Submit your work, meet writers and drop the ads. Become a member
Samar Bhowmick Apr 2020
তোমার মনে আছে অণু ?
আমি কিভাবে সপেছিলাম প্রাণ
কখন কিভাবে আমার হাত
কখন কিভাবে আমার চোখ
তোমার চোখের হিরক খন্ডে
জ্বল জ্বল আলোয় ভালোবাসা জ্বলছিলো।
ভেবে দেখো অণু
ভাবনায় চিন্তায় মগ্ন থেকে দেখো
ওখানেই আমাদের কষ্টগুলো জমা হয়ে আছে।
কেননা কাছাকাছি সময়ের অপেক্ষায়
আমাদের প্রেম; আমি ও তুমি
অথচ সময়ের সুযোগ হয়নি
তবু ভুলিনা ভুলতে পারিনা
যদিও চৈত্র খরায় চৌচির মন
পিছনে তারা করছে অন্য সময়
আলোর প্রতিফলনে উজ্জলতা নেই
তবু একটা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সম্পর্ক
যতটা আন্তরিক ততটাই শক্তিশালী।
অণু আমরা জমজ
আমাদের দুটি হৃদয়
একটি সংবেদনশীল বাক্সে
জীবন্ত আমি ও তুমি।
যদিও এটা আমাদের ভালোবাসার উদাহরণ
কিন্তু তুমি কি বলবে না অণু ?
ভাগ্য তোমাকে চুরি করেছে
অথচ আমি তোমার ছবি দেখে আজও কেঁদেছি
হলদে সময়ের ভাঁজে
আমার বলিচিহিৃত হাত দেখে বুঝতে পারি
জীবন সীমান্তের কাছাকাছি
তবুও শক্তিশালী স্মৃতি
মনে করে দেয় একটি চুমুর শোক
অণুর ভালোবাসার স্মৃতি।।
Samar Bhowmick Apr 2020
একটি ভীমরতির উপন্যাস বলতে পারো
ইচ্ছে হলে রাঙাতে পারো হলুদ রঙে
মাঝ পথে গল্প শেষ না হতেই
অণু’র গল্প শুরু হয়েছিলো
সুচনা আমার মতোই
মাঝ বয়সী
কোমলতার যথেষ্ট বয়স তখন
তবু গাঢ় সবুজ রঙ
ক্লান্তিরা সবে মাত্র তরুণ
সাদা অপ্রাপ্ত।

আমি দ্রুত হেঁটে চলেছি
অণু’র দিকে
শুধু মাত্র একটি প্রাণ
কত ভালোবাসা
তার আলিঙ্গনে
তার পূর্ণ বিশ্বাসে কতটুকু নিষ্ঠুর ভাগ্য
কোথায় বিভক্ত পথ
এবং বেঁচে থাকা।

অণু’র হৃদয়ে খোদাই করা প্রেম
অণণ্য মুখের শব্দে
সমর্পিত বিশ্বাস
সাম্য মানবতার সঙ্গ
আর জীবনের সীমান্তে
তাঁর শেষ স্পর্শ
আমার আকাঙ্খার স্বীকারোক্তি।।
Apr 2020 · 30
শিকার
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; তুমি আমার জীবন ফিরিয়ে দিয়েছো
ভালোবাসার স্নেহময় স্পর্শে
যদিও সমাপ্তি চেয়েছিলাম জীবনের
কিন্তু তোমার দুঃখিত মুখ
অজানাভাবে আমার পরিবর্তন এনেদিলো
তোমার মায়াময় উষ্ণ স্পর্শ
জ্বলন্ত রোদের মতো
আমাকে দেখালো পরিস্কার আকাশ
উপরে, আরো উপরে তাকিয়ে দেখি
তোমার এলো চুল
সামান্য বাতাসের গোলমালে তরঙ্গে
কথা বলে প্রানের
অথচ সামান্য অতীতেই আমি
কঙ্করের গুঞ্জনে ম্রিয়মান ছিলাম
সমুদ্রের মতো তোমার বিশালতায়
আমার প্রশংসা রইলো ; অণু
আমি চারদিকে তাকাই; দেখি বর্তমান
সহস্র বছরের নিদ্রা ভেঙ্গে জেগে উঠেছি
তোমার যাদু দ্বারা
মধুর স্বাদের সঙ্গে
তোমার মিষ্টি কথায়
কানে পাঠানো একান্ত ফিসফিস শব্দে
দ্যাখো অশ্রুও শুকিয়ে যায়
তোমার কোমলতার যত্নময় চাহনিতে
নিজেকে আর একা ভাবছি না
অন্তরে নিজেকে পিষে; প্রেম
বেছে নিয়েছে শিকার।
Samar Bhowmick Apr 2020
ফাগুনের প্রথম প্রহর
মনের রমরমা উল্লাসে
তুমি দ্যাখোনি কখনও
কোনটি প্রথম
তুমি এখনও জানো না
আয়ত্তাধীন ভালোবাসার সরূপ
অণু একবার দ্যাখো
যদিও অবিকল অবিচল
প্রেম ও বিশ্বাস
এমনকি আমাদের বিশ্রাম
স্বপ্ন সাধ প্রত্যাশায়
অপরিবর্তিত হৃদয়
যেহেতু জানি আমাদের
তবু নিশ্চিত হই অণু
যদি সবকিছু যদি মুছে যায়
তোমার চোখে
এবং যা ছিলো আমার সেরা
অথবা অবস্থান
যদি কখনও উল্টে ছিটকে যাই
এখনও যখন
তৈরী করিনি নিজেকে
জীবনের সহজ সংস্করণে
করছি নিত্যকর্ম
অণু তুমি দেখেনাও
ভুলের আকৃতি; আর
আমার ত্রুটি গুলো
বিচক্ষণতার সাথে
একবার তাকাও।
Samar Bhowmick Apr 2020
করোনা ভেবে আৎকে উঠি
মৃত্যু নয়তো পাপ
কত দিন থাকবো বেঁচে
কিসের অনুতাপ ?

সঙ্গ সাথী যাঁদের বলি
কোন মৃত্যুতে যায়
মৃত্যুর পরে উৎসব করে
একটুখানি হায় হায়।

ক’দিন বাদে কে কাঁদে
কোথাও দেখি নাই
কাঁদার মধ্যে থাকে শুধু
কোথায় রেখে যাই।

যখন পূর্বসুরী সবাই গেল
একই পথে তাঁরা
তাদের গোষ্ঠী পূর্ণ হবে
আমরা গেলে মারা।

তুমি তাঁদের কথা ভেবে
তাঁদের জন্য কাঁদো
তাদের কাছে যেতে হবে
ভাবো কি আদৌ ?

মায়া যদি থাকতো প্রাণে
তাদের মায়া কই
বুঝাও এবার কিসের মায়ায়
কেন বেঁচে রই।

যাঁরা গেছেন মৃত্যুর পথে
তাদের প্রেম ভুলে
নিচ্ছি সবাই নিজের হতে
কোন পিরিতি তুলে ?

মায়া কায়া কিছু নয়
লোভের প্রতি টান
আমরাও তাই চাই এখন
না হারাতে প্রাণ।

একই ভাবে ভুলবে সবাই
আছে যতো মায়া
জগতে শুধু থাকবে সবার
কৃত কর্মের ছায়া।

কর্ম ফল হিসেব করো
কি করেছো ভালো
নরক হলো কঠিন আঁধার
পাবে সেথায় আলো?
Samar Bhowmick Apr 2020
ভেবে ভেবেই হারিয়ে ফেলি মনের যতো কথা
অণু কিছু লিখতে চাই তোমায়; ভাবি বারবার
অবচেতন মনে মাঝপথে ভুলে যাই সব
যেন আমি আজ মৃত্যুর মুখোমুখি স্মৃতির প্রহরী
লাগাম ছাড়া মন ছন্নছাড়ার মতো আজও উড়ে
শিরায় শিরায় তোমার স্নেহাগ্র শব্দের মিছিল।
যদিও প্রবীণ হতে চলেছে সেদিনের নবীন যৌবন
তবু তোমাকে কিছু না কিছু লিখতে ইচ্ছে করে
ল্যপটপের কীবোর্ডে দশ পান্ডবের শব্দ খেলায়
সাজায় আমাদের অতীতের নানা স্মৃতিকথা
ভালোবাসার মধুময় ভাষায় জড়ায়
বিভেদহীন অণু’র পঙতিমালার জটলা গুলো
শিমুল তুলোর মতো উড়ায় মনের আকাশে
শেষার্ধ বসন্তের উন্মোক্ত বাতাসে।
বর্ণমালা মনের ভিতর ঘোর-পাক খায়
ছন্দ খুঁজি; ছন্দ মিলায়
আবার ছন্দ হারিয়ে ভাবি
কিভাবে কখন কি লিখবো তোমায়
বয়সের ভারে ক্লান্তির ছাপ অবয়বে
সহস্র প্লাবনের আগুনে পুড়ে দগ্ধ আত্মা
অচেনা শব্দের ভাঙ্গাগড়ায় মৃয়মান অন্তর
টানাপোড়েন জীবনের সময় খাতায় এখনও
ভবঘুরে স্বপ্নের ভিড় সামাজিক দুরত্বে রাখা মনে
তবু প্রথাগত বসন্তের শেষ সীমায় পিপাসার্ত জমিনে
অস্তমিত সূর্যের তির্যক আলোয় জ্বলজ্বল করছে
পুরনো মন্দিরে গোলাপী আবিরে মাখা তোমার হাত
আর কাঞ্চন শিমুল ভাটফুলের বেগুনী নীলে
যৌবনে দেখা তোমার যুবতী বসন্ত।

29 মার্চ 2020, 20:23, ঢাকা, বাংলাদেশ।
Samar Bhowmick Apr 2020
পূর্ব জনমের অজানা অভিমানে
আমাকে রেখেছো দূরে
অসীমে সরে গিয়েও তুমি
রয়েছো হৃদয় জুড়ে।

পূর্ব জনমে ভালোবাসার সাধ
মোটেও মিটেনাই মোর
তুমি শূণ্যতায় কাটেনি রজনী
হয়নি নতুন ভোর।

ভালোবাসি শুধু ভালোবাসি
জন্ম জন্মান্তরের চাওয়া
অজানা অযুহাতে কেটে গেলো বেলা
আজও হলোনা একান্তে স্নেহ পাওয়া।

অণু তুমি স্মৃতির পাতা উল্টে দেখো
জন্মান্তরের ভালোবাসময় দিন
আজো বেহিসেবী অবিকল ভালোবাসি
মিটাতে দাও ভালোবাসার ঋণ।

জন্ম জন্মান্তর ধরে অজানা অপরাধে
আজও হলো না কাছে আসা
হৃদয় পুড়েছে সভ্যতার জঞ্জালে
তবু অবিকল আছে ভালোবাসা।

সাধ্য আমার বাধ্য নহে আজি
তোমার অভিমানে
কন্টক হার মানিবো কি করে
তুমি সদা জাগ্রত প্রাণে।

ক্ষমা করো দেবী অজানা যতো ভুল
ক্ষমার হৃদয় দাও বাড়িয়ে
অতৃপ্ত মন দগ্ধ প্রাণ
স্নেহের টানে দেখো ঠায় দাঁড়িয়ে।

অবুঝের মতো অবুঝ হয়ে
কেঁদে কেঁদে কেটেছে কত রাত
পৃথিবী তোমায় দিয়েছে খুঁজে
ফিরিয়ে নিও না স্নেহময় হাত।।
Samar Bhowmick Apr 2020
সন্দেহ আমার কৃত্রিম করোনা দুনিয়া গ্রাসের জন্য
চায়না সৃষ্টি করেছে ওহানে নিজেদের করিতে ধন্য।

স্নায়ু যুদ্ধে হেরে গিয়ে করেছে হয়তো পণ
কাড়বে তারা বিশ্ব অর্থনীতি কাড়বে দুনিয়ার ধন।

কুটকৌশলে সারা বিশ্বে হয়তো ছড়িয়ে দিলো তাই
মৃত্যু ভয়ে পালাবে সবাই দেখার কেউ নাই।

বার দিনে মস্ত মস্ত হাসপাতাল তারা বানিয়ে
দুনিয়া জুড়ে পাগল সবাই খবরটা গেল জানিয়ে।

কেউ বুঝতে চায়নি আজও কেমন করে কি
ঘুমিয়ে রইলো সারা দুনিয়া নাভিতে মেখে ঘি।

চায়না মাথার চায়না পেজগি বুঝলো না তো কেহ
চায়নার স্বার্থে দিতে হবে সবার আপন দেহ।

তারাই দুনিয়ার শাষক হবে এটাই হয়তো পণ
তাবৎ দুনিয়া মেধাশুণ্য হবে কাড়বে তাদের ধন।

এখনও সবাই প্রশ্ন করো ওহান প্রদেশ গিয়ে
করোনা সৃষ্টি জানতে চাও জাতিসঙ্ঘকে সাথে নিয়ে।

জানতে চাওয়ায় দোষ নাই ঘটেই যখন গেল
হঠাৎ করেই চাইনিজরা দেখো করোনা মুক্তি পেলো।

সন্দেহ আমার হচ্ছে ভাই চায়না বুদ্ধির খেলা
বিজ্ঞনী সব ওহান যাও করিও না হেলা।

আরো যদি থাকো বসে দিন সপ্তাহ মাস
বিশ্ব অর্থনীতি পঙ্গু হবে কাটবে ঘোড়ার ঘাস।

মরছি নাহয় মরেই যাবো খবরটা তো নাও
কোথায় কখন সৃষ্টি হলো জানতে আমায় দাও।

প্রাণ যাবে বিশ্ব বাসীর রোগ জীবানু দিয়ে
চায়না হাসবে মুচকি হাসি সাহায্যের হাত নিয়ে।

মেধা প্রজ্ঞা গিলে খেয়ে জ্ঞানীরা সব বসা
গুহার ভিতর কাটছে সময় যেন শনির দশা।

বিশ্ব নেতার বুদ্ধি দেখে অবাক হলাম আমি
প্রশ্ন একটা করলো না কেউ ভেবে ভেবেই ঘামি।

ব্যাখ্যা দিতে চায়না বাধ্য ঘটেছে তাহার ঘরে
ওহান দিবে তথ্য প্রমাণ জাতিসঙ্ঘ যদি ধরে।

পরীক্ষায় তারা সফল হলেও বিফল হয়েছে বিশ্ব
ভাবো মনোযোগ দিয়ে দেখো পৃথিবীর কি দৃশ্য।

সন্দেহ আমার বাঁধছে দানা কীর্তি কলাপ তাই
খবর তোমরা নিয়ে দেখো মিলতেও পারে ভাই।।


28 মার্চ 2020; 03:19, ঢাকা, বাংলাদেশ।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; তুমি আমাকে ভালোবাসো
প্রজন্ম তির্য্যলতা আমাকে ভালোবাসে
পরিবার ও সমাজ আমাকে ভালোবাসে
তোমাদের ভালোবাসা স্বপ্ন ভালোবাসি
আমার সেইসব শ্রেষ্ঠ অপরাধের দায়ভার
আর তোমাদের ছত্রছায়ার প্রচ্ছন্ন সমর্থন
নির্দ্বিধায় করি শত অপরাধ; প্রশ্নহীন
সভ্য সমাজে প্রাচুর্য্যের ভালোবাসা শিখে
সততার বিষর্জন; স্বপ্ন দেখি দুর্নীতির
ভালোবাসা ভালোবেসে স্বপ্ন গুহায় বিসর্জন
নৈতিকতার সকল বংশধর
রাষ্ট্র নীতিহীন ব্যভিচারী নির্দিষ্ট করে
ঘৃণায় মুখ ফিরিয়ে নিই;
কিন্তু রক্তের স্রোতে প্রবাহমান আদি ভালোবাসা
নৈতিকতা অস্বীকার করে বারবার; অন্যদিকে
প্রেমের প্রাপ্তি সুখের ঘৃণ্য অত্যাচার
আমি নিমিষেই বেপরোয়া মানুষ
তোমাদের নগ্ন সমর্থনে নগ্ন পুরুষ এখন
নগ্ন পৃথিবীতে অসীম চাওয়া পাওয়ার হিসেব
অথচ ধণী জ্ঞানী ভিক্ষুক নগ্নতেই ফেরা
এ যেন সভ্যতার এক অসভ্য প্রহর
প্রশ্নহীন সমর্থনে অর্ন্তদগ্ধ মন
মদের গেলাস গিলে নিকোটিনের ধোঁয়ায়;
উড়ে বাল্যশিক্ষার সকল নীতিকথা
দীর্ঘশ্বাসের অন্তঃগামী স্রোতে ভাসে
কখনও হয়তো মানুষ ছিলাম;
শূণ্য ছিলো হৃদয়
এখন বেপরোয়া বলিষ্ঠ পুরুষ
সমসাময়ীক সম্ভ্রান্ত সমাজপতি
ভালোবাসার অসামান্য তাগিদে
হাঁটছি নগ্ন পদে জিঘাংসু নগ্নতায়
ঈশ্বরের একটি হাসির জন্য;
অথচ
প্রজন্মের প্রতি আমি নির্দেশনা শূণ্য
দিকশূণ্য বায়ুমন্ডলের ক্ষ্যাপা ঝড়
বেপরোয়া বিজয়ী পুরুষ।।
Apr 2020 · 33
ধুর! ছাই!
Samar Bhowmick Apr 2020
জীবনে ভালোবাসা পাইনি কখনও
স্বার্থের স্বাগত আচরণকেই ভালোবাসা ভেবেছি
গোলক ধাধাঁয় হেরেছি বারবার
অথচ প্রাণের সরলতায় ভালোবেসেছি
সমাজ পরিবেশ প্রতিবেশ স্বজন ও সম্পর্ক
কাউকে ভুল বুঝিনি কখনও
এমনকি যাঁরা ভুল বুঝে স্বার্থের জালে
মন রাখে লাভের ভান্ডারে তাদেরও।

এতটুকুও ভালোবাসা পাইনি
আফসোস নেই
কষ্ট হয় ইতর মানুষদের জন্য
কেননা স্বার্থের বাজারে আগামী প্রজন্ম
তারাও জানবে না
খোলসের ভিতরে কতটা নগ্নতা।

আবারও বলছি
আমাকে কেউ কোনদিন ভালোবাসেনি
যে টুকু ভালোবেসে ভালোবাসার দাবীদার
সেটুকু সম্ভবত প্রয়োজন
অথবা অনেকটাই দায়িত্ব বা কর্তব্যে
না হয় লোকলজ্জার ভয়।

আমি সত্যি কথা বলতেই পারি নির্ভয়ে
শর্তহীণ ভালোবাসার দাবীদার নেই
তুমি দুরে আছো অণু
দূর থেকে আমিও তোমার ভালোবাসা অনুভব করি
এখন পর্য্যন্ত সম্ভবত তুমিই একমাত্র এগিয়ে।

আমি তাঁকে প্রণাম করতে চাই
চাই কেউ বলুক নির্দ্বিধায়
বিনা শর্তে আমাকে ভালোবাসে আজও।

আমি জানি
কেউ রক্তের বন্ধনে
কেউ সম্পর্কের বেড়াজালে
কেউ কর্মের উৎকর্ষতায়
কেউ দীর্ঘ সম্পর্কের তলানী ঘেটে
অথবা কেউ করুণা করে
কিংবা আমার ভালোবাসার প্রতিদান
আর তুমি দূরে থেকে হলেও
এখন পর্য্যন্ত তুমিই এগিয়ে আছো অণু
যদিও জীবন সামান্যই আর বাকি।

সমাজবদ্ধ কোন মানুষ
বিনা শর্তে ঈশ্বরকে্ও কোনদিন
ভালোবাসতে দেখিনি
আর আমি তো
ধুর্! ছাই !!
Samar Bhowmick Apr 2020
করোনার করুণ পরিনতি আজ
বিহ্বল মানব জাতি
হঠাৎ ভাষাহীন জ্ঞাণী গুণী সব
মেনে নিলেন ক্ষতি।

থেমে গেলো মানুষের কলরব
আদিম গুহায় বাস
মানুষের মানবিকতা চরম বিপর্যয়
এনেছে এমন সর্বনাশ।

লোভী মন যখন তখন
ঈশ্বরকে দেখিয়ে বৃদ্ধাঙ্গুলী
নীতি নৈতিকতা সকল ভুলে
সাহেব হয়েছে কুলি।

ক্ষমতা বাড়িয়েছে পাপের বোঝা
নেশা সম্পদ নারী
ভেবেছিলো এভাবে কাটিয়ে জীবন
দুনিয়া দিবে পাড়ি।

অন্তরালে ঈশ্বর হাসেন অট্টহাসি
কত বাহাদুর তোরা
শায়েস্তা তোদের করবে করোনা
হিংস্র বেয়াদব চোরা।

আগেও পাঠিয়েছেন এমন শক্তি
খালিচোখে দেখনাই কভু
সাস ইবোলাসহ পাঠিয়েছেন কত
তবু চিনো নাই প্রভু।

