Submit your work, meet writers and drop the ads. Become a member
Samar Bhowmick Jun 2020
অণু’র কাজল কালো আঁখিতে
স্বপ্ন রাঙা মুখ
ঘোমটা টানা শাড়ীর আঁচলে
সহস্র জনমের সুখ।

উড়ে এলোচুল বসন্ত বাতাসে
তটিনী তরঙ্গে দুলে
ফাগুন হাওয়ায় প্রেমের রেণু
হৃদয় দরজা খুলে।

সবুজ বনে বসন্তের আগুন
পলাশ সিমুল শাঁখে
রক্ত রাঙা রাধাচূড়া কৃষ্ণচূড়া
অণু’কে জড়িয়ে রাখে।

নোনা পাতায় লিখে দিলাম
অণু’র প্রেম কাহিনী
এঁকে ছিলাম ঠোঁটের তুলিতে=
অতৃপ্ত আত্মার স্নেহখানি।

ভালোবাসা অণু’র ভাবনা মুখর
পিপাসার অনন্ত ধারা
তাঁহার তৃষায় জীবন যৌবন
অতৃপ্ত প্রাণ পাগলপারা।

9 জুন 2020; 21:12, ঢাকা, বাংলাদেশ।
Samar Bhowmick Jun 2020
অণু দম্ভ ভরে তুমি আনন্দ করো
লিখে যাই হৃদয়ের পাতা ভরে
ভালোবাসি তোমায়; ভালোবাসি।

আজকের নতুন প্রভাত স্বপ্ন বিভোর আগামীর
আনন্দ উদয় হওয়া গানের কলি
আত্মাকে জড়িয়ে রেখেছে।

তোমার বুক জড়ানো উড়নার মতো
প্রেম জড়ানো উষ্ণতায় অঙ্কুরিত হয়
উষ্ণ শব্দাবলী- প্রেমের পাঁচালী।

আগাছায় আবৃত উদ্যানের মতো-
আমার অজস্র নিরাপরাধ আবেগের মধ্যে
ভালোবাসি শব্দের সৃষ্টি।

ভালোবাসা হৃদয়ের জ্বলন্ত গোলক
আলোকিত করে উদ্যত প্রেম
অন্তরে উষ্ণ করে তোমার চিহ্ন গুলো।

এবং অন্ধকার সভ্যতায় আগুন দিয়ে
শিখা অনির্বানের মতো জ্বালায় সমাজ,
জ্ঞানের নির্মোহ আলোয়।

প্রেম পৃথিবীর সবচেয়ে শিক্ষনীয় খেলা-
যা আমার ভিতর লুকিয়ে ছিলো.
তোমাকেও ছেড়ে যায়নি।

শৈশবের বন্ধুত্বের মতো
শিশুর হাসির মতো-
আজকের আচরণে প্রদর্শিত শব্দ আমার।

যখন তোমাকে প্রেমিকার চেহারায় দেখি
নতুন করে খননের মতো
নাব্যতা হারানো নদী।

তুমি উল্কা উজ্জ্বল আলোক শিখা
উপস্থিত আলোর একটি বলয়
কিন্তু তারপরেও আত্মাকে বেধে রাখি।

মূর্খ মস্তিস্কের কটুক্তিকরা শব্দের ধাঁধাঁয়
তাঁদের হাস্যকর হাসি
শয়তানের হাততালির মতো বাজে।

কিন্তু অদৃশ্য আত্মা তোমাতেই ফিরে যায়
ধরা বাঁধাহীন অনঢ় বিশ্বাস গরিমায়
দ্রুত উপস্থিত হয় তোমাতেই।

চেতনায় প্রবাহিত তোমার প্রেমের সাঁতার
ভালোবাসতে শেখায় ব্যর্থতাহীন-
বরফের মতো শীতল চিন্তা ধারায়।


