আমি আস্তে আস্তে নির্ধারিত গন্তব্যে চলে যাচ্ছি অণু বকের মতো শাদা মেঘ পেরিয়ে সীমান্তের ওপার স্নেহ মায়া মমতা আর প্রেমময় শ্রদ্ধাবোধের সহস্র চিহ্ন রেখে যাচ্ছি হৃদয়ে তোমার।
ফেলে যাচ্ছি মায়ায় আঁকা নশ্বর মায়াপুরী অগনিত প্রেমের সবুজ জমিন আকাশের মতো উদার তোমার স্নেহের ভান্ডারে যদিও জানিনা আদৌও তোমায় দিয়েছি কি কিছু!!
চোখে অজস্র জলরাশি অথচ অনন্ত পিপাসায় মাকরসার জালের মতো জড়িয়ে থাকা সম্পর্কগুলো যজ্ঞের অগ্নিতে ভষ্মীভুত হবে ধীরে ধীরে ছন্দে ভরা ষড় ঋতুর অফুরন্ত সুশীল বাতাস।
তোমার চোখ থেকে চেয়ে নিই একবিন্দু জল ফুসফুস হতে চেয়ে নিই তোমার একটি দীর্ঘশ্বাস আর কন্ঠনালীর কাছে খেকে এক টুকরো শব্দ উন্মাদ আত্মার অনন্ত ক্ষুধায় তোমার একটু শব্দে পথিমধ্যে বাসর সাজাই ধুলোমাখা স্বপনের।
আমাদের প্রেম আর মোহান্ধ জগতের মায়াবী টানে আমি যতোবার প্রার্থনায় গিয়েছি ইচ্ছা অনিচ্ছায় রুগ্ন আত্মার রুগ্ন বিশ্বাস-ভয়ে অভিনয়ের ঢল নিজেকে ভেবেছি সর্বজান্তা মৌলিক আদর্শ ক্ষয়ে; ভাবিনি পুনরোত্থান দিবসে অনিশ্চিত হবে স্বর্গীয় ঘন্টাধ্বনি।