অণু; যাঁদের জন্য দুঃখ পাই
তাঁদের স্বপ্নগুলোর পরিপূরক হতে স্বপ্ন দেখি,
এবং এখনও ভালোবেসে যাই গোপনে;
আমার অস্তিত্ব দেহে বেঁচে নেই-
বেঁচে আছি বিশ্বাস ভাবনায়; মানবতায়-
আমি চাই তাঁদের শিক্ষিত করি,
ধীরে ধীরে বাঁচিয়ে তুলি মানুষে মানবতায়।
যদিও তাঁরা জীবনের অধিকারী-
যাপনের অধিকারী, জীবন
প্রভুর কৃপা কল্যানের অধিকারী হোক,
রাগযুক্ত বাতাসের পর্দা নামুক হৃদয় থেকে
গতিময় হোক ভাতৃত্ববোধ মায়া-
মানুষে মানুষে জীবে জলে অরণ্যে মৃত্তিকায়,
সমতায় ভাসোক জীবন-
আলো জল অন্ধকারের মতো।
আমি এখনও মানবতা পুরুদ্ধারে বিশ্বাসী-
প্রভুর কৃপা বৃথা হবে না,
মানুষের মনে কলুষতা কেটে যাবে একদিন
নতুন আলোতে রাঙাবে ধরণী-
এবং প্রায়শই গর্ব হয়; যখন দেখি
যখন দু’এক জন অনুকরণীয় মানুষ-
মানুষে প্রাণীতে কিংবা টবের শিশু চারা’র সাথে,
প্রাণের সখ্যতায় ভালোবাসে যায়।
কিছু প্রাণ সর্বদা বিশ্বে আগুন ধরিয়ে দেয়
এবং আনন্দের সাথে গুণে যায়-
অগ্নি দগ্ধ হৃদয়ের হাড় কঙ্কাল-
হিংস্রতারর উদ্ভট রসে হিংসার ক্ষরণে হাসে
অসুরের সর্বনাশা হাসি-
অজ্ঞানতার অন্ধকারে বিভৎস স্বপ্নের ঘোরে
ভুলে যায় নির্মল আনন্দ-
প্রেমহীন আত্মা অহরহ পদার্পণ নরকের পথে,
সন্দেহ এবং বিরক্তি স্নায়ু কোষের অলিতে গলিতে
অবিরাম ঘুরপাক খায়-
অবুঝের মতো বুঝে শরীরে নিজেকে বাঁচায়।
আমি মাঝে মাঝেই হতাশ হই
আবার হতাশাই আমাকে বাঁচিয়ে রাখে,
সময়ের আনাচে কানাচে আশার শব্দ শুনে
ভুলকে ভালোবেসে ফোটাতে যাই ফুল,
চাই মানবতার অপার সৌরভে ভরে উঠুক
বুদ্ধিদীপ্ত অবুঝ অসহায় মানব প্রজাতি-
ঈশ্বরের সুপারিশে ভুলের ভূমিকার বদল হোক
অদ্ভুত অভিনেতার মতো বদলে যাক অনুভব,
পৃথিবীতে প্রবাহিত হোক শান্তির সময়; সুখের
স্বর্ণালী ভবিষ্যতে উড়ে আসুক মানবতা।
আমি জন্ম নিয়েছি অনন্তকালীন জ্ঞানহীন সময়ে
চারিধারে আঁধারের বেড়াজালে ক্ষীন মানবতা,
পার্থিব দুর্দশা থেকে মুক্তি না পেলেও
চাই পুনরুত্থিত হোক প্রেম-
পৃথিবী থেকে সরে যাক দম্ভের অদ্ভুত বিশ্বাস,
সরে যাক সভ্যতার ক্রন্দন।।