Submit your work, meet writers and drop the ads. Become a member
Samar Bhowmick Aug 2020
সমর ভৌমিক
13 আগষ্ট 2020; 00:42
.
অণু তুমি সৌন্দর্যে পরিণত হয়েছো,
তুমি আজ রামধনুর ছেয়েও সুন্দরী-
ফুলের বাগান যেমন দুঃখ ভেঙ্গে দেয়,
তুমিও অবিকল ক্লান্তি শুষে নিতে পারো।
.
তুমি জীবনের মিছিলে আলো ঢেলেছো,
তোমার যে কোন ভুল ক্ষমা করা উচিত-
তুমি ক্লান্তির পাহাড়ে শান্তির নিঃশ্বাস ছড়িয়ে,
দেবতাদের দ্বারা এঁকে যাও সুখের অরণ্য।
.
জীবনের উত্তপ্ত মূল্যতেও তোমার মানবতা-
গোলাপী ভালোবাসায় অথৈ সমুদ্রের মতো,
তোমার শব্দ মৃত্যুর চেয়েও শান্ত করে হৃদয়-
তোমার ছোঁয়ায় ঝরে শিশুদের সুশীল ছড়া।
.
পৃথিবীতে আসা এক বিরল মানবী তুমি
বারবার মা’কে মনে করিয়ে দেয়, মনের মনে-
ক্ষণে ক্ষণে আমি এতিম হই; তোমার স্নেহে-
অবিকল স্নেহে এসো আমার দ্বিতীয় জিজ্ঞাসায়।
.
তোমার পবিত্র পদচারণা আত্মার পাশে,
আমার সকল পদক্ষেপের গহীন অভ্যন্তরে-
শরীরের মাংসে রক্তের স্রোতে আর কিছুনেই,
বছরের পর বছর ধরে তামাকের অভ্যাসের মতো।
.
সকল ক্ষমা বুকে নিয়ে তোমার অপেক্ষায়-
আমার পরবর্তী জন্ম জন্মান্তরের বিশ্বাস,
হৃদয়ের দুটি অলিন্দে আবদ্ধ করে রাখা-
পরম শান্তির বেদ মন্ত্রের মতো তুমি।
Samar Bhowmick Aug 2020
সমর ভৌমিক
17 আগষ্ট 2020; 01:15
.
আত্মায় নিঃসঙ্গতার চিহ্নগুলো জমা রেখে
ঘৃণার রাতগুলো একের পর এক চলে যায়,
আর তোমার কন্ঠ শুনতে পাই বদ্ধ দেয়ালে
হারিয়ে গেলেও তোমাকে অনুভব করি অণু।
.
আমি তোমার মানবীয় শব্দ স্নেহের কাঙাল
ফিরে এসো বিশ্বাসঘাতকতার শব্দগুলো হত্যা করি,
আমার ভেঙ্গেপরা মনে তোমার আলতো স্নেহগুলো
জড়িয়ে ধরুক আমাদের অসম্পূর্ণ সুখের প্রতিশ্রুতি।
.
যদি পদতলে পিষ্ট করো আমার ঘৃণাময় রাত
অথবা নির্জন রাতের অন্ধকার ও নিদ্রাহীনতা,
কঙ্করময় পথ হলেও আমাদের পদক্ষেপের নীচে
মিলিয়ে যাবে জীবনের যতো গোলকধাঁধা।
.
শিরায় রাখা স্নেহের অনুভবগুলো ভুলতে গিয়ে
চোখের পলক বারবার খুলে দেয় তোমার অবয়ব
আর তোমার ভালোবাসার মায়াবী স্নেহের টানে
আমাকে জ্বলন্ত আগুনে ফেলে ঢেলে দেয় বিষ।
.
দিন শেষে সূর্য্ যখন ঘুমিয়ে পড়ে পশ্চিম আকাশে
রাতের নিরবতায় লুকিয়ে থাকা লম্পট ব্যথাগুলো,
ছিঁড়ে খুঁড়ে খায় আমার অনুভব অনুভুতির হাঁড়মাংস
অথচ অচ্ছুত আনন্দের গভীরে তোমাকেই ভালোবাসি।
.
দ্যাখো স্বপ্নময় আশাগুলো হৃদয় ছিঁড়ে এখনও তরুণ
হৃদয়ের উপর কেমন আলোকিত বৃত্ত তৈরী করে,
প্রাণের চতুর্দিকে ছড়িয়ে দেয় তোমার অনুকম্পা
তাই তোমার জন্য সমস্ত দরজা খোলা রেখেছি।
.
তুমি জীবনের উত্তেজনা বিবর্তনে জয়ী নায়িকা
নিঃশ্বাসের সাথে মনমন্দিরের স্পন্দন গুলো তোমার,
পৃথিবীর সমস্ত বাতাস তোমার ছায়ায় কেঁপে উঠে
তোমার অভিশাপ, ত্যগ, মায়া আমার কাছে রহস্য।
.
হয়তো জীবনে অকারনেই সংযোগ হয়েছিলো অণু
যদিও সবাই জীবনে নিয়তিবদ্ধ তবু জীবনই শান্তি,
সেখানেই আমি অশ্রু দিয়ে জীবন শুরু করেছিলাম
আর অনন্তকালীন হৃদয়ে রেখেছি তোমাকেই।
.
আলিঙ্গনের হাত প্রসারিত দেখার অপেক্ষায়
ক্ষমার দোরগোড়ায় হাঁটু গেড়ে বসে আছি আজও,
রাতগুলি অন্তহীন একাকীত্বের চিহ্ন রেখে য়ায়
যদি পারো বোধের পথ বেছে নিও অণু ।
Samar Bhowmick May 2020
অনেক ভাবনায় যদিও
সাহস পাচ্ছো না
অণু খুলতে পারি
হৃদয়ের দ্বার
দেখাতে পারি
তোমার পড়তে চাওয়া
হৃদয়ের পাঠ
দৃঢ়ভাবে আকড়ে ধরতে চাওয়া
যে পুরস্কার
যে উপহার
বা একটি অনিশ্চয়তা
একটি নিশ্চত প্রেরণা
বা একটি মায়ার বলয়
অথবা একটি আশা
কৈশোর থেকে বেঁচে থাকা হৃদয়ে
না বলা ভাষায়
একটি মিষ্টি সতন্ত্র যন্ত্রনা
হৃদয় আবৃত করা
অজানা ভয়
শংকা শিহরণ
প্রাণান্ত এক অলিখিত সংগীত
স্বর্গীয় প্রশান্তিময় মহা-প্রসাদ
পরম প্রত্যাশায়
অনন্ত অজানা স্বাদ
প্রতিদিন চির নবীন
আমার প্রেম, ভালোবাসা।।

