Submit your work, meet writers and drop the ads. Become a member
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; এমন একটি প্রহর চাই
একটি উৎসবের আয়োজনে
তুমি অতীতের মায়ায় ক্রন্দনরত
প্রথাগত অনুষ্ঠান প্রস্তুত
অনাগত নতুন ফাগুন।
কেউ গান গাইছে
কেউ জড়িয়ে রাখছে তোমায়
আকাশ বাতাস আনন্দিত
সকলের হাতে হাতে বর্ণিল ফুল।
আনন্দের জোয়ারে
বাতাসে করতালির ঢেউ
এত সুন্দর মিষ্টি আওয়াজে
শান্তির বর্ণিল সমাহার।
তারপর হঠাৎ
“অণু” শব্দের গর্জনে
একটি বিস্ফোরণ
আমার কন্ঠে।
স্বর্গের মতো আনন্দময়
আমার আত্মা
জীবন ফিরে পাই
শুদ্ধ মানুষের।
আশির্বাদের ঘন্টা বাজে
ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই
এমন একটি প্রহর চাই আমার।
Samar Bhowmick Apr 2020
অদৃশ্য চিত্রপটে আঁকা
আমাদের ছবিগুলো
শোবার ঘরেই রেখো অণু
অদৃশ্য ভালোবাসা গুলো
গণিতের সাংকেতিক চিহ্নের মতো
জীবনের ভাঁজে ভাঁজে
লুকিয়ে রেখো
উচ্চারিত শব্দের বলাকা গুলো
নিঃশব্দে উড়তে দিও
মনের আকাশে
মান অভিমান আর কষ্টগুলো
হাওয়াই মিঠাইয়ের মতো
মিলিয়ে যেতে দিও
আপন স্নেহের পরশে
আর স্বপ্ন গুলো
তরতর করে বেড়ে উঠতে দিও
কলমি লতার মতো
মনের সরোবরে
দখিনা বাতাসে
দোলে উঠা জলের মতো
একটু ফাগুন দিও আমায়
তুমি আমায় একটু ছুঁয়ে দিও
একটু চঞ্চলতা দিও
তোমার বুদ্ধিদীপ্ত কৃষ্ণসাগরে
পঞ্চপান্ডবকে নামতে দিও নির্দ্বিধায়
যদি পারো অন্তত একবার;
একবার; আলিঙ্গনের অধিকার দিও
আমি স্বর্গ শিখরে দাঁড়িয়ে
একটি আলিঙ্গন চাই
ঠোঁটের ভাঁজ থেকে
অন্তত এক ফোঁটা বিষ চাই।।
Samar Bhowmick Apr 2020
18 জানুয়ারী 2020; 13:45

অণু; আমি যদি কখনও
অধঃপাতিত হই
ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায়
অথবা কোন ব্যার্থতায়
যদি চলে যাই জাহাজে চড়ে
নীল সমুদ্দুরে
কিংবা কোন দ্রুতযানে
অচেনা আকাশে
তুমি আমার লিখা শব্দবর্গ পড়ো
আর দৈনতা কাটিয়ে কোন দিন
আমার শব্দবর্গ জীবন্ত করে
আকাশে ছুঁড়ে দিও
ছড়িয়ে পড়ুক
শহরের অলিতে গলিতে
পল্লী পথ প্রান্তরে
নগরে বন্দরে
আমার সাম্যতার আহ্ববান।
যদি কোনদিন মৃত নদীহয়ে প্রবাহিত হই
তোমার অন্তরে মননে
তোমার নেশাতুর ঘুমের ফাঁকে
সাদা চিন্তা চেতনায়
অথবা জৈব জাগরনে
তুমি আমার লিখা শব্দবর্গ পড়ো
আর দৈনতা কাটিয়ে কোন দিন
আমার শব্দবর্গ জীবন্ত করে
আকাশে ছুঁড়ে দিও
ছড়িয়ে পড়ুক
শহরের অলিতে গলিতে
পল্লি পথ প্রান্তরে
নগরে বন্দরে
আমার ন্যায্য সাম্য সৌহার্দের
ধর্মান্ধতামুক্ত নিষ্কলুষ
মায়া মমতা শ্রদ্ধা স্নেহ
আর প্রাচীন প্রবীণ প্রেমের আহ্ববান।
Samar Bhowmick Apr 2020
বড় আনন্দ লাগে
যখন ইচ্ছেরা মিশে যায় অণুর আকাশে
নিঃশ্বাসের শব্দগুলো যখন আমায় ভালোবাসে।

বড় আনন্দ লাগে
অণুর হাসিতে যখন ভেসে আসে সুখ
মৃত্যু যন্ত্রনাও তখন আমার সামান্য অসুখ।

বড় আনন্দ লাগে
অণুর কাঁধে হাত রেখে যখন দাড়িযে থাকি
পৃথিবীর সব মূল্যহীন তখন সকলি যেন ফাঁকি।

বড় আনন্দ লাগে
যখন চোখে ভাসে অণু’র ছবি ছায়া
বিগলিত হৃদয়ে দেখি প্রেম মানেই মায়া।

বড় আনন্দ লাগে
হৃদয়ে যখন আনমনে অণুকেই ঘাটি
অণুই যেন পুষ্প পল্লব অণুই ক্ষমাশীল মাটি।

বড় আনন্দ লাগে
ধরা’য় যখন ঘুরে বেড়াই একা
সভ্যতার ভালোবাসায় যেন অণু’র পাই দেখা।

বড় আনন্দ লাগে
যখন অতীত গুলো ভেসে আসে বর্তমানের চোখে
খামচে ধরে প্রিয় স্মৃতি জড়িয়ে রাখে অণু সম সুখে।
Samar Bhowmick Apr 2020
দেখে দেখে কর্ম শিখে
কিসের ধার্মিক আমি
ধর্ম শিখে ধার্মিক হতে
হৃদয়ে চাই পুণ্যভুমি।

