেরা
বলতে বলতে নাচি।

অহংকারে পতন নিশ্চিত
সদা শুনতে হয়
মনের ভিতর নেইতো তবু
সৃষ্টিকর্তার ভয়।

কর্ম যাহা আছে আমার
সত্য ভাবে করি
তবেই আমি ধার্মিক হবো
রইবো ধর্ম ধরি।।

16 মার্চ 2020, ল্যাব এইড, ঢাকা, বাংলাদেশ।
32 · Apr 2020
আহ্বান
Samar Bhowmick Apr 2020
18 জানুয়ারী 2020; 13:45

অণু; আমি যদি কখনও
অধঃপাতিত হই
ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায়
অথবা কোন ব্যার্থতায়
যদি চলে যাই জাহাজে চড়ে
নীল সমুদ্দুরে
কিংবা কোন দ্রুতযানে
অচেনা আকাশে
তুমি আমার লিখা শব্দবর্গ পড়ো
আর দৈনতা কাটিয়ে কোন দিন
আমার শব্দবর্গ জীবন্ত করে
আকাশে ছুঁড়ে দিও
ছড়িয়ে পড়ুক
শহরের অলিতে গলিতে
পল্লী পথ প্রান্তরে
নগরে বন্দরে
আমার সাম্যতার আহ্ববান।
যদি কোনদিন মৃত নদীহয়ে প্রবাহিত হই
তোমার অন্তরে মননে
তোমার নেশাতুর ঘুমের ফাঁকে
সাদা চিন্তা চেতনায়
অথবা জৈব জাগরনে
তুমি আমার লিখা শব্দবর্গ পড়ো
আর দৈনতা কাটিয়ে কোন দিন
আমার শব্দবর্গ জীবন্ত করে
আকাশে ছুঁড়ে দিও
ছড়িয়ে পড়ুক
শহরের অলিতে গলিতে
পল্লি পথ প্রান্তরে
নগরে বন্দরে
আমার ন্যায্য সাম্য সৌহার্দের
ধর্মান্ধতামুক্ত নিষ্কলুষ
মায়া মমতা শ্রদ্ধা স্নেহ
আর প্রাচীন প্রবীণ প্রেমের আহ্ববান।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু এককীত্ব মানে জানো
একাকীত্ব মানে মা’য়ের অনুপস্থিতি
জীবনের দুর্ভেদ্য সময গুলোতে
মা’য়ের উপস্থিতি চাই
চাই মা একটু ভালোবেসে বলুক
এ তেমন কিছু নয় খোকা
এগিয়ে যা।
কখনও কখনও একান্ত দুঃখ গুলো
মায়ের বুকে মাথা রেখে বলতে ইচ্ছে করে
ইচ্ছে করে বলি
মা তুমি আমাকে আশির্বাদ করো।
কখনও কখনও মনের অজান্তেই ভাবি
বাসায় ফিরে মাকে বলবো
আজ তুমি রান্না করবে মা
কতদিন তোমার হাতের খাবার
আমার জোটেনি।
কখনও কখনও অণু
তোমার উপর অভিমান হলে
ইচ্ছে করে মা’কে বলি
যখন মনে পড়ে
আমার অভিযোগ শোনার আগেই
মা অভিমান করে চলে গেলেন
তখন ভিষণ একা লাগে অণু
ভিষণ একাকীত্ব গ্রাস করে আমায়।
কখনও কখনও সুর্য্যের আনন্দ সংবাদগুলো
মা’কে দিতে ভিষণ ইচ্ছে করে
যখন মনে পড়ে যায়
মা আমাদের সকল সংবাদ অগ্রাহ্য করেছেন
তখন বুকে ফেটে রক্ত ঝড়ে চোখে
তোমাকেও তখন টানে না অণু
এর নাম একাকীত্ব।
অণু কখনও কখনও তোমার সুস্বাদু রান্নায়
মায়ের কথা মনে পড়ে যায়
ইচ্ছে করে বলি
সেদিনের মতো মা’কে খাইয়ে দাও
মনে পড়ে তোমাদের স্নেহ শ্রদ্ধার বন্ধন
তখন আমি বড়ই অসহায় একা
বাঁচি নিঃসঙ্গ আপন একাকীত্বে।
32 · Apr 2020
নির্লজ্জ
Samar Bhowmick Apr 2020
এত নির্লজ্জ কি করে হয় ?
যখন ফাগুন আসে
রক্তাব লাল কৃষ্ণচূড়া পলাশ শিমুল
তোমার সিঁথিতে সিঁদুর কপালে লাল টিপ; আর
কোকিলের কন্ঠে তোমার স্বরলিপি
আমার অস্তির হৃদয় ভালোবাসে তোমার ভালোবাসা।

অণু এমন নির্লজ্জ কেউ হয় ?
যখন তুমি রাগে গোস্বায়, তোমার কান জ্বালাপালা
ফুসফুস হতে গরম বাতাস বহে নাসারন্ধ্রে
ক্ষিপ্ত কন্ঠস্বর দুর্দান্ত চৈত্র রক্তের স্রোতে
তখনও আমি ভালোবাসি তোমার ভালোবাসা।

এমন নির্লজ্জ আর কে হয়?
যখন তুমি অন্ধকারে মিলিয়ে যাও
কেড়ে নিয়ে আমার দৃষ্টি
নতুন আলোকিত সুর্যের অপেক্ষায়
তখনও আমি ভালোবাসি তোমার ভালোবাসা।

অণু এমন নির্লজ্জ আর কে আছে ?
যখন তুমি ঘর্মাক্ত শরীরে
নোনতা ঘ্রাণ বিলিয়ে দাও
বিষন্ন মনে তাচ্ছিল্য ছড়াও
তখনও আমি ভালোবাসি তোমার ভালোবাসা।

এর পরেও বলবে এমন নির্লজ্জ আছে ?
যখন তুমি আমার চৌদ্দ পুরুষের ঠিকানায়
অবলিলায় পৌছে দাও তোমার তেজস্বী বার্তা
যদিও জানি বাঁচার তাগিদ অহরহ
তখনও আমি ভালোবাসি তোমার ভালোবাসা।

অনু এমন নির্লজ্জ আর দেখেছো ?
আমার ব্যর্থতায় যখন মাথায় উঠে শহর
তখনও আমি ডাবের শীতল জল
তোমার ব্যার্থতা পরানে ঢালি শান্তির ছলে
আর ভালোবেসে যাই তোমার ভালোবাসা।