সময় যদি থাকে তোমাদের
মানুষ হয়ে যাও
অভিনয় ছেড়ে সত্য ধরে
হালাল রোজগার খাও।

তোমাদের জন্য আমরাও সাথে
পঁচা কাঁঠালের কোষ
পঁচা সারাতে আমরাও মরতেছি
যদিও নাই দোষ।


27 March 2020, 03:20 AM, Dhaka, Bangladesh.
Apr 2020 · 36
কখনও
Samar Bhowmick Apr 2020
কখনও আমার মন
রঙ্গিন প্রজাপতি হয়ে উড়ে
কখন কিভাবে
তুমি জানো না অণু
কখনও অপহরণ করে
তোমাকে; অসীম স্নেহ
কখনও প্রাপ্য ফুলের মধু
কখনও তোমার
অনুভুতির ভগ্নাবশেষ খুঁজে
হৃদপিন্ডের কম্পনে
কখনও চিন্তায় উড়ে যায়
কখনও চেতনায়
সামর্থ্যে থাকা সময়ের কাছে
কখনও তোমার মন জানতে চায়
আমার জীবন হয়ে
কখনও প্রতিদিন
তোমার ভিতরেই উড়ে বেড়ায।।
Samar Bhowmick Apr 2020
অবশেষে কাঁপতে কাঁপতে ছুঁই
অণু প্রতিক্রিয়া দেখে অবাক
খুব সামান্য হলেও
স্নেহময় নাজুক স্পর্শ
কিন্তু ভালোবাসা
যদিও যথেষ্ট নয়
কিন্তু এক অদ্ভুত কম্পন
অথচ কোন রোমাঞ্চ নেই
তবু শ্বাস ভারী করে তোলে
যদিও কোন শব্দ নেই
এবং নয় কোন ইঙ্গিত
আবার শুধু উপস্থাপনাও নয়
হৃদয়ের উষ্ণ অঞ্চল স্পর্শ করে
কোমল স্নেহ গুলো।
ভালোবাসা পালিয়ে যায় না; অণু
দান আমাকে সে প্রতিশ্রুতি দেয়
তাই চাইনা হাল ছেড়ে দিই
তোমার দান আবশ্যক
দান একটি ভারী কাজ হলেও
তুমি জানো কি দান করবে
হাত পেতে রয়েছি দানের অপেক্ষায়
তুমি খুব মুল্যবান আমার
তোমার সব কিছুই মুল্যবান
কিন্তু সামর্থ্যহীন আমার সময়
অথচ মন গ্রহনে ব্যস্ত
জানি না কি বেছে নিবো
যেন চকলেটের দোকানে দাঁড়িয়ে
আমি একটি ছোট্ট শিশু।

26 মার্চ 2020; 18:10, ঢাকা, বাংলাদেশ।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; জীবনের কোন এক যুদ্ধে
যদি এমন হয়
আমাকে তুলে নিলো বিরোধী সৈনিক
টেনে হেচড়ে ছিঁড়ে ফেললো
আমার দু’টো হাত
কেটে ফেললো আমার পা
প্রচন্ড রাগে ক্ষোভে
তুলে নিলো আমার চোখ
আমি যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছি
কোন দ্রুতগামী এম্বুলেন্স
আমাকে তুলে নিলো
হসপিটালের বারান্দায়
সংক্ষিপ্ত নিঃশ্বাস
আমার প্রাণ ফিরিয়ে দিলো
আমি দৃষ্টি শূণ্য
আমি গতি শূণ্য
আমি স্পর্শ শূণ্য
বৃথা জীবন বয়ে চলা
যথার্থ বিরক্তিকর
অযথা জীবন্ত
এক নিম্নগামী মানুষ
যদি এমন হই
তখন তুমি তাকাবে?
বলবে আগের মতো?
তোমাকে ভালোবাসি
থাকবে পাশে
এখন যতোটা কাছে আসি ?
Apr 2020 · 33
মন্দির
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা
হোক তোমার উপহার
জন্মের দায়বদ্ধতায়
তোমার মানবিক সৌন্দর্যে
নিরাপদ বিজয়
তোমার আপন ত্যাগ
মুগ্ধ আমি
এখন আর ভাবি না
কে জিতবে কে হেরে যাবে
চাই সাম্যের যুদ্ধ
শুধু যুদ্ধ
বিবস্ত্র সমাজের জন্য
তোমার আত্মার সাহস
এবং সাহসী জীবন
বিশ্রাম আনবেই
বিরূপ ভাগ্যের
তোমার পাতলা শরীরে
আদর্শের ভাঁজ
যেন ধরিত্রীর দান
কদর্যদের কাছে
কোমল ফল
কোমল ফোটা
এক মিষ্টি মহিলা
মধু গোলাপের নির্যাস
অথবা কামুক দেবী
আর আমার কাছে তুমি
আদর্শের জন্মধাত্রী মা
একজন পূর্ণ মানুষ
মানবী দেবী মন্দির।

25 মার্চ 2020; 03:53, ঢাকা, বাংলাদেশ।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; বিশুদ্ধ যন্ত্রণা গুলো আমাকে দাও
আমাকে দাও হৃদয়ের যতো অসহ্য সন্ত্রাস
তোমার কান্নার কারণ আমাতে সমাহিত করো
সমাহিত করো হতাশা সকল, যন্ত্রনার আবাস
আমার চোখে দুঃস্বপ্ন ঢেলে দিয়ে
নিজের আকাঙ্খা গুলো জাগিয়ে নিও
ফেলে আসা কোন স্মৃতিময় অসুখ
যদি বাসা বেঁধে থাকে হৃদয়ের গহিনে
আমার ভালোবাসায় ভাসিয়ে দিও
কোন প্রলোভন নয় অণু; ভালোবাসি
সঙাহীন আপন আলোয় হৃদয়ের টান
অগাধ বিশ্বাস আর সাম্যের দোলায়
দোলাও তোমার শীর্ণ প্রাণ
হোক পরন্ত বিকেলের রোদ
না হয় হোক সন্ধ্যার আঁধার
রাত পোহাবেই, আসবেই আলো
ভয় নেই শংকা নেই প্রাণের মিছিলে।
আমি আশাহীন ভালোবাসি ;অণু
হৃদয়ের টানে ব্যাথিত প্রাণের কাছে আসি
লোভ লালসার পাহাড় পদদলিত করে
তোমার নাম লিখিয়েছি হৃদয়ের গোপন ঘরে
তোমার হাসিতে হাসবেন ঈশ্বর; অপেক্ষায় আমি
বিশ্বাস ভরসায় রাখো হাতে হাত, রাখো দিবাযামী
একদিন শিমুল পলাশ রক্তিম হলে বসন্ত বাতাস
ভালোবাসাও শিখে নিবে এই বৈরি সমাজ
ভুলের মাশুল গোণে কেটেছে যে দিন
সে দিন যাক ভেসে যাক
আমার দ্বিধাহীন সাম্যের হাতে
তোমার এ হাত চিরদিন থাক।।
Apr 2020 · 38
পুরুষ
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু জানো ?
পুরুষ মানেই নির্যাতিত সময়ের যোগফল
কতটা সংগ্রাম পুরুষ জীবনের স্রোতে
বুঝেছিলে তুমি কখনও ?
পুরুষ কতটা ক্লান্তিতে হাসে; কতটা যন্ত্রনায়
চোখের কোনে স্বপ্ন ভাসে; লবনের স্রোত
অবিরাম মিশে শুষ্ক বাতাসে অচেনা হাসির মিছিলে
জেনেছিলে তুমি কখনও ?
পুরুষের পরম বন্ধু; শ্রেষ্ঠ হওয়ার উদ্দীপনা
পুরুষের পরম সাথী; জয়ী হওয়ার বিশ্বাস
একটি স্বপ্নের অনুপ্রেরণা; সর্বকর্মা ধৈর্য্য
কতটা নির্যাতন সইতে শেখায়
ভেবেছিলে তুমি কখনও ?
সেই নির্যাতিত পুরুষ পৃথিবীর সকল অনুষঙ্গ ছেড়ে
নারীকেই ভালোবাসে; নারীকেই
তোমার মতো নারীর সঙ্গ চায়
চায় নিজের মতো করে কেউ ভালোবাসুক
শুধু একজন হোক আজন্ম আপন প্রেমিক।
অবিকল আমিও ভালোবাসি অণু
ঈশ্বরের নিপুণ কারোকাজ তোমার স্নেহ; ভালোবাসি
সবুজ পাহাড়ের স্বচ্ছ ঝর্ণাধারা
তোমার হাতের আঙ্গুল;
ফাগুনের ফুল
শরতের শিশির;
তোমার কোমল স্পর্শ
দিঘীর জলে হাঁসের সাতাঁর;
তোমার উচ্চারিত শব্দের ঢেউ
আর নিরব যন্ত্রনায় বাঁচি; তবু
চাই তোমার অফুরান স্নেহ
চাই পাশে থাকুক এই মায়াময় মুখ।
সহস্রবার জেনেছে হৃদয়; বহু মতবাদে
নারী মোহময়; তবু ব্যকুল জল ভাসমান চোখ
তোমার সরল সুখ খুঁজে কান্নার মিছিলে
অগণিত দিন রাত্রি একাকী হয়েছে গত
তবু মনে হয় হৃদয়ের গভীরে অচেনা তুমি
তোমার সান্নিধ্যেই বিলিন হবে অন্তরের ক্ষত।
কতজন কতভাবে বুঝিয়েছে,
কতবার গায়ে বুলিয়েছে হাত
প্রত্যাশার ঘরে প্রাপ্তির ভীড়ে;
নারীর শূণ্য অযুহাত।
বুঝিয়াও বুঝেনা বুঝেনাই; এ মন
তোমাকেই ভালোবাসে সকল সর্বনাশে
যন্ত্রনায় মুচকি হাসে;
তোমার উষ্ণতা চায় যখন তখন।
তুমি কি জানতে কভু ? পুরুষ
অজস্র উপায়ে নির্যাতিত বারবার
গোলকের গোলক ধাঁধায়;
তবু ভালোবাসায় থাকে একাকার।।
Samar Bhowmick Apr 2020
24 মার্চ 2020

এক হাতে মৃত্যুর পরোয়ানা
অন্য হাতে অণুর প্রেম
মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে করতে
তবু অণুকেই ভালোবাসি
যদিও মৃত্যু স্বর্গের ছাড়পত্র
কেননা ঈশ্বর জানেন
অণু’র প্রেমের কলমে মানবতার কথা লিখেছি
সকল প্রাণে ভালোবাসার কথা লিখেছি
ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা লিখেছি
ধরিত্রীর শান্তির কথা লিখেছি।