যদি কোন দিন কথা নেই জীবনে
যদি আলো নেই সভ্যতার বাগানে
তবু কোন হতাশা নেই প্রাপ্তির।

এবং নির্জন রাত যদিও অন্ধকার
কোন ভয় নেই অনুভবে-
তন্তুর রঙের মতো আমাদের প্রেম একাকার।
Samar Bhowmick Jun 2020
অণু; আসবো এখন?
লিখে দিতে-
অকস্মাৎ ধুকধুকে প্রাণের
নতুন ইতিহাসের বর্ণিল বর্ণ
সামান্য শব্দে-
রক্তিম লাল খাতার পাতায়
প্রেমের ছোট্ট কবিতা।

নোনতা শব্দের-
অসামান্য উত্তাল ঢেউ
সহস্র মৌপাখির জমানো রসে,
সবুজ উদ্যানের মতো
লিখে দিতে-
দু’কলম ভালোবাসার কবিতা,
আসবো এখন?
Samar Bhowmick Jun 2020
তোমাকে অভিনন্দন অণু
স্বাগত জানাই-
হ্যাঁ এখানেই বসো-
এই নরম কেদারায়,
এটাই আমার অন্তরের নিরাপদ ঘর,
এখানেই বসবাস প্রশ্রয় দেয়া মনের আত্মা হৃদয়-
আর; আয়না থেকে থসে পড়া তোমার ছবি
স্নেহ মায়ায় জড়ানো প্রেম।

হ্যাঁ।বারো জোড়া হাঁড়ের খাঁচার ভিতর
ওটাই আত্মার নিরাপদ আলমারী-
ঐ যে- একটাই চাবি,
শুধু তোমার-
খোল, তোমার ইচ্ছে মতো খোল-
তাক থেকে প্রেমের চিঠিগুলি নামাও,
একটা একটা করে দ্যাখো-
দ্যাখো-তোমাকে হৃদয় দিয়ে চিনি
প্রাণের শ্বাশ্বত প্রেমের জন্য-
অনুভব অনুভুতির দীর্ঘ জীবনের জন্য,
যদি তুমি উপেক্ষাও করো আমায়-
সমস্ত জীবন তবু তোমার জন্য।

আমি সেই অপরিচিত ব্যক্তি
যিনি তোমাকে ভালোবাসে-
যিনি মানবীয় মায়াময়তাকে ভালোবাসে
তোমার চঞ্চলতা ব্যর্থতা; কিংবা
হিংস্রতা ঘৃণা নিন্দাগুলোকেও ভালোবেসে
নিজের কাছে রাখে হৃদয়,
পছন্দ অপছন্দের ধার দেনায়-
শব্দ স্নেহ দৃষ্টি স্পর্শের সাথে,
তোমার ফেলে দেওয়া নিঃশ্বাসের ঘ্রাণ।

অণু তুমি এ দিকে তাকাও-
এই যে এইখানে দ্যাখো-
তকতকে মেরুন লাল অভাবী হৃদয়,
প্রত্যেক বার এখানেই তোমাকে স্বাগত জানায়।
দ্যাখো, আর ওপাশটায়-
নিকোটিনের ধোঁয়ার ঝড়ে বিবর্ণ ফুসফুস,
বিষ শুষে নেয় অজস্র ভালোবাসায়-
কর্মঝড়ে নানান তান্ডবের মাঝে,
আহারে নিদ্রায়-
আনন্দ আহ্ণাদে সহস্র চিন্তায়-
আমার নিজস্ব দরজায় তোমাকে স্বাগত জানাতে,
গালে হাত রেখে বসে থাকে সময়।।
Samar Bhowmick Jun 2020
বসন্তের ফুল বৃষ্টির জল ভোরের শিশির-
অনুভবে অনুরোধ করে অণু’কে ভালোবাসতে,
ক্ষুধার্ত হৃদয় আত্মা অন্তর মখমলে মন-
অপেক্ষা করে অণু’র আগমন।
রাতকে তুচ্ছ করে অনূভুতির মিছিল-
আমার খালি হাতে গুজে দেয়,
পান্না রুবির স্বপ্নময় শুভেচ্ছা গুলো।

