তুমি তো ছিলে নিরক্ষর এক এতিম মরুচারী তোমাকে ঘিরে ছিলো দুর্মুখ বর্বর জাতি হাজার বছর ধরে জাহেলি অহংকারে নিপতিত বসতি সেখানেই তুমি এলে এক জ্ঞানময় আলোক মশালধারী।
তুমি তো ছিলে না নাবিক কোনো, না চৌকস ডুবুরি না ছিলো তখন টাইটানিক, সাবমেরিন বা টর্পেডো তবুও কী অবলীলায় বলে দিলে সাগরের ঠিকানা অদৃশ্য ব্যারিকেডে নোনা-মিঠা না মেশানো জল স্রোত ধারা গহীন সাগর তলে আলো-আঁধারির খেলা বলো, কী করে তোমার তা সম্ভব হলো? অথচ এই তো সেদিন বিজ্ঞানের আবিষ্কারের সত্য বলে তা স্বীকৃত হলো।
তখন তো ছিল না মহাটেলিস্কোপ মহাযান, স্যাটেলাইট তবুও কি করে দেখে নিলে চোখের পলকে আলোর গতি ডিঙিয়ে গ্রহ-নক্ষত্রের অভয়াচরণ মহাবিস্ফোরণ, ব্ল্যাকহোল, গ্যালাক্সির রহস্য ভার বলে দিলে জ্যোতির্বিজ্ঞানের অজানা সম্ভার বলো, কি করে তোমার তা সম্ভব হল? অথচ এই তো সেদিন বিজ্ঞানের আবিষ্কারের সত্য বলে তা স্বীকৃত হলো।
তুমি তো ছিলে না কোনো নৃবিজ্ঞানী না ইতিহাসবেত্তা কী করে মাটি না খুঁড়েই বলে দিলে অতীত কথা আদ, সামুদ, লুতের সুরম্য শহর হয়েছে লীন অভিশাপে হয়েছে তা ধ্বংস ভূগর্ভে বিলীন! বলো, কী করে তোমার তা সম্ভব হল? অথচ এই তো সেদিন বিজ্ঞানের আবিষ্কারের সত্য বলে তা স্বীকৃত হল।
তুমি তো ছিলে না কোনো চিকিৎসক, মহা শৈলকারিগর না ছিল এক্সরে, আল্ট্রাসোনো ইত্যাকার আবিষ্কার তবুও কোন অণুবীক্ষণ চোখে দেখে নিলে সব মানব সৃষ্টির মহাপরিকল্পনার তথ্য ভ্রুন মাতৃগর্ভ নীড়ে প্রথম প্রাণের সঞ্চারণ, কুন-ফায়াকুন! বলো, কী করে তোমার তা সম্ভব হলো? অথচ এই তো সেদিন বিজ্ঞানের আবিষ্কারের সত্য বলে তা স্বীকৃত হলো।
হাজার বছর আগে নিরক্ষর মুখে আধুনিক বিজ্ঞানের সত্যরে শুনে অবিশ্বাসী নিরুপায় কৃতিত্ব দিয়েছে তোমায় বিজ্ঞানের অলৌকিক আল-কুরআন এ গ্রন্থ রচনায় অথচ তুমি নির্বিকার নিজেকে তুচ্ছ করে, ঘোষিলে-'এই মহাজ্ঞান ভান্ডার নয় তো তোমার
প্রেরিত মোর তরে মহান বিধাতার একক প্রাপ্য স্তুতি, প্রশংসা অপার যত হোক তবুও তাঁর প্রতি অপ্রতুল আমি তো ঘোষণাকারী শুধু, বাহক তারবার্তার -আবদুহু ওয়া রাসুল।' নিজ হতে বলার নেই যে ক্ষমতা তার দেয়া জ্ঞান ঝলকে হয়েছি-' সিরাজুম মুনিরা'।