এত নির্লজ্জ কি করে হয় ?
যখন ফাগুন আসে
রক্তাব লাল কৃষ্ণচূড়া পলাশ শিমুল
তোমার সিঁথিতে সিঁদুর কপালে লাল টিপ; আর
কোকিলের কন্ঠে তোমার স্বরলিপি
আমার অস্তির হৃদয় ভালোবাসে তোমার ভালোবাসা।
অণু এমন নির্লজ্জ কেউ হয় ?
যখন তুমি রাগে গোস্বায়, তোমার কান জ্বালাপালা
ফুসফুস হতে গরম বাতাস বহে নাসারন্ধ্রে
ক্ষিপ্ত কন্ঠস্বর দুর্দান্ত চৈত্র রক্তের স্রোতে
তখনও আমি ভালোবাসি তোমার ভালোবাসা।
এমন নির্লজ্জ আর কে হয়?
যখন তুমি অন্ধকারে মিলিয়ে যাও
কেড়ে নিয়ে আমার দৃষ্টি
নতুন আলোকিত সুর্যের অপেক্ষায়
তখনও আমি ভালোবাসি তোমার ভালোবাসা।
অণু এমন নির্লজ্জ আর কে আছে ?
যখন তুমি ঘর্মাক্ত শরীরে
নোনতা ঘ্রাণ বিলিয়ে দাও
বিষন্ন মনে তাচ্ছিল্য ছড়াও
তখনও আমি ভালোবাসি তোমার ভালোবাসা।
এর পরেও বলবে এমন নির্লজ্জ আছে ?
যখন তুমি আমার চৌদ্দ পুরুষের ঠিকানায়
অবলিলায় পৌছে দাও তোমার তেজস্বী বার্তা
যদিও জানি বাঁচার তাগিদ অহরহ
তখনও আমি ভালোবাসি তোমার ভালোবাসা।
অনু এমন নির্লজ্জ আর দেখেছো ?
আমার ব্যর্থতায় যখন মাথায় উঠে শহর
তখনও আমি ডাবের শীতল জল
তোমার ব্যার্থতা পরানে ঢালি শান্তির ছলে
আর ভালোবেসে যাই তোমার ভালোবাসা।
আমিই একমাত্র নির্লজ্জ অণু
ভালোবাসি বলেছি সেই কবে
কোন স্বার্থেই আর ফেরত নেইনি উচ্চারিত শব্দ
কোন পার্থিবতা আমাকে গ্রাস করে না
কোন পার্থিবতা গ্রাস করে না প্রেম
কেননা প্রেম নিছক সম্পর্ক নয় অণু; তাই
ভালোবেসে যাই নিরবে, আজো ভালোবাসি।