তোমাকে অভিনন্দন অণু
স্বাগত জানাই-
হ্যাঁ এখানেই বসো-
এই নরম কেদারায়,
এটাই আমার অন্তরের নিরাপদ ঘর,
এখানেই বসবাস প্রশ্রয় দেয়া মনের আত্মা হৃদয়-
আর; আয়না থেকে থসে পড়া তোমার ছবি
স্নেহ মায়ায় জড়ানো প্রেম।
হ্যাঁ।বারো জোড়া হাঁড়ের খাঁচার ভিতর
ওটাই আত্মার নিরাপদ আলমারী-
ঐ যে- একটাই চাবি,
শুধু তোমার-
খোল, তোমার ইচ্ছে মতো খোল-
তাক থেকে প্রেমের চিঠিগুলি নামাও,
একটা একটা করে দ্যাখো-
দ্যাখো-তোমাকে হৃদয় দিয়ে চিনি
প্রাণের শ্বাশ্বত প্রেমের জন্য-
অনুভব অনুভুতির দীর্ঘ জীবনের জন্য,
যদি তুমি উপেক্ষাও করো আমায়-
সমস্ত জীবন তবু তোমার জন্য।
আমি সেই অপরিচিত ব্যক্তি
যিনি তোমাকে ভালোবাসে-
যিনি মানবীয় মায়াময়তাকে ভালোবাসে
তোমার চঞ্চলতা ব্যর্থতা; কিংবা
হিংস্রতা ঘৃণা নিন্দাগুলোকেও ভালোবেসে
নিজের কাছে রাখে হৃদয়,
পছন্দ অপছন্দের ধার দেনায়-
শব্দ স্নেহ দৃষ্টি স্পর্শের সাথে,
তোমার ফেলে দেওয়া নিঃশ্বাসের ঘ্রাণ।
অণু তুমি এ দিকে তাকাও-
এই যে এইখানে দ্যাখো-
তকতকে মেরুন লাল অভাবী হৃদয়,
প্রত্যেক বার এখানেই তোমাকে স্বাগত জানায়।
দ্যাখো, আর ওপাশটায়-
নিকোটিনের ধোঁয়ার ঝড়ে বিবর্ণ ফুসফুস,
বিষ শুষে নেয় অজস্র ভালোবাসায়-
কর্মঝড়ে নানান তান্ডবের মাঝে,
আহারে নিদ্রায়-
আনন্দ আহ্ণাদে সহস্র চিন্তায়-
আমার নিজস্ব দরজায় তোমাকে স্বাগত জানাতে,
গালে হাত রেখে বসে থাকে সময়।।