02 মে 2020; 02:42, ঢাকা, বাংলাদেশ।
Samar Bhowmick Jan 2021
সমর ভৌমিক
19 জানুয়ারি 2021;15:15
.
আমাকে তোমরা ভিক্ষা দিও
তির্যলতার নিশ্চিত মানবিক পৃথিবী
অণু'র জন্য সম্মান অধিকার স্বাধীনতা
আর আমার বয়োজ্যেষ্ঠদের জন্য
শ্রদ্ধা মায়া মাখানো নিখাদ ভালোবাসা।
.
আমাকে তোমরা ভিক্ষা দিও
গাছ-পালা লতা-পাতা পশু-পাখির স্বাভাবিক মৃত্যু
স্বাধীন কন্ঠস্বর, রাজনীতি, গান, গল্প কবিতা
বাহাত্তরের সংবিধান, লাল-সবুজ পতাকার সম্মান
অনাহারী দূর্বল শোষিত মানুষের মুখের হাসি।
.
আমাকে তোমরা ভিক্ষা দিও
তসলিমা তনু অভিজিতের জন্য একটু প্রেম
নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের জন্য সুশীল নিশ্বাস
আত্ম কেন্দ্রিক বর্বর ধর্মান্ধদের জন্য একটু জ্ঞান
বীরঙ্গনার চোখের জলের পরিবর্তে পিপাসার জল।
.
আমাকে তোমরা ভিক্ষা দিও
চন্দ্রদেবী রবীন্দ্রনাথ রবার্ট ফ্রস্ট নজরুল
ভাষানী বঙ্গবন্ধু সূর্যসেন সি আর দত্ত
ক্ষুদিরাম প্রীতিলতা নূরজাহান বেগম
সালাম রফিক বরকতের আদর্শ।
.
আমি অখ্যাত এক দ্বীন দরিদ্র কবি
আমাকে তোমরা ভিক্ষা দিও
প্রাণের জন্য এক টুকরা মানবিক দৃষ্টি
জলের জন্য, বাতাসের জন্য ভালোবাসা
মাটি আর মানুষের জন্য সুষম প্রেম।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা
হোক তোমার উপহার
জন্মের দায়বদ্ধতায়
তোমার মানবিক সৌন্দর্যে
নিরাপদ বিজয়
তোমার আপন ত্যাগ
মুগ্ধ আমি
এখন আর ভাবি না
কে জিতবে কে হেরে যাবে
চাই সাম্যের যুদ্ধ
শুধু যুদ্ধ
বিবস্ত্র সমাজের জন্য
তোমার আত্মার সাহস
এবং সাহসী জীবন
বিশ্রাম আনবেই
বিরূপ ভাগ্যের
তোমার পাতলা শরীরে
আদর্শের ভাঁজ
যেন ধরিত্রীর দান
কদর্যদের কাছে
কোমল ফল
কোমল ফোটা
এক মিষ্টি মহিলা
মধু গোলাপের নির্যাস
অথবা কামুক দেবী
আর আমার কাছে তুমি
আদর্শের জন্মধাত্রী মা
একজন পূর্ণ মানুষ
মানবী দেবী মন্দির।

