Submit your work, meet writers and drop the ads. Become a member
Jun 2020 · 74
তন্তুর রঙ
Samar Bhowmick Jun 2020
অণু দম্ভ ভরে তুমি আনন্দ করো
লিখে যাই হৃদয়ের পাতা ভরে
ভালোবাসি তোমায়; ভালোবাসি।

আজকের নতুন প্রভাত স্বপ্ন বিভোর আগামীর
আনন্দ উদয় হওয়া গানের কলি
আত্মাকে জড়িয়ে রেখেছে।

তোমার বুক জড়ানো উড়নার মতো
প্রেম জড়ানো উষ্ণতায় অঙ্কুরিত হয়
উষ্ণ শব্দাবলী- প্রেমের পাঁচালী।

আগাছায় আবৃত উদ্যানের মতো-
আমার অজস্র নিরাপরাধ আবেগের মধ্যে
ভালোবাসি শব্দের সৃষ্টি।

ভালোবাসা হৃদয়ের জ্বলন্ত গোলক
আলোকিত করে উদ্যত প্রেম
অন্তরে উষ্ণ করে তোমার চিহ্ন গুলো।

এবং অন্ধকার সভ্যতায় আগুন দিয়ে
শিখা অনির্বানের মতো জ্বালায় সমাজ,
জ্ঞানের নির্মোহ আলোয়।

প্রেম পৃথিবীর সবচেয়ে শিক্ষনীয় খেলা-
যা আমার ভিতর লুকিয়ে ছিলো.
তোমাকেও ছেড়ে যায়নি।

শৈশবের বন্ধুত্বের মতো
শিশুর হাসির মতো-
আজকের আচরণে প্রদর্শিত শব্দ আমার।

যখন তোমাকে প্রেমিকার চেহারায় দেখি
নতুন করে খননের মতো
নাব্যতা হারানো নদী।

তুমি উল্কা উজ্জ্বল আলোক শিখা
উপস্থিত আলোর একটি বলয়
কিন্তু তারপরেও আত্মাকে বেধে রাখি।

মূর্খ মস্তিস্কের কটুক্তিকরা শব্দের ধাঁধাঁয়
তাঁদের হাস্যকর হাসি
শয়তানের হাততালির মতো বাজে।

কিন্তু অদৃশ্য আত্মা তোমাতেই ফিরে যায়
ধরা বাঁধাহীন অনঢ় বিশ্বাস গরিমায়
দ্রুত উপস্থিত হয় তোমাতেই।

চেতনায় প্রবাহিত তোমার প্রেমের সাঁতার
ভালোবাসতে শেখায় ব্যর্থতাহীন-
বরফের মতো শীতল চিন্তা ধারায়।


যদি কোন দিন কথা নেই জীবনে
যদি আলো নেই সভ্যতার বাগানে
তবু কোন হতাশা নেই প্রাপ্তির।

এবং নির্জন রাত যদিও অন্ধকার
কোন ভয় নেই অনুভবে-
তন্তুর রঙের মতো আমাদের প্রেম একাকার।
Samar Bhowmick Jun 2020
অণু; আসবো এখন?
লিখে দিতে-
অকস্মাৎ ধুকধুকে প্রাণের
নতুন ইতিহাসের বর্ণিল বর্ণ
সামান্য শব্দে-
রক্তিম লাল খাতার পাতায়
প্রেমের ছোট্ট কবিতা।

নোনতা শব্দের-
অসামান্য উত্তাল ঢেউ
সহস্র মৌপাখির জমানো রসে,
সবুজ উদ্যানের মতো
লিখে দিতে-
দু’কলম ভালোবাসার কবিতা,
আসবো এখন?
Samar Bhowmick Jun 2020
তোমাকে অভিনন্দন অণু
স্বাগত জানাই-
হ্যাঁ এখানেই বসো-
এই নরম কেদারায়,
এটাই আমার অন্তরের নিরাপদ ঘর,
এখানেই বসবাস প্রশ্রয় দেয়া মনের আত্মা হৃদয়-
আর; আয়না থেকে থসে পড়া তোমার ছবি
স্নেহ মায়ায় জড়ানো প্রেম।

হ্যাঁ।বারো জোড়া হাঁড়ের খাঁচার ভিতর
ওটাই আত্মার নিরাপদ আলমারী-
ঐ যে- একটাই চাবি,
শুধু তোমার-
খোল, তোমার ইচ্ছে মতো খোল-
তাক থেকে প্রেমের চিঠিগুলি নামাও,
একটা একটা করে দ্যাখো-
দ্যাখো-তোমাকে হৃদয় দিয়ে চিনি
প্রাণের শ্বাশ্বত প্রেমের জন্য-
অনুভব অনুভুতির দীর্ঘ জীবনের জন্য,
যদি তুমি উপেক্ষাও করো আমায়-
সমস্ত জীবন তবু তোমার জন্য।

আমি সেই অপরিচিত ব্যক্তি
যিনি তোমাকে ভালোবাসে-
যিনি মানবীয় মায়াময়তাকে ভালোবাসে
তোমার চঞ্চলতা ব্যর্থতা; কিংবা
হিংস্রতা ঘৃণা নিন্দাগুলোকেও ভালোবেসে
নিজের কাছে রাখে হৃদয়,
পছন্দ অপছন্দের ধার দেনায়-
শব্দ স্নেহ দৃষ্টি স্পর্শের সাথে,
তোমার ফেলে দেওয়া নিঃশ্বাসের ঘ্রাণ।

অণু তুমি এ দিকে তাকাও-
এই যে এইখানে দ্যাখো-
তকতকে মেরুন লাল অভাবী হৃদয়,
প্রত্যেক বার এখানেই তোমাকে স্বাগত জানায়।
দ্যাখো, আর ওপাশটায়-
নিকোটিনের ধোঁয়ার ঝড়ে বিবর্ণ ফুসফুস,
বিষ শুষে নেয় অজস্র ভালোবাসায়-
কর্মঝড়ে নানান তান্ডবের মাঝে,
আহারে নিদ্রায়-
আনন্দ আহ্ণাদে সহস্র চিন্তায়-
আমার নিজস্ব দরজায় তোমাকে স্বাগত জানাতে,
গালে হাত রেখে বসে থাকে সময়।।
Jun 2020 · 37
নোঙ্গর
Samar Bhowmick Jun 2020
বসন্তের ফুল বৃষ্টির জল ভোরের শিশির-
অনুভবে অনুরোধ করে অণু’কে ভালোবাসতে,
ক্ষুধার্ত হৃদয় আত্মা অন্তর মখমলে মন-
অপেক্ষা করে অণু’র আগমন।
রাতকে তুচ্ছ করে অনূভুতির মিছিল-
আমার খালি হাতে গুজে দেয়,
পান্না রুবির স্বপ্নময় শুভেচ্ছা গুলো।

আত্মা বিদ্রোহী হয়ে উঠে বিবেকের নিরবতায়্
ইচ্ছেমতো অনিচ্ছায় উদ্বেগ বাড়ায়-
সোজা পথ খুঁজে গোপনে্,
ঐশ্বরিক ভালোবাসার পবিত্র পূণ্য পথ।
আমার আকাঙ্খাকে উচ্চাকাঙ্খা করে তোলে,
অণু’র কন্ঠস্বরের স্বর্ণিল মোহময়তা-
সবুজ নীল নতুন বিদ্রোহী চেহারায়।

অণু’র মুখে সুখের বিমূর্ত শব্দটি শুনে
মাতাল শিরাগুলিতে জ্বলে উঠে রক্তাক্ত আগুন,
সংযুক্ত শক্তিশালী আত্মার শুভেচ্ছা ভালোবাসায়
অণু’র নির্দোষ সৌন্দর্যের হীরক হাসিতে-
শীতল প্রেমের ছোঁয়ায় আমার সাদা আকাঙ্খা,
শুদ্ধতায় তোলে নকশীকরা আত্মহারা ঢেউ,
বিড়বিড়িয়ে কথা বলে প্রাণের সাথে মন।

আত্মা মন প্রান অনুভবের মিছিলে-
প্রেমের আশ্চর্য লাল সূর্যের শিখা জ্বালায়,
সেকেন্ডের সহস্র ভাগ আমাকে নিয়ে যায়
অণু’র অন্তরের দুঃথিত শৈবাল সমূদ্রে।
সীমাহীণ ভালোবাসার গহ্ববরে রৌপ্য অনুভূতি
চিন্তনের সাথে সুখ পাখি হয়ে উড়ে-
অন্তরের প্রাচীরে ঘোরাঘুরি করা অব্যক্ত শব্দ
এবং স্নায়ুকোষের জ্বলন্ত আকাঙ্খা গুলো-
জাঁকজমকপূর্ণ নোঙ্গর করে অণু’র শৈবাল সমুদ্রে।।
Jun 2020 · 40
ডুবে যাবো
Samar Bhowmick Jun 2020
একান্ত আপন নির্জনতায়-
বন্ধ ঘরের বিবস্ত্র অন্ধকারে
দৃষ্টিতে ভালোবাসার তারা উন্মোচন করি
পরিশ্রমী মন চোখ অনুভুতি অনুভবে
আত্মায় অবিরাম ক্রন্দনের কম্পনে
পৌঁছে যাই লাস্যময়ী অণু’র জ্বলজ্বলে আলোয়-
কান্নাকাটিরত হৃদয় আশা’র প্রার্থনা করে
জীবন যেন জীবন শিকারীদের শিকার না হয়।

আমাকে অপেক্ষা করতে শেখায়-
প্রেমের শেষ আনন্দ জানা পর্যন্ত
আমি নতুন রূপে প্রতিজ্ঞা করি প্রতিদিন
ধৈর্য্য এবং পরিশ্রমকে সঙ্গী করি,
বর্ণিল সুখের সোহাগী প্রেমের আশায়-
অণূ’র চোখে ত্যাগী ভালোবাসার অমৃত বার্তা পাঠাতে
পদব্রজে ভ্রমন করে যাই জীবনের চৌচির পথ
যতদিন প্রতিদিন নতুন দূরত্বের ধাঁধাঁ।

এবং অন্তরের কর্কট ব্যাথা ধুপের আগুনে ঢেলে
বাতাসের মতো অবিরাম যাত্রায়-
অন্বেষণ করে যাই নতুন অবস্থান
সন্ধান করে যাই অণু’র নিরাপদ নিঃশ্বাস,
জীবনের দীর্ঘ পথের বাঁকে বাঁকে-
স্বতঃসিদ্ধ ভালোবাসার জোয়ারের টানে
দুঃসাহসিক অপেক্ষায় যাত্রা আমার।

একদিন আকাশ থেকে আনন্দের বৃষ্টি ঝরবে
জ্বলজ্বল করে জ্বলবে নীলাভ তারা,
রাত ফেটে পড়বে কম্পমান প্রাণের খাঁচায়
আনন্দ আরামের অনুভবে-
অট্ট হাসি হাসবে বুকের শীতল পাহাড়,
যতদিন বাঁচিনি আমি-
মৌসুমী হাসির শব্দ গুঞ্জনে; বাসন্তি কর্ণকূহর
যতদিন দেখিনি-
ব্যাথা এবং আনন্দের যুগল জোড়া,
প্রস্তানহীন সময়ের জের।