আমিই একমাত্র নির্লজ্জ অণু
ভালোবাসি বলেছি সেই কবে
কোন স্বার্থেই আর ফেরত নেইনি উচ্চারিত শব্দ
কোন পার্থিবতা আমাকে গ্রাস করে না
কোন পার্থিবতা গ্রাস করে না প্রেম
কেননা প্রেম নিছক সম্পর্ক নয় অণু; তাই
ভালোবেসে যাই নিরবে, আজো ভালোবাসি।
Samar Bhowmick Apr 2020
অভ্যাস আহত হলে
যদি কখনও আমাকে কাঁদতে দ্যাখো অণু
ঠিক তখনই বুঝে নিও;
তোমার সাথে আমার প্রেম হয়েছিলো।
আমাদের ভালোবাসা; প্রত্যাসিত ভবিষ্যৎ
তোমার অনুকম্পাময় আমার একান্ত হৃদয়ের
আশা গুলো ফোঁটা ফোঁটা হয়ে ঝরবে
যদিও তা হবে বিভ্রান্ত অবতরণ।
অভ্যাস আহত হলে
আমাদের ভাবনা গুলো কেমন ছিলো
তুমি ভেবে দ্যাখো অণু
আমার দুঃখিত অবয়ব
একদিন হাসিতে মরিয়া ছিলো
তোমাকে ভালোবাসা দেবে
কিন্তু অকৃতজ্ঞ সময়।
অভ্যাস আহত হলে
আমার অন্তরঙ্গ ব্যথার ঝুলিতে
মৃত ভাবনারা জেগে উঠে
তুমি এক ঝুলন্ত ছবি।
উষ্ণতাহীণ প্রবাহমান প্রাণ
আমাকে বরফে আবৃত্ত করে
আমার হৃদয়ের মধ্যে তখন
আত্মা হিমশীতল; আর
এক শীতল ভবিষ্যৎ
অথচ আমি সাতচল্লিশটি বছর
একটি বসন্তের অপেক্ষায়।
Samar Bhowmick Apr 2020
পূর্ব জনমের অজানা অভিমানে
আমাকে রেখেছো দূরে
অসীমে সরে গিয়েও তুমি
রয়েছো হৃদয় জুড়ে।

পূর্ব জনমে ভালোবাসার সাধ
মোটেও মিটেনাই মোর
তুমি শূণ্যতায় কাটেনি রজনী
হয়নি নতুন ভোর।

ভালোবাসি শুধু ভালোবাসি
জন্ম জন্মান্তরের চাওয়া
অজানা অযুহাতে কেটে গেলো বেলা
আজও হলোনা একান্তে স্নেহ পাওয়া।

অণু তুমি স্মৃতির পাতা উল্টে দেখো
জন্মান্তরের ভালোবাসময় দিন
আজো বেহিসেবী অবিকল ভালোবাসি
মিটাতে দাও ভালোবাসার ঋণ।

জন্ম জন্মান্তর ধরে অজানা অপরাধে
আজও হলো না কাছে আসা
হৃদয় পুড়েছে সভ্যতার জঞ্জালে
তবু অবিকল আছে ভালোবাসা।

সাধ্য আমার বাধ্য নহে আজি
তোমার অভিমানে
কন্টক হার মানিবো কি করে
তুমি সদা জাগ্রত প্রাণে।

ক্ষমা করো দেবী অজানা যতো ভুল
ক্ষমার হৃদয় দাও বাড়িয়ে
অতৃপ্ত মন দগ্ধ প্রাণ
স্নেহের টানে দেখো ঠায় দাঁড়িয়ে।

অবুঝের মতো অবুঝ হয়ে
কেঁদে কেঁদে কেটেছে কত রাত
পৃথিবী তোমায় দিয়েছে খুঁজে
ফিরিয়ে নিও না স্নেহময় হাত।।
32 · Apr 2020
ক্লান্তি
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু আমি আজ খুব ক্লান্ত
এক দন্ড বিশ্রাম
তোমার স্নেহময় শরীরের ঘ্রাণ
প্রশান্তির বিশ্বস্ত ঘুম
নিরবতায় তোমার নিঃশ্বাসের শব্দ; আর
জানতে চাই জীবনের পরিধি।

অণু আমি খুবই ক্লান্ত আজ
চৈত্রের কাঠফাঁটা রোদ্দুর
তোমার শান্ত শ্যামল ছায়া
তৃষ্ণার্ত ও পিপাসার্ত হৃদয়
করুনাহীণ মায়ার একফোঁটা জল
তোমার ছায়ায় জড়িয়ে চুলের ঘ্রাণ; আর
চাই গ্রীবায় অজস্র চুম্বন।

অণু আমি সত্যিই খুব ক্লান্ত আজ
বৈশাখ জৈষ্ঠ আষাঢ় পেড়িয়ে
আজ মধ্য বয়স্ক শ্রাবণ
একগুচ্ছ বৃষ্টি ভেজা কদম
অপেক্ষার সীমানায় তোমার সান্নিধ্য
দু প্রহর একান্ত সময়; আর
একমুটো শ্রাবণের বৃষ্টি চাই।
Samar Bhowmick Apr 2020
করোনার অসীম অন্ধকারে বিশ্ব
অথচ প্রাণ শিহরিত অণু’র প্রেমের নেশায়
বিরহ বেদনায় যন্ত্রনাময় কারাগারে
হৃদয়ে বরণ করা অণু’র স্নেহময় স্মৃতি
ছোয়াছে করোনার প্রবাহমান বাতাস
শূণ্য পথে প্রান্তরে যন্ত্রনার মিছিল
আদৌও আলো পৌছাবে কি না
অজানা ভবিষ্যতের অজানা সময়
তবু আমি হারিয়ে যাই অণুর গভীরে।

ঘুম থেকে জেগে যখন উন্মোচিত হয়
আরো একটি নতুন ভোর; আনন্দিত হই
কিন্তু প্রভাতী সূর্য্য’কে প্রণাম জানাতে জানাতেই
মৃত্যু আশংকার ভিড়ে ঘুরপাক খাই
যে দিকে তাকাই অন্ধকার আর ঘোর অন্ধকার
সুর্য্যের আলো যেন প্রতারক বিশ্বাস ঘাতক
অথবা নিতান্তই অসহায়
করোনার বিষাক্ত ছোবলের কাছে
তবু নতুন করে শিরোনামহীন পথে
ছুটে চলি অণু-তৃষ্ণায় অনন্ত প্রহর।

যদিও অণু এখন আর অষ্টাদশী নয়
তবু ইচ্ছে করে অণুর প্রাণ তরঙ্গে সাজিয়ে দিই
অসমতল জীবনের সকল সপ্নময় ছন্দ; আর
পাঁজরের ভাঁজে ভাঁজে রেখে দেওয়া সুখে
পাখির পালকের মতো কোমল স্নেহ গুলো
আজ বিভীষিকাময় করোনার তিক্ত অভিজ্ঞতা
অচল নিরুপায় শহরে স্বেচ্চা গৃহবন্দি আমি
দরজার বাহিরে ভয়ঙ্কর মৃত্যু অপেক্ষমান
অথচ মৃত্যু ভাবনা নেই; প্রাণের পুরোটা জুড়েই
অণুর চেতনা তাঁর মানবতার শুদ্ধি অভিজ্ঞান।