25 মার্চ 2020; 03:53, ঢাকা, বাংলাদেশ।
Samar Bhowmick May 2020
অণু; আত্মার সবচেয়ে মূল্যবান বিবৃতির নাম কবিতা-
কবিতাই নির্ধারণ করে দেয় মানুষ কেমন হবে.
কবিতা উপলব্দি শেখায় মনের-
আত্মার সাথে পরিচয় করে দেয় প্রেম-
ইমারত তৈরীর ইট পাথর সুরকি সিমেন্টের মতো।

কবিতাই নির্ধারণ করে দেয়-
মায়া মমতা স্নেহ ভালোবাসা আর উদারতায়-
মানুষের অন্তরের অনুষঙ্গ কেমন হবে,
কতটুক সুক্ষ্মতায় বিচার বিশ্লেষণ হবে অনুভুতি
কতটুকু সুক্ষ্মতায় প্রকাশ পাবে মনের ভাব-
কেননা; সুক্ষ্মতাই নির্ধারণ করে সকল উন্নতি।

সুক্ষ্মতাতেই অন্তরনির্হিত জগতের সকল সোন্দর্য
যদিও পদার্থের সূক্ষ্মতার মূল্য বিদ্যমান; তবুও
কারুশিল্পির সুক্ষ্মতায় নির্ভর করে শিল্পের সোন্দর্য
জগতের সকল সোন্দর্য সুক্ষ্মতাতেই অন্তরনির্হিত।

সুক্ষ্মতম মনের সোন্দর্যবোধ দ্বারা’ই
কবিতা আত্মার অখণ্ডতা নির্দেশ করে-
কবিতা নির্দেশ করে সততা কতটুকু মূল্যবান,
স্বচ্ছতা সরলতায় ঈশ্বরের উপস্থিতি-
ন্যায় নিষ্ঠা মানবতা ঈশ্বর জ্ঞানে কর্ম।