এবং উজ্জ্বল সৌর আলো দেখে দেখে
অনুভব করবো অণু’র মায়াবতী উষ্ণ বাতাস,
আত্মার দরজা খুলে মন ঘুরে ঘুরে-
দেখবো অণু কোথায় আছে,
কোথায় অবসান তার যাতায়ত
ভয়ের সমস্ত সন্ত্রস্ত চিহ্ন বহুদূরে তাড়িয়ে,
অণ’র মুক্ত স্বাধীণ আত্মায়-
যেতে যেতে ক্রমশ ডুবে যাবো।।
Samar Bhowmick Jun 2020
অণু গ্রাস করেছে আমার নিঃশ্বাস
বাকযন্ত্র হৃদপিন্ড ফুসফুস-
মনে রংধনুর উল্কি ছড়িয়ে
গ্রাস করেছে ভালোবাসা স্নেহ প্রেম
সদা সর্বদা দখল করে নিচ্ছে আমায়।

অণু’ই একমাত্র মায়াবতি রহস্যময়ী নারী
অপার রহস্যে গ্রাস করেছে
আমার কবিতা-
কবিতা লিখার খাতা কলম,
তাঁর মানবীয় গুণের বহুময়ী সৌন্দর্য্
দখল করে নিচ্ছে আত্মার ঘর বাড়ী সব।

অণু ছাড়া এখন হৃদয় যত্নহীন,
অসাড় অসীম-
প্রেম বলতে যা জেনেছি আজও; তাঁকেই
অর্ধেক জীবনের আদর বিশ্বাস,
আমার বরফ জ্বলা আগুন।

অণু’ই আমাকে গলিয়ে বিদ্রোহী করে তোলে
তাঁর জন্যই উপসনা করি;
পবিত্র হয়-
আমার নির্বাচিত প্রেম,
নির্বাক নিস্তব্ধতা।

অণু’র মখমলে মায়া ছুঁয়ে জড়িয়ে থাকে আত্মা
অযৌক্তিক চিন্তন চিৎকার করে,
অন্তরে মননে-
ভাবনার পোষাক পড়ায়
আমার অন্তর্ভূক্ত নাজুক ভালোবাসা।

অণু তোমার কোন ধারণা নেই-
তুমি বিস্মিত হবে আমার রেশমী চিন্তধারায়,
উপচে পড়া মুহুর্তে তোমাতেই ভালোবাসার জাঁকজমক অর্পণ,
শিরায় ঢেলে দেয়া তোমার মানবীয় স্নেহে
স্বপ্নভর্তি আমার রুবি সিল্কের প্রেম।

তুমি ভালোবাসার উন্মাদনাকে বিদ্রোহী করে তোল
ক্ষুধার্ত আত্মায় প্রবাহিত চুম্বনের মতো
জলে স্থলে আগুনে বাতাসে-
প্রকৃতির সকল কোনায় কানায় তুমি,
একই রকম আমার-
আত্মা-সঙ্গী-প্রেমিক।
Jun 2020 · 67
প্রেম
Samar Bhowmick Jun 2020
রক্তস্রেতে লুকানো বজ্রপাত
জ্বলজ্বলে প্রাণে জীবনের অনুভব
অন্তরের অন্তস্থলে উঁকি দেয়া
চাটুকার অনুভুতি।

আনন্দে ভিজে যাওয়া
সমস্যা গলে যাওয়া আত্মার
অনন্য কৌতুহলী আলোক রশ্মি
মখমলে মেজাজ।

জীবনের ব্যাথা এবং আনন্দে
শুকিয়ে যাওয়া অশ্রু জলে
মুগ্ধকর অমৃত হাসি
ব্যাথা ধোয়া রোদ।

আত্মায় পরিস্কার আকাশ
দেবদূতের সৌন্দর্যে কামনা
চোখে পুষ্পধারী রংধনু
অদেখা অচিন স্বপ্ন।

এক অবিনশ্বর সংগীত
মিষ্টিময়তায় আত্মার গান
যে স্বরলিপি অন্তরে বাজে
অবিরাম অফুরান।

মধুময় ঐশ্বরীক তরঙ্গ
হৃদয়ের উষ্ণ চঞ্চল ঢেউ
যাকে প্রেম বলি অণু
তোমার আমার।
Samar Bhowmick May 2020
তোমার সম্পর্কে লিখে যাই অণু
এবং তোমাতেই সম্ভবনা
আনন্দ ব্যথা তোমাতেই সংযুক্ত
শরীরে সাতাঁর কাটা প্রেমের নীল রস
আত্মায় ডুবিয়ে দেয়া বসন্ত বাতাস
মনের বাগিচায় ফুল কলির মিছিলে
বার বার অবিরাম তুমি।

আমি কে ছিলাম
কখন কেমন ছিলাম
কেমন আছি জানি না
যখন তুমি-
আমার ইচ্ছের ঘরে আসো
তখন আমি আর আমি থাকি না।

অণু’তেই জীবনের পৃষ্ঠা গুলো ভরাট করেছি
ক্ষতি দুঃখ কষ্ট সহোদর করে
অতীতের ছেড়া পৃষ্ঠা গুলো
যা আঁকড়ে ছিলো
জীবনের পরতে পরতে
নিজেই খরার বাতাসে উড়িয়ে দিলাম।

দিন শুধু কঠিন হতে চলেছে-
অসম্ভব হতে চলেছে
তবু অজস্র বার তোমাকে বলেছি
অজস্র কবিতায় লিখেছি
নিজের অজান্তে ছেড়ে দেওয়া
তোমার শব্দ স্নেহ মায়া; আর
তুমি আমার প্রজাপতি।

তোমার ধারনাই ঠিক-
অণু’কে ছাড়া নিজেকেও বিশ্বাস করি না
তোমাতে অনেক কিছু আছে
যদি পা রাখো আমার শব্দের বাহিরে
তবুও কিন্তু-
তুমিই শান্তি সান্ত্বনা বিষন্নতা সব।

আমি লজ্জিত হই আমার সীমাবদ্ধতায়
অপরাধবোধ আঠাঁর মতো লেগে থাকে আত্মায়
তবু শিশুর মতো মনে রাখি তোমায়
অণুসরণ করি পূর্ণিমার চাঁদের মতো
তুমিই সুবাস ছড়ানো কামিনি; এবং
আনন্দের চেয়েও প্রিয় সঙ্গী।
May 2020 · 109
বসন্ত রাত
Samar Bhowmick May 2020
যে আগুন গোপনীয়তা শুষে নেয়-
আমাকে রাজা করে তোমাকে সেরা
এমন একটি উদযাপন চাই,
কুয়াশা ঘেরা বসন্ত প্রভাতে।

জোনাকীর আলোতে লুকিয়ে দেখা
সবুজ বাগিচায় উদাস মায়া-
নিউরনের সমস্ত গহ্বরকে হিংস্র করে,
গুনতে না পারা ধৈর্যের এককে।

উড়ন্ত প্রজাপতি জলের ছিটা খুঁজে
বাহিরের বৃষ্টিতে ভিজে উদাসী মন-
ক্ষুধায় আচ্ছন্ন শিরা উপশিরা; সহস্র বছর
তোমার ছোঁয়ায় চায় প্রত্যাশিত বসন্ত।

তোমাকে লক্ষ লক্ষ সংখ্যায় ভালোবাসতে
বসন্ত রাত এবং তুমি বাতাসি পোশাকে-
কৌতূহলী হলে আমাকে জিজ্ঞাসা কর অণু,
জীবনে এমন একটি বসন্তের রাত চাই।
Samar Bhowmick May 2020
অণু; যাঁদের জন্য দুঃখ পাই
তাঁদের স্বপ্নগুলোর পরিপূরক হতে স্বপ্ন দেখি,
এবং এখনও ভালোবেসে যাই গোপনে;
আমার অস্তিত্ব দেহে বেঁচে নেই-
বেঁচে আছি বিশ্বাস ভাবনায়; মানবতায়-
আমি চাই তাঁদের শিক্ষিত করি,
ধীরে ধীরে বাঁচিয়ে তুলি মানুষে মানবতায়।

যদিও তাঁরা জীবনের অধিকারী-
যাপনের অধিকারী, জীবন
প্রভুর কৃপা কল্যানের অধিকারী হোক,
রাগযুক্ত বাতাসের পর্দা নামুক হৃদয় থেকে
গতিময় হোক ভাতৃত্ববোধ মায়া-
মানুষে মানুষে জীবে জলে অরণ্যে মৃত্তিকায়,
সমতায় ভাসোক জীবন-
আলো জল অন্ধকারের মতো।

আমি এখনও মানবতা পুরুদ্ধারে বিশ্বাসী-
প্রভুর কৃপা বৃথা হবে না,
মানুষের মনে কলুষতা কেটে যাবে একদিন
নতুন আলোতে রাঙাবে ধরণী-
এবং প্রায়শই গর্ব হয়; যখন দেখি
যখন দু’এক জন অনুকরণীয় মানুষ-
মানুষে প্রাণীতে কিংবা টবের শিশু চারা’র সাথে,
প্রাণের সখ্যতায় ভালোবাসে যায়।

কিছু প্রাণ সর্বদা বিশ্বে আগুন ধরিয়ে দেয়
এবং আনন্দের সাথে গুণে যায়-
অগ্নি দগ্ধ হৃদয়ের হাড় কঙ্কাল-
হিংস্রতারর উদ্ভট রসে হিংসার ক্ষরণে হাসে
অসুরের সর্বনাশা হাসি-
অজ্ঞানতার অন্ধকারে বিভৎস স্বপ্নের ঘোরে
ভুলে যায় নির্মল আনন্দ-
প্রেমহীন আত্মা অহরহ পদার্পণ নরকের পথে,
সন্দেহ এবং বিরক্তি স্নায়ু কোষের অলিতে গলিতে
অবিরাম ঘুরপাক খায়-
অবুঝের মতো বুঝে শরীরে নিজেকে বাঁচায়।

আমি মাঝে মাঝেই হতাশ হই
আবার হতাশাই আমাকে বাঁচিয়ে রাখে,
সময়ের আনাচে কানাচে আশার শব্দ শুনে
ভুলকে ভালোবেসে ফোটাতে যাই ফুল,
চাই মানবতার অপার সৌরভে ভরে উঠুক
বুদ্ধিদীপ্ত অবুঝ অসহায় মানব প্রজাতি-
ঈশ্বরের সুপারিশে ভুলের ভূমিকার বদল হোক
অদ্ভুত অভিনেতার মতো বদলে যাক অনুভব,
পৃথিবীতে প্রবাহিত হোক শান্তির সময়; সুখের
স্বর্ণালী ভবিষ্যতে উড়ে আসুক মানবতা।

আমি জন্ম নিয়েছি অনন্তকালীন জ্ঞানহীন সময়ে
চারিধারে আঁধারের বেড়াজালে ক্ষীন মানবতা,
পার্থিব দুর্দশা থেকে মুক্তি না পেলেও
চাই পুনরুত্থিত হোক প্রেম-
পৃথিবী থেকে সরে যাক দম্ভের অদ্ভুত বিশ্বাস,
সরে যাক সভ্যতার ক্রন্দন।।
Samar Bhowmick May 2020
অণু; আত্মার সবচেয়ে মূল্যবান বিবৃতির নাম কবিতা-
কবিতাই নির্ধারণ করে দেয় মানুষ কেমন হবে.
কবিতা উপলব্দি শেখায় মনের-
আত্মার সাথে পরিচয় করে দেয় প্রেম-
ইমারত তৈরীর ইট পাথর সুরকি সিমেন্টের মতো।

কবিতাই নির্ধারণ করে দেয়-
মায়া মমতা স্নেহ ভালোবাসা আর উদারতায়-
মানুষের অন্তরের অনুষঙ্গ কেমন হবে,
কতটুক সুক্ষ্মতায় বিচার বিশ্লেষণ হবে অনুভুতি
কতটুকু সুক্ষ্মতায় প্রকাশ পাবে মনের ভাব-
কেননা; সুক্ষ্মতাই নির্ধারণ করে সকল উন্নতি।