এক হাতে অণুর প্রেম
অন্য হাতে মৃত্যুর পরোয়ানা
যদিও মৃত্যু স্বর্গের ছাড়পত্র
কেননা ঈশ্বর জানেন
আমি অণুর প্রেম দিয়ে
শিশু বৃদ্ধ প্রতিবন্ধীদের ভালোবাসার কথা লিখেছি
বাহাত্তর এর সংবিধানের কথা লিখেছি
বাক স্বাধীনতার কথা লিখেছি
বিশ্বজিৎ অভিজিৎদের কথা লিখেছি
ধরিত্রীর শান্তির কথা লিখেছি।

এক হাতে অণুর প্রেম
অন্য হাতে মৃত্যুর পরোয়ানা
তবু অণুকেই ভালোবাসি
যদিও মৃত্যু স্বর্গের ছাড়পত্র
কেননা ঈশ্বর জানেন
অণুর প্রেম দিয়ে তসলিমার স্বাধীনতার কথা লিখেছি
নিরপরাধ আবরার হত্যার কথা লিখেছি
নারীর অধিকার সম্ভ্রম রক্ষার কথা লিখেছি
প্রাণের অধিকারে সাম্যের কথা লিখেছি
ধরিত্রীর শান্তির কথা লিখেছি।
Apr 2020 · 39
কৃতজ্ঞতা
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; সহজ সরল অবয়বে
তোমার স্নেহাতুর নির্মল হৃদয়
ভালোবাসাময় মোহহীণ প্রাণ
অকুন্ঠ প্রেমের মায়াময় বন্ধন
বেধেঁছে আমায় আত্মার আলোয়।

তোমার সহাস্য সাবলীল কথাবার্তা
শান্ত সুশীল মখমলে আচরণ
স্বাধীণ চিন্তাশীল ভাবনা জাগ্রত অনুভব
পরোপকারী নিস্কাম কর্ম; আস্তিকতা
আশ্বস্ত করে আমার হৃদয়।

তোমার গতিশীল স্বচ্ছ জীবনবোধ
ভবিষ্যত যাত্রায় চঞ্চল উদ্দীপনা
ক্লান্তিহীণ ঈর্শনীয় অনুপ্রেরণা;আর
তোমার অসীম ধের্যের বাগান
আমাকে বারবার অনুপ্রাণিত করে।

তোমার সমাজ সচেতন মন
বৃদ্ধ আবাল বনিতার প্রতি ভালোবাসা
তোমার জন্মের প্রতি দ্বায়বদ্ধতা
সদা সত্যের পথে অবাধ যাত্রায়
আমি প্রশ্নাতীত বিমোহিত হই।

তোমাকে ভালোবাসী অণু
তোমায় অনুসরণে নিজের প্রতিবিম্ব দেখি
তোমার মানবতাকে সশ্রদ্ধ প্রণাম
তোমার মহত্বে পৃথিবী জাগোক
অণু; তোমাকে কৃতজ্ঞতা জানাই।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; এমন একটি প্রহর চাই
একটি উৎসবের আয়োজনে
তুমি অতীতের মায়ায় ক্রন্দনরত
প্রথাগত অনুষ্ঠান প্রস্তুত
অনাগত নতুন ফাগুন।
কেউ গান গাইছে
কেউ জড়িয়ে রাখছে তোমায়
আকাশ বাতাস আনন্দিত
সকলের হাতে হাতে বর্ণিল ফুল।
আনন্দের জোয়ারে
বাতাসে করতালির ঢেউ
এত সুন্দর মিষ্টি আওয়াজে
শান্তির বর্ণিল সমাহার।
তারপর হঠাৎ
“অণু” শব্দের গর্জনে
একটি বিস্ফোরণ
আমার কন্ঠে।
স্বর্গের মতো আনন্দময়
আমার আত্মা
জীবন ফিরে পাই
শুদ্ধ মানুষের।
আশির্বাদের ঘন্টা বাজে
ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই
এমন একটি প্রহর চাই আমার।
Samar Bhowmick Apr 2020
অদৃশ্য চিত্রপটে আঁকা
আমাদের ছবিগুলো
শোবার ঘরেই রেখো অণু
অদৃশ্য ভালোবাসা গুলো
গণিতের সাংকেতিক চিহ্নের মতো
জীবনের ভাঁজে ভাঁজে
লুকিয়ে রেখো
উচ্চারিত শব্দের বলাকা গুলো
নিঃশব্দে উড়তে দিও
মনের আকাশে
মান অভিমান আর কষ্টগুলো
হাওয়াই মিঠাইয়ের মতো
মিলিয়ে যেতে দিও
আপন স্নেহের পরশে
আর স্বপ্ন গুলো
তরতর করে বেড়ে উঠতে দিও
কলমি লতার মতো
মনের সরোবরে
দখিনা বাতাসে
দোলে উঠা জলের মতো
একটু ফাগুন দিও আমায়
তুমি আমায় একটু ছুঁয়ে দিও
একটু চঞ্চলতা দিও
তোমার বুদ্ধিদীপ্ত কৃষ্ণসাগরে
পঞ্চপান্ডবকে নামতে দিও নির্দ্বিধায়
যদি পারো অন্তত একবার;
একবার; আলিঙ্গনের অধিকার দিও
আমি স্বর্গ শিখরে দাঁড়িয়ে
একটি আলিঙ্গন চাই
ঠোঁটের ভাঁজ থেকে
অন্তত এক ফোঁটা বিষ চাই।।
Apr 2020 · 31
আহ্বান
Samar Bhowmick Apr 2020
18 জানুয়ারী 2020; 13:45

অণু; আমি যদি কখনও
অধঃপাতিত হই
ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায়
অথবা কোন ব্যার্থতায়
যদি চলে যাই জাহাজে চড়ে
নীল সমুদ্দুরে
কিংবা কোন দ্রুতযানে
অচেনা আকাশে
তুমি আমার লিখা শব্দবর্গ পড়ো
আর দৈনতা কাটিয়ে কোন দিন
আমার শব্দবর্গ জীবন্ত করে
আকাশে ছুঁড়ে দিও
ছড়িয়ে পড়ুক
শহরের অলিতে গলিতে
পল্লী পথ প্রান্তরে
নগরে বন্দরে
আমার সাম্যতার আহ্ববান।
যদি কোনদিন মৃত নদীহয়ে প্রবাহিত হই
তোমার অন্তরে মননে
তোমার নেশাতুর ঘুমের ফাঁকে
সাদা চিন্তা চেতনায়
অথবা জৈব জাগরনে
তুমি আমার লিখা শব্দবর্গ পড়ো
আর দৈনতা কাটিয়ে কোন দিন
আমার শব্দবর্গ জীবন্ত করে
আকাশে ছুঁড়ে দিও
ছড়িয়ে পড়ুক
শহরের অলিতে গলিতে
পল্লি পথ প্রান্তরে
নগরে বন্দরে
আমার ন্যায্য সাম্য সৌহার্দের
ধর্মান্ধতামুক্ত নিষ্কলুষ
মায়া মমতা শ্রদ্ধা স্নেহ
আর প্রাচীন প্রবীণ প্রেমের আহ্ববান।
Apr 2020 · 29
আনন্দ
Samar Bhowmick Apr 2020
বড় আনন্দ লাগে
যখন ইচ্ছেরা মিশে যায় অণুর আকাশে
নিঃশ্বাসের শব্দগুলো যখন আমায় ভালোবাসে।

বড় আনন্দ লাগে
অণুর হাসিতে যখন ভেসে আসে সুখ
মৃত্যু যন্ত্রনাও তখন আমার সামান্য অসুখ।

বড় আনন্দ লাগে
অণুর কাঁধে হাত রেখে যখন দাড়িযে থাকি
পৃথিবীর সব মূল্যহীন তখন সকলি যেন ফাঁকি।

বড় আনন্দ লাগে
যখন চোখে ভাসে অণু’র ছবি ছায়া
বিগলিত হৃদয়ে দেখি প্রেম মানেই মায়া।

বড় আনন্দ লাগে
হৃদয়ে যখন আনমনে অণুকেই ঘাটি
অণুই যেন পুষ্প পল্লব অণুই ক্ষমাশীল মাটি।

বড় আনন্দ লাগে
ধরা’য় যখন ঘুরে বেড়াই একা
সভ্যতার ভালোবাসায় যেন অণু’র পাই দেখা।

বড় আনন্দ লাগে
যখন অতীত গুলো ভেসে আসে বর্তমানের চোখে
খামচে ধরে প্রিয় স্মৃতি জড়িয়ে রাখে অণু সম সুখে।
Samar Bhowmick Apr 2020
দেখে দেখে কর্ম শিখে
কিসের ধার্মিক আমি
ধর্ম শিখে ধার্মিক হতে
হৃদয়ে চাই পুণ্যভুমি।

