মনের ঠিকানা নেই
উদ্দেশ্যহীন গন্তবে নিরন্তর উড়ে চলা
অণু’র দ্বারে কড়া নেড়ে পড়ে শোনাই
খাম খোলা বিবেকের চিঠি
অন্ধ চোখ বন্ধকরা অতীতের
বিশ্বাস ভালোবাসায় নিপূণ গল্প
ধ্যান আর জ্ঞানের আশ্রয়
বেচেঁ থাকা ভালোবাসাময় কাশবন।
সন্দেহ অবিশ্বাসকে সাথে নেইনি কখনও
রাতের আঁধারকেও বাহারী রঙে দেখি
যখন অণু আমার ভাবনায় সত্যের সাজে
জানি দিনের আলোয় রাস্তার পাড়ে বসে
পুরুষ বেশ্যারা লজ্জ্বাহীণ বলবে প্রেম
তাদের ঘৃনার তী্ব্রতায় লজ্জায় মাথা ঢাকবে গর্ভধারিনী।
ভুলের শুরু কোথায় কারো জানা নেই
কখনও না কখনও জ্বলবেই সেই আগুন
কিন্তু মাশুল নয় বলি অর্জন
এমনই জ্বলছি ভাট্টির আগুনে
তবু ফিরতি খাম খুলে দেখি: প্রেম
জানতে চাই অণুর কাছে
বার্তায় কি অর্জন আছে আমাদের।
মেয়াদউর্ত্তীর্ণ সময়ের ভালোবাসায়
অণুর অন্তরের গল্প আমাকে ভালোবাসে
দেখায় হৃদয়ে মানবতার নানা অলি গলি
আলোর আশায় জোনাকীর আশ্রয় চাই
যে যন্ত্রনায় যৌবন পুড়েছে;
পুড়েছে সকাল দুপুর বিকেল
কিছুতেই সেখানে ভালোবাসা ফেরাতে পারি না
উপহার দিয়েছি নিয়ম জড়ানো লাশ।
সুখময় স্মৃতির অতীত নেই
আছে অন্ধ বোবার তীব্র যন্ত্রনা
বার্ধক্যের কাছাকাছি ছিড়ে যাওয়া জীবনের জমিনে
এখন অণুর সুতোয় দু’একটি রঙ্গীন আল্পনা
কল্পনায় ভাসে, সুঁচের আঘাত ছুঁবে না কখনও
শুধু হৃদয়ের ভাজেঁ লুকিয়ে রাখা।
দীর্ঘশ্বাসের ঘরে যায় আসে প্রেম
মনের বারান্দায় দায়িত্বের বেড়াজাল
আনমনা বিশ্বাস অণুকে ভালোবাসে
অবিরাম পাওয়ারী চশমায় খুঁজে তার হাসিমুখ
বুকের জমিনে চাষকরি ভালোবাসা।
হোক ভুলের হোক ঘৃনার হোক কষ্টের হোক বেদনার
নিতান্তই আমার ভালোবাসা
পথের পাড়ের বেশ্যাদের কথায়
আমার কিছু যায় আসে না।
আমি বুকের সিন্ধুকে সাজিয়ে রেখেছি
অণু সুখের চিঠি
সময় মতো তুলে নিও
খামভর্তি ভালোবাসা।