সুক্ষ্মতাতেই অন্তরনির্হিত জগতের সকল সোন্দর্য
যদিও পদার্থের সূক্ষ্মতার মূল্য বিদ্যমান; তবুও
কারুশিল্পির সুক্ষ্মতায় নির্ভর করে শিল্পের সোন্দর্য
জগতের সকল সোন্দর্য সুক্ষ্মতাতেই অন্তরনির্হিত।

সুক্ষ্মতম মনের সোন্দর্যবোধ দ্বারা’ই
কবিতা আত্মার অখণ্ডতা নির্দেশ করে-
কবিতা নির্দেশ করে সততা কতটুকু মূল্যবান,
স্বচ্ছতা সরলতায় ঈশ্বরের উপস্থিতি-
ন্যায় নিষ্ঠা মানবতা ঈশ্বর জ্ঞানে কর্ম।

কবিতা একমাত্র মানব শিল্প; অন্তনির্হিত সত্য
কবিতা মানুষকে আত্মসচেতন করে-
ব্যক্তিগত বৃদ্ধির দিকে মানুষকে পরিচালিত করে
মনুষ্যত্বকে সংবেদনশীলতার সহিত বিশোধন করে
মানুষের মানবিকতাকে মৌলিকভাবে প্রকাশ করতে শেখায়।

আবারও স্পষ্টতই বলি-
কবিতা সুন্দর মলাটযুক্ত একচেটিয়া আবেগের বিষয় নয়
কবিতা বলতে যা বুঝি তা হয়তো লিখতে পারিনি
কিন্তু এটি এমন শক্তিশালী জিনিষ যা অন্য কোথাও নেই-
কবিতা ব্রম্মান্ডের একমাত্র মানব শিল্প-
মানবীয় নৈপুণ্য উন্নয়নের একমাত্র শিল্প।

কবিতার সাথে সংগীতকেও মিলানো যাবে না
বাহ্যিক ভাবে সংগীত যদিও কাব্যিকতায় প্রকাশিত হয়,
তবুও সংগীতের ধাপ বা স্তর আলাদা-
সংগীতের জোর হৃদয় কে নাড়া দেয়; অথচ
কবিতার মতো মন অন্তর হৃদয় আত্মা এতটা সাড়া দেয় না।

আমার সার্বিক বিবেচনা চিন্তন উপলব্দিতে-
কবিতাই একমাত্র অভিজ্ঞতার অভ্যন্তরীণ মৌখিক চিত্র
কবিতা মানুষের মত প্রকাশের একমাত্র শিল্প-
মানুষের মন উন্নয়নের একমাত্র মন্ত্র-
কবিতাই মানুষ তৈরীর শিল্প।
May 2020 · 76
Yet the will is
Samar Bhowmick May 2020
Anu; I think-
Give you a kiss-
Maybe I'm leaving,
Corona's gradual revolt-
The procession on the other side is mine
In time message-
Waiting for the eternal journey.
My endless night of rest
Tulsi agar sandalwood juice
Will be hidden-
In the shadows under the shadows,
The scent of your bunch of yellow flowers.

Anu is crying for you
All the veins and sub-veins carrying the juice of affection are trembling
When i think--
Nature will create the widow butterfly
Anu'll lose warm sleep in the cold
Whose heart is hidden-
The chirping of birds in the morning
The scent of new crops,
Numerous dormant particles.

Anu is not a minor today-
Inside him are countless waves of disobedient love
Flows without guilt-
Neuron fresh juice
Time's lips kiss the Anu too,
Just like me
And explodes in Leela in a pink hue
Sometimes it spreads like a white flower,
Flashes lightning-
The soul feels the soul.

Anu may be going to an unknown destination
Corona's gradual revolt-
Maybe no more kissing-
Now only daytime noon morning night
Sadly waiting
R-
Fear of the cheat corona's violent claws,
The water of tears ran away
Still wish-
I kiss you, Anu..
May 2020 · 59
অনুকরণ
Samar Bhowmick May 2020
হৃদয়ে রক্তাক্ত ভালোবাসার সরু গলি
নিরাপদ ফুটপাথ নেই
সহস্র জঞ্জালের মাঝে ক্লান্তিহীন হেঁটে চলা
অপরিচিত পথে অণু'র খোঁজে
অণু কোথাও নিশ্চুপ দাড়িয়ে
বুকের ভাঁজে বকুলের ঘ্রাণ নিয়ে।
আঁধার পথে বহুদূরে তারকার আলো দেখি
আর ক্লান্ত শরীরে ক্লান্তি পুষে পুষে
গুটি গুটি পায়ে ছুঁটে চলি
অণু নামে একটি জীবন্ত পুতুলের খোঁজে।
শ্রাবণের ভর বর্ষার জল
বিড়াল চক্ষুর মতো জলে উঠে আগুন; বুকের ভিতর
ফণী'র ফণা তোলা রক্তের স্রোতে
সে আমার দূরন্ত দূর্দান্ত অণু
যার জীবন্ত নির্মম ভালোবাসায়
বুকের কড়িকাঠে ঘুণ পোকার ঘর।
শিরোনাম হীন জীবনের শিরোনাম হলে
অগ্রাহ্য করি সকলের পরিহাস
স্ব-হাস্য হৃদয়ে শুধু বলে রাখি
অণু এসেছে হেসেছে বুকের তারায়
আমার মতোই ভালোবাসে আমায়।
ভালোবাসার দাবীতে ক্লান্ত আমি
শত সহস্র বর্ষ আগে বুকের মাটি খুঁড়েছি
অবুঝ শিশুর আঁকা ছবি দেখিয়ে দেখিয়ে
অজস্র বার বলেছি; ভালোবাসো
মনুষ্যত্ব চাপা দিয়ে খুলো না পাপের দরজা
শহীদমিনারের মতো ভালোবাসো; মা পৃথিবী
হৃদয়ে রোপে দাও মানবতা অণু'র মতো।

০২•০৫•২০১৯;১৫:৪৫, ঢাক, বাংলাদেশ।
May 2020 · 39
ভালোবাসা
Samar Bhowmick May 2020
অনেক ভাবনায় যদিও
সাহস পাচ্ছো না
অণু খুলতে পারি
হৃদয়ের দ্বার
দেখাতে পারি
তোমার পড়তে চাওয়া
হৃদয়ের পাঠ
দৃঢ়ভাবে আকড়ে ধরতে চাওয়া
যে পুরস্কার
যে উপহার
বা একটি অনিশ্চয়তা
একটি নিশ্চত প্রেরণা
বা একটি মায়ার বলয়
অথবা একটি আশা
কৈশোর থেকে বেঁচে থাকা হৃদয়ে
না বলা ভাষায়
একটি মিষ্টি সতন্ত্র যন্ত্রনা
হৃদয় আবৃত করা
অজানা ভয়
শংকা শিহরণ
প্রাণান্ত এক অলিখিত সংগীত
স্বর্গীয় প্রশান্তিময় মহা-প্রসাদ
পরম প্রত্যাশায়
অনন্ত অজানা স্বাদ
প্রতিদিন চির নবীন
আমার প্রেম, ভালোবাসা।।

02 মে 2020; 02:42, ঢাকা, বাংলাদেশ।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু আমার অসহ্য ভালোবাসার আবেশে
কখনও কখনও দিশেহারা শরীর
আমি উপস্থিত হই তীব্র মুহুর্তে
ইচ্ছে করে অগ্নি স্ফুলিঙ্গ ছড়াতে ছড়াতে
ডুব সাঁতার খেলি সুগভীর অসীম সমুদ্রে
আমি সমুদ্রের পাড় ঘেঁষে নামতে থাকি; আর
আস্তে আস্তে পায়ের তলা থেকে সরে যাক বালি
ভয়ের আস্তরনে ঢাকা শিহরিত মনে
অনিশ্চিত অব্যক্ত শিহরণে
তুমুল ঢেউয়ে দুলিয়ে মন
কয়েক দানা শস্য বীজে সপে দেই ভবিষ্যত
স্বচ্ছ আত্মার দুষিত শরীরে
সেই মিষ্টি নিষ্ঠুর সমুদ্রে।
অণু মনে মনে একবার ঝঙ্কার তোল
মনের গভীরে নিরুত্তাপ মনে
কোন এক শ্রাবণের মেঘলা সন্ধ্যায়
তোমার হৃদয় দুলিয়ে দেখো; ভালোবাসায়
বিরহ বুদবুদের ফেনায়
কত অহংকারী অথচ দুঃখী সমুদ্র।
তোমার অশ্রুসজল ভেজা চোখে
আমার দূরবর্তী চিন্তার আবরণ খোলে
রোমাঞ্চকর শব্দ দাও; আর
আমাকে সমর্থন করো নির্দ্বিধায়
বলো আহ্ নামবে এসো !!
আমার ক্ষুদ্র বুকে ঠোঁটের বিশাল চাবুক চাপিয়ে
তোমার বিশালতার নিরব চিৎকারে
আমি প্রবেশ করবো অন্তিম গুহায়
এক অরণ্য আধাঁরে
আর্কের আলো ছড়িয়ে হৃদয়ে হৃদয়
সংগোপনে ছাড়ি প্রশান্তির নির্লিপ্ত নিঃশ্বাস; আর
একসাথে হাসি হৃদয়ের কানায় কানায়।

৩০•০৪•২০১৯;০১:১০, ঢাকা, বাংলাদেশ।
Samar Bhowmick Apr 2020
সম্মান পুরস্কার যাহাই আনো
সোন্দর্য রূপ লিখে
একবার কি ভাবো কবি
প্রজন্ম তাই শিখে।

কবিদের আমি শ্রদ্ধায় বলি
দুঃখ ভরা মন
নারী দেহের সোন্দর্য বর্ণন
নয় যখন তখন।

নারীর সম্মান আগে ভাবো
প্রেম কাব্য লিখে
প্রজন্ম যেন মায়ের মতন
সম্মান করা শিখে।

নারী পুরুষ সমান মানুষ
একই রকম সত্য
নারীকে যদি পণ্য কর
প্রজন্ম হবে দৈত্য।

যদি ভালোবাসতেই চাও কবি
নারীকে তুমি আজ
মানবিক গুণের কথা লিখতে
নেইতো কোন লাজ।

কবি হলেই নারীর দেহ
সোন্দর্যের অনেক কথা
নারীর আছে বিবেক সম্মান
তুলে আনো তথা।

শিখাও কবি নারীর মানবতা
মানবিক যত গুণ
নাহয় নতুন প্রজন্ম আমার
মানবতা করবে খুন।

প্রজন্মের জন্য লিখো কবি
বাকি যত অনাগত
ঘুচায় যেন মানুষ হয়ে
নারী মনের ক্ষত।

নারীর ভালোবাসা লিখো কবি
কেমন কোমল মন
শ্রদ্ধা শিক্ষা ভাষার আধার
নারী পরম ধন।

সৃষ্টির পরেই তোমরা যাঁরা
লিখছো নারী পণ্য
প্রজন্মের পর প্রজন্ম আজ
তাই করেছে গণ্য।

সহস্র লাইন লিখো যদি
নারী দেহের কথা
একলাইন হয়তো লিখো তোমরা
তাদের কেমন মানবতা।

নারীর প্রতি সংহিসতার দায়
কবি এড়াতে পারোনা
নারী দেহ বিশ্লেষণ করতে
তোমরা কিন্তু ছাড়োনা।

30 এপ্রিল 2020; 19:46, ঢাকা, বাংলাদেশ।
Apr 2020 · 44
উপস্থিতি
Samar Bhowmick Apr 2020
শরীরের লোভ লালসার ভিড়ে
মনে নেতৃত্বের আন্দোলন
সৌন্দর্য বোধের সকল অনুসঙ্গ
অণুকে আকর্ষণ করে

অণুর স্নেহের কাছে লজ্জিত হই
সন্ত্রাস ও মৃত্যু বপন করা হৃদয়ে
যখন নিজের কাছে খুঁজে পাই
নিষ্ঠুর পশুর হিংস্রতা

অথচ ভালোবাসার উঁচু তরঙ্গ
একই বুকে চলাফেরা করে
নিঃশ্বাসের বাতাসেও যাঁর নাম
জলের মতো নিরীহ

এতটা বন্ধুত্বেও জীবন লুকিয়ে থাকে
মানবতা সৌন্দর্য্যের গলিতে
লজ্জিত হয় মন অধিকৃত আত্মা
এক ফ্যাকাশে রোদে

অণু’র উত্থান আমার অন্তরে
জানা অজানা দিগন্তে
ঝিকিমিকি বালুকণি’র স্তরে স্তরে
তাঁর উত্তাল ঢেউ

আমার চিন্তাকে অপহরন করে
প্রলুব্ধ এক আনন্দ
মানবতাময়তায় আমার হৃদয়ে
এক সমুদ্র সুর্যের ঝলক

অণুর একটি উদার হাসি
আমাকে তারুন্যে ফিরিয়ে নেয়
মনে করিয়ে দেয়
তার মহিমান্বিত উপস্থিতি।।

29 এপ্রিল 2020; 01:21, ঢাকা, বাংলাদেশ।
Apr 2020 · 39
অ্যালবাম
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু, মনে পড়ে তোমার ??
কোন এক ফাগুনে লাল পলাশের নীচে
ঘাসের গালিচায় সহস্র পলাশের বিছানায় বসে
সেদিন আমাদের মধুমাখা শান্ত বিকেল
বাদামের সাথে আঙ্গুল খেলা করে কাটিয়ে দিয়েছিলো
ঠোঁট জ্বিহ্বা মুখগহ্বর পেট আর বাদাম
এক হয়ে আমাদের সাথে খেলতে পেরেছিল
এই আনন্দ গুলোকে সাজিয়ে রেখেছি; এখন পযর্ন্ত ।

অণু, মনে পড়ে তোমার ??
হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে
অজস্র ঝুঁটি এদিক সেদিক হাঁটছিলো; আর
যাঁরা আড়চোখে তাকিয়ে ছিলো
কিংবা চুপিচুপি তর্জনী তুলে দেখিয়েছিলো
সেই আড়চোখে মিটিমিটি দেখা
ফিসফিস করে বলা; আর
চুপিসারে নির্দেশিত সেই তর্জনীকেও
আমি সাজিয়ে রেখেছি; এখন পযর্ন্ত ।

অণু, মনে পড়ে তোমার ??
পরিচিত অনুভবে
প্রথম প্রণয়ের স্মিত হাস্যরস
প্রকাশ্য সাধারণের অনুভব থেকে
তোমার সেই ভয় পাওয়া অনুভূতি
দুঃশ্চিন্তা আর উৎকণ্ঠার বসত;কিংবা
আত্মসম্মান আহত হওয়ার শংকা গুলোকেও
আমি সাজিয়ে রেখেছি; এখন পযর্ন্ত ।

অণু, মনে পড়ে তোমার ??
তুমি মন খারাপ করে সন্ধ্যা থেকে রাত
পরদিন দুপুর গড়িয়ে গেলেও
বিকেল পযর্ন্ত না খেয়ে থেকেছিলে
সমুহ লজ্জাকাঙ্খায় নতশিরে কাটিয়েছিলে বেলা
সেই না খেয়ে থাকা বিপদ ভাবনা গুলোকেও
সাজিয়ে রেখেছি; এখন পযর্ন্ত।

অণু, মনে পড়ে তোমার ??
তোমার নিশ্বাসে ঝড়ো বাতাসের ঝড়ে
বাদামের লালচে পাতলা আবরন গুলো
যেভাবে পেরেছে তারাহুরো করে পালিয়ে গিয়েছিলো
আর তোমার কোমল আঙ্গুলের খেলায়
বাদামের প্রাচীর ভাঙ্গার পটাশ পটাশ শব্দ
এক অদ্ভুত রোমাঞ্চকর উন্মাদনা দিয়েছিলো আমায়
আমি সেই বাদামের প্রাচীর ভাঙ্গার শব্দ গুলো
প্রাচীর ভেঙ্গে পালিয়ে যাওয়া লালচে আবরন গুলোকেও
সাজিয়ে রেখেছি; এখন পযর্ন্ত।

অণু, মনে পড়ে তোমার ??
সেই সব স্মৃতির সাথে একাকার মিশে থাকা
আমাদের আত্মজ প্রেম
সহস্র চুমুতে ভেজা তোমার হাত
কাঁধ গ্রীবা কিংবা হাতের আঙুল
সেই স্পর্ধা প্রদর্শিত লুকানো তর্জনী
আর তোমার আতংকিত সময়টুকু
দিন রাত ঘুরে ঘুরে আমার অব্যক্ত হৃদয়ে
যতটুকু মধু সঞ্চয় করেছিলো
সেটুকু সাজিয়ে রেখেছি; এখন পযর্ন্ত।

২৮•০৪•২০১৯;২৩:২০, ঢাকা, বাংলাদেশ।
Apr 2020 · 48
একমাত্র
Samar Bhowmick Apr 2020
আমি অণু'র সাথে এমন একটি সম্পর্কের অপেক্ষায়
আজ না হোক কোন একদিন পৃথিবীর কোথাও
যেখানে ইচ্ছে করলেই অণু আমার গেঞ্জিটাও পড়তে পারে
অথবা রাতে নির্দ্বিধায়
আমরা একসঙ্গে ঘুমাতে পারি এক বিছানায়
বাচ্চাদের নিয়ে খেলতে পারি ছেলেখেলা
অথবা মুখোমুখি বসে শিশুদের সাথে গল্প গুজব
আমি অণু'র সাথে এমন একটা সম্পর্কের অপেক্ষায়
যেখানে পাগলের মতো চিৎকার করে ডাকতে পারি অণু
আর অণু'র শক্ত জোরালো আলিঙ্গনে
থামিয়ে দিবে আমাকে; আমার যন্ত্রণা
অণু আমাকে কাছে টেনে নিয়ে
রুদ্ধ করে দিবে আমার হারানোর পথ; আবার
কখনও ভূতের ভয়ঙ্কর সিনেমা দেখতে দেখতে
আমার বুকে ভয়ার্ত অনুভুতি লুকাবে অণু
অণু'র হাসির জন্য গোপনে গোপন চুম্বন উপহার দিবো
আমি অণু'র সাথে এমন একটা সম্পর্কের অপেক্ষায়
কখনও আবার আমরা সীমিত ঝগড়া করেই
বিরহে জড়িয়ে ফিরে আসবো একসাথে
এভাবেই যাপিত জীবনের সময় ক্ষয়ে
অণু আমায় ভাগ্যবান করে তুলবে কোন একদিন
এবং পৃথিবীর একমাত্র পুরুষ হবো আমি
যাকে শুধু অণু ভালোবাসে
হৃদয়ের পূর্ণতায় হৃদয় দিয়ে।

২৫•০৪•২০১৯;০২:০৮
••••••••♡♡♡••••••••
Samar Bhowmick Apr 2020
প্রতিদিন মনের ভিতর
অজস্রবার গড়াগড়ি খাও
আসো যাও
আমার ভালোবাসা
অথচ অণু;
ভালোবাসার সমস্ত কারণ সত্বেও
কখনই এক হতে পারি না
আমাদের দৃষ্টির মেলায়
নন্দিত নন্দন মুহুর্ত গুলো
ভাগ্যে অতি সামান্যই
অনায়াসে হাসতে
ইচ্ছের অর্ধেকও পারিনি
তুমি অনেক দুরে থেকেও
আত্মার একমাত্র বন্ধু
জনমের প্রেম।

26 এপ্রিল 2020;23:32
Apr 2020 · 38
অরণ্য
Samar Bhowmick Apr 2020
আমি আঁধারের বুকে কেবল আঁধার'ই দেখি
তবু জোনাকির আলোয় খোঁজি অণু'র ভালোবাসা
নিস্তব্ধ নিরব অভিমানে সময়ের পাহাড়
সবুজ পাতা আর ফুল থেকেও ঝরছে আঁধার
চোখের কর্ণিয়ায় সর্ষের ফুল দোলে
আজকাল স্বপ্ন গুলো অণু'কে ঠিক ছুঁই না
নিকট অতীতের মতো বর্ণ বৈভবে
পরশু দেখেছি অণু'র ধুসর বাক্সে
আমার মধুময় স্মৃতি;
এখন ধুসর পৃথিবী আমার
ক'দিন আগেও পানপাতা বটপাতা রক্তজবা
আর আমার বর্ণিল আকাশ ছিলো
চাঁদের আলোতে ছিলো নক্ষত্রের মেলা
অবেলায় অগণতি জয়ের স্রোতে মহা-প্লাবনে
আমার ব্রহ্মাণ্ডে এখন পূর্ণ গ্রাস গ্রহন
শান্তনার আঁচলে বাঁধা স্বপনের পুঁটুলি
আমার গর্বের সঞ্চয় প্রেম-প্রীতি-ভালোবাসা
নীলাভ শিখায় দীর্ঘশ্বাসের আগুনে
অণু জেনে ও জানে না আগুনের রঙ কি
জানে না রাত জাগা চোখের রঙ; স্বপ্ন কথন
জানেনা হৃদয়ের উত্তাপে সেদ্ধ মন
জানেনা নির্জন নিস্তব্ধ পৃথিবীতে জেগে থাকা
ভালোবাসার নকশীকাথায় ফুল তুলতে জানেনা
এখন আর;
সময়ের সদাচারে নিমগ্ন জয় সমাচার
আমাকে অহরহ বুঝিয়ে দিবানিশি
জন্মান্তরের গল্প বলে কবিতায়
আমি এখন সবুজ পাতা আর ফুলের বর্ণ বুঝি না
ধুসর পেরিয়ে গেছে আঁধারের দিকে
তবু শন শন দখিনা হাওয়ায় অণুর ঘ্রাণ খুঁজি
প্রশান্তি খুঁজি কষ্টের শেষ সীমানায়
আর অণুকে খুঁজি জোনাকির আলোয়
আঁধারে ঢাকা রহস্যের অন্তরালে
যদিও জেনে গেছি
ইচ্ছে পূরনের প্রতিশ্রুতি ঈশ্বরের নয়
তবু প্রাচীন বিশ্বাসে অমানিশা কাটার প্রত্যাশায়
আজো আঁধারে স্বপ্ন দেখি
কল্পনায় তারা দেখি
মন নিরুদ্দেশ হয় অণু'র অরণ্যে।

২৬•০৪•২০১৯;০১:৪৬, ঢাকা, বাংলাদেশ।
••••••••♡♡♡••••••••
Apr 2020 · 40
আলো
Samar Bhowmick Apr 2020
আমার অন্তরে লালন করা
ভালোবাসার বীজ
প্রেমের প্রার্থনায়
প্রত্যাশিত মুল্যবান সত্য।

ভালোবাসা যে পথ দিয়ে গেছে
সে পথের প্রতিটি বাঁক
আমি অনুভব করি
এবং তোমার স্বর্ণালী স্পর্শে
সন্ত্রস্ত আকস্মিক চুম্বনে
মানবতার ঘ্রাণ বর্নাঢ্য সাক্ষী।

26 এপ্রিল 2020; 03:03, ঢাকা, বাংলাদেশ।

তোমার মৃদু মৃম্ময়ী হাসির সুর
হৃদয়ে মিশ্রিত লাল অন্তরে
জমে থাকা যত চোখের জল আমার
স্বপনের ঘরের আলো।
Samar Bhowmick Apr 2020
26 এপ্রিল 2020

নুন আনতে পান্তা ফুরায় শব্দে ঢালো ঘি
কবির কামাই জানতে চাই লেখায় লাভ কি?