অনুশোচনা নেই আমার;
পাহাড়ের মতো জমে থাকা অতীতে
কেননা মন পাড়ায় কোন হিংস্রতা বদান্যতা ছিলোনা
আমার এলোমেলো ইচ্ছো গুলো এই দুর্দিনেও
নতুন সুর তোলে নতুন ভাবে ভাবায়
যদি করুণা হয় করোনা’র
আমি মুছে দিবো সময়ের সকল বর্বরতা
অণু’র স্নেহময় হৃদয়ে গুজেদিবো পুরাতন বিশ্বাসে
নতুন নিঃশ্বাসের বীজ
যেখানে আমাদের অবিনশ্বর প্রেম
প্রকৃত স্বচ্ছ শ্রদ্ধাশীল ভালোবাসা
আর আমাদের পূর্ব জনমের ইতিকথা।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; ইচ্ছে করে ফাগুনে হারিয়ে যাই
তোমার স্নেহের তরল আগুনে
ফাগুনের উতলা হাওয়ায়
বিলিকেটে উড়াই তোমার এলোচুল
কর্ণকুহরে গোপনে বলি ভালোবাসি।

ইচ্ছে করে দীর্ঘশ্বাসে ডালিতে জ্বালাই
ফাগুনের বর্ণিল আগুন
অবিরাম নেচে যাওয়া অলিন্দে
প্রাণের প্রবীণ প্রেমের গহিনে।

ইচ্ছে করে তোমার কন্ঠে কোকিল সুর
ঝঙ্কার তুলুক আত্মার পরতে পরতে
তোমার রস-রঙ্গচ্ছটায় রাঙ্গিয়ে
বসন্তের বর্ণিল বর্ণে হারাই অবুঝ মন।

ইচ্ছে করে তোমার ছোঁয়ায়
দুর্দান্ত ঝড় আসুক অন্তরাত্মায়
প্লাবন আসুক মহাসিন্ধুর সরল জলে
বান আসুক প্রানের সবুজ প্রান্তরে।

ইচ্ছে করে শিমুল পলাশের শাখায়
রক্তিম লালের সুসুভিত ঘ্রাণে
অনুভবের সর্বনাশ ডাকি
তোমার ছোয়ায় উন্মত্ত ফাগুনে।
31 · Apr 2020
আগষ্ট
Samar Bhowmick Apr 2020
আগষ্ট এলেই আমার কবিতাগুলো বিবর্ণ হয়
বকুলের মতো ঝড়ে পড়ে ছন্দ গুলো
ঝুরঝুর করে ঝড়ে যায় ছন্দের শব্দগুলো
অণুকেও আর অণু বলে ডাকতে ইচ্ছে করে না
ছেঁড়াখোঁড়া হৃদয়ে জানালাদিয়ে স্রোতের মতো বেড়হয় দীর্ঘস্বাস
আদ্যন্ত হাহাকারে ভরে উঠে মন।

আগষ্ট এলেই আমার কবিতাগুলো বিবর্ণ হয়
বুকের ভিতরে চিনচিনে ব্যাথা নিয়ে
বারবার হেঁটে যাই বত্রিশ নম্বর
দেখি পিতার রক্তাক্ত স্মৃতি
রাসেলের বাচাঁর করুণ আর্তনাদ
চোখের সামনেই চুষে খায় আবাল বাতাস।

আগষ্ট এলেই আমার কবিতাগুলো বিবর্ণ হয়
বর্ষার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন জনতার হৃদয়
ভুতুরে শ্মশান
পিতাহীন ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল।
আগষ্ট এলেই আমার স্বাধীণ রক্তাক্ত পতাকা কাঁদে
অশ্রুতে দ্রব হয় বাংলাদেশ।
31 · Apr 2020
শিশু
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু আমার ভালোবাসার প্রতিনিধিত্ব করো
খুলে রেখেছি অন্তরাত্মার দ্বার
যদিও ভালোবাসা আত্মার পক্ষে সবসময় নয়
কোথা থেকে এসেছো কেউ কখনও জানবে না
আমি জানি মানুষ চক্রান্তে লুকিয়ে থাকে
সম্মূখে কেবল ধন্যবাদে হাসি ঠাট্টা
কারণ সবাই জানেনা কিভাবে ভালোবাসতে হয়
কিভাবে হৃদয়ের আলো খুঁজতে হয়
জানে শুধু ভালোবাসার নিখুঁত অভিনয়
যেন নিজের ব্যাগ থেকে টেনে বেরকরা তৈজস
অণু তপ্ত রোদে গাছের নীচে যে ছায়া
তা কখনও পুরনো হয় না
তোমার জন্য যে ভালোবাসা এনেছি
অবিকল গাছের ছায়ার মতো
বিনষ্ট মৃত দেহের অবিনশ্বর আত্মার মতো
হৃদয় শক্ত করে বুঝে নিও
বয়সের পরিধি নগন্য হলে বিশ্বাস দৃঢ় নয়
বয়স চাকরের মতো হৃদয়কে সমৃদ্ধ করে
আর হৃদয় সংশোধন করে আত্মা প্রাণ অন্তর
তুমি জীবনের ভালো জ্ঞাণী বন্ধু
প্রায় কিংবদন্তির মতো মনে হয়
তুমি আত্মা প্রাণ এবং হৃদয়ের আবরণ
ভালোবাসা শেখা জগৎ দেখা চশমার নতুন কাঁচ
তোমার আবেগময় স্নেহ গুলোর কাছে আমি
পঁচিশ ডিসেম্বর পবিত্র রাতে
অবাক দৃষ্টিতে সান্তাক্লজ দেখা শিশু।
Samar Bhowmick Apr 2020
প্রতিদিন মনের ভিতর
অজস্রবার গড়াগড়ি খাও
আসো যাও
আমার ভালোবাসা
অথচ অণু;
ভালোবাসার সমস্ত কারণ সত্বেও
কখনই এক হতে পারি না
আমাদের দৃষ্টির মেলায়
নন্দিত নন্দন মুহুর্ত গুলো
ভাগ্যে অতি সামান্যই
অনায়াসে হাসতে
ইচ্ছের অর্ধেকও পারিনি
তুমি অনেক দুরে থেকেও
আত্মার একমাত্র বন্ধু
জনমের প্রেম।

