অণু, মনে পড়ে তোমার ?? কোন এক ফাগুনে লাল পলাশের নীচে ঘাসের গালিচায় সহস্র পলাশের বিছানায় বসে সেদিন আমাদের মধুমাখা শান্ত বিকেল বাদামের সাথে আঙ্গুল খেলা করে কাটিয়ে দিয়েছিলো ঠোঁট জ্বিহ্বা মুখগহ্বর পেট আর বাদাম এক হয়ে আমাদের সাথে খেলতে পেরেছিল এই আনন্দ গুলোকে সাজিয়ে রেখেছি; এখন পযর্ন্ত ।
অণু, মনে পড়ে তোমার ?? হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে অজস্র ঝুঁটি এদিক সেদিক হাঁটছিলো; আর যাঁরা আড়চোখে তাকিয়ে ছিলো কিংবা চুপিচুপি তর্জনী তুলে দেখিয়েছিলো সেই আড়চোখে মিটিমিটি দেখা ফিসফিস করে বলা; আর চুপিসারে নির্দেশিত সেই তর্জনীকেও আমি সাজিয়ে রেখেছি; এখন পযর্ন্ত ।
অণু, মনে পড়ে তোমার ?? পরিচিত অনুভবে প্রথম প্রণয়ের স্মিত হাস্যরস প্রকাশ্য সাধারণের অনুভব থেকে তোমার সেই ভয় পাওয়া অনুভূতি দুঃশ্চিন্তা আর উৎকণ্ঠার বসত;কিংবা আত্মসম্মান আহত হওয়ার শংকা গুলোকেও আমি সাজিয়ে রেখেছি; এখন পযর্ন্ত ।
অণু, মনে পড়ে তোমার ?? তুমি মন খারাপ করে সন্ধ্যা থেকে রাত পরদিন দুপুর গড়িয়ে গেলেও বিকেল পযর্ন্ত না খেয়ে থেকেছিলে সমুহ লজ্জাকাঙ্খায় নতশিরে কাটিয়েছিলে বেলা সেই না খেয়ে থাকা বিপদ ভাবনা গুলোকেও সাজিয়ে রেখেছি; এখন পযর্ন্ত।
অণু, মনে পড়ে তোমার ?? তোমার নিশ্বাসে ঝড়ো বাতাসের ঝড়ে বাদামের লালচে পাতলা আবরন গুলো যেভাবে পেরেছে তারাহুরো করে পালিয়ে গিয়েছিলো আর তোমার কোমল আঙ্গুলের খেলায় বাদামের প্রাচীর ভাঙ্গার পটাশ পটাশ শব্দ এক অদ্ভুত রোমাঞ্চকর উন্মাদনা দিয়েছিলো আমায় আমি সেই বাদামের প্রাচীর ভাঙ্গার শব্দ গুলো প্রাচীর ভেঙ্গে পালিয়ে যাওয়া লালচে আবরন গুলোকেও সাজিয়ে রেখেছি; এখন পযর্ন্ত।
অণু, মনে পড়ে তোমার ?? সেই সব স্মৃতির সাথে একাকার মিশে থাকা আমাদের আত্মজ প্রেম সহস্র চুমুতে ভেজা তোমার হাত কাঁধ গ্রীবা কিংবা হাতের আঙুল সেই স্পর্ধা প্রদর্শিত লুকানো তর্জনী আর তোমার আতংকিত সময়টুকু দিন রাত ঘুরে ঘুরে আমার অব্যক্ত হৃদয়ে যতটুকু মধু সঞ্চয় করেছিলো সেটুকু সাজিয়ে রেখেছি; এখন পযর্ন্ত।