উত্তম চিন্তা বাদ দিয়ে বস্তু চিন্তা কর
ভোগ বিলাসে কাটবে জীবন হবে তুমি বড়।

জাতির বিবেক রাখছো খাড়া কবি হয়ে তাই
সেই খেয়াল রাখেনা কেউ সেই মন নাই।

কবির শান্তি দেখিয়া কেবল মুখে মানুষের হাসি
অন্তর কাঁদে নিরবে তবু বলে জগৎ ভালোবাসী।

সম্মান সম্মাননা নিয়ে ভাবে না তো কেউ
সবাই দেখে অর্থ সম্পদ নাহয় কবি ফেউ।

কবিকে জানি চিনতে গিয়ে করো তোমরা ভুল
অন্তরে যাঁদের ঘৃণার আলো চোখে পরেনা ফুল।

কবিতার আছে নিজস্ব প্রাণ আছে দেশের মায়া
কবি সভ্যতার অভিভাবক যেমন বট বৃক্ষের ছায়া।

কবিতা পারে শান্তি দিতে অসহায় ক্লান্ত প্রানে
কবি পারে বদলে দিতে সুরে সুরে গানে।

কবিতা পারে জাগিয়ে দিতে বিশ্ব মানুষের মানবতা
কবি পারে রুখে দিতে অন্যায় অবিচার হিংস্রতা।

কবিতা চায় পৃথিবী হোক স্বর্গ সুখে ভালোবাসাময়
কবি চায় মানুষে করুক মানুষের হৃদয় জয়।

যুদ্ধ করে বাঁচেন কবি থাকেন তিনি টিকে
জীবনের সকল কষ্ট ভুলেন নতুন শব্দ লিখে।

কবির শান্তি কলম খাতায় চীর সবুজ প্রাণ
আপন পরের বাঁকা সুরে যেন পাখির কলতান।

বস্তু জ্ঞানে বিচার করা যাঁদের হলো স্বভাব
তাঁরা থাকে চির ক্ষুধায় মিটেনা কভু অভাব।
Apr 2020 · 41
অণু কবিতা
Samar Bhowmick Apr 2020
সময়ের স্রোতে ভেসে যায় সুখ
করোনা এনে দিলো সাগর সম দুঃখ
তবু বন্ধু ভাবনায় কাটে মন
মৃত্যু’র সম্মূখে আনন্দে মাতি যখন তখন।

কষ্টের গভীরেও থাকে যে সুগভীর আশা
বন্ধু জেনো সেখানেই আমার ভালোবাসা
চাই নতুন ভোরে নতুন প্রভাত আসুক
মন আমৃত্যু তোমাকেই ভালোবাসোক।।


19 এপ্রিল 2020;23:02, ঢাকা, বাংলাদেশ।
Apr 2020 · 35
উপহার
Samar Bhowmick Apr 2020
২২•০৪•২০১৯;০৬:৩০
••••••••○○○••••••••
তুমিই আমার একমাত্র অণু
আমার গ্রহের শক্তিশালী শান্ত বাতাস
তুমিই আমার মনের পাল উড়াও নিঃশব্দে
কেউ জানে না কখনও
আত্মার কত গভীরে অশ্রু জমে আছে
কামুক এবং মিষ্টি বিরহের
পাগল করা মনে কতটা রঙিন ভালোবাসায়
স্মৃতির পাতায় ইতিমধ্যেই তা অবিস্মরণীয় উৎসব
এবং আমার চমৎকার হৃদয়ের বাগান জুড়ে
রঙিন প্রজাপতি হয়ে উড়ে অবিরাম
একটি ভিন্ন সময়ে অথবা মুহুর্তে মুহূর্তে
যদিও একটি প্রতিকূল বিশ্বে বসবাস আমার
যেখানে আমার সহস্র টুকরো হারানোর স্মৃতি
আর নিজেকে পূনঃপূর্ণের ব্যার্থ চেষ্টা অবিরাম
কিন্তু অণু সেই রক্তাক্ত বুকের ভিতর
ঠান্ডা গুহায় নিরলস রয়ে যায় অবিকল অবিচল
আলোকপাত করে অনুভুতির কেন্দ্রে
মনের মোড়ানো হৃদয়ের গভীরে;আর
আমার অন্তরকে আনন্দিত করে
উপহার দেয় অণু'র জন্য নিবেদিত বর্তমান।
Apr 2020 · 51
ত্রুটি
Samar Bhowmick Apr 2020
সরল বিবেক বোধের প্রানবন্ত শব্দে
তুমি একজন প্রানবন্ত মানুষ
হৃদয়ে খচিত আমার একমাত্র ভালোবাসা
কিছুতেই কখনও তুমি বোঝা নও
ভালোবাসা আমার দুর্বলতাও নয়
এ এক অন্তস্থ স্নেহের অসীম ব্যথা
যা তুমিও বহন করে চলেছো অনন্তের পথে
যদি আমি নরকে যাই সেখানেও তুমি
সময়কে যেখানেই নামিয়ে দেয়া হোক
সেখানেই অণু আমার সাথী।

তুমি একান্ত ভালোবাসাময় নারী
অনন্ত দুরত্বে থেকেও
তোমাকে দেখি অন্তরের খাঁচায়
অবিরাম ভালোবেসে যাই
মোহে হৃদয় ভাঙে না কখনও
তার মধ্যেই যদিও অসহায়ের মতো
সৌন্দর্য্ দেখার আশা করি
আশা করি প্রাণের সৌন্দর্য্ দেখাবার।

কিন্তু উলঙ্গ সমাজ সভ্যতার দৃষ্টিহীন চোখ
কাছে টানে আমাদের সামান্য ত্রুটি গুলো
তুমিও জানো অণু
কিছু সুক্ষাতিসুক্ষ ত্রুটি থাকে
সকল যুগের সকল মানুষের
বিভৎস সমাজ সভ্যতা ভাবলেও
আমার মন এতটাই শক্ত
স্বচ্ছ মানবিক বিবেক বোধে
দ্যাখো সেদিন দূরে নয় আমাদের
আত্মার সরল সৌন্দর্য্ শক্তির কাছে
হার মানবেই বর্বর সভ্যতা
আর সুক্ষাতিসুক্ষ তুচ্ছ ত্রুটি গুলো।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু এ অজানায় তোমায় খোঁজে কোথাও না পাই
অশান্তির ঠিকানায় নিতান্তই আমি ছাড়া কেউ নাই।

থুঁজেতেছি দিনরাত অসংখ্য সময়ের অজস্র প্রহর
ঘুরিয়াছি শত জনপদ পথ-প্রান্থর, পড়িয়াছে কহর

অচিন বেশে তুমি হেসে হেসে হৃদয় করেছো বশ
পাগল হইয়াছে ঘুমন্ত হৃদয় জীবন যাপনে ধস।

ভালোবাসা প্রেম হলে হৃদয়ে আগুন জ্বলে, কেমন করে বলি
ভালোবাসা সুখ এক অনন্ত অসুখ, অন্তরে চাপিয়ে চলি।

অপেক্ষা আর প্রতিক্ষায় গোনি সময়ের ক্ষণ
অণু তোমার বিরহে সদা জাগ্রত এ নিঃস্ব মন।

বুঝেও কি বুঝো না অবুঝের মতো
অপেক্ষার অন্তরালে হৃদয়ে বাড়িতেছে ক্ষত।

কোন ভুলে কতকাল আর বিরহে যাপন, এ জীবন
সীমান্ত নিঃশ্বাসে নিতে চাই একটু স্নেহময় সুশীল পবন।

ফিরে এসো অণু অজানারে ফেলে, নিয়তিরে নিয়ে সাথে
যা হবার হবে একসাথে রবে, হাত রাখো হাতে।

তোমার এ হাত এ স্পর্শ পুঁজিবো, আমি যতদিন বাঁচি
নিয়তির সাথে বিদ্রুপ নেই কভৃ, রবো কাছাকাছি।

ভালোবাসা প্রতিজ্ঞায় প্রেম, শেষ কথা শোন
উৎসর্গ এ হৃদয় স্নেহের ভান্ডারে তব, প্রশ্ন নেই কোন।।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু’র মোহময় সুগন্ধি শব্দ গুলো
জেগে উঠে হৃদয়ের অন্তিম কোণে
ফুসফুসে দীর্ঘ শ্বাসের ঝড়
আছড়ে পড়ে আত্মার কার্নিশে
স্মৃতির নোনা ধরা দেয়ালে।

দীর্ঘশ্বাস নার্গিসের কুন্ডলি পাকায়
দৃষ্টি সমুদ্রে নোনা জলের ঝড়
চারিদিকে ঝড়ের আগুনে পোড়া
হৃদয়ের কটু গন্ধ।

ঝড়ের থাবায়
একটা একটা করে স্মৃতি
কক্ষচ্যুত তারার মতো খসে পড়ে
প্রেমের পথ পেরিয়ে বিরহ বাগানে
পাথরের মতো জমে থাকা স্বপ্নের স্তুপ
ভালোবাসা নিরব দর্শক যেন।

দশ মিলিয়ন নিউরনের ঘরে ঘরে
অণু’র শব্দ বাঁধা পড়ে আছে
মস্তিস্কের সরস ভুমিতে
সময় সংখ্যায় রঙ বদলেছে স্মৃতি
আবির রাঙা অনু’র স্মৃতি এখন
গাঢ় রক্তাক্ত লাল।

আর চিন্তার শব্দরা সব
নিউরণের বেতার বার্তায়
চব্বিশটি হাঁড়ের খাঁচার ভিতর
পাঁজরের ভাঁজে ভাঁজে আঁকা বাঁকা পথে
তীর খুঁজে রক্তের কলরবে
অসহ্য অপেক্ষা যেন
অনন্ত নিদ্রার।।
Apr 2020 · 30
আগষ্ট
Samar Bhowmick Apr 2020
আগষ্ট এলেই আমার কবিতাগুলো বিবর্ণ হয়
বকুলের মতো ঝড়ে পড়ে ছন্দ গুলো
ঝুরঝুর করে ঝড়ে যায় ছন্দের শব্দগুলো
অণুকেও আর অণু বলে ডাকতে ইচ্ছে করে না
ছেঁড়াখোঁড়া হৃদয়ে জানালাদিয়ে স্রোতের মতো বেড়হয় দীর্ঘস্বাস
আদ্যন্ত হাহাকারে ভরে উঠে মন।

আগষ্ট এলেই আমার কবিতাগুলো বিবর্ণ হয়
বুকের ভিতরে চিনচিনে ব্যাথা নিয়ে
বারবার হেঁটে যাই বত্রিশ নম্বর
দেখি পিতার রক্তাক্ত স্মৃতি
রাসেলের বাচাঁর করুণ আর্তনাদ
চোখের সামনেই চুষে খায় আবাল বাতাস।

আগষ্ট এলেই আমার কবিতাগুলো বিবর্ণ হয়
বর্ষার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন জনতার হৃদয়
ভুতুরে শ্মশান
পিতাহীন ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল।
আগষ্ট এলেই আমার স্বাধীণ রক্তাক্ত পতাকা কাঁদে
অশ্রুতে দ্রব হয় বাংলাদেশ।
Samar Bhowmick Apr 2020
দূর আসমানে বসে ঈশ্বর
করছো কেমন খেলা
এমন করে মfরছো মানুষ
কিসের অবহেলা?