26 এপ্রিল 2020;23:32
31 · Apr 2020
শিকার
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; তুমি আমার জীবন ফিরিয়ে দিয়েছো
ভালোবাসার স্নেহময় স্পর্শে
যদিও সমাপ্তি চেয়েছিলাম জীবনের
কিন্তু তোমার দুঃখিত মুখ
অজানাভাবে আমার পরিবর্তন এনেদিলো
তোমার মায়াময় উষ্ণ স্পর্শ
জ্বলন্ত রোদের মতো
আমাকে দেখালো পরিস্কার আকাশ
উপরে, আরো উপরে তাকিয়ে দেখি
তোমার এলো চুল
সামান্য বাতাসের গোলমালে তরঙ্গে
কথা বলে প্রানের
অথচ সামান্য অতীতেই আমি
কঙ্করের গুঞ্জনে ম্রিয়মান ছিলাম
সমুদ্রের মতো তোমার বিশালতায়
আমার প্রশংসা রইলো ; অণু
আমি চারদিকে তাকাই; দেখি বর্তমান
সহস্র বছরের নিদ্রা ভেঙ্গে জেগে উঠেছি
তোমার যাদু দ্বারা
মধুর স্বাদের সঙ্গে
তোমার মিষ্টি কথায়
কানে পাঠানো একান্ত ফিসফিস শব্দে
দ্যাখো অশ্রুও শুকিয়ে যায়
তোমার কোমলতার যত্নময় চাহনিতে
নিজেকে আর একা ভাবছি না
অন্তরে নিজেকে পিষে; প্রেম
বেছে নিয়েছে শিকার।
31 · Apr 2020
অবহেলা
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু’র সামান্য অবহেলা
জীবান্তক কষ্ট দেয় আমায়
বিরহ জাগে প্রাণে
যেন আমি অন্ধকার গ্রহে
অথবা হঠাৎ
কেউ নিভিয়ে দিলো তাবৎ দুনিয়া
মহাকাশের কৃষ্ণ গহ্বর গ্রাস করলো
আমার স্বপ্নময় পৃথিবী; আর
অন্তিম যাত্রার মতো আমি নিঃস্ব একা
পথ হারা বেদুঈনের মতো
ঠিকানা বিহীন হাঁটছি আর হাঁটছি
পথের বাঁকে বাঁকে; অনন্তপথ
অণু’র সামান্য অবহেলায়
শিমুল তুলোর মতো উড়ে
দুঃখের তপ্ত দীর্ঘশ্বাস
ফুলের বাগান গুলো
ভূতুরে চিতা
জ্বলে অদৃশ্য আগুন অগ্নিগর্ভা হৃদয়ে
চোখের কার্নিশ বেয়ে নোনা লাভার স্রোত
ভাসিয়ে নেয় মায়াময় সবুজ;
কুয়াশার গাঢ় আস্তরণে ঢাকে
আমাদের বর্নিল বসন্ত গুলো
অণু’র সামান্য অবহেলায়
দীর্ঘশ্বাসের পাখায় করে
ঈশ্বরের কাছে ছুটে যায় হৃদয়
অবুঝ শিশুর মতো হাজারো প্রশ্ন
প্রশ্ন গুলো আমাকে নিয়ে যায়
ভুলে যাওয়া সময়
আর নির্বাচিত ত্রুটির বাগানে
ঈশ্বর মনে করিযে দেয়
অভিযোগ ভালোবাসা নয়
অভিযোগে ভালোবাসা নেই
দোষ নির্বাচনে ভালোবাসা থাকেনা
জ্ঞান ফিরে অভিযোগের সৎকারে
তোমার কাছে ফিরি নির্দ্বিধায়
ভালোবাসি অণু তোমায় ভালোবাসি
তবু তোমার সামান্য অবহেলা
আমাকে তাড়িত করে নষ্টের বাগানে।
30 · Apr 2020
শূণ্য
Samar Bhowmick Apr 2020
সবই দিলে শূণ্য করে
পূর্ণ কি আর হই
ঋণী আমি; ব্যাধিগ্রস্ত
বিকারগ্রস্ত নই ?

দিতে চেয়ে নিয়ে নিলাম
পূর্ণতা দূর আশা
কাড়াকাড়ি কেড়ে নিয়ে
কেড়েছি হতাশা।

ভালোবাসায় লোভ এসে
করেছিলো বশ
স্বার্থ জলে সাঁতার কেটে
স্বপনের ধস।

বুঝবো বলে বুঝিনি কিছুই
হৃদয়ের চাষ
সবই নিলাম শূণ্য করে
নিলাম সর্বনাশ।

নেওয়ার সাধ ব্যাধি তুল্য
দেওয়ার সাধ মুক্তি
বুঝেছি আজ অস্ত বেলায়
হারিয়ে সকল যুক্তি।

পাওয়া মানেই লাভ নয়
দানেই পরম সুখ
মোহের ঘোরে কাটলো বেলা
অর্জিত অসুখ।

সবই দিলে শূণ্য করে
কৃপণতা হীন
ঋনের ভারে নু্হ্য আজি
বিকারগ্রস্ত; দ্বীন।

স্বর্গ সুখের স্পর্শে থেকে
করেছি কত ভুল
ডগায় যেন ঢেলেছি জল
কেটে দিয়ে মূল।

শান্তির আশায় ভ্রান্ত পথে
করেছি দিন গত
প্রাপ্য তুমি মিটাতে দিও
ঋণ করেছি যতো।

অণু অণূ ভালোবাসায় প্রাণ
হৃদয় ভরে আজ
প্রাপ্য তোময় মিটিয়ে দিতে
নাহি কোন লাজ।

ক্ষমা করো যদি পারো
নিজ গুণে তুমি
দিতে চাহি অন্তর মম
তব পদ চুমি।

সাথে থেকে সাথী হয়ে
করো আমায় ধন্য
বুঝেছি আজ বন্য আমি
শূণ্য মহাশূণ্য।।
Samar Bhowmick Jul 2020
সমর ভৌমিক
11 জুলাই 2020; 02:46

তোমাকে ভালোবাসি অণু
হৃদয় শিক্ষা দিয়েছে অনুমতি ছাড়াই,
অসীম কল্পনায় ভঙ্গুর আকৃতি-
আত্মার পাশে স্বপনের চাবি।

সময়ে হতে পারে সবকিছু পরিমাপ
অদৃশ্য বাস্তবতা বা সামান্য কারণ,
তবু স্বপনে তোমার সাথে দেখা করেছি,
কারণ প্রাণটা সেখানেই ছিলো।

ফিরে যেতে চেয়েছিলাম ছেলেবেলায়,
ততক্ষণে জীবন জাহাজ প্রেম সমুদ্রে ধ্বংস হয়ে গেছে-
অতীত অতীত বলে আটকে ছিলাম আমি,
সাদা পোষাকে একটি গোলাপের জন্য।

বদলে গিয়েছে আমার সকল ঋতু
এবং কেবল বসন্তের অপেক্ষায়-
চাঁদ হয়ে রাত ভোরে এনে দিবে,
স্যুটকেস ভর্তি বিষাক্ত চুম্বন।

জানি, কোন স্মৃতি ব্যর্থতার নয়-
আমার বসবাস নতুন স্মৃতির খোঁজে,
এবং অণুময় মহাসাগর অতিক্রম করা-
নিশ্চই বাকী রয়েছে শুরুর জন্য জীবন।

আমার কিছু নেই,
এবং সব আছে-
যদি সাথে তোমার মায়া,
সবুজ পত্র-পল্লবে বৃষ্টির নাচ।

ভালোবাসার সময় কতটা আছে জানা নেই-
হতে পারে তাড়াতাড়ি চলে যাচ্ছি সর্বদার বিরুদ্ধে,
আমাদের ছাড়া নেই সভ্যতার সংখ্যা,
সংখ্যা থাকতে থাকতেই প্রেম।

প্রতি রাতে কল্পনায় মুখোমুখি হই
শীত শীত ভাবে উষ্ণ নিঃশ্বাস প্রতিরোধের,
এবং আমাকে অন্ধকারে নিয়ে যায়-
একটি চুক্তির শপথ হোক।

চাই, এক আকাশের জন্য এক সাথে আঁকি
অজানা আয়ুর রেখা-
যদি শ্বাস নিতে ভুলে যাই কখনও,
জানবো তুমি সন্দেহ মুছে দিবে জগতের।

ওইদিন থেকে সভ্যতা ভয় পাবে
সুর্যাস্তের অপেক্ষা নয় আর-
কবির কলমে লিখবে আনন্দ,
সুতরাং জেনে যাবে প্রেম সর্বশেষ।
30 · Apr 2020
খাঁটি
Samar Bhowmick Apr 2020
তির্য্যলতা তোমরা মন দিয়ে শোন
হৃদয়ে স্বাধীণ স্বপ্ন বুনো
যতই জলভূমি হোক চারিধার
পৃথিবীতে বহু প্রাণী আছে
যাদের জীবনে প্রথম সাতাঁর
সত্য পথে জীবনের ভয় নেই
ইচ্ছাকে দৃঢ় রাখো; রাখো অবিচল
মন রাখো সত্যের পথে সদা নির্মল
আধাঁর বাধাঁর পথ পেরুতে হবে
পিছনে ফেলে সভ্যতার জঞ্জাল যতো
কাঁচা সমতল উঁচু নিচু ফেলে যেতে হবে বহুদুর
পৃথিবী সাজাতেই হবে মায়ের মমতার মতো
নিশ্চিত করো নারীর স্বাধীণতা আর সমঅধিকার
মানবতায় গড়ো সমাজ সকল সৃষ্টি বাচাঁবার
আমার দেখানো পথে হেঁটো ছোট বড় একসাথে
সমঅধিকার খুঁজে নিও মায়ের মমতাতে
ধর্ম রেখো লুকিয়ে বুকে পাঁজরের ভিতর
যেন জানতে না পায় নিজেই নিজের গতর
সস্তা দর্শনে করো না ধর্মকে মুল্যহীণ
ধর্মকে গায়ে মাখে মুর্খ অন্তঃসারহীন দ্বীন
প্রশ্ন করার ক্ষমতা দিও যার মন যতো চায়
বাক স্বাধীণতায় বিশ্বাস রেখো অপরাধ নিও না গায়
মনকে রুদ্ধ করো না, রুদ্ধ করো না চিন্তার পথ
ভিন্ন মায়ের ভিন্ন সন্তান হতেই পারে ভিন্ন মত
মতের অমিলে যুদ্ধ করোনা নিজেকে করোনা ক্ষিপ্ত
জ্ঞানের মেলায় নিজেকে মিলিয়ে আত্মা করো তৃপ্ত
আমাদের যুক্তিতে ঈশ্বর নহেন তাঁর নিয়মিত কর্মে
শাস্তি যেন না পায় সে যার বিতর্ক ধর্মে
তোমার বিশ্বাস রেখো ঈশ্বর পারেন সদা সকল কর্ম
তিনিই পারেন শাস্তি দিতে যিনি বিতর্কিত করে ধর্ম
গুরু জনে শ্রদ্ধা রেখো ঈশ্বর জ্ঞান করে
ছোট সখায় ভালোবাসা দিও উদার মন ভরে
সকল জীবে প্রেম রেখো আর গাছপালা মাটি
প্রেম সত্য মানবতায় তোমাদের জীবন করো খাঁটি।।
Samar Bhowmick Apr 2020
অর্ন্তদৃষ্টিতে তোমাকে দেখি
তোমার জন্য কবিতাও লিখি অণু
যখন তোমার কন্ঠস্বর ভেসে আসে; কানে
তুমিও আসো; প্রাণে
আদর ছোঁয়া হৃদয়ের চোখ
ভালোবাসার জন্য পাগল হয়
খুঁটে খুঁটে ছুঁতে চায় ফুসকুড়ি তিল
হাতের আঙ্গুল শরীরের খুঁটিনাটি
আর লক্ষী পায়ে; ঠোঁট
হৃদয়ের আঙ্গিনায় আহ্লাদ; হঠাৎ
জড়ো করে সর্বনাশ; চুম্বনের স্তুপ
হাসিমুখ হারিয়ে যায় সুখের গভীরে
ঠোঁটের আলপনায়; আচমকা
চোখ খোলতেই দেখি
গরমিলে এলোমেলো সব
তুমি নেই
পাশে নেই;
কিচ্ছু নেই।
অবুঝের মতো চোখ; বন্ধ করতেই
তুমি; তোমার হাত
আমাকে ছুঁতে চায়; ছুঁ’য়
আমি হাত ধরে হাঁটি
শূণ্য আকাশ
তুমি আর আমি
জনশূণ্য প্রান্থর
মনের সুখে পাশে থাকা
বেলা অবেলায়; একান্ত আপন
তোমার শরীরের ঘ্রাণ
চতুর্দিকের জঞ্জাল হট্টগোল ছাড়িয়ে
আমাকে নিয়ে যায স্বপ্নের দেশে
খোঁপায় গুজে গোলাপ বাগান
হাতের মুঠোয় গন্ধ বকুল
তোমার কাঁধে হাত রেখে
জীবনের সিঁড়িপথ
সফল প্রেমিক;
অখচ চোখ খুলতেই
পিষে খায় যন্ত্রনার যাতাকল
আমার রাতদিন
তুমি নেই
পাশে নেই;
কিচ্ছু নেই।।
30 · Apr 2020
আনন্দ
Samar Bhowmick Apr 2020
বড় আনন্দ লাগে
যখন ইচ্ছেরা মিশে যায় অণুর আকাশে
নিঃশ্বাসের শব্দগুলো যখন আমায় ভালোবাসে।

বড় আনন্দ লাগে
অণুর হাসিতে যখন ভেসে আসে সুখ
মৃত্যু যন্ত্রনাও তখন আমার সামান্য অসুখ।

বড় আনন্দ লাগে
অণুর কাঁধে হাত রেখে যখন দাড়িযে থাকি
পৃথিবীর সব মূল্যহীন তখন সকলি যেন ফাঁকি।

বড় আনন্দ লাগে
যখন চোখে ভাসে অণু’র ছবি ছায়া
বিগলিত হৃদয়ে দেখি প্রেম মানেই মায়া।

বড় আনন্দ লাগে
হৃদয়ে যখন আনমনে অণুকেই ঘাটি
অণুই যেন পুষ্প পল্লব অণুই ক্ষমাশীল মাটি।

বড় আনন্দ লাগে
ধরা’য় যখন ঘুরে বেড়াই একা
সভ্যতার ভালোবাসায় যেন অণু’র পাই দেখা।

বড় আনন্দ লাগে
যখন অতীত গুলো ভেসে আসে বর্তমানের চোখে
খামচে ধরে প্রিয় স্মৃতি জড়িয়ে রাখে অণু সম সুখে।
30 · Apr 2020
আগুন
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; হৃদয় পোড়ায়
যে অনুভুতি
সেটা নিশ্চই প্রেম; বা আগুন
তুমি উত্তরটি এড়িয়ে বললে
রহস্যজনক প্রশ্ন
আমাদের ভালোবাসা দ্যাখো
জ্বলন্ত ভাট্টির উপর
মিশ্রিত দু’টি দেহ; অনন্ত স্বাদ
এবং আদ্যন্ত সুগন্ধি
অসহ্য উত্তাপে
আত্মার কানায় কানায়
যদিও সত্য
আমাদের লোভী দু’টি মন
আলাদা পৃথিবীর
একত্রিত করেছি; আমার
তোমার অর্ধ আকাশ
পূর্ণ বিবেক
শ্রদ্ধা-স্নেহ-বিশ্বাস; আর
কালের গহ্ববরে লুকানো
অজানা আলো অন্ধকার।।
Samar Bhowmick Apr 2020
পৃথিবীতে ছড়াই দৃষ্টি হোক রোদ বৃষ্টি তুমি নেই
আনন্দ আয়োজন বিরহ কষ্টে আছো তুমি সেই
অদেখা অণুভব অন্তরে দখল করেছো সব
কাজ কর্ম সেবা ধর্ম কিংবা বাকিসব
অণু সে-ই কি তুমি
বলি অন্তর্যামী?

আনমনে হাত বাড়ায় ছোঁয়া তাড়া’য় তুমি নেই
ঘুমুতে চাই বিছানায় যাই চোখ বুজলেই সেই
ভাবি আনমনে দখল কেমনে করেছো সব
ভাবনা নিদ্রা কিংবা সকল কলবর
অণু সে-ই কি তুমি
সয়ং অন্তর্যামী?

অবনতশিরে প্রার্থনায় যাই ঈশ্বর ভাবনা চাই ঈশ্বরে চোখ বুজি
ঈশ্বরে ডাকি যেন বিশাল ফাঁকি আনমনে তোমাকে খুঁজি
মনে মনে ভাবি কখন কেমনে দখল করেছো সব
ঈশ্বর প্রার্থনা কিংবা প্রার্থনার স্তব
অণু সে-ই কি তুমি
যিনি অন্তর্যামী?

ফাগুনের ফুলে উঠছে দোলে সকল নবীণ প্রবীণ শাখা
বসন্ত সুখে বিরহ দুঃখে তোমার ছবিই আাঁকা
কষ্ট সুখে প্রার্থনা প্রেম সব তোমাতে বন্দি
তুমিও ঈশ্বরে করেছো ভীষণ ফন্দি
অণু সে-ই কি তুমি
অন্তর্যামী?
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; পঞ্চ ইন্দ্রিয় পঞ্চ মন এক আত্মায়
অত্যন্ত জটিল বিভেদপূর্ণ শরীর আমার
তাঁর মধ্যে আমার আমি কে?
নিজেকে চিনতে পারিনি আজও
অথচ স্নেহ শ্রদ্ধাময় আবেগপূ্র্ণ মন
বিকশিত করতে পারিনি মানবতায়
নিথর আমিকে কতবার স্পর্শ করেছি
দেখিনি আত্মার গভীরে আনন্দের ধ্বনি
আমার আমিকে খুঁজতে গিয়ে;
নিজেই ব্যাধিগ্রস্ত অসহায় আজ
যেন শরীটাকে বহন করে চলেছি মাত্র
অধিকারের কোন লেশ নেই
আত্মার রহস্যময় শব্দ তরঙ্গ গুলো
বারবার স্তব্ধ করে আমায়
আমি বাকরুদ্ধ হই
জন্মের অজস্র প্রতিশ্রুতি ছিলো আমার
শ্রুতি মধুর অহংকারের কাছে বিলুপ্ত প্রায়
ইচ্ছা কথা প্রতিশ্রুতি কিছুই রাখতে পারিনি
লজ্জার আবরনে ঢেকেছি অবয়ব
তাহলে কি জন্ম হয়েছিলো অক্ষম সময়ে
মানবতার স্বর্ণালী রেখা টানার আগেই
কালবৈশাখি ঝড়ে আগাম বর্ষার ঘোলাজল
অস্পষ্ট করে দিলো বর্ণিল প্রাণ?
কতবার চেষ্টা করেছি নিজেকে চেনার
কত যুক্তি উপ-যুক্তি ঘেটে ঘেটে
কেটেছে সময়ের শাখা প্রশাখা
কিন্তু আমার আমি কে?
খুঁজে পেলাম না স্বার্থগত বৈরনিগ্রহ মনে
বারবার মনের গভীরে গিয়ে দেখলাম
সেখানে কোন আলোক বর্ণ নেই
আমি দিপ্তিহীন প্রভাশূণ্য এক প্রেতাত্মা।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; আমি না হয় আর কাঁদবো না
না হয় নিজেকে ভিজাবো না শ্রাবণের জলে
সারাটা জীবন না হয় এভাবেই কাটাবো সৌর অনলে
তাহলে কি থেমে যাবে বৃষ্টি ?

বরং তুই নিশ্চুপে এসে শ্রাবণের কবিতা শোণ
শোণ বিদগ্ধ আত্মার করুণ সুর
কতটুকু সয়ে কতটুকু জ্যান্ত আমি
পারিসতো ছুঁয়ে দিস আমায় শান্তির বারতায়।

অণু; তোর ছোঁয়ায় মেঘেরা ভেসে যাবে
আলোতে মিশে যাবে শতত আধাঁর
আষাঢ়ের মেঘে ঢাকা জন্মান্ধ চোথে
রোদ্দর নেমে এসে হেসে হেসে দিয়ে যাবে
চুম্বনের মালা; শাশ্বত প্রেম।

আয়; আমি না হয় একটানা বলে যাবো শ্রাবণের কবিতা
যদি পারিস জাগিয়ে দিস; এই নিষ্প্রাণ প্রাণ
ফুলের সুবাস নিশ্চই তুইও ভালোবাসিস
প্রজাপতির মতো; অবিরাম।

অণু; তুই এলেই কলুষমুক্ত প্রাণ
তোর সান্নিধ্যেই কবিতার বিজয়
তোর স্পর্শেই জাগ্রত ধরণী
জাগ্রত হৃদয় আত্মা ও প্রেম
তোর স্পর্শেই শান্ত হোক অন্তর্বৃষ্টির মাঠ।
29 · Apr 2020
জীবন
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; হতাশার কিছু নেই
আমি অগ্রাহ্য করি না কিছুই
মাটিকে অবাক দৃষ্টিতে দেখি
অবিকল আমার মতোই
ব্যথায় প্রসারিত জীবন।

অণু; জীবন অবিকল মিশ্রণ
এখানে আক্রমন আছে
ঘৃণা এবং ক্ষোভ আছে
সন্দেহ প্রেম আছে
স্নেহ ভালোবাসা আছে
যদি তুমি পরিবর্তন চাও
জীবন থেকে বেছে নাও।