কবিতা একমাত্র মানব শিল্প; অন্তনির্হিত সত্য
কবিতা মানুষকে আত্মসচেতন করে-
ব্যক্তিগত বৃদ্ধির দিকে মানুষকে পরিচালিত করে
মনুষ্যত্বকে সংবেদনশীলতার সহিত বিশোধন করে
মানুষের মানবিকতাকে মৌলিকভাবে প্রকাশ করতে শেখায়।

আবারও স্পষ্টতই বলি-
কবিতা সুন্দর মলাটযুক্ত একচেটিয়া আবেগের বিষয় নয়
কবিতা বলতে যা বুঝি তা হয়তো লিখতে পারিনি
কিন্তু এটি এমন শক্তিশালী জিনিষ যা অন্য কোথাও নেই-
কবিতা ব্রম্মান্ডের একমাত্র মানব শিল্প-
মানবীয় নৈপুণ্য উন্নয়নের একমাত্র শিল্প।

কবিতার সাথে সংগীতকেও মিলানো যাবে না
বাহ্যিক ভাবে সংগীত যদিও কাব্যিকতায় প্রকাশিত হয়,
তবুও সংগীতের ধাপ বা স্তর আলাদা-
সংগীতের জোর হৃদয় কে নাড়া দেয়; অথচ
কবিতার মতো মন অন্তর হৃদয় আত্মা এতটা সাড়া দেয় না।

আমার সার্বিক বিবেচনা চিন্তন উপলব্দিতে-
কবিতাই একমাত্র অভিজ্ঞতার অভ্যন্তরীণ মৌখিক চিত্র
কবিতা মানুষের মত প্রকাশের একমাত্র শিল্প-
মানুষের মন উন্নয়নের একমাত্র মন্ত্র-
কবিতাই মানুষ তৈরীর শিল্প।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু মনকে আমি মন্দির বলি; ভালোবাসায়
তুমি মসজিদ গির্জা প্যাগোডা যাহাই বলো
মনের জমিন অতি পবিত্র জেনেই বলো
সে যদি হয় মানুষের
হোক সে অচিন অচল মানুষ
ভালোবাসা পবিত্র ভুমির পবিত্র ঘর।
সে মন্দিরেই বাস আমার আজিবন
যেখানে হিংসা নেই বিদ্রুপ নেই প্রতিযোগীতা নেই
নেই লাভ লোকসান হিসেবের খাতাপত্তর।
আমি তোমার খাতাপত্তরহীণ উচ্চারিত শব্দ
ভালোবাসি শব্দটাকেই শুধু ভালোবাসি না অণু
আমি ভালোবাসি, ভালোবাসি শব্দের ভিতরের বিশ্বাস
ভালোবাসি শব্দের গভীরে থাকা সততা সাম্য
ভালোবাসি শব্দের অলংকার মানবতা
ভালোবাসি শব্দের দৈর্ঘ্য ধৈর্য্য
ভালোবাসি শব্দের উচ্চতা শ্রদ্ধা
ভালোবাসি শব্দের গভীরতা স্নেহ
ভালোবাসি শব্দের প্রশস্ততা বন্ধুত্ব
আমি ভালোবাসি, ভালোবাসি শব্দের ঘনত্ব একাত্বতা।
তুমিও ঠিক আমার মতোই ভালোবাসো অণু
আমাকে, পৃথিবী, আমাদের প্রজন্ম ও পরিবেশ
ভালোবাসো আমাদের চেনা অচেনা স্বজন সুহৃদ।
তোমার মাতৃত্বে সেরা মানুষের প্রজন্ম চাই অণু
স্বর্গ থেকে ঈশ্বর নেমে আসুক
আমাদের নব প্রজন্ম মাঝে।
ভালোবাসা সেরা উপহার হোক আগামীর
পৃথিবী হোক উপহারময় শান্ত সুশীল
ভালোবাসায় খন্ডিত না হোক
পরিবার গোষ্ঠী সমাজ রাষ্ট্র।
পৃথিবী জুড়ে হোক একটি পরিবার
সকল প্রানের সম বিন্যাসