Submit your work, meet writers and drop the ads. Become a member
Samar Bhowmick Apr 2020
একটি মৃত্যুও
আমাকে দূরত্ব শেখায় না
বরং আপন সত্বাকে জাগিয়ে তুলে
কিন্তু ব্যতিক্রম বেঁচে থাকা।

আমরাও একদিন পতিত হবো
অবধারীত মৃত্যুর ঠিকানায়
মৃত্যু যেন শোক না হয় অণু
শোক; ভালোবাসাহীন নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা।

শোক নয় শূণ্যতা নয়; নয় অসুখ
মৃত্যু; আমাদের ছড়ানো ভালোবাসা গুলো
জিইয়ে রাখে ভিন্ন ভিন্ন অস্তিত্বে
এক অভিন্ন প্রেম।

অণু আমরা শূণ্য হই আমরা দরিদ্র হই
বেঁচে থাকা অবিশ্বাস আর হিংস্রতায়
তুমি বরং আমার মৃত্যুতে আনন্দিত হইও
বেঁচে থাকুক কীর্তি ও প্রেম।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; হতাশার কিছু নেই
আমি অগ্রাহ্য করি না কিছুই
মাটিকে অবাক দৃষ্টিতে দেখি
অবিকল আমার মতোই
ব্যথায় প্রসারিত জীবন।

অণু; জীবন অবিকল মিশ্রণ
এখানে আক্রমন আছে
ঘৃণা এবং ক্ষোভ আছে
সন্দেহ প্রেম আছে
স্নেহ ভালোবাসা আছে
যদি তুমি পরিবর্তন চাও
জীবন থেকে বেছে নাও।

অণু; যদি চাও ফূল ফুটোক
যদি চাও সুবাস আসুক
যদি চাও আঁধার পদতলে;
দ্রুত খুঁজে নাও আশা
হৃদয়ের গভীরে বুনো
জীবন; ভালোবাসা।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; আমি না হয় আর কাঁদবো না
না হয় নিজেকে ভিজাবো না শ্রাবণের জলে
সারাটা জীবন না হয় এভাবেই কাটাবো সৌর অনলে
তাহলে কি থেমে যাবে বৃষ্টি ?

বরং তুই নিশ্চুপে এসে শ্রাবণের কবিতা শোণ
শোণ বিদগ্ধ আত্মার করুণ সুর
কতটুকু সয়ে কতটুকু জ্যান্ত আমি
পারিসতো ছুঁয়ে দিস আমায় শান্তির বারতায়।

অণু; তোর ছোঁয়ায় মেঘেরা ভেসে যাবে
আলোতে মিশে যাবে শতত আধাঁর
আষাঢ়ের মেঘে ঢাকা জন্মান্ধ চোথে
রোদ্দর নেমে এসে হেসে হেসে দিয়ে যাবে
চুম্বনের মালা; শাশ্বত প্রেম।

আয়; আমি না হয় একটানা বলে যাবো শ্রাবণের কবিতা
যদি পারিস জাগিয়ে দিস; এই নিষ্প্রাণ প্রাণ
ফুলের সুবাস নিশ্চই তুইও ভালোবাসিস
প্রজাপতির মতো; অবিরাম।

অণু; তুই এলেই কলুষমুক্ত প্রাণ
তোর সান্নিধ্যেই কবিতার বিজয়
তোর স্পর্শেই জাগ্রত ধরণী
জাগ্রত হৃদয় আত্মা ও প্রেম
তোর স্পর্শেই শান্ত হোক অন্তর্বৃষ্টির মাঠ।
Samar Bhowmick Apr 2020
বসন্ত আসে; বসন্ত এলেই
পৃথিবীসমগ্র বিষন্নতা
গ্রাস করে হৃদয়
ফাগুনের প্রথম প্রহর
দোকানে দোকানে অপেক্ষমান
রঙিন ফুল সহস্র ফুলের স্তুপ
আমার দেখা ফুলের লাশ।
বসন্ত আসে
মাঘ পেরুতে না পেরুতেই
স্নেহময় বনানীর সবুজ পাতায়
ঝিরঝিরে বসন্ত বাতাস
নতুন নাতিশিতল ভোর
ঘাসের বুকে অজস্র শিশির কণা
অপেক্ষমান মন স্থবির পা
চোখে নোনা জলে বিবর্ণ সময়।
বসন্ত আসে; বসন্ত এলেই
আমার দীর্ঘশ্বাস বেড়ে উঠে
তামাক গন্ধ ছড়ায় বাতাসে
জনাকীর্ণ কারাগার
হৃদয় পুড়ানো তীব্র গন্ধ
স্নায়ুকোষে আফিমের বিষ
অপেক্ষমান আমাদের প্রেম;
বুকের খাঁচা খুলে দেখায়
কৃষ্ণচূড়া পলাশ লাল রক্তের ছাপ।
তবুও বসন্ত আসে; বসন্ত এলেই
কোকিলের কন্ঠে অণূ’র সুর বাজে
প্রজাপতির ডানায় মেহেদিরঙা হাত
ছুঁয়ে দেয় শূণ্যতা
বরেন্দ্র হৃদয়ে শুকনো পাতার মরমর শব্দ
ভাঙ্গে স্বপ্নের পাহাড়
চারুকলা টিএসসি রমনা কিংবা সংসদ চত্বরে
জুটি বদ্ধ রমনীরা লালপাড় শাড়িতে
একত্রিত হয়; স্বাগত জানায়
দখিনা বাতাসে আনন্দ কোলাহল
গ্রাস করে শূণ্য সাহারা
নিয়তি পদপিষ্ট হয়ে আহত সময়ে
এ্যম্বোলেন্সের সাইরেন বাজে অণু’র ক্রন্দন
মুমুর্ষ হৃদয় রোগ
টিক টিক শব্দে জানান দেয়
ঘড়ির কাটা বসন্ত ও জীবন।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু প্রতিটি কুয়াশা কণার অন্তরালে
রোদের ঝিলিক জ্বলে
একদিন কুয়াশা গলে যায়
দুঃখজনক হয় বোকামী গুলো।