আত্মা বিদ্রোহী হয়ে উঠে বিবেকের নিরবতায়্
ইচ্ছেমতো অনিচ্ছায় উদ্বেগ বাড়ায়-
সোজা পথ খুঁজে গোপনে্,
ঐশ্বরিক ভালোবাসার পবিত্র পূণ্য পথ।
আমার আকাঙ্খাকে উচ্চাকাঙ্খা করে তোলে,
অণু’র কন্ঠস্বরের স্বর্ণিল মোহময়তা-
সবুজ নীল নতুন বিদ্রোহী চেহারায়।

অণু’র মুখে সুখের বিমূর্ত শব্দটি শুনে
মাতাল শিরাগুলিতে জ্বলে উঠে রক্তাক্ত আগুন,
সংযুক্ত শক্তিশালী আত্মার শুভেচ্ছা ভালোবাসায়
অণু’র নির্দোষ সৌন্দর্যের হীরক হাসিতে-
শীতল প্রেমের ছোঁয়ায় আমার সাদা আকাঙ্খা,
শুদ্ধতায় তোলে নকশীকরা আত্মহারা ঢেউ,
বিড়বিড়িয়ে কথা বলে প্রাণের সাথে মন।

আত্মা মন প্রান অনুভবের মিছিলে-
প্রেমের আশ্চর্য লাল সূর্যের শিখা জ্বালায়,
সেকেন্ডের সহস্র ভাগ আমাকে নিয়ে যায়
অণু’র অন্তরের দুঃথিত শৈবাল সমূদ্রে।
সীমাহীণ ভালোবাসার গহ্ববরে রৌপ্য অনুভূতি
চিন্তনের সাথে সুখ পাখি হয়ে উড়ে-
অন্তরের প্রাচীরে ঘোরাঘুরি করা অব্যক্ত শব্দ
এবং স্নায়ুকোষের জ্বলন্ত আকাঙ্খা গুলো-
জাঁকজমকপূর্ণ নোঙ্গর করে অণু’র শৈবাল সমুদ্রে।।
Samar Bhowmick Jun 2020
একান্ত আপন নির্জনতায়-
বন্ধ ঘরের বিবস্ত্র অন্ধকারে
দৃষ্টিতে ভালোবাসার তারা উন্মোচন করি
পরিশ্রমী মন চোখ অনুভুতি অনুভবে
আত্মায় অবিরাম ক্রন্দনের কম্পনে
পৌঁছে যাই লাস্যময়ী অণু’র জ্বলজ্বলে আলোয়-
কান্নাকাটিরত হৃদয় আশা’র প্রার্থনা করে
জীবন যেন জীবন শিকারীদের শিকার না হয়।

আমাকে অপেক্ষা করতে শেখায়-
প্রেমের শেষ আনন্দ জানা পর্যন্ত
আমি নতুন রূপে প্রতিজ্ঞা করি প্রতিদিন
ধৈর্য্য এবং পরিশ্রমকে সঙ্গী করি,
বর্ণিল সুখের সোহাগী প্রেমের আশায়-
অণূ’র চোখে ত্যাগী ভালোবাসার অমৃত বার্তা পাঠাতে
পদব্রজে ভ্রমন করে যাই জীবনের চৌচির পথ
যতদিন প্রতিদিন নতুন দূরত্বের ধাঁধাঁ।

এবং অন্তরের কর্কট ব্যাথা ধুপের আগুনে ঢেলে
বাতাসের মতো অবিরাম যাত্রায়-
অন্বেষণ করে যাই নতুন অবস্থান
সন্ধান করে যাই অণু’র নিরাপদ নিঃশ্বাস,
জীবনের দীর্ঘ পথের বাঁকে বাঁকে-
স্বতঃসিদ্ধ ভালোবাসার জোয়ারের টানে
দুঃসাহসিক অপেক্ষায় যাত্রা আমার।