অণু; যদি চাও ফূল ফুটোক
যদি চাও সুবাস আসুক
যদি চাও আঁধার পদতলে;
দ্রুত খুঁজে নাও আশা
হৃদয়ের গভীরে বুনো
জীবন; ভালোবাসা।
28 · Apr 2020
সমাধি
Samar Bhowmick Apr 2020
বিশ্বাস ছাড়া পুরোটাই জীবনের দৌড়
শুধু নতুন নতুন পথের শুরু
বিশ্বাসহীণ জীবনে ভালোবাসা খুঁজতে
যে হাতটিই আমরা ধরি অণু
সে হাতটিই হাসি থেকে বেড়িয়ে যায়
আর জীবন পায় অশ্রুপূর্ণ গর্ত
সরে যায় জীবন
অবিশ্বাসে উপায় নিরুপায় হলে
ব্যর্থতায় পারস্পারিক সহায়তা
আর ভালোবাসি শব্দটা
শোকে শোকের শব্দ
ব্যস্ত পদক্ষেপে হৃদয়
সাইরেন বাজায়
পর্দার রঙ ফাগুনে সাদাকালো হলে
সুর্যের আলোও অন্ধকারে হারায়
অবিশ্বাসী মেঘের আড়ালে
চিন্তা চেতনা ঘোর অন্ধকারে ঠাঁই নেয়
নিশ্চিত ভাবনাগুলো ধাক্কা দেয় আধাঁরে
ছিঁড়ে ফেলে হৃদয়ের মাথা
মস্তকহীন হৃদয় বিশৃঙ্খলা গিলে খায়
জীবনের সমাধী রচনায় ।।
28 · Apr 2020
নমস্কার
Samar Bhowmick Apr 2020
নমস্কার; নমস্কার দিয়ে শুরু
কেমন আছেন শব্দে প্রথম শুভেচ্ছা বিনিময়
এর পর থেকে বয়ে চলা সময়; এখন পর্য্যন্ত
এভাবেই একাকার মিলে মিশে আছে
জীবনের আনন্দ বঞ্চনার খবরাখবর
হতে পারে এটাই প্রেম; ভালোবাসাবাসি
জানে শুধু অণু।

অবিরাম বয়ে চলা জীবনের স্রোত
আমরা পাশে আছি পাশাপাশি
পাশে থাকি যন্ত্রনার নদীতে ঝাঁপদেয়া সময়
অথবা আনন্দের তীব্র যন্ত্রনায়
সাধারণ হাসি ঠাট্টায়
কষ্টের কোলাহলে একমুটো আনন্দ বার্তায়
হাসি একসাথে ভালোবাসি একসাথে
সময়ের বংশ পরমপরায়।

সেই নমস্কার; আজো শুরুতেই থাকে
শুরুতেই থাকে অণু’র স্নেহ; আমার ভালোবাসা
যদি কখনও স্রোতের তীব্রতায় অকস্মাৎ ঢল
আমাদের চোখের টলমলে জলে
হাতে হাত রাখি
নির্দ্বিধায় বুকে বুক রেখে বলি
ভালোবাসি; সূর্য্যের তীব্র দহণে
আমরা শীতল জল; শীতল প্রান
আলিঙ্গণ করি জীবনের স্রোত।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু তোমাকে ছাড়া
আমার উচ্চারিত শব্দ নেই
তুমি ছাড়া সভ্যতা বাঁচে
ভাবিনি কখনও কিছুতেই ।

তোমার ভালোবাসায় বাঁচি
তোমার ভালোবাসায় নাচি গাই
তোমার স্নেহের সুরে হৃদয় জুড়ে
স্বর্গের সুখ পাই ।

যত ভালোবাসাবাসি যত অট্টহাসি
তোমার কাছেই শেখা
তোমার আদুরে অনুকম্পায়
আমার সকল কবিতা লেখা ।

যতো সবুজ দেখি কবিদের যতো লেখালেখি
সবখানেই তুমি
তোমার স্নেহে ভর করেই
জীবনকে ভালোবেসে চুমি ।

অণু তোমার মানবতা মানবিকতা
সবই আ্মার প্রিয়
তোমার চঞ্চলতা সরলতা
এমনকি তোমার ব্যর্থতাটিও ।

তোমার কাছে ধারকরা শব্দেই
ভালোবাসি তোমাকে
তোমাকেই স্বপ্নে রাখি তোমারই স্নেহ মাখি
থাকি অনন্ত সুখে ।

তোমার কাছেই মায়ের স্নেহ
ভাইয়ের আদর বোনের ভালোবাসা
তোমার সাথেই আমৃত্যু প্রেম ঝগড়া বিবাদ
তোমার সাথেই সকল সুখের আশা।

তুমিই আমার শরৎ হেমন্ত
তুমিই আমার ফাগুন
তুমিই আমার আষাঢ়ের মেঘ শ্রাবনের বৃষ্টি
তুমিই বসন্তের আগুন ।

তুমিই আমার আরাধ্য দেবী
তুমিই আমার নিয়তি
তুমিই স্নেহধাত্রী প্রেম প্রণয়ী
তুমিই শ্রেষ্ঠ অতিথি ।।
28 · Apr 2020
মৃত্যু
Samar Bhowmick Apr 2020
একটি মৃত্যুও
আমাকে দূরত্ব শেখায় না
বরং আপন সত্বাকে জাগিয়ে তুলে
কিন্তু ব্যতিক্রম বেঁচে থাকা।

আমরাও একদিন পতিত হবো
অবধারীত মৃত্যুর ঠিকানায়
মৃত্যু যেন শোক না হয় অণু
শোক; ভালোবাসাহীন নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা।

শোক নয় শূণ্যতা নয়; নয় অসুখ
মৃত্যু; আমাদের ছড়ানো ভালোবাসা গুলো
জিইয়ে রাখে ভিন্ন ভিন্ন অস্তিত্বে
এক অভিন্ন প্রেম।

অণু আমরা শূণ্য হই আমরা দরিদ্র হই
বেঁচে থাকা অবিশ্বাস আর হিংস্রতায়
তুমি বরং আমার মৃত্যুতে আনন্দিত হইও
বেঁচে থাকুক কীর্তি ও প্রেম।
28 · Apr 2020
প্রথম
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; আমার মনস্তাত্বিক কাঠামো অস্তিত্ব
তোমার আপন স্নেহে নিমজ্জিত
আমার স্পষ্ট নষ্ট অস্পষ্ট মত
তোমাতেই ভাসমান
তুমিই আমার আত্মা ভেদ করা
নিখুঁত লেজার রশ্মির বজ্র ঝড়
তুমিই বানিয়েছো প্রেমিক
যদিও তুমি ছুঁয়ে দ্যাখোনি
পরমাত্মায় তোমার বজ্রধ্বনি
এবং বাজ
তোমার স্নেহের দমকা ঝাপটা
এবং যত্মশীল চুম্বনের স্বাদ
আমার শ্রেষ্ঠ আনন্দ উপভোগে
আবেগের আর্তনাদ করে
বদলাতে চায় আমার দেহ পৃথিবী
চায় জন্মান্তরে সংস্কার হোক
আমাদের প্রত্যাশিত আনন্দলোক;
কেননা; তুমিই
সেচ্ছাচারীতা পরিস্কার করা
পরাক্রমশালী এক মহৎ মানবী
তুমিই আমার একাকীত্বে
দৃষ্টিসমুদ্রে ঝড়ো বৃষ্টির জলে
অন্তরের অতলে
ডুবে থাকা একটি নাম
তুমিই বৈশাখের প্রথম ঝড়
শরতের প্রথম শিশির
ফাগুনের প্রথম ফুল
প্রভাতের নতুন আলো
আর জন্ম জন্মান্তরে
আমার প্রথম অণু।।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু নিরবতার চেয়ে ভয়ঙ্কর কিছু নেই
নরক যন্ত্রনায় থাকলেও তোমাতেই সুখ স্বর্গ
বিদায় বেলায় তোমাকে সম্ভোধন করতে
হাত ছুঁয়ে তোমাকে অস্পষ্ট স্বরে ডাকতে চাই
জানিয়ে যেতে চাই তোমার মানবতাময় হৃদয়ের
প্রেমময় চিন্তা এখনও আমাকে জাগ্রত রেখেছে
স্নেহের প্রয়োজনে আজো অপেক্ষায় রেখেছে
মূল্যবান ভালোবাসার গণনাহীন অপেক্ষা
সমস্ত কিছু থেকে বিদায় নেওয়ার আগে
আবারও ক্ষীণকন্ঠে বলতে চাই ভালোবাসি।