সাজ সজ্জায় ধর্ম নাই
ধর্ম নাই দানে
উপfর্যনে সততা চাই
সততা চাই প্রানে।

ধর্ম কর্ম সবই করি
সৎ বু্দ্ধি নাই
সকল যাবে বিফল আমার
সকল হবে ছাই।

জানি আমি কর্ম হীনে
ধর্ম জেগে থাকে
অক্ষমতায় ধর্ম বাঁচে
যদি হৃদয় সচ্ছ রাখে।

স্রষ্টা তুষ্ট ডাকে শুধু
নাহি চাহে ধন
পরিক্ষা করেন তিনি
দিয়ে চঞ্চল মন।

দুনিয়া জুড়ে দেখি বিচার
দেখি রোগ শোক
পাপের শাস্তি দিতে তিনি
দিলেন নানা দুর্ভোগ।

সকল প্রাণের একই বায়ু
সেবন করে বাঁচি
তবু নিজে সবার সেরা
বলতে বলতে নাচি।

অহংকারে পতন নিশ্চিত
সদা শুনতে হয়
মনের ভিতর নেইতো তবু
সৃষ্টিকর্তার ভয়।

কর্ম যাহা আছে আমার
সত্য ভাবে করি
তবেই আমি ধার্মিক হবো
রইবো ধর্ম ধরি।।

16 মার্চ 2020, ল্যাব এইড, ঢাকা, বাংলাদেশ।
Apr 2020 · 39
আমার ভয়
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; অন্ধকারের ইঙ্গিত করো না
আলোর দিকে তাকাও
দ্যাখো, আমরা নেমে যাচ্ছি কতটা গভিরে
আত্মার ইশারায়।
বাতাসের সাথে মিশে আছে আমাদের প্রেম
সমগ্র পৃথিবীর সকল অনুষঙ্গ জুড়ে
এবং কখন
আমি তোমার আত্মায় ঘুমিয়ে পড়েছি
তোমার হৃদয়ের আলোতে।
আমার সকল চিন্তার জলপ্রপাতে
তোমর প্রসারিত ভালোবাসা
এবং অবাধ যাতায়ত।
আমার প্রাণের জীবন্ত সকল সত্তার মাঝে
তুমিই একমাত্র মানবী
একমাত্র উজ্জ্বলতার দেবী।
আমার সহস্র জন্মান্তরের মধ্যে
তোমাতেই প্রথম থেমে যাওয়া
আমার প্রথম প্রেমের অনুভব
আমার প্রথম বন্দি হওয়া
আমার প্রথম ভয়
আমার ভয়।
আর আমি ভাবি
তুমি কি আমায় বুঝতে পারছো না?
Samar Bhowmick Apr 2020
সহস্রাব্দের শ্রেষ্ঠ স্বপনের জন্মভুমি; অণু
মাকড়সার জালের মতো জড়িয়েছে আমার পৃথিবী
বকুলে মিশে থাকা ঘ্রাণের মতো একাকার আমি
দূর-দূরান্ত থেকে চাঁদের মতো স্নিগ্ধতা
অবিরাম ছড়িয়ে যাচ্ছে হৃদয়ের সবুজ জমিনে
বিরহের লাঙ্গল ফলায় চষে যাচ্ছে
আমার প্রাণের প্রশান্ত মাঠ
চৈত্রের খরা ফাঁটা তৃষ্ণার্ত চঞ্চল আমি
অথচ; তৃষ্ণার্ত হৃদয়ে সহস্রাব্দের শ্রেষ্ট ভয়ের বাগান
সেখানে আমার জলজ্যন্ত কাঙ্খিত স্বপ্ন গুলো তুমি; অণু
আমি এখন কলমিলতার কোমল ডগায়
প্রজাপতির বর্ণিল পাখায়
দিঘীর জলে হাঁসের সাঁতারে
ঘাস ফুলের ছোট্ট পাপড়ির দোলায়
কিংবা দুর্বা ঘাসে শিশির কণায়
অবিরাম তোমাকে দেখি; অণু
ঘাসের ডগায় জমানো শিশিরে তোমার ভেজা পা
আমাকে স্পর্শ করে; চঞ্চলতায়
আন্দোলিত করে চৈত্রের দখিনা বাতাস
তোমার নিঃশ্বাসের উষ্ণতায় আমাকে অস্তির করে তোলে
কামরাঙ্গার শাঁখায় মিষ্টি সবুজ টিয়ে
সে ও তোমার স্বপ্ন দেখায়; ভাবায়
সবুজ পাতার ফাঁকে হলদেটে কামরাঙ্গায় টিয়ের রঙ্গিন ঠোঁট
তোমার অস্তিত্বেরই জানান দেয় বারবার
অণু; যেন তোমার হৃদয়োষ্ণ চুম্বনের অপেক্ষায়
সহস্রাব্দের বুকের ভিতর আমার শ্রেষ্ঠ স্বপনের বহর
অতঃপর-
হৃদয়ের স্বচ্ছ জলে তোমার প্রতিচ্ছবি দেখার অপেক্ষায়
বিরহ নেমে আসে বৈশাখের আচমকা হাওয়ায়
আকাশে ভেসে আসে বিবর্ণ মেঘ
আমাকে কাঁদায়; কাঁদে স্বপন
আর আমার স্বপনের ঘর।।
/
।।মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।।
Samar Bhowmick Apr 2020
এতটাই ব্যর্থ মানব জীবন কেমন করে হলো
স্রষ্টা তুমি কানে কানে বলো আমায় বলো।।

নীতি শিক্ষা নেওয়ার আগে নীতি গেলো চলে
সকল শিক্ষা গেল কেমন ভেসে বানের জলে।।

শিক্ষা থেকে শিক্ষা নিবো সেই দুনিয়া চাই
পার্থিবতা গ্রাস করেছে মানবতা নাই।।

মৌলিক শিক্ষা ভয়ে পালায় নীতি ভ্রষ্ট্রের ভিড়ে
সততার হয় রক্ত ক্ষরণ আপন হৃদয় ছিঁড়ে।।

সভ্যতায় সুশিল অভিনয় সমাজ করছে গ্রাস
বিবেক বুদ্ধি বিকিয়ে দিয়ে চলছে জ্ঞান সন্ত্রাস।।

এমন যদি চলতেই থাকে দিন দুনিয়া মাঝে
স্রষ্টা ধরায় আসবে কেন আসবে কোন লাজে।।

সেরা জীবের সম্মান দিয়ে পাঠিয়েছিলো যারে
জ্ঞান বুদ্ধি খাটিয়ে কেমন ভুলে গেল তাঁরে।।

এখনও সময় আছে রে ভাই মানুষ হবে চলো
মানবতার শিক্ষা নিয়ে সত্যি কথাই বলো।

প্রাণের মাঝে ঈশ্বর দেখো প্রাণীকে ভাবো ভাই
প্রাণকে ভাবো সবার উর্দ্ধে তার উপরে নাই

জগৎ সেরা মানুষ হলেও সবার একই প্রাণ
জগতের কল্যাণে তাই জীবন করো দান।

স্রষ্টা থাকেন প্রাণের ভিতর সচ্ছ হৃদয় যাঁর
হৃদয় গুণেই স্রষ্টার দর্শন হবে নিশ্চই তাঁর।।

লোভ লালসা সিকেয় তুলে আকাশ পানে চাও
সেই আকাশে ঠিকানা তোমার দেহ ছেড়ে যাও।।

পৃথিবীর সব অটুট রবে তোমার যাবে দেহ
নিজের নালিশ মিটাবে নিজে সাহায্যের নাই কেহ।।

করোনার দিকে তাকিয়ে দেখো কাহার করুণা চাই
স্রষ্টার স্নেহ বিনে করোনায় বাঁচার উপায় নাই।।

পাপকে তাই ত্যাগ করে আলোর পথে আসো
প্রাণী জমিন আকাশ বাতাস সমান ভালোবাসো।।

আকাশ বাড়ি সংসার ছাড়ি থাকবে অনন্ত কাল
সেই কালের চিন্তা করে ধরো জীবনের হাল।

/
রাত, ল্যাব এইড, ঢাকা।
Apr 2020 · 39
আফসোস
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; তুমি অবাক হবে শোনে
দীর্ঘদিন
আমি মূল্যহীন ছিলাম
ভালোবাসা ছাড়া।
একমাত্র
তুমি
আমাকে কাছে ডাকলে
তোমার অসহ্য ভালোবাসা
আমাকে সতন্ত্র করেছে
স্বতন্ত্র করেছে
আমার বোধ বুদ্ধি বিবেক।
তুমি একমাত্র কারণ
জীবনের
আমি এখন অপেক্ষা করি
তোমার একটি শব্দের
একটি অঙ্গভঙ্গির।
তোমার উদাসীনতায়
চুর্ণবিচূর্ণ হই
মনে হয়
তোমার প্রতিশোধ
স্পর্শ করেছে আমায়।
তোমার হাতে
অল্প সময় ছিলো
আমার প্রাপ্তি
যদিও তোমার দেয়া
অন্তস্থ ভালোবাসা
সেই স্বল্প স্থানে্
চিরস্থায়ী আফসোস।।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; তুমিই আমার সবকিছু
এবং সব
আমি প্রেমে পড়েছি
শান্ত বাতাসের মতো
অন্তরের কষ্ট গুলো ঝাড়ুদিয়ে
ফুঁপিয়ে কাঁদছি
তোমার জন্য
অসহায়ের মতো কাঁপছে হৃদয়
মনের পাতায় তোমার নাম
বাতাসে তোমার গন্ধ
এর ঘ্রাণ
তুমি আশায় ছড়িয়ে দিয়েছো
কাছে থাকা
কাছে চাই
পাশে চাই আমার পাশে
আমার শুকনো মুখে
তোমার ধনুক ঠোঁটের ছোঁয়া চাই
চাই আমার কান্নার জলে
ধুয়ে ফেলো অভিমান।
Apr 2020 · 42
পূর্ণিমা
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; আর কতটা কাছে এলে পূর্ণ হবে সমাপ্ত জীবন?
জীবনের হাসি আনন্দ সুখ একাকার হবে চারিধারে
বর্ণিল ফুলের মতো জমা হওয়া স্মৃতির স্তুপ হতে
বাতাসে ভেসে আসবে তোমার প্রেম পুষ্পের ঘ্রাণ
ভালোবাসার বর্ণমালা স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হবে
সোনালী হৃদয়ের বর্ণিল আভায়।

আমার চোখে চোখ রেখে স্বাক্ষী হবে ভালোবাসা
হাতে হাত রেখে পূর্ণতা পেলে স্বপ্ন
উড়ে যাবে হৃদয়ের দগ্ধ ছাই
জড়ো হবে অন্ধকারে খসে পড়া আপন শব্দ গুলো।

আকাশ ছুঁয়ে উড়ে বেড়াবে অদ্ভুত ভালোবাসা
আর অনুভূতি অনুভবের দরজায় টোকা দিতেই
জমে উঠবে প্রেম সচ্ছ বরফের মতো
ছন্দ পতনের ছন্নছাড়া জীবন নত হবে
স্বপ্নের ঘোর ভেঙে দৃশ্যমান বাস্তবতা
মধ্যে রাতে জন্ম নেয়া প্রেমের লাভায়।