একদিন আকাশ থেকে আনন্দের বৃষ্টি ঝরবে
জ্বলজ্বল করে জ্বলবে নীলাভ তারা,
রাত ফেটে পড়বে কম্পমান প্রাণের খাঁচায়
আনন্দ আরামের অনুভবে-
অট্ট হাসি হাসবে বুকের শীতল পাহাড়,
যতদিন বাঁচিনি আমি-
মৌসুমী হাসির শব্দ গুঞ্জনে; বাসন্তি কর্ণকূহর
যতদিন দেখিনি-
ব্যাথা এবং আনন্দের যুগল জোড়া,
প্রস্তানহীন সময়ের জের।

এবং উজ্জ্বল সৌর আলো দেখে দেখে
অনুভব করবো অণু’র মায়াবতী উষ্ণ বাতাস,
আত্মার দরজা খুলে মন ঘুরে ঘুরে-
দেখবো অণু কোথায় আছে,
কোথায় অবসান তার যাতায়ত
ভয়ের সমস্ত সন্ত্রস্ত চিহ্ন বহুদূরে তাড়িয়ে,
অণ’র মুক্ত স্বাধীণ আত্মায়-
যেতে যেতে ক্রমশ ডুবে যাবো।।
Samar Bhowmick Jun 2020
অণু গ্রাস করেছে আমার নিঃশ্বাস
বাকযন্ত্র হৃদপিন্ড ফুসফুস-
মনে রংধনুর উল্কি ছড়িয়ে
গ্রাস করেছে ভালোবাসা স্নেহ প্রেম
সদা সর্বদা দখল করে নিচ্ছে আমায়।

অণু’ই একমাত্র মায়াবতি রহস্যময়ী নারী
অপার রহস্যে গ্রাস করেছে
আমার কবিতা-
কবিতা লিখার খাতা কলম,
তাঁর মানবীয় গুণের বহুময়ী সৌন্দর্য্
দখল করে নিচ্ছে আত্মার ঘর বাড়ী সব।

অণু ছাড়া এখন হৃদয় যত্নহীন,
অসাড় অসীম-
প্রেম বলতে যা জেনেছি আজও; তাঁকেই
অর্ধেক জীবনের আদর বিশ্বাস,
আমার বরফ জ্বলা আগুন।

অণু’ই আমাকে গলিয়ে বিদ্রোহী করে তোলে
তাঁর জন্যই উপসনা করি;
পবিত্র হয়-
আমার নির্বাচিত প্রেম,
নির্বাক নিস্তব্ধতা।

অণু’র মখমলে মায়া ছুঁয়ে জড়িয়ে থাকে আত্মা
অযৌক্তিক চিন্তন চিৎকার করে,
অন্তরে মননে-
ভাবনার পোষাক পড়ায়
আমার অন্তর্ভূক্ত নাজুক ভালোবাসা।

অণু তোমার কোন ধারণা নেই-
তুমি বিস্মিত হবে আমার রেশমী চিন্তধারায়,
উপচে পড়া মুহুর্তে তোমাতেই ভালোবাসার জাঁকজমক অর্পণ,
শিরায় ঢেলে দেয়া তোমার মানবীয় স্নেহে
স্বপ্নভর্তি আমার রুবি সিল্কের প্রেম।

তুমি ভালোবাসার উন্মাদনাকে বিদ্রোহী করে তোল
ক্ষুধার্ত আত্মায় প্রবাহিত চুম্বনের মতো
জলে স্থলে আগুনে বাতাসে-
প্রকৃতির সকল কোনায় কানায় তুমি,
একই রকম আমার-
আত্মা-সঙ্গী-প্রেমিক।
Next page