দেখ অন্তরে ভিতরের গভীরে
একটি প্রেমের জন্ম
একটি শক্তিশালী সংগীত
যেখানে অস্পষ্ট কোন কথা নেই।

যেখানে আমাদের যত্ন গুলো
চুম্বনে পরিনত হয়; আর
চু্ম্বন গুলো হৃদয়ের স্পন্দন হয়ে
প্রবাহিত হয় আলিঙ্গনে।

জন্ম জন্মান্তরের বন্ধুত্ব
নিয়ন্ত্রন করে আমাদের
প্রেম ও প্রতিজ্ঞায়
আর তোমার একেকটি হাসি
আমাকে দান করে
অসীম যোগ্যতা।।
Samar Bhowmick Apr 2020
তির্য্যলতা তোমরা মন দিয়ে শোন
হৃদয়ে স্বাধীণ স্বপ্ন বুনো
যতই জলভূমি হোক চারিধার
পৃথিবীতে বহু প্রাণী আছে
যাদের জীবনে প্রথম সাতাঁর
সত্য পথে জীবনের ভয় নেই
ইচ্ছাকে দৃঢ় রাখো; রাখো অবিচল
মন রাখো সত্যের পথে সদা নির্মল
আধাঁর বাধাঁর পথ পেরুতে হবে
পিছনে ফেলে সভ্যতার জঞ্জাল যতো
কাঁচা সমতল উঁচু নিচু ফেলে যেতে হবে বহুদুর
পৃথিবী সাজাতেই হবে মায়ের মমতার মতো
নিশ্চিত করো নারীর স্বাধীণতা আর সমঅধিকার
মানবতায় গড়ো সমাজ সকল সৃষ্টি বাচাঁবার
আমার দেখানো পথে হেঁটো ছোট বড় একসাথে
সমঅধিকার খুঁজে নিও মায়ের মমতাতে
ধর্ম রেখো লুকিয়ে বুকে পাঁজরের ভিতর
যেন জানতে না পায় নিজেই নিজের গতর
সস্তা দর্শনে করো না ধর্মকে মুল্যহীণ
ধর্মকে গায়ে মাখে মুর্খ অন্তঃসারহীন দ্বীন
প্রশ্ন করার ক্ষমতা দিও যার মন যতো চায়
বাক স্বাধীণতায় বিশ্বাস রেখো অপরাধ নিও না গায়
মনকে রুদ্ধ করো না, রুদ্ধ করো না চিন্তার পথ
ভিন্ন মায়ের ভিন্ন সন্তান হতেই পারে ভিন্ন মত
মতের অমিলে যুদ্ধ করোনা নিজেকে করোনা ক্ষিপ্ত
জ্ঞানের মেলায় নিজেকে মিলিয়ে আত্মা করো তৃপ্ত
আমাদের যুক্তিতে ঈশ্বর নহেন তাঁর নিয়মিত কর্মে
শাস্তি যেন না পায় সে যার বিতর্ক ধর্মে
তোমার বিশ্বাস রেখো ঈশ্বর পারেন সদা সকল কর্ম
তিনিই পারেন শাস্তি দিতে যিনি বিতর্কিত করে ধর্ম
গুরু জনে শ্রদ্ধা রেখো ঈশ্বর জ্ঞান করে
ছোট সখায় ভালোবাসা দিও উদার মন ভরে
সকল জীবে প্রেম রেখো আর গাছপালা মাটি
প্রেম সত্য মানবতায় তোমাদের জীবন করো খাঁটি।।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু আমার ভালোবাসার প্রতিনিধিত্ব করো
খুলে রেখেছি অন্তরাত্মার দ্বার
যদিও ভালোবাসা আত্মার পক্ষে সবসময় নয়
কোথা থেকে এসেছো কেউ কখনও জানবে না
আমি জানি মানুষ চক্রান্তে লুকিয়ে থাকে
সম্মূখে কেবল ধন্যবাদে হাসি ঠাট্টা
কারণ সবাই জানেনা কিভাবে ভালোবাসতে হয়
কিভাবে হৃদয়ের আলো খুঁজতে হয়
জানে শুধু ভালোবাসার নিখুঁত অভিনয়
যেন নিজের ব্যাগ থেকে টেনে বেরকরা তৈজস
অণু তপ্ত রোদে গাছের নীচে যে ছায়া
তা কখনও পুরনো হয় না
তোমার জন্য যে ভালোবাসা এনেছি
অবিকল গাছের ছায়ার মতো
বিনষ্ট মৃত দেহের অবিনশ্বর আত্মার মতো
হৃদয় শক্ত করে বুঝে নিও
বয়সের পরিধি নগন্য হলে বিশ্বাস দৃঢ় নয়
বয়স চাকরের মতো হৃদয়কে সমৃদ্ধ করে
আর হৃদয় সংশোধন করে আত্মা প্রাণ অন্তর
তুমি জীবনের ভালো জ্ঞাণী বন্ধু
প্রায় কিংবদন্তির মতো মনে হয়
তুমি আত্মা প্রাণ এবং হৃদয়ের আবরণ
ভালোবাসা শেখা জগৎ দেখা চশমার নতুন কাঁচ
তোমার আবেগময় স্নেহ গুলোর কাছে আমি
পঁচিশ ডিসেম্বর পবিত্র রাতে
অবাক দৃষ্টিতে সান্তাক্লজ দেখা শিশু।
Next page