ঘৃনায় আজ মরছে মানুষ
যাচ্ছেনা কেউ পাশে
অজানা দানব আসলো বুঝি
প্রাণটা যাবে শেষে?

তুমিই যদি সবার সেরা
সৃস্টির প্রতি পালক
করোনা প্রান নিচ্ছে কেন
বৃদ্ধ থেকে বালক?

এ কেমন ঈশারা তোমার
সৃস্টির প্রতি আজি
সৃষ্টি তুমি করলে কেন
উত্তম মধ্যম পাজি?

ক্ষমতা তোমার যতই থাকুক
এভাবে কেন দেখাও
মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়ে
মানুষকে কি শেখাও?

ক্ষমতা যাঁর আছে বেশি
ব্যবহার করবে সে
মরবে মরো নিরিহ যতো
দেখতে আসবে কে?

অগনিত প্রান নিচ্ছ কেড়ে
জানি তুমিই বড়
এমন তান্ডব দুনিয়া জুড়ে
কেমন করে কর?

আমার প্রশ্ন তোমার কাছে
মানবতা তোমার কই
তুমি মহৎ জ্ঞানী মহান
কেমনে ভেবে রই?
Samar Bhowmick Apr 2020
ঋতুর কথা ভাবছিস অণু
কোন ঋতুতে পৌষ
আমি ভাবছি মনে কথা
কখন হারায় হুশ।

তুই আমার ফাগুন সখা
তোর মধ্যেই শীত
তুই আমার শরৎ হেমন্ত
তুই প্রেমের ভিত।

ঋতুর কথা ভাবছিস অণু
কোন ঋতুতে মাঘ
আমি ভাবছি মনের কথা
তুই মনের অনুরাগ।

তুই আমার গ্রীষ্ম বর্ষা
তুই অন্তরের মন
তুই আমার জামের জৈষ্ট
তুই প্রানের ধন।

ঋতুর কথা ভাবছিস অণু
কোন ঋতুতে আষাঢ়
আমি ভাবছি মনের কথা
তুই যে ভালোবাসার।

তুই আমার আশ্বিন কার্তিক
তুই বারো মাস
তুই আমার সকল ঋতু
তু্ই যে সর্বনাশ।।
Samar Bhowmick Apr 2020
সাঁঝ বাতিরা নিভু নিভু
আমি আঁধার কোণে
উল্টে দেখিস আমার পাতা
পাল্টে গেলে মনে।

আজও আমার মনের কৌটায়
তোকে নিয়েই বাঁচি
আমার কথা ভাবিস অণু
একলা কেমন আছি।

তোর দেখানো ইচ্ছে ডানা
যাচ্ছে কেবল দূরে
তোর ভাবনাতেই সময় কাটে
ভালো লাগার ঘোরে।

ঝড়ের আবাস পাচ্ছি আমি
কাঁদছে আমার মন
তুই আমার জগৎ সংসার
তোকেই খুঁজি সারাক্ষণ।।
Apr 2020 · 31
নির্লজ্জ
Samar Bhowmick Apr 2020
এত নির্লজ্জ কি করে হয় ?
যখন ফাগুন আসে
রক্তাব লাল কৃষ্ণচূড়া পলাশ শিমুল
তোমার সিঁথিতে সিঁদুর কপালে লাল টিপ; আর
কোকিলের কন্ঠে তোমার স্বরলিপি
আমার অস্তির হৃদয় ভালোবাসে তোমার ভালোবাসা।

অণু এমন নির্লজ্জ কেউ হয় ?
যখন তুমি রাগে গোস্বায়, তোমার কান জ্বালাপালা
ফুসফুস হতে গরম বাতাস বহে নাসারন্ধ্রে
ক্ষিপ্ত কন্ঠস্বর দুর্দান্ত চৈত্র রক্তের স্রোতে
তখনও আমি ভালোবাসি তোমার ভালোবাসা।

এমন নির্লজ্জ আর কে হয়?
যখন তুমি অন্ধকারে মিলিয়ে যাও
কেড়ে নিয়ে আমার দৃষ্টি
নতুন আলোকিত সুর্যের অপেক্ষায়
তখনও আমি ভালোবাসি তোমার ভালোবাসা।

অণু এমন নির্লজ্জ আর কে আছে ?
যখন তুমি ঘর্মাক্ত শরীরে
নোনতা ঘ্রাণ বিলিয়ে দাও
বিষন্ন মনে তাচ্ছিল্য ছড়াও
তখনও আমি ভালোবাসি তোমার ভালোবাসা।

এর পরেও বলবে এমন নির্লজ্জ আছে ?
যখন তুমি আমার চৌদ্দ পুরুষের ঠিকানায়
অবলিলায় পৌছে দাও তোমার তেজস্বী বার্তা
যদিও জানি বাঁচার তাগিদ অহরহ
তখনও আমি ভালোবাসি তোমার ভালোবাসা।

অনু এমন নির্লজ্জ আর দেখেছো ?
আমার ব্যর্থতায় যখন মাথায় উঠে শহর
তখনও আমি ডাবের শীতল জল
তোমার ব্যার্থতা পরানে ঢালি শান্তির ছলে
আর ভালোবেসে যাই তোমার ভালোবাসা।

আমিই একমাত্র নির্লজ্জ অণু
ভালোবাসি বলেছি সেই কবে
কোন স্বার্থেই আর ফেরত নেইনি উচ্চারিত শব্দ
কোন পার্থিবতা আমাকে গ্রাস করে না
কোন পার্থিবতা গ্রাস করে না প্রেম
কেননা প্রেম নিছক সম্পর্ক নয় অণু; তাই
ভালোবেসে যাই নিরবে, আজো ভালোবাসি।
Apr 2020 · 33
দিন গণি
Samar Bhowmick Apr 2020
আমার আপন বললো ফোনে
পাশেই করোনা’র বাস
ভাবছি শুনে তখন থেকে
না জানি সর্বনাশ।

বললো খোকা তের’তে আছি
নেই কোন ভয়
আজই গেলো একটি প্রাণ
তাঁদের তলা ছয়।

শুনিয়া মন কাঁদিয়া উঠে
অসহায় আঁধার অতল
শুধু প্রার্থনা করছি সর্বক্ষণ
বাড়াতে নিজ মনোবল।

আমিও একা আটকে আছি
নিজ গৃহে বন্দি
করোনা ভয়ে করছি যুদ্ধ
ভাগ্যের সাথে সন্ধি।

করোনা’র সাথে অসহায় সবাই
যেন পাথরের স্তম্ভ
নেই বাহাদুরি নেই ঝাড়ি-ঝুড়ি
নেই ক্ষমতার দম্ভ।

ভাই ভাতিজা স্ত্রী সন্তান
সবার ওখানেই বাস
করোনা তুই এখানে আয়
ওখানে নয় সর্বনাশ।

দিন রাত প্রভুকে ডাকি
বুকে ওদের কথা
আমার জীবন নিয়ে করোনা
মুক্ত রাখো তথা।

প্রার্থনা মোর সবার জন্য
যে যেখানো আছো
সবার মুক্তি চাইছি আমি
হৃদয় ভরে বাঁচো।

আবার সোনা বলতো দেখি
কেমন আছিস শুনি
পিতার হৃদয় কাঁদছে কেবল
আশায় দিন গণি।
Samar Bhowmick Apr 2020
একটি অদৃশ্য পথ
আমার কাছ থেকে তোমাকে দূরে নিয়ে যায় অণু
যদিও জানি প্রতিটি পথ একাকী পথ।
তোমার সংবেদনশীল নিঃশ্বাসের যাতায়ত
অবিরত অনুভব করি
হৃদয়ের গভীরে বারবার বহুবার
এবং তোমার স্নেহময় অবয়বের মধ্যে
সর্বদা আমার মণ খেলা করে
চোখের অন্তরালে ভেসে উঠে স্মৃতি
গতি ফিরে পায় প্রাণ।
মনের জানালায়
আমার চিন্তাভাবনা আর প্রেম
অল্প অল্প করে দৃশ্যমান হতে হতে
ভেসে বেড়ায় সময় থেকে বাস্পিভূত সময়ে।
উড়ে যায়, ফিরে আসে
জড়ো হয় হৃদয়ের ঠিকানায়
শরীরের চূড়ায় বৈদ্যুতিক শক হয়
তবু আমাদের দুরত্বের মধ্যে
আকাশের কালো মেঘ আমাকে সতর্ক করে না
আমার অপেক্ষার ভ্রমন সমাপ্তি করে না
হেটে যাওয়া জীবনের আলপথে
আমি তোমার ভালোবাসার জন্য এগিয়ে যাই
আবেগের যোগফল সাথে নিয়ে।
তবু তোমার সময় উড়ে চলে অণু
তোমার জন্য আমার ভালোবাসার মতো।।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু তোমাকে ছাড়া
আমার উচ্চারিত শব্দ নেই
তুমি ছাড়া সভ্যতা বাঁচে
ভাবিনি কখনও কিছুতেই ।

তোমার ভালোবাসায় বাঁচি
তোমার ভালোবাসায় নাচি গাই
তোমার স্নেহের সুরে হৃদয় জুড়ে
স্বর্গের সুখ পাই ।

যত ভালোবাসাবাসি যত অট্টহাসি
তোমার কাছেই শেখা
তোমার আদুরে অনুকম্পায়
আমার সকল কবিতা লেখা ।

যতো সবুজ দেখি কবিদের যতো লেখালেখি
সবখানেই তুমি
তোমার স্নেহে ভর করেই
জীবনকে ভালোবেসে চুমি ।

অণু তোমার মানবতা মানবিকতা
সবই আ্মার প্রিয়
তোমার চঞ্চলতা সরলতা
এমনকি তোমার ব্যর্থতাটিও ।

তোমার কাছে ধারকরা শব্দেই
ভালোবাসি তোমাকে
তোমাকেই স্বপ্নে রাখি তোমারই স্নেহ মাখি
থাকি অনন্ত সুখে ।

তোমার কাছেই মায়ের স্নেহ
ভাইয়ের আদর বোনের ভালোবাসা
তোমার সাথেই আমৃত্যু প্রেম ঝগড়া বিবাদ
তোমার সাথেই সকল সুখের আশা।

তুমিই আমার শরৎ হেমন্ত
তুমিই আমার ফাগুন
তুমিই আমার আষাঢ়ের মেঘ শ্রাবনের বৃষ্টি
তুমিই বসন্তের আগুন ।

তুমিই আমার আরাধ্য দেবী
তুমিই আমার নিয়তি
তুমিই স্নেহধাত্রী প্রেম প্রণয়ী
তুমিই শ্রেষ্ঠ অতিথি ।।
Apr 2020 · 35
দত্তক
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু আমি দত্তকের কথা বলছি
একটি প্রাণ দত্তক দেওয়ার কথা বলছি
আমার ভিতর থেকে যদি প্রাণ পুরুষ বেড়িয়ে দত্তক যায়
আবার আমি যদি তোমার ভিতর থেকে মানবী আত্মাকে দত্তক নিয়ে আসি
অনু তাহলে কি হয় জানো ?
সে এক অদ্ভুত অনুভূতি
সে এক অদ্ভুত ভালোলাগা ভালোবাসা।

