Submit your work, meet writers and drop the ads. Become a member
Samar Bhowmick Apr 2020
অন্ধ গেলো ডাক্তার খানায়
কাঁপে থর থরে
ডাক্তার তার প্রেসার দেখে
পথ্য দিলো তারে।

ডাক্তার বলে দুগ্ধ খাবে
ওরে বেটা অন্ধ
তবেই হবে তোমার রোগ
যথারীতি বন্ধ।

অন্ধ বলে ঠিক আছে
কিন্তু দুগ্ধ অচেনা
দেখতে কেমন খেতে কেমন
তাতো জানি না।

অন্ধ বলে জানতে চাই
দুগ্ধের রঙ কি
ডাক্তার তখন পাগল হয়ে
মাথায় ঢালে ঘি।

দুগ্ধ হলো বকের মতো
ধব ধবে সাদা
অন্ধ বলে দেখিনা চোখে
আমি অন্ধ গাধা।

বক কেমন তাই বলেন
ধরি নিজের ভুল
ইচ্ছে করছে নিজের মাথার
ছিঁড়ে ফেলি চুল।

ডাক্তার বলে রাগ করোনা
জন্ম তোমার ভুল
বকের গলা চাঁদের মতো
অর্ধ বৃত্ত গোল।

অন্ধ বলে অর্ধবৃত্ত গোল
প্রথম শোনা মোর
ছুঁয়ে যদি দেখতে পারি
কাটতো আমার ঘোর।

ডাক্তার বলে তোমায় নিয়ে
কিযে বিপদ হায়
তখন নিজেই হাত বাঁকিয়ে
সামনে নিযে যায়।

বাঁকা হাত ছুঁয়ে দেখে
অন্ধ বলে স্যার
খাবোনা এই বাঁকা দুগ্ধ
কি আছে আর ?

দুগ্ধ মানে তরল দুধ
এটা বকের গলা
বকের মতো সাদা হবে
এটাই তোমায় বলা।।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু’র কোমল হাত
আমার জন্য প্রার্থনা করে
আবার;
অন্তরঙ্গ স্নেহে
নিশ্চিন্ত
আবেগ তৈরী করে
তাঁর হাতের কোমল খেলা
কখনও
শিল্পের অঙ্গ হয়
প্রেমের শীর্ষে
নিরাপদ;
যদিও অন্ধকার
স্পর্শকারী হাত
উষ্ণতা দিয়ে যায়
অন্তর্বাসের গভীরে
প্রবাহমান জীবন স্রোত;
ভালোবাসার কৌটোয়
সেই হাতের স্পর্শ
আমি ছুঁতে চাই
অবিরাম খুঁজি
আমাকে কষ্ট দেয়;
আমিও
সে হাতের প্রার্থনা করি।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু আমার অতিষ্ঠ কর্ণকুহরে
তোমার স্নেহময় ফিস্ ফিস্ শব্দে
আমি খুজে পেয়েছি ভালোবাসার বেদী
আশা
হৃদয়
যেখানে অঙ্কুরিত হয় প্রেম।
সেই অদম্য আগ্রহে
তোমার জন্য রোদ খুঁজছি অণু
সেই রোদের আলোকচ্ছটায় আলোকিত হবে বিদ্বান পৃথিবী
আর,
তোমার জন্য আনবো স্বাধীনতা।।
Samar Bhowmick Apr 2020
দু’হাত ভরে করছি কামাই
কত আমার গুণ
হাসি মুখে করছি আমি
মানবতা খুন।

লম্পট হ্ওয়ার সুযোগ কিন্তু
পরিবার থেকেই আসে
যোগ্যতার চেয়ে সবাই বেশী
সম্পদ ভালোবাসে।