আমি তুমি পরস্পর হাতে হাত রেখে
অপেক্ষা মাড়িয়ে নতুন সৃষ্টির ভেতর
দেয়ালে ঝোলানো আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে
পূর্ণিমার চাঁদের শান্ত রূপালী আলোয়
ভালোবাসার প্রতিবিম্বে দেখে নিবো
আকাঙ্ক্ষিত জীবনের গল্প ।।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; তোমার শব্দ শোনলেই
প্রাণে সুগন্ধি ফুল ফোটে
হৃদয় বহমান রাখে সেই সুগন্ধি
শক্তিশালী করে আমার অপেক্ষার প্রহর
অজানা হতাশা থেকে মুক্তি দেয় অনবরত
আমার ইচ্ছার বার্ধক্য ছেটে তরুণ করে তোলে
আমাকে রুপান্তরিত করে বারবার।
সত্যি বলছি; অণু
এটা অলৌকিক ঘটনা নয়
তোমার শব্দ আমাকে দেয়
বারোটি মাসের একটি বসন্ত
বসন্তেই শরৎ বসন্তেই শীত বসন্তেই বর্ষা বসন্তেই ষড়
আর আমি অনুভব করি তোমায়।
আমার ক্লান্ত শরীর যখন ছুঁয়ে যায়
তোমার লতানো পঞ্চ পল্লব
আমি দুরন্ত হয়ে উঠি সকাল সন্ধ্যায়।
তোমার কাছে অলৌকিক মনে হলেও
তোমাকে বলি ;অণু
তোমার শব্দ স্পর্শে
আমার অন্তর জুড়ে সার্বভৌম শান্তির রাজত্ব
তোমার সেকেন্ডের একটি ছোঁয়ার জন্য
তোমার একটি শব্দের জন্য
আমি পৃথিবীর পাদদেশে অবিচল দাঁড়িয়ে।
Samar Bhowmick Apr 2020
আরে না অণু কিচ্ছু চাই না
এমন কি তোমাকে ভালোবাসী
তাও তোমাকে জানাতে চাই না
কোন প্রতিদান
কোন প্রয়োজন
কিছুই মেটাতে চাই না
কোন অভিমান ?
কোন স্নেহ ? তা ও নয়
কিচ্ছু চাই না বিনিময়ে
তোমার সাথে আমার কোন শর্ত নেই
তোমার সাথে আমার কোন সিদ্ধান্ত নেই
তোমার সাথে আমার কোন প্রস্তাব নেই
কোন লৌকিক লেনদেন নেই
কোন চাওয়া পাওয়া নেই
কোন যুক্তির দরকার নেই
কোন তর্ক নেই
সন্তনের স্নেহ
সম্পর্কের অধিকার
সমাজের কর্তব্য
আমি গ্রাস করে নেব?
তাও নয় অণু
আমার কাছে তোমার কোন দ্বায়বদ্ধতা নেই
তোমার কাছে আমার কোন প্রশ্ন নেই
কোন অবিশ্বাস নেই
কোন রাগ নেই
কোন অভিমান নেই
তোমার কাছে আমার ভরসার কিছু নেই
তোমার যে কোন প্রত্যার্পণে আমার কোন কষ্ট নেই
তোমাকে ভালোবাসি অবিকল ঈশ্বর
আশাহীণ নিষ্কাম কর্ম আমার
আমার কাছে তোমার কোন দোষ নেই
তোমার কোন অবহেলা নেই
তোমার কোন সংকীর্ণতা নেই
তোমার কাছে আমার কোন প্রাপ্তি নেই
কোন প্রাপ্য নেই
আমার অর্জনটুকু ছাড়া
তোমার কাছে আমার অধিকার নেই
আমার ভালোবাসায়
কোন শর্তের জন্ম নেই, মৃত্যু নেই
আমি ভালোবাসার শ্রমিক নই
আমি অণুর প্রেমিক।।
Samar Bhowmick Apr 2020
কত আনন্দ বেদনায় ধরিত্রীর দিনরাত গত
আধাঁর বাঁধার পথ পেরুতে হবে শত শত।।

জানি মনোবল হারালেই কেবল শূণ্য মানুষ
আলোকিত আঁধারে নিরবে হারাবো হুশ।।

ইচ্ছেরা মরে গেলে জীবন বলতে কিছু নাই
ইচ্ছে সবল সচল রেখে বেঁচে থাকা চাই।।

অজানা আঁধার পথে হেঁটে যেতে বহুদুর
ইচ্ছে জুড়ালো হলে সহসাই নতুন ভোর।।

বাঁধা পাড়ি দিবো শিখিবো দেখিবো নতুন কিছু
বুকে জড়ালে অজানা ভয় মানুষের জীবন মিছু।।

বুদ্ধি নিয়ে ধরনীতে এসেছি আছে জম্মের দায়
পৃথিবীর জন্য করিবো কিছু হৃদয়ে রাখা সায়।।

জগৎকে দিবো নতুন কিছু যাহা কল্যাণ কর
সকল প্রাণ আত্মিয় আমার কেহ নয় পর।।

সমুখে আসিলে কষ্ট নষ্ট জীবন ভাবিনি তো কভু
কষ্ট নিবেন নিজ হাতে তুলে পরিত্রান দিবেন প্রভু।।

ধরিত্রী জানোক মানুষ মানে মহান প্রাণ
মানুষ সভ্যতার বন্ধু-সখা মানুষে স্রষ্টা বহমান।

হৃদয়ে সত্য রেখে যোগ্য কর্ম করে যাবো প্রতিদিন
উচিতে বিশ্বাস বিবেক রেখে মিটাবো জন্মের ঋন।।

রাত, ল্যাব এইড, ঢাকা।
16 মার্চ 2020
Samar Bhowmick Apr 2020
মনুষ্যত্ব ভালোবাসা এত সহজ নয়
মনুষ্যত্ব ভালোবেসে লোভ কর ক্ষয়।।

পার্থিবতা মুল্যহীন মানব জনম বৃথা
বেঁচে রবে পশু তুল্য পশুর হবে মিতা।।

মানব জনম একবার আসে সত্য পথে চলো
সঠিক কাজটি করে যেও সবাইকে তা বলো।।

ধনী গরিব ছোট বড় একজনেরই সৃষ্টি
সকল প্রাণ আপন হবে রাখিলে এক দৃষ্টি।।

এক আকাশ এক বাতাস ভুলে কেন যাও
সম চাঁদ সম পানি সম আলো পাও।।

ভাষা গত তফাৎ যত কান্না হাসির নাই
স্রষ্টার দান সকল সমান তফাৎ কোথা পাই।।

অন্তর চোখে দুনিয়া দেখে পাড়ি দাও পথ
স্রষ্টা বিনে সাধ্য নাই সৃষ্টি করে মত।।

মতে মতে অমিল হলে বন্ধু ভাবটা রাখো
তোমার মতে তুমি চলে আপন স্রষ্টা ডাকো।।

বিশ্বাস করো স্রষ্টা দিলেন পথ জনে জনে
যাহার মতে সে চলিবে বিভেদ নাহি মনে।।

সাদা কালো লম্বা বেঁটে সব তাহাঁর সৃষ্টি
কে ঘৃণ্য কে আদুরে দিও না সেদিক দৃষ্টি।।

তাঁহার জগৎ যেমন খুশি আনন্দ যদি পান
আমরা কেবা করবো ঘৃণা তাঁহার অবদান।।

স্রষ্টার নির্দেশ মানতে হবে ভালোবাসে সব
মানুষ প্রাণী পাহাড় নদী পাখির কলরব।।

তবেই তিঁনি খুশি হবেন স্নেহ করবেন দান
মানবতার নিলে শিক্ষা পাবো স্বর্গের ঘ্রাণ।।

স্বর্গ ঘ্রাণ প্রাণে ভরে অহংকারী হই
মনে রেখো পশু হলাম মানুষ কিন্তু নই।।

শত বর্ষের মুজিব আজি মনে বাঁধোক বাসা
পূর্ণ হোক আমার তোমার মানুষ হওয়ার আশা।


মুজিব শতবর্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে
নতুন প্রজন্মের জন্য লিখাঃ-
17 মার্চ 2020
Samar Bhowmick Apr 2020
দুর্নীতি আজ ঘরের ভিতর
আপন জনের মাঝে
সবাই রইলো চুপটি করে
লোভ লালসার লাজে।

লোভের জিহ্বা কুকুরের সাথে
দিতেই পারে টেক্কা
কুকুর হাসে জিহ্বা দেখে
পায়না কোন ব্যাখ্যা।

বাবা খাচ্ছে ছেলের রুজি
সেজে নতুন জামাই
কিসে কোথায় করছে রুজি
জানেনা কিসের কামাই।

নীতির চিন্তা করতে গেলে
সুখ যাবে ফেসে
হারাম খাবার খাচ্ছে কিন্তু
দুর্নীতি ভালোবেসে।

স্ত্রী’র মুখেও প্রশ্ন নাই
চাওয়া মাত্র পায়
নীতির চিন্তা করবে কেন
মাটি ছুঁইনা পায়।

চোরা স্বামী অনেক ভালো
যুগের তালে চলে
সংসারে সুখ অটুট রাখে
বলুক যে যা বলে।

সন্তান বলে আমার বাবা
সবার চেয়ে সেরা
অবুঝ শিশু জানেনা তারা
পিতা পাপে ঘেরা।

সমাজ বলে সাহেব দেখেন
কেমন করে দান
দানের স্রোতে সব ভুলেযায়
সাহেব তাঁদের প্রাণ।

কিসের রোজগার সরকার জানে
আমাদের করার কি
সমাজ সেবায় থাকবে সাহেব
আমরা তুলবো ঘি।

এমনি করে দুর্নীতি আজ
রাষ্ট্রের কাঁধে বোঝা
সমাজটা ঠিক করা গেলে
দুর্নীতিবাজ সোজা।।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; তুমি জানো না
দিচ্ছি লিখায় ফাঁকি
করোনার আতঙ্কে আছি
ভাবছি ক’দিন বাকি।

মৃত্যু ভয়ে কাটছে দিন
সকাল দুপুর রাত
মনে মনে খুঁজে বেড়াই
স্নেহময় হাত।

ভাবছি আমি সবার কথা
দুনিয়া জুড়ে ভাই
কেমন ভাইরাস ছড়িয়ে গেলো
বাঁচার উপায় নাই।

এ কেমন স্রষ্টার খেলা
না তাঁর অবহেলা
বারে বারে খুঁজি কারণ
কেন এই হেলাফেলা?

মানুষ কোলে জন্ম নিয়ে
বিবেক বুদ্ধি হ্রাস
তাতেই কি এনেছি ডেকে
এমন সর্বনাশ?

চলো পৃথিবীটা শান্ত করি
সত্য শুদ্ধ হই
ভালোবাসা দিই সকল প্রাণে
অমানুষ যেন নই।

সৎ চিন্তা করি সবাই
অহংকার দিই বাদ
মানুষ নামের পশু হলাম
ঘুচে যাক অপবাদ।

নাহয় প্রাণ এমনি যাবে
অপমৃত্যূর হাতে
অহংকার সব গিলে খাবে
পাপ যাবে সাথে।

মৃত্যুর কথা ভাবতে চাইনা
ভাবায় করোনা
মৃত্যুর কথা মনে হলে
কিছুই বড় না।

সম্রাট রাজা ধনী গরিব
মৃত্যুর স্বাদে বাধ্য
স্রষ্টার সাথে পাল্লা দেয়
নেই কারো সাধ্য।

উত্তম মানুষ হযে দেখো
ভয় কিছু নাই
মৃত্যু হলেও অপঘাতে
স্বর্গ নিশ্চিত ভাই।

যায় প্রাণ করোনার হাতে
যায় যাক চলে
তোমারা তবু মানুষ হইও
বিদায়ে গেলাম বলে।।
Samar Bhowmick Apr 2020
বুকের ভিতর সীমাহীণ আকাশ
নিঃশ্বাস সেই আকাশের ঝড়
বর্শা বল্লম বা চাবুকের আঘাত
আমি দৌড়াচ্ছি প্রতিনিয়ত
মনের ভিতর জন্ম নেয় রাগ
আর হৃদয়ের ভিতর অণু।