অণু আমি দত্তকের কথা বলছি
আমি তোমার হৃদয় দত্তক নেওয়ার কথা বলছি
আমি আমার হৃদয়টাকে হৃদপিন্ড থেকে বের করে এনে
তোমার হৃদপিন্ডের খোলসের ভিতর দত্তক দিয়েছি
তখন তোমার হৃদপিন্ডটার কি হলো জানো ?
আমি পরম স্নেহে তোমার হৃদয়টাকেও দত্তক নিয়েছি
অণু’র হৃদপিন্ড এখন আমার হদয়ের স্পন্দন গোণে
আর আমি অণু’র হৃদস্পন্দন পাই
সে এক অদ্ভুত অণুভূতি
সে এক অদ্ভুত ভালোলাগা ভালোবাসা।

অণু আমি দত্তকের কথা বলছি
আমার প্রাণবায়ু দত্তক দেওয়ার কথা বলছি
তোমার প্রাণবায়ু দত্তক নেওয়ার কথা বলছি
আমার ফুসফুস থেকে সমগ্র প্রাণবায়ু বের করে এনে
অণু’র ফুসফুসের কাছে দত্তক দিয়েছি
আর আমার নিঃস্ব শূণ্য ফুসফুসে
অণু’র প্রাণবায়ু দত্তক এনে বেঁচে আছি
এখন অণু’র নিঃশ্বাসে আমি
আর আমার নিঃশ্বাসে অণু
প্রাণবায়ু দত্তক নিতে কখনও শুনেছো ?
সে এক অদ্ভুত অণুভূতি
সে এক অদ্ভুত ভালোলাগা ভালোবাসা।

অণু আমি দত্তকের কথা বলছি
ভালোবাসা দত্তক দেওয়ার কথা বলছি
ভালোবাসা দত্তক নেওয়ার কথাও বলছি
আমার হৃদপিন্ডের রক্তের স্রোতের ভিতর
আমার মস্তিস্কের নিউরণের ভিতর ভালোবাসার ঘর ছিলো
সে ঘরের সমস্ত ভালোবাসা আমি
অণু’র হৃদপিন্ডের স্রোতের ভিতর
মস্তিস্কের নিউরণের ভিতর ভালোবাসার ঘর আছে
সেই ঘর শূণ্য করে দত্তক দিয়েছি
আর আমার বুকের লাল খাঁচার ভিতর
মস্তিস্কের নিউরণে ভালোবাসার শূণ্য ঘরে
দত্তক এনেছি অণু’র ভালোবাসা
আমি এখন নিজেকে ভালোবাসতে গিয়ে অণু’কে ভালোবাসি
আর অণু আমাকে
সে এক অদ্ভুত অণুভূতি
সে এখ অদ্ভুত ভালোলাগা ভালোবাসা।

অণু আমি দত্তকের কথা বলছি
আমি অণুভূতি দত্তক দেওয়ার কথা বলছি
অনুভূতি দত্তক নেওয়ার কথাও বলছি
আমরা পরস্পর পরস্পরকে আমাদের প্রেম দত্তক দিয়েছি
আমাদের হাসি-কান্না দত্তক দিয়েছি
আমাদের স্নেহ-মায়া-মমতা দত্তক দিয়েছি
আমরা পরস্পর পরস্পরকে আমাদের আবেগ-বিবেক-দৃষ্টি-স্বপ্ন দত্তক দিয়েছি
আমাদের দৃঢ়তা-চঞ্চলতা-আশা-আকাঙ্খা দত্তক দিয়েছি
আমাদের সত্য-সরলতা-পবিত্রতা দত্তক দিয়েছি
আমরা পরস্পর পরস্পরকে আমাদের বিশ্বাস ও শূণ্যতার ঘর দত্তক দিয়েছি
এখন আমি নিজেকে বিশ্বাস করতে গিয়ে অণু’কে বিশ্বাস করি
আর অণু আমাকে
সে এক অদ্ভুত অণুভুতি
সে এক অদ্ভুত ভালোলাগা ভালোবাসা।

হ্যাঁ অণু আমি দত্তকের কথা বলছি
আমি নিজেকে দত্তক দিলাম তোমার কাছে
আবার তোমাকেই আমিও দত্তক নিয়েছি
আমিই এখন অণু
অণুই এখন আমি
সে এক অদ্ভুত অণুভুতি
সে এক অদ্ভুত ভালোলাগা ভালোবাসা।
Samar Bhowmick Apr 2020
“মানুষকে হারাতে মৃত্যু’র প্রয়োজন নেই।
মানুষের মানবতা হারালেই মানুষ হারিয়ে যায়”
                                         - সমর ভৌমিক
Samar Bhowmick Apr 2020
সফেদ সাদা মুক্তোর দাঁতে
অনু’র মিষ্টি হাসি
আমার উড়ন্ত সুখ
পছন্দ করি ভীষন
তাঁর সুখকর অনুভুতি
ভারী জীবন থেকে
যখন;
স্বস্তি বেছে দেয়
ঘৃনায় জড়িত
ট্রল থেকে
মুক্ত হৃদয়
আমার মনে মনে
দুঃখ পাওয়া
সংবেদশীল মন
অণু’র হাসিতে ডুবে
তখন;
আমার সাধারণ আত্মা
অণু’র কাছে-
নিরীহ হয়ে উঠে
আর;
সব সময়-
স্নেহ প্রার্থনা করে
প্রেমের শক্তি খুঁজে
নির্মল হাসিতে।
Apr 2020 · 38
ধূতরা
Samar Bhowmick Apr 2020
আজ আর কবিতা নয়
আজ বিষ খাবো; অমৃত ধূতরা
আমি মাতাল হবো
নেশায় বুদ হয়ে অণু’র শব্দ মালায়
অহংকার গোণবো অবেলার।

শরতের কাশঁফুলে জড়িয়ে দেয়া ভালোবাসা
অজানায় উড়তে উড়তে
সাদা মেঘের ভেলায় চড়ে
বুকের নীল আকাশে।

অনন্ত আহল্লাদে আমি নবীন; আর
প্রবীণ প্রতিজ্ঞার বাঁধনে জড়ানো মন
নেশাতুর হয়ে উঠে।

আজ মন ভর্তি নেশা চাই
দশ বিলিয়ণ স্নায়ুকোষের সুখ
জড়াজীর্ণ শরীরে স্নেহের সঞ্চালন
বয়স সংখ্যার স্থিতি; আর
মুঠোভর্তি কামিনির চুম্বন চাই
চাই অণুর হাতের ছোয়া।

আজ আর কবিতা নয়
শুধু পাশে থেকো ধূতরা।।
Samar Bhowmick Apr 2020
অভ্যাস আহত হলে
যদি কখনও আমাকে কাঁদতে দ্যাখো অণু
ঠিক তখনই বুঝে নিও;
তোমার সাথে আমার প্রেম হয়েছিলো।
আমাদের ভালোবাসা; প্রত্যাসিত ভবিষ্যৎ
তোমার অনুকম্পাময় আমার একান্ত হৃদয়ের
আশা গুলো ফোঁটা ফোঁটা হয়ে ঝরবে
যদিও তা হবে বিভ্রান্ত অবতরণ।
অভ্যাস আহত হলে
আমাদের ভাবনা গুলো কেমন ছিলো
তুমি ভেবে দ্যাখো অণু
আমার দুঃখিত অবয়ব
একদিন হাসিতে মরিয়া ছিলো
তোমাকে ভালোবাসা দেবে
কিন্তু অকৃতজ্ঞ সময়।
অভ্যাস আহত হলে
আমার অন্তরঙ্গ ব্যথার ঝুলিতে
মৃত ভাবনারা জেগে উঠে
তুমি এক ঝুলন্ত ছবি।
উষ্ণতাহীণ প্রবাহমান প্রাণ
আমাকে বরফে আবৃত্ত করে
আমার হৃদয়ের মধ্যে তখন
আত্মা হিমশীতল; আর
এক শীতল ভবিষ্যৎ
অথচ আমি সাতচল্লিশটি বছর
একটি বসন্তের অপেক্ষায়।
Samar Bhowmick Apr 2020
অন্ধ গেলো ডাক্তার খানায়
কাঁপে থর থরে
ডাক্তার তার প্রেসার দেখে
পথ্য দিলো তারে।

ডাক্তার বলে দুগ্ধ খাবে
ওরে বেটা অন্ধ
তবেই হবে তোমার রোগ
যথারীতি বন্ধ।

অন্ধ বলে ঠিক আছে
কিন্তু দুগ্ধ অচেনা
দেখতে কেমন খেতে কেমন
তাতো জানি না।

অন্ধ বলে জানতে চাই
দুগ্ধের রঙ কি
ডাক্তার তখন পাগল হয়ে
মাথায় ঢালে ঘি।

দুগ্ধ হলো বকের মতো
ধব ধবে সাদা
অন্ধ বলে দেখিনা চোখে
আমি অন্ধ গাধা।

বক কেমন তাই বলেন
ধরি নিজের ভুল
ইচ্ছে করছে নিজের মাথার
ছিঁড়ে ফেলি চুল।

ডাক্তার বলে রাগ করোনা
জন্ম তোমার ভুল
বকের গলা চাঁদের মতো
অর্ধ বৃত্ত গোল।

অন্ধ বলে অর্ধবৃত্ত গোল
প্রথম শোনা মোর
ছুঁয়ে যদি দেখতে পারি
কাটতো আমার ঘোর।

ডাক্তার বলে তোমায় নিয়ে
কিযে বিপদ হায়
তখন নিজেই হাত বাঁকিয়ে
সামনে নিযে যায়।

বাঁকা হাত ছুঁয়ে দেখে
অন্ধ বলে স্যার
খাবোনা এই বাঁকা দুগ্ধ
কি আছে আর ?

দুগ্ধ মানে তরল দুধ
এটা বকের গলা
বকের মতো সাদা হবে
এটাই তোমায় বলা।।
Apr 2020 · 41
অণু’র হাত
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু’র কোমল হাত
আমার জন্য প্রার্থনা করে
আবার;
অন্তরঙ্গ স্নেহে
নিশ্চিন্ত
আবেগ তৈরী করে
তাঁর হাতের কোমল খেলা
কখনও
শিল্পের অঙ্গ হয়
প্রেমের শীর্ষে
নিরাপদ;
যদিও অন্ধকার
স্পর্শকারী হাত
উষ্ণতা দিয়ে যায়
অন্তর্বাসের গভীরে
প্রবাহমান জীবন স্রোত;
ভালোবাসার কৌটোয়
সেই হাতের স্পর্শ
আমি ছুঁতে চাই
অবিরাম খুঁজি
আমাকে কষ্ট দেয়;
আমিও
সে হাতের প্রার্থনা করি।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু আমার অতিষ্ঠ কর্ণকুহরে
তোমার স্নেহময় ফিস্ ফিস্ শব্দে
আমি খুজে পেয়েছি ভালোবাসার বেদী
আশা
হৃদয়
যেখানে অঙ্কুরিত হয় প্রেম।
সেই অদম্য আগ্রহে
তোমার জন্য রোদ খুঁজছি অণু
সেই রোদের আলোকচ্ছটায় আলোকিত হবে বিদ্বান পৃথিবী
আর,
তোমার জন্য আনবো স্বাধীনতা।।
Samar Bhowmick Apr 2020
দু’হাত ভরে করছি কামাই
কত আমার গুণ
হাসি মুখে করছি আমি
মানবতা খুন।

লম্পট হ্ওয়ার সুযোগ কিন্তু
পরিবার থেকেই আসে
যোগ্যতার চেয়ে সবাই বেশী
সম্পদ ভালোবাসে।

নিজে যখন আয়নায় দেখি
নিজের প্রতিবিম্ব
চোরা ছ্যাচড়া ভাবি কেবল
তবু কত দম্ভ।

আসলে আমি ছাই কেবল
ময়লার একটা স্তুপ
সম্পদের গরম নেই শরম
সমাজও থাকে চুপ।

এত সুন্দর মিথ্যা বলি
কলি যুগের কৃষ্ণা
ভাব দেখিলে মিটে যাবে
সবার সকল তৃষ্ণা।

আয়ের উৎস প্রায় খেয়েছে
বিবেক বুদ্ধি মন
চরিত্র খানা খেলো বাকি
নইতো মানুষ মহাজন।

দেখছো আমায় যেমন তোমরা
আমি তেমন নই
নানান সময় নানান কাজে
একেক সাজে রই।

প্রার্থনা আমি করতে হলে
সচ্ছ অন্তর চাই
অন্তর আমার বহু আগেই
বেসাত হয়েছে ভাই।

চোখে ভাসে কুকীর্তি আমার
ভাসে ক্ষণে ক্ষণে
প্রার্থনার মুখ নেইতো আমার
সুখ নেই মনে।।
Apr 2020 · 50
হে ঈশ্বর
Samar Bhowmick Apr 2020
হে ঈশ্বর তোমার করুণায় আমরা বিমোহিত
আমরা সংশয়বাদী হলেও তোমাতে বিশ্বাস
আমাদের জন্য শক্তিশালী করো তোমার করুণা
আমাদের বিশ্বাসে বিড়ম্বনা তৈরী করো না
যদিও অপারগ হলেই তোমার প্রার্থনা করি
আমাদের পক্ষে ধর্ম গুরু উপাসনা করেন
আমাদের মাতাপিতা উপাসনা করেন
হে ঈশ্বর আদি পিতা মানবতার জন্মদাতা
তোমার পবিত্র সৃষ্টি রক্ষা করো
করোনার ভয়াবহ মহামারী থেকে পরিত্রান দাও
আমাদের বিশ্বাসে ঈশ্বর তুমি জীবিত আছো
তুমিই আমাদের দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্ত করবে
তুমিই চোখের অস্রু শুকাতে কৃপা করবে
আমাদের মুক্ত করবে অপ্রত্যাশিত বিপদ থেকে
হে ঈশ্বর দেখো মানবতার জন্য আত্মত্যাগ করেছে
কত ডাক্তার কত স্বেচ্ছা কর্মী
তুমি তাদের আত্মত্যাগ মহিমান্বিত করো
আমাদের কষ্টের কথা শোনো
তুমি আমাদের কাছে অদৃশ্য হলেও
বিশ্বাসে তুমি সর্বদা জাগ্রত
আমরা বেদনাময় ছোট্ট শিশুর মতো
তোমার করুণা প্রার্থনা করছি।
Samar Bhowmick Apr 2020
মৃত্যুর কাছে জোড়হাত নয়
করি জীবনের কাছে
জীবনে কত ঘটিয়েছি ত্রাস
তার হিসাব যাচে।

মৃত্যু সমাপ্তি টানবে জীবনের
এইতো জগতের বিধি
ছিলেম যতদিন কাঁদিনি কোনদিন
হয়ে ঈশ্বরের প্রতিনিধি।

কর্ম করেছি ধর্ম ছেড়ে
যাহা ছিলোনা ধার্য্য
কর্মফল ভোগ করিতে হবে
জানি অনিবার্য্।

তুচ্ছকে তাচ্ছিল্য করেছি সদা
ক্রোধের আগুন মেখে।
এখন ক্রন্দন আসে আমার
মৃত্যু সামনে দেখে।

আমায় দেখে ভাবো সবাই
মৃত্যুর জন্য বাঁচি
মানুষ হবো সবার সেরা
হোক মৃত্যু কাছাকাছি।

লোভ লালসা থাকবে মোদের
সত্য রুজির প’রে
আরাম আয়েশ সবই করবো
সচ্ছ হৃদয় ভরে।

সত্য পথে থাকলে সবাই
মৃত্যু যাবে দূরে
যদিও মৃত্যু আসে রে ভাই
স্বর্গে যাবো উড়ে।

সেই মৃত্যু যে পরম পাওয়া
ভীষণ গর্বের ধন
মৃত্যু ভয় থাকবেনা আর
বরং ভরবে মন।
Samar Bhowmick Apr 2020
করোনার অসীম অন্ধকারে বিশ্ব
অথচ প্রাণ শিহরিত অণু’র প্রেমের নেশায়
বিরহ বেদনায় যন্ত্রনাময় কারাগারে
হৃদয়ে বরণ করা অণু’র স্নেহময় স্মৃতি
ছোয়াছে করোনার প্রবাহমান বাতাস
শূণ্য পথে প্রান্তরে যন্ত্রনার মিছিল
আদৌও আলো পৌছাবে কি না
অজানা ভবিষ্যতের অজানা সময়
তবু আমি হারিয়ে যাই অণুর গভীরে।

ঘুম থেকে জেগে যখন উন্মোচিত হয়
আরো একটি নতুন ভোর; আনন্দিত হই
কিন্তু প্রভাতী সূর্য্য’কে প্রণাম জানাতে জানাতেই
মৃত্যু আশংকার ভিড়ে ঘুরপাক খাই
যে দিকে তাকাই অন্ধকার আর ঘোর অন্ধকার
সুর্য্যের আলো যেন প্রতারক বিশ্বাস ঘাতক
অথবা নিতান্তই অসহায়
করোনার বিষাক্ত ছোবলের কাছে
তবু নতুন করে শিরোনামহীন পথে
ছুটে চলি অণু-তৃষ্ণায় অনন্ত প্রহর।

যদিও অণু এখন আর অষ্টাদশী নয়
তবু ইচ্ছে করে অণুর প্রাণ তরঙ্গে সাজিয়ে দিই
অসমতল জীবনের সকল সপ্নময় ছন্দ; আর
পাঁজরের ভাঁজে ভাঁজে রেখে দেওয়া সুখে
পাখির পালকের মতো কোমল স্নেহ গুলো
আজ বিভীষিকাময় করোনার তিক্ত অভিজ্ঞতা
অচল নিরুপায় শহরে স্বেচ্চা গৃহবন্দি আমি
দরজার বাহিরে ভয়ঙ্কর মৃত্যু অপেক্ষমান
অথচ মৃত্যু ভাবনা নেই; প্রাণের পুরোটা জুড়েই
অণুর চেতনা তাঁর মানবতার শুদ্ধি অভিজ্ঞান।

অনুশোচনা নেই আমার;
পাহাড়ের মতো জমে থাকা অতীতে
কেননা মন পাড়ায় কোন হিংস্রতা বদান্যতা ছিলোনা
আমার এলোমেলো ইচ্ছো গুলো এই দুর্দিনেও
নতুন সুর তোলে নতুন ভাবে ভাবায়
যদি করুণা হয় করোনা’র
আমি মুছে দিবো সময়ের সকল বর্বরতা
অণু’র স্নেহময় হৃদয়ে গুজেদিবো পুরাতন বিশ্বাসে
নতুন নিঃশ্বাসের বীজ
যেখানে আমাদের অবিনশ্বর প্রেম
প্রকৃত স্বচ্ছ শ্রদ্ধাশীল ভালোবাসা
আর আমাদের পূর্ব জনমের ইতিকথা।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; পঞ্চ ইন্দ্রিয় পঞ্চ মন এক আত্মায়
অত্যন্ত জটিল বিভেদপূর্ণ শরীর আমার
তাঁর মধ্যে আমার আমি কে?
নিজেকে চিনতে পারিনি আজও
অথচ স্নেহ শ্রদ্ধাময় আবেগপূ্র্ণ মন
বিকশিত করতে পারিনি মানবতায়
নিথর আমিকে কতবার স্পর্শ করেছি
দেখিনি আত্মার গভীরে আনন্দের ধ্বনি
আমার আমিকে খুঁজতে গিয়ে;
নিজেই ব্যাধিগ্রস্ত অসহায় আজ
যেন শরীটাকে বহন করে চলেছি মাত্র
অধিকারের কোন লেশ নেই
আত্মার রহস্যময় শব্দ তরঙ্গ গুলো
বারবার স্তব্ধ করে আমায়
আমি বাকরুদ্ধ হই
জন্মের অজস্র প্রতিশ্রুতি ছিলো আমার
শ্রুতি মধুর অহংকারের কাছে বিলুপ্ত প্রায়
ইচ্ছা কথা প্রতিশ্রুতি কিছুই রাখতে পারিনি
লজ্জার আবরনে ঢেকেছি অবয়ব
তাহলে কি জন্ম হয়েছিলো অক্ষম সময়ে
মানবতার স্বর্ণালী রেখা টানার আগেই
কালবৈশাখি ঝড়ে আগাম বর্ষার ঘোলাজল
অস্পষ্ট করে দিলো বর্ণিল প্রাণ?
কতবার চেষ্টা করেছি নিজেকে চেনার
কত যুক্তি উপ-যুক্তি ঘেটে ঘেটে
কেটেছে সময়ের শাখা প্রশাখা
কিন্তু আমার আমি কে?
খুঁজে পেলাম না স্বার্থগত বৈরনিগ্রহ মনে
বারবার মনের গভীরে গিয়ে দেখলাম
সেখানে কোন আলোক বর্ণ নেই
আমি দিপ্তিহীন প্রভাশূণ্য এক প্রেতাত্মা।
Apr 2020 · 37
উপাখ্যান
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু তুমি কি কখনও ভেবেছিলে
আমরা কে কাকে বেশী ভালোবাসি
আমি না তুমি
তুমি না আমি ?
অথবা এমন ভাবনা
আমরা বেশি কে কার জন্য অপেক্ষার প্রহর গোনি
তুমি না আমি
আমি না তুমি ?
অথবা আমরা বেশী বেশি কে কাকে অনুভব করি
তুমি আমাকে
না আমি তোমাকে ?
অথবা এমন ভাবনা
আমরা কাকে বেশি বেশি রাখতে চাই দৃষ্টি সীমানায়
তুমি আমাকে
না আমি তোমাকে ?
অথবা আমরা কে বেশি বেশি স্বপ্নবাজ
আমি না তুমি
তুমি না আমি ?
অথবা এমন ভাবনা
আমরা কে একটু বেশিই স্পর্শের কাঙ্গাল
তুমি না আমি
আমি না তুমি ?
অথবা আমাদের ভালোবাসায় কে হেরে গেলো
আমাদের ভালোবাসায় কে জিতে গেলো
আমি না তুমি
তুমি না আমি ?
যদি এমন ভাবনা ভেবেই থাকো অণু
তবে তা বেহিসেবি ভালোবাসা নয়
সে এক হিসেবি গল্পের উপাখ্যান।
তাহলে ইচ্ছেমতো বলতেই পারো
আমাদের ভালোবাসা ছিলো না কখনও।
কেননা ভালোবাসা আত্মার
হৃদয় নিঙরানো স্নেহ শ্রদ্ধা ক্ষমার।
ভালোবাসায় কমবেশি থাকে না
ভালোবাসায় হার জিত থাকে না।
যদি এমন ভেবেই থাকো তাহলে বরং
আজ থেকে চলো নতুন করে ভালোবাসি।
Next page