নিজে যখন আয়নায় দেখি
নিজের প্রতিবিম্ব
চোরা ছ্যাচড়া ভাবি কেবল
তবু কত দম্ভ।

আসলে আমি ছাই কেবল
ময়লার একটা স্তুপ
সম্পদের গরম নেই শরম
সমাজও থাকে চুপ।

এত সুন্দর মিথ্যা বলি
কলি যুগের কৃষ্ণা
ভাব দেখিলে মিটে যাবে
সবার সকল তৃষ্ণা।

আয়ের উৎস প্রায় খেয়েছে
বিবেক বুদ্ধি মন
চরিত্র খানা খেলো বাকি
নইতো মানুষ মহাজন।

দেখছো আমায় যেমন তোমরা
আমি তেমন নই
নানান সময় নানান কাজে
একেক সাজে রই।

প্রার্থনা আমি করতে হলে
সচ্ছ অন্তর চাই
অন্তর আমার বহু আগেই
বেসাত হয়েছে ভাই।

চোখে ভাসে কুকীর্তি আমার
ভাসে ক্ষণে ক্ষণে
প্রার্থনার মুখ নেইতো আমার
সুখ নেই মনে।।
Samar Bhowmick Apr 2020
হে ঈশ্বর তোমার করুণায় আমরা বিমোহিত
আমরা সংশয়বাদী হলেও তোমাতে বিশ্বাস
আমাদের জন্য শক্তিশালী করো তোমার করুণা
আমাদের বিশ্বাসে বিড়ম্বনা তৈরী করো না
যদিও অপারগ হলেই তোমার প্রার্থনা করি
আমাদের পক্ষে ধর্ম গুরু উপাসনা করেন
আমাদের মাতাপিতা উপাসনা করেন
হে ঈশ্বর আদি পিতা মানবতার জন্মদাতা
তোমার পবিত্র সৃষ্টি রক্ষা করো
করোনার ভয়াবহ মহামারী থেকে পরিত্রান দাও
আমাদের বিশ্বাসে ঈশ্বর তুমি জীবিত আছো
তুমিই আমাদের দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্ত করবে
তুমিই চোখের অস্রু শুকাতে কৃপা করবে
আমাদের মুক্ত করবে অপ্রত্যাশিত বিপদ থেকে
হে ঈশ্বর দেখো মানবতার জন্য আত্মত্যাগ করেছে
কত ডাক্তার কত স্বেচ্ছা কর্মী
তুমি তাদের আত্মত্যাগ মহিমান্বিত করো
আমাদের কষ্টের কথা শোনো
তুমি আমাদের কাছে অদৃশ্য হলেও
বিশ্বাসে তুমি সর্বদা জাগ্রত
আমরা বেদনাময় ছোট্ট শিশুর মতো
তোমার করুণা প্রার্থনা করছি।
Samar Bhowmick Apr 2020
মৃত্যুর কাছে জোড়হাত নয়
করি জীবনের কাছে
জীবনে কত ঘটিয়েছি ত্রাস
তার হিসাব যাচে।

মৃত্যু সমাপ্তি টানবে জীবনের
এইতো জগতের বিধি
ছিলেম যতদিন কাঁদিনি কোনদিন
হয়ে ঈশ্বরের প্রতিনিধি।

কর্ম করেছি ধর্ম ছেড়ে
যাহা ছিলোনা ধার্য্য
কর্মফল ভোগ করিতে হবে
জানি অনিবার্য্।

তুচ্ছকে তাচ্ছিল্য করেছি সদা
ক্রোধের আগুন মেখে।
এখন ক্রন্দন আসে আমার
মৃত্যু সামনে দেখে।

আমায় দেখে ভাবো সবাই
মৃত্যুর জন্য বাঁচি
মানুষ হবো সবার সেরা
হোক মৃত্যু কাছাকাছি।

লোভ লালসা থাকবে মোদের
সত্য রুজির প’রে
আরাম আয়েশ সবই করবো
সচ্ছ হৃদয় ভরে।

সত্য পথে থাকলে সবাই
মৃত্যু যাবে দূরে
যদিও মৃত্যু আসে রে ভাই
স্বর্গে যাবো উড়ে।

সেই মৃত্যু যে পরম পাওয়া
ভীষণ গর্বের ধন
মৃত্যু ভয় থাকবেনা আর
বরং ভরবে মন।
Samar Bhowmick Apr 2020
করোনার অসীম অন্ধকারে বিশ্ব
অথচ প্রাণ শিহরিত অণু’র প্রেমের নেশায়
বিরহ বেদনায় যন্ত্রনাময় কারাগারে
হৃদয়ে বরণ করা অণু’র স্নেহময় স্মৃতি
ছোয়াছে করোনার প্রবাহমান বাতাস
শূণ্য পথে প্রান্তরে যন্ত্রনার মিছিল
আদৌও আলো পৌছাবে কি না
অজানা ভবিষ্যতের অজানা সময়
তবু আমি হারিয়ে যাই অণুর গভীরে।

ঘুম থেকে জেগে যখন উন্মোচিত হয়
আরো একটি নতুন ভোর; আনন্দিত হই
কিন্তু প্রভাতী সূর্য্য’কে প্রণাম জানাতে জানাতেই
মৃত্যু আশংকার ভিড়ে ঘুরপাক খাই
যে দিকে তাকাই অন্ধকার আর ঘোর অন্ধকার
সুর্য্যের আলো যেন প্রতারক বিশ্বাস ঘাতক
অথবা নিতান্তই অসহায়
করোনার বিষাক্ত ছোবলের কাছে
তবু নতুন করে শিরোনামহীন পথে
ছুটে চলি অণু-তৃষ্ণায় অনন্ত প্রহর।

যদিও অণু এখন আর অষ্টাদশী নয়
তবু ইচ্ছে করে অণুর প্রাণ তরঙ্গে সাজিয়ে দিই
অসমতল জীবনের সকল সপ্নময় ছন্দ; আর
পাঁজরের ভাঁজে ভাঁজে রেখে দেওয়া সুখে
পাখির পালকের মতো কোমল স্নেহ গুলো
আজ বিভীষিকাময় করোনার তিক্ত অভিজ্ঞতা
অচল নিরুপায় শহরে স্বেচ্চা গৃহবন্দি আমি
দরজার বাহিরে ভয়ঙ্কর মৃত্যু অপেক্ষমান
অথচ মৃত্যু ভাবনা নেই; প্রাণের পুরোটা জুড়েই
অণুর চেতনা তাঁর মানবতার শুদ্ধি অভিজ্ঞান।

অনুশোচনা নেই আমার;
পাহাড়ের মতো জমে থাকা অতীতে
কেননা মন পাড়ায় কোন হিংস্রতা বদান্যতা ছিলোনা
আমার এলোমেলো ইচ্ছো গুলো এই দুর্দিনেও
নতুন সুর তোলে নতুন ভাবে ভাবায়
যদি করুণা হয় করোনা’র
আমি মুছে দিবো সময়ের সকল বর্বরতা
অণু’র স্নেহময় হৃদয়ে গুজেদিবো পুরাতন বিশ্বাসে
নতুন নিঃশ্বাসের বীজ
যেখানে আমাদের অবিনশ্বর প্রেম
প্রকৃত স্বচ্ছ শ্রদ্ধাশীল ভালোবাসা
আর আমাদের পূর্ব জনমের ইতিকথা।
Next page