চাই মৃত্যু বিশেষ দিন হয়ে আসুক
মনে রেখো চুড়ান্ত বিদায় পর্যন্ত
মুক্ত হবেই ধর্মান্ধ স্বার্থান্ধ পৃথিবী
আজ অবাস্তব ভাবনা বলে মনে হলেও
অহিংস প্রেম একদিন যুদ্ধে জিতবে
বিশেষ গৌরব দিবে সভ্যতা
যদিও খুব দ্রুত আশা করিনি।

শুধু পূর্ববস্থায় ফিরে যেতে তোমার শব্দ চাই
মনের ক্যানভাসে সবচেয়ে আন্তরিক শব্দ
আমি বিভক্তি জানি না অণু
জানি স্নেহ সম্মান আনুগত্য ভালোবাসায় বৃহত্তর
ভালোবাসি শব্দের চেয়ে কোন বৃহৎ শব্দ নেই
তোমার ঠোঁটে ঠোঁট না থাকুক
তুমি যতই বধির চুপচাপ অথবা দূরে থাকো
আমার নরক যাত্রায় স্বর্গের স্পর্শ দিও।।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; তুমি এক সুক্ষাতি সুক্ষ নারী
তোমার পায়ে ঠাই নিতে অসংখ্য পুরুষ দাঁড়িয়ে
কিন্তু যাঁর বুকে শুধুমাত্র তুমি আছো;
অথবা যে তোমার,
সে সত্যিই সুখি দ্বিধাহীন সুখে।

অণু, তুমি এক অনন্য সুন্দরী
তারুণ্যের জন্য নয়
পরিমিত স্বাস্থ্যের জন্য নয়
সরল ত্বকের জন্য নয়
আকর্ষনীয় চুলের জন্য নয়
কেননা তুমি আত্মসুন্দরী নারী;
তোমার সরল হাসি পরামর্শ মানুষকে সুখি করে।

অণু, তুমি মহা-মুল্যবান নারী
পরিচিতির শিরোনামের জন্য নয়
শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য নয়
সামাজিক অবস্থানের জন্য নয়
রাজনৈতিক ব্যাপ্তির জন্যও নয়
তুমি অন্যকে সুখি করতে নিজের স্বপ্নকে উৎসর্গ করো।

অনু, তোমাকে আমি সুক্ষ নারী বলতেই ভালোবাসি
সে তোমার উৎসাহের জন্য নয়
ভালোবাসার বিচিত্রতার জন্য নয়
অনুভূতির প্রাচুর্যের জন্য নয়
কেননা তুমি ভালোবাসো সরল বিশ্বাসে সকল প্রাণ।

অণু, তোমাকে আমি আত্মসুন্দরী বলি
দৈহিক আকর্ষণীয়তার জন্য নয়
সৌন্দর্য এবং কমনীয়তার জন্য নয়
অঢেল প্রশংসা প্রাপ্তির জন্যও নয়
কেননা তোমার চরিত্রে এবং উদ্দেশ্যে বলিষ্ঠ দৃঢ়তা।

অণু, তোমাকে আমি আত্মসুন্দরী বলি
কেননা তুমি একজন শুধুই মানুষ
সকল প্রাণকে সুক্ষ স্নেহে মূল্যায়ন কর
প্রেমে অভিভুত সমাজ; সর্বদা
তুমি সর্বাগ্রে মূল্যায়ন কর মানবিকতা
শিরোনাম নয় তুমি ভালোবাসো মানবতা।
Samar Bhowmick Apr 2020
সহস্রাব্দের শ্রেষ্ঠ স্বপনের জন্মভুমি; অণু
মাকড়সার জালের মতো জড়িয়েছে আমার পৃথিবী
বকুলে মিশে থাকা ঘ্রাণের মতো একাকার আমি
দূর-দূরান্ত থেকে চাঁদের মতো স্নিগ্ধতা
অবিরাম ছড়িয়ে যাচ্ছে হৃদয়ের সবুজ জমিনে
বিরহের লাঙ্গল ফলায় চষে যাচ্ছে
আমার প্রাণের প্রশান্ত মাঠ
চৈত্রের খরা ফাঁটা তৃষ্ণার্ত চঞ্চল আমি
অথচ; তৃষ্ণার্ত হৃদয়ে সহস্রাব্দের শ্রেষ্ট ভয়ের বাগান
সেখানে আমার জলজ্যন্ত কাঙ্খিত স্বপ্ন গুলো তুমি; অণু
আমি এখন কলমিলতার কোমল ডগায়
প্রজাপতির বর্ণিল পাখায়
দিঘীর জলে হাঁসের সাঁতারে
ঘাস ফুলের ছোট্ট পাপড়ির দোলায়
কিংবা দুর্বা ঘাসে শিশির কণায়
অবিরাম তোমাকে দেখি; অণু
ঘাসের ডগায় জমানো শিশিরে তোমার ভেজা পা
আমাকে স্পর্শ করে; চঞ্চলতায়
আন্দোলিত করে চৈত্রের দখিনা বাতাস
তোমার নিঃশ্বাসের উষ্ণতায় আমাকে অস্তির করে তোলে
কামরাঙ্গার শাঁখায় মিষ্টি সবুজ টিয়ে
সে ও তোমার স্বপ্ন দেখায়; ভাবায়
সবুজ পাতার ফাঁকে হলদেটে কামরাঙ্গায় টিয়ের রঙ্গিন ঠোঁট
তোমার অস্তিত্বেরই জানান দেয় বারবার
অণু; যেন তোমার হৃদয়োষ্ণ চুম্বনের অপেক্ষায়
সহস্রাব্দের বুকের ভিতর আমার শ্রেষ্ঠ স্বপনের বহর
অতঃপর-
হৃদয়ের স্বচ্ছ জলে তোমার প্রতিচ্ছবি দেখার অপেক্ষায়
বিরহ নেমে আসে বৈশাখের আচমকা হাওয়ায়
আকাশে ভেসে আসে বিবর্ণ মেঘ
আমাকে কাঁদায়; কাঁদে স্বপন
আর আমার স্বপনের ঘর।।
/
।।মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।।

— The End —