আমি প্রত্যাখ্যান করি হতাশা
জানি মিথ্যা ভালোবাসা থেকে
সূর্য্য সমাহিত হলে
চতুর্দিকে বিশালাকার মেঘ
পৃথিবীকে অন্ধকার করে দেয়।

ব্যস্ততায় নিক্ষেপ করলাম নিজেকে
চোখে বৃষ্টি
অন্তরে শিলাবৃষ্টি
নিজের অজ্ঞানতাকে জাগ্রত করে
বইছে ঝড়ো হাওয়া
সকল ধ্বংস উপরে ফেলতে
কাদা চাই, চাই নরম পঙ্কিল মাটি।

মানুষ ঘৃণার পৃষ্ঠা না ভুলে
ভুলে যায় ভালোবাসা
ভুলে যায় হারানো ভাই
এভাবেই পথ ভুলে যায়
অকারণে বুদ্ধিমান হয়ে
নিজের কাছে নিজেই
স্বার্থ দাবি করে।
Samar Bhowmick Apr 2020
রঙিন কথায়
যথায় তথায়
দিয়ে তুমি ফুল
জীবন সীমায়
ভাবনা তোমায়
দেখাবে সকল ভুল।

ভুলের বিষে
আফসোস মিশে
ঝরবে চোখের জল
খুঁজবে একা
পথের দেখা
হারাবে মনোবল।

রঙিন কথায়
যথায় তথায়
করোনা কেহ ভুল
ভুলের মাশুল
করতে উসুল
পাবেনা কোন কূল।

জ্ঞানের আলোয় পথ দেখো
গুরুজনে শ্রদ্ধা রেখো
বিবেককে দিও মূল্য
আবেগ খুব অহংকারী
যথেষ্ট ব্যবিচারী
খুনী সমতুল্য।

যাচাইয়ে নিজের জ্ঞান
অণু’র মতো সপিও প্রাণ
মানবতার তরে
কুয়াশায় ভাসালে তরী
করে তরিঘড়ি
আটকেও যেতে পারে চড়ে।

আবেগে বুদ্ধিনাশ
ঢেকে আনে সর্বনাশ
বুঝবার সময় বুঝি নাই
ধীরস্থির ভেবে
সামনে এগুবে
সফলতা যদি চাই।
Apr 2020 · 29
শূণ্য
Samar Bhowmick Apr 2020
সবই দিলে শূণ্য করে
পূর্ণ কি আর হই
ঋণী আমি; ব্যাধিগ্রস্ত
বিকারগ্রস্ত নই ?

দিতে চেয়ে নিয়ে নিলাম
পূর্ণতা দূর আশা
কাড়াকাড়ি কেড়ে নিয়ে
কেড়েছি হতাশা।

ভালোবাসায় লোভ এসে
করেছিলো বশ
স্বার্থ জলে সাঁতার কেটে
স্বপনের ধস।

বুঝবো বলে বুঝিনি কিছুই
হৃদয়ের চাষ
সবই নিলাম শূণ্য করে
নিলাম সর্বনাশ।

নেওয়ার সাধ ব্যাধি তুল্য
দেওয়ার সাধ মুক্তি
বুঝেছি আজ অস্ত বেলায়
হারিয়ে সকল যুক্তি।

পাওয়া মানেই লাভ নয়
দানেই পরম সুখ
মোহের ঘোরে কাটলো বেলা
অর্জিত অসুখ।

সবই দিলে শূণ্য করে
কৃপণতা হীন
ঋনের ভারে নু্হ্য আজি
বিকারগ্রস্ত; দ্বীন।

স্বর্গ সুখের স্পর্শে থেকে
করেছি কত ভুল
ডগায় যেন ঢেলেছি জল
কেটে দিয়ে মূল।

শান্তির আশায় ভ্রান্ত পথে
করেছি দিন গত
প্রাপ্য তুমি মিটাতে দিও
ঋণ করেছি যতো।

অণু অণূ ভালোবাসায় প্রাণ
হৃদয় ভরে আজ
প্রাপ্য তোময় মিটিয়ে দিতে
নাহি কোন লাজ।

ক্ষমা করো যদি পারো
নিজ গুণে তুমি
দিতে চাহি অন্তর মম
তব পদ চুমি।

সাথে থেকে সাথী হয়ে
করো আমায় ধন্য
বুঝেছি আজ বন্য আমি
শূণ্য মহাশূণ্য।।
Samar Bhowmick Apr 2020
মনের ঠিকানা নেই
উদ্দেশ্যহীন গন্তবে নিরন্তর উড়ে চলা
অণু’র দ্বারে কড়া নেড়ে পড়ে শোনাই
খাম খোলা বিবেকের চিঠি
অন্ধ চোখ বন্ধকরা অতীতের
বিশ্বাস ভালোবাসায় নিপূণ গল্প
ধ্যান আর জ্ঞানের আশ্রয়
বেচেঁ থাকা ভালোবাসাময় কাশবন।
সন্দেহ অবিশ্বাসকে সাথে নেইনি কখনও
রাতের আঁধারকেও বাহারী রঙে দেখি
যখন অণু আমার ভাবনায় সত্যের সাজে
জানি দিনের আলোয় রাস্তার পাড়ে বসে
পুরুষ বেশ্যারা লজ্জ্বাহীণ বলবে প্রেম
তাদের ঘৃনার তী্ব্রতায় লজ্জায় মাথা ঢাকবে গর্ভধারিনী।
ভুলের শুরু কোথায় কারো জানা নেই
কখনও না কখনও জ্বলবেই সেই আগুন
কিন্তু মাশুল নয় বলি অর্জন
এমনই জ্বলছি ভাট্টির আগুনে
তবু ফিরতি খাম খুলে দেখি: প্রেম
জানতে চাই অণুর কাছে
বার্তায় কি অর্জন আছে আমাদের।
মেয়াদউর্ত্তীর্ণ সময়ের ভালোবাসায়
অণুর অন্তরের গল্প আমাকে ভালোবাসে
দেখায় হৃদয়ে মানবতার নানা অলি গলি
আলোর আশায় জোনাকীর আশ্রয় চাই
যে যন্ত্রনায় যৌবন পুড়েছে;
পুড়েছে সকাল দুপুর বিকেল
কিছুতেই সেখানে ভালোবাসা ফেরাতে পারি না
উপহার দিয়েছি নিয়ম জড়ানো লাশ।
সুখময় স্মৃতির অতীত নেই
আছে অন্ধ বোবার তীব্র যন্ত্রনা
বার্ধক্যের কাছাকাছি ছিড়ে যাওয়া জীবনের জমিনে
এখন অণুর সুতোয় দু’একটি রঙ্গীন আল্পনা
কল্পনায় ভাসে, সুঁচের আঘাত ছুঁবে না কখনও
শুধু হৃদয়ের ভাজেঁ লুকিয়ে রাখা।
দীর্ঘশ্বাসের ঘরে যায় আসে প্রেম
মনের বারান্দায় দায়িত্বের বেড়াজাল
আনমনা বিশ্বাস অণুকে ভালোবাসে
অবিরাম পাওয়ারী চশমায় খুঁজে তার হাসিমুখ
বুকের জমিনে চাষকরি ভালোবাসা।
হোক ভুলের হোক ঘৃনার হোক কষ্টের হোক বেদনার
নিতান্তই আমার ভালোবাসা
পথের পাড়ের বেশ্যাদের কথায়
আমার কিছু যায় আসে না।
আমি বুকের সিন্ধুকে সাজিয়ে রেখেছি
অণু সুখের চিঠি
সময় মতো তুলে নিও
খামভর্তি ভালোবাসা।
Apr 2020 · 51
শিরোনাম
Samar Bhowmick Apr 2020
আষাঢ়ের বৃষ্টি ভেজা রাত
খাটের উপর ক্লান্ত মুখে শুয়ে
বলি দিতে হাজারো স্বপ্ন
ঘুরে বেড়াই বন পাহাড় জল
আলোচনা পরিকল্পনা নিরব সংলাপ
একাকী…
অণু; কি অদ্ভুত দ্যাখো
আমি তোমার কথা শুনতে চাই
তোমার অবয়ব নাক ঠোঁট গাল কন্ঠস্বর
অবাস্তব…
সার্বভৌম সময় প্রবাহিত হয় মনখারাপের দিকে
সভ্যতার দরজা বন্ধ
অথচ এর মধ্যে আমাদের প্রেম
জ্বলে উঠে ঝলমল ঝকঝকান
নিরব আধাঁরে ঢাকা উপচে পড়া শুভেচ্ছা
এবং তোমার চোখ মুখ হাস্যউজ্জ্বল চেহারা
তারপর তুমি আর তোমার মধ্যে
আমি দ্রুত ঘুরে বেড়াই
কখনও দূরে
কখনও জীবনের শিরোনামে
যা মায়ের মতো সীমাহীন।।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; তুমি নির্বাচিত
আমার অদৃশ্য হৃদয়ে
যদিও তুমি আমার মতোই একা।
তুমি ও তোমার মুখ
তোমার যত্নময় ভালোলাগা
অথবা তোমার শুকনো অশ্রু
তোমার কান থেকে বেড়িয়ে আসা উষ্ণ বাতাস
তোমার জীবন যুদ্ধ
সবকিছু ভালোবাসি
শুধু ভালোবাসি অকারনে।
তোমার সুমধুর কন্ঠস্বর
স্নেহের মায়াময় ঘ্রান
আমার কাছে যাদু।
তুমি তোমার; তবুও
তুমি জাগ্রত।
তাকিয়ে দেখ চারিদিকে
আমি ও আমার অনন্ত ছায়া
যেন সমুদ্রের উপাসনা করছি
তোমার প্রাণ তরঙ্গে
কখনও মৃদু হাওয়া বইছে
দুলছে তোমার চুল
কখনও ঘুর্ণিঝড়।
তারপরও আমি তোমার চোখে
আমার দৃষ্টি রাখি সযতনে
চাই পরিস্কার উচ্চ আকাশ
সীমাহীন দুরত্বে থাকুক তেজস্বী সুর্য
সুর্যের উষ্ণ তর্জনী থাকুক আরো দুরে
হৃদয়ের উষ্ণতায় পরিবর্তিত হোক কক্ষপথ
কেন্দ্রময় সোনালী প্রেমের আভায়
পরিবর্তিত হোক সৌর জগতের দুঃখিত বলয়।
আমি আজো অপেক্ষমান
সাদা ফুলে সাজিয়ে রেখে ডালা
তোমার স্পর্শে পূর্ণ হোক অণু
আমি তুমি আর সুর্যের পৃথিবীতে
প্রাণ ফিরে আসুক একসাথে
নির্বাচিত ও নির্বাসিত জীবনের ।।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; তুমি এক সুক্ষাতি সুক্ষ নারী
তোমার পায়ে ঠাই নিতে অসংখ্য পুরুষ দাঁড়িয়ে
কিন্তু যাঁর বুকে শুধুমাত্র তুমি আছো;
অথবা যে তোমার,
সে সত্যিই সুখি দ্বিধাহীন সুখে।

অণু, তুমি এক অনন্য সুন্দরী
তারুণ্যের জন্য নয়
পরিমিত স্বাস্থ্যের জন্য নয়
সরল ত্বকের জন্য নয়
আকর্ষনীয় চুলের জন্য নয়
কেননা তুমি আত্মসুন্দরী নারী;
তোমার সরল হাসি পরামর্শ মানুষকে সুখি করে।

অণু, তুমি মহা-মুল্যবান নারী
পরিচিতির শিরোনামের জন্য নয়
শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য নয়
সামাজিক অবস্থানের জন্য নয়
রাজনৈতিক ব্যাপ্তির জন্যও নয়
তুমি অন্যকে সুখি করতে নিজের স্বপ্নকে উৎসর্গ করো।

অনু, তোমাকে আমি সুক্ষ নারী বলতেই ভালোবাসি
সে তোমার উৎসাহের জন্য নয়
ভালোবাসার বিচিত্রতার জন্য নয়
অনুভূতির প্রাচুর্যের জন্য নয়
কেননা তুমি ভালোবাসো সরল বিশ্বাসে সকল প্রাণ।

অণু, তোমাকে আমি আত্মসুন্দরী বলি
দৈহিক আকর্ষণীয়তার জন্য নয়
সৌন্দর্য এবং কমনীয়তার জন্য নয়
অঢেল প্রশংসা প্রাপ্তির জন্যও নয়
কেননা তোমার চরিত্রে এবং উদ্দেশ্যে বলিষ্ঠ দৃঢ়তা।

অণু, তোমাকে আমি আত্মসুন্দরী বলি
কেননা তুমি একজন শুধুই মানুষ
সকল প্রাণকে সুক্ষ স্নেহে মূল্যায়ন কর
প্রেমে অভিভুত সমাজ; সর্বদা
তুমি সর্বাগ্রে মূল্যায়ন কর মানবিকতা
শিরোনাম নয় তুমি ভালোবাসো মানবতা।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; তোমার কি যে হলো
ভাবছি সদাই আমি
মনের মনে তোমার সাথে
কাটছে দিবাযামী।

মনে রেখে বারো মাস
আরো কাছে চাও
এ তো দেখি ভোলা রুগী
বদ্যির কাছে যাও।

হেলা করি প্রাণে রাখো
এ কেমন কথা
অন্তরে প্রেম জড়িয়ে রাখি
বলো যাহা ব্যাথা।

মন প্রাণ সপে দিয়ে
ভালোবাসা শেখা
ভালোবাসায় ডুবিলে মন
জনাকীর্ণেও একা।।
Apr 2020 · 42
আসক্তি
Samar Bhowmick Apr 2020
তোমার উষ্ণ বুক আমাকে টানে নির্দ্বধায়
আমি কামনার উর্ধ্বে নই অণু
কোন সাদৃশ্য খুঁজি না তোমাতে
তবু চাই তোমার সমুদ্র কামনার সাতাঁর।

তুমি উত্তাল জলোচ্ছ্বাস হয়ে ভাসাও
রক্তিম ঠোঁটে দাও মুক্তির প্রেরণা
তুমি সৃষ্টির দেবী
তোমার নারীত্বে আমার বৈকুণ্ঠ ধারণা।

বজ্র ভয়হীন আমি
কামনার হৃদয়ে তোমার টান
অনুভবে মিশে থাকো তুমি; নিশিদিন
ঝরণাধারা মিশে নীল সাগরে।

তোমাকে ঘিরে ভাবনা সাজাই
স্বপ্নের ঘোরে খুঁজি চঞ্চল আদর
হিংসুটে প্রেম প্রেরণায় অশ্রু ঢালে
তবু অপূর্ণ কল্পনায় অমরতা চাই।
Apr 2020 · 43
অতুষ্টি
Samar Bhowmick Apr 2020
শানবাঁধাই সেই পুরনো দিঘির ঘাটে বসে
চৈত্রের পরন্ত বিকলে
ভেবেছিলাম কথা বলবো তোমার সাথে।

দখিনা হাওয়ার দোলবে দিঘির শান্ত জল
ঝাঁকে ঝাঁকে হাঁসের সাঁতার
ঝরা পাতার মর্মর শব্দের আর্তনাদ
মুছে দিবে কোকিলের স্নেহময়ী সঙ্গীতে।

বুক পকেটে সাজিয়ে আনবো কথামালা
খোপায় রক্তজবা গুজে কথার দুয়ার খুলবো
রক্তজবা ঘ্রাণ ছড়াবে ভালোবাসার
কথামালার ভাঁজে ভাঁজে তোমার স্পর্শে
দাগ কাটবে মনের গভীরের মনে।

চোখের কপাট খুলে শব্দহীন কথা হবে কিছুক্ষণ
মৌনতায় মৌনতা জড়িয়ে আবেগের বাড়ী
অনুভূতির বিনিময়ে নিরব উষ্ণতায়
দীর্ঘশ্বাসে দীর্ঘশ্বাসে হবে মত বিনিময়।

অণু, নীরব কথোপকথনে তোমার মনে হবে
গোপন কালিতে লিখা আমাদের গল্প
আমাদের গোপন প্রেমের উপাখ্যান
সময়ের গর্ভে সময় হারালে হবে আরো মুল্যবান।

তুমি ইচ্ছে করলেই বলতে পারো অণু
আমাদের ইচ্ছেটাই হৃদয়ের একান্ত গল্প
রাগহীন ঘৃনা হীন কোন বসন্ত পিয়াস
স্বর্ণালী অবয়বে প্রেমের নশ্বর বার্তা ।

তবু আমার ইচ্ছে করে একবার বসি মুখোমুখি
শানবাধাঁই সেই পূরূনো দিঘির ঘাটে
তোমার অনুভূতি ঘিরেই প্রতিজ্ঞা সাজাই
পাঠাই তোমার অন্তরের অন্তঃপুরে।।
Samar Bhowmick Apr 2020
করোনা’র করুণ সুরে
কেঁপে উঠা দেশ-মহাদেশ
এখনও বেঁচে আছি
এখনও আছি বেশ।

করোনা’র করুণ আহাজারি
অজস্র হৃদয়ের আত্মচিৎকার
ঈশ্বরে ডেকে বলি
সভ্যতাকে দাও ছাড়।

অজানা আতঙ্ক প্রভু
করো তুমি দূর
সভ্যতাকে দাও উপহার
শান্ত সুশীল ভোর।

নিদারুন সময়ে সভ্যতা
আতঙ্কে স্তম্ভিত বুক
জীবনের হাজারো ব্যর্থতায়
সুখ দেখেনি দু’চোখ।

সুখ খুঁজতে গিয়ে
দেখেছি শুধু অসুখ
করোনা বুঝিয়ে দিলো
বেঁচে থাকাই সুখ।।
Apr 2020 · 57
আর এক আমি
Samar Bhowmick Apr 2020
একদিন তোমার সাথে কথা বলবো অণু
একেবারে হাটুগেরে বসবো সামনাসামনি
তোমাকে অনুভবের নদী বানিয়ে
ঊড়বো আকাশের নীলে।

একদিন তোমার চোখে তারা গুনবো অণু
গুনবো পাপড়ির করতালি
দেখবো কতটা মায়া বিলিয়ে
অন্তরাত্মায় জ্বালে মায়ার আলো।

একদিন সবচেয়ে প্রিয় বাক্যটি বলবো অণু
তুমি বিহ্বল আনমনা হলে
যদি দোলা দেয় শিহরিত সবুজ
খোপায় গুজে দিবো কুমারী ফুল।

একদিন তোমাকে প্রশ্ন করবো অণু
যদি বুকের পাঁজর ছিড়ে বিশ্বাস উৎরে উঠে
যদি বুঝতে পারো স্বপ্নরা অবুঝ
যদি বলে উঠো হৃদয়ে অবুঝ থাকুক প্রেম।

আমি বুঝে নিবো শেষ উত্তরে
তুমি অনুভূতির ভিতর অনুভব
তুমি আত্মার ভিতর অন্তরাত্মা
তুমি আমার ভিতর আর এক আমি।।
Samar Bhowmick Apr 2020
লোভির চোখে দেখোনা নদী
দেখোনা নদীর জল
যতই জোয়ার উৎলে উঠুক
করুক যতই টলমল।

নদীর কূলে বসো বন্ধু
জল ছুঁইও না তার
অথৈ জলে ডুবে গেলে
উত্তরণ নেই আর।

গভীর প্রেমের প্রাসাদ গড়ো
অন্তরের ভিতর
নদীর জলে তলিয়ে গেলে
অশুদ্ধ গতর।

কারন জেনে বারণ শোন
আবেগ করো নিয়ন্ত্রন
নদীর জল তোমার হবে
হলে নদী আপনজন।

হরণ করা মনকে বলো
ধৈর্য্ যেন রাখে
তোমায় জীবমৃত করার আগে্
ঈশ্বরে যেন ডাকে।

বেঁচে থেকেও মরণ হয়
মরন মানে লাজ
আবেগের বেগ সামলে দিও
করোনা এমন কাজ।।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; ইচ্ছে করে ফাগুনে হারিয়ে যাই
তোমার স্নেহের তরল আগুনে
ফাগুনের উতলা হাওয়ায়
বিলিকেটে উড়াই তোমার এলোচুল
কর্ণকুহরে গোপনে বলি ভালোবাসি।

ইচ্ছে করে দীর্ঘশ্বাসে ডালিতে জ্বালাই
ফাগুনের বর্ণিল আগুন
অবিরাম নেচে যাওয়া অলিন্দে
প্রাণের প্রবীণ প্রেমের গহিনে।

ইচ্ছে করে তোমার কন্ঠে কোকিল সুর
ঝঙ্কার তুলুক আত্মার পরতে পরতে
তোমার রস-রঙ্গচ্ছটায় রাঙ্গিয়ে
বসন্তের বর্ণিল বর্ণে হারাই অবুঝ মন।

ইচ্ছে করে তোমার ছোঁয়ায়
দুর্দান্ত ঝড় আসুক অন্তরাত্মায়
প্লাবন আসুক মহাসিন্ধুর সরল জলে
বান আসুক প্রানের সবুজ প্রান্তরে।

ইচ্ছে করে শিমুল পলাশের শাখায়
রক্তিম লালের সুসুভিত ঘ্রাণে
অনুভবের সর্বনাশ ডাকি
তোমার ছোয়ায় উন্মত্ত ফাগুনে।
Next page