করোনার অসীম অন্ধকারে বিশ্ব অথচ প্রাণ শিহরিত অণু’র প্রেমের নেশায় বিরহ বেদনায় যন্ত্রনাময় কারাগারে হৃদয়ে বরণ করা অণু’র স্নেহময় স্মৃতি ছোয়াছে করোনার প্রবাহমান বাতাস শূণ্য পথে প্রান্তরে যন্ত্রনার মিছিল আদৌও আলো পৌছাবে কি না অজানা ভবিষ্যতের অজানা সময় তবু আমি হারিয়ে যাই অণুর গভীরে।
ঘুম থেকে জেগে যখন উন্মোচিত হয় আরো একটি নতুন ভোর; আনন্দিত হই কিন্তু প্রভাতী সূর্য্য’কে প্রণাম জানাতে জানাতেই মৃত্যু আশংকার ভিড়ে ঘুরপাক খাই যে দিকে তাকাই অন্ধকার আর ঘোর অন্ধকার সুর্য্যের আলো যেন প্রতারক বিশ্বাস ঘাতক অথবা নিতান্তই অসহায় করোনার বিষাক্ত ছোবলের কাছে তবু নতুন করে শিরোনামহীন পথে ছুটে চলি অণু-তৃষ্ণায় অনন্ত প্রহর।
যদিও অণু এখন আর অষ্টাদশী নয় তবু ইচ্ছে করে অণুর প্রাণ তরঙ্গে সাজিয়ে দিই অসমতল জীবনের সকল সপ্নময় ছন্দ; আর পাঁজরের ভাঁজে ভাঁজে রেখে দেওয়া সুখে পাখির পালকের মতো কোমল স্নেহ গুলো আজ বিভীষিকাময় করোনার তিক্ত অভিজ্ঞতা অচল নিরুপায় শহরে স্বেচ্চা গৃহবন্দি আমি দরজার বাহিরে ভয়ঙ্কর মৃত্যু অপেক্ষমান অথচ মৃত্যু ভাবনা নেই; প্রাণের পুরোটা জুড়েই অণুর চেতনা তাঁর মানবতার শুদ্ধি অভিজ্ঞান।
অনুশোচনা নেই আমার; পাহাড়ের মতো জমে থাকা অতীতে কেননা মন পাড়ায় কোন হিংস্রতা বদান্যতা ছিলোনা আমার এলোমেলো ইচ্ছো গুলো এই দুর্দিনেও নতুন সুর তোলে নতুন ভাবে ভাবায় যদি করুণা হয় করোনা’র আমি মুছে দিবো সময়ের সকল বর্বরতা অণু’র স্নেহময় হৃদয়ে গুজেদিবো পুরাতন বিশ্বাসে নতুন নিঃশ্বাসের বীজ যেখানে আমাদের অবিনশ্বর প্রেম প্রকৃত স্বচ্ছ শ্রদ্ধাশীল ভালোবাসা আর আমাদের পূর্ব জনমের ইতিকথা।