সাজ সজ্জায় ধর্ম নাই
ধর্ম নাই দানে
উপfর্যনে সততা চাই
সততা চাই প্রানে।

ধর্ম কর্ম সবই করি
সৎ বু্দ্ধি নাই
সকল যাবে বিফল আমার
সকল হবে ছাই।

জানি আমি কর্ম হীনে
ধর্ম জেগে থাকে
অক্ষমতায় ধর্ম বাঁচে
যদি হৃদয় সচ্ছ রাখে।

স্রষ্টা তুষ্ট ডাকে শুধু
নাহি চাহে ধন
পরিক্ষা করেন তিনি
দিয়ে চঞ্চল মন।

দুনিয়া জুড়ে দেখি বিচার
দেখি রোগ শোক
পাপের শাস্তি দিতে তিনি
দিলেন নানা দুর্ভোগ।

সকল প্রাণের একই বায়ু
সেবন করে বাঁচি
তবু নিজে সবার সেরা
বলতে বলতে নাচি।

অহংকারে পতন নিশ্চিত
সদা শুনতে হয়
মনের ভিতর নেইতো তবু
সৃষ্টিকর্তার ভয়।

কর্ম যাহা আছে আমার
সত্য ভাবে করি
তবেই আমি ধার্মিক হবো
রইবো ধর্ম ধরি।।

16 মার্চ 2020, ল্যাব এইড, ঢাকা, বাংলাদেশ।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; অন্ধকারের ইঙ্গিত করো না
আলোর দিকে তাকাও
দ্যাখো, আমরা নেমে যাচ্ছি কতটা গভিরে
আত্মার ইশারায়।
বাতাসের সাথে মিশে আছে আমাদের প্রেম
সমগ্র পৃথিবীর সকল অনুষঙ্গ জুড়ে
এবং কখন
আমি তোমার আত্মায় ঘুমিয়ে পড়েছি
তোমার হৃদয়ের আলোতে।
আমার সকল চিন্তার জলপ্রপাতে
তোমর প্রসারিত ভালোবাসা
এবং অবাধ যাতায়ত।
আমার প্রাণের জীবন্ত সকল সত্তার মাঝে
তুমিই একমাত্র মানবী
একমাত্র উজ্জ্বলতার দেবী।
আমার সহস্র জন্মান্তরের মধ্যে
তোমাতেই প্রথম থেমে যাওয়া
আমার প্রথম প্রেমের অনুভব
আমার প্রথম বন্দি হওয়া
আমার প্রথম ভয়
আমার ভয়।
আর আমি ভাবি
তুমি কি আমায় বুঝতে পারছো না?
Samar Bhowmick Apr 2020
সহস্রাব্দের শ্রেষ্ঠ স্বপনের জন্মভুমি; অণু
মাকড়সার জালের মতো জড়িয়েছে আমার পৃথিবী
বকুলে মিশে থাকা ঘ্রাণের মতো একাকার আমি
দূর-দূরান্ত থেকে চাঁদের মতো স্নিগ্ধতা
অবিরাম ছড়িয়ে যাচ্ছে হৃদয়ের সবুজ জমিনে
বিরহের লাঙ্গল ফলায় চষে যাচ্ছে
আমার প্রাণের প্রশান্ত মাঠ
চৈত্রের খরা ফাঁটা তৃষ্ণার্ত চঞ্চল আমি
অথচ; তৃষ্ণার্ত হৃদয়ে সহস্রাব্দের শ্রেষ্ট ভয়ের বাগান
সেখানে আমার জলজ্যন্ত কাঙ্খিত স্বপ্ন গুলো তুমি; অণু
আমি এখন কলমিলতার কোমল ডগায়
প্রজাপতির বর্ণিল পাখায়
দিঘীর জলে হাঁসের সাঁতারে
ঘাস ফুলের ছোট্ট পাপড়ির দোলায়
কিংবা দুর্বা ঘাসে শিশির কণায়
অবিরাম তোমাকে দেখি; অণু
ঘাসের ডগায় জমানো শিশিরে তোমার ভেজা পা
আমাকে স্পর্শ করে; চঞ্চলতায়
আন্দোলিত করে চৈত্রের দখিনা বাতাস
তোমার নিঃশ্বাসের উষ্ণতায় আমাকে অস্তির করে তোলে
কামরাঙ্গার শাঁখায় মিষ্টি সবুজ টিয়ে
সে ও তোমার স্বপ্ন দেখায়; ভাবায়
সবুজ পাতার ফাঁকে হলদেটে কামরাঙ্গায় টিয়ের রঙ্গিন ঠোঁট
তোমার অস্তিত্বেরই জানান দেয় বারবার
অণু; যেন তোমার হৃদয়োষ্ণ চুম্বনের অপেক্ষায়
সহস্রাব্দের বুকের ভিতর আমার শ্রেষ্ঠ স্বপনের বহর
অতঃপর-
হৃদয়ের স্বচ্ছ জলে তোমার প্রতিচ্ছবি দেখার অপেক্ষায়
বিরহ নেমে আসে বৈশাখের আচমকা হাওয়ায়
আকাশে ভেসে আসে বিবর্ণ মেঘ
আমাকে কাঁদায়; কাঁদে স্বপন
আর আমার স্বপনের ঘর।।
/
।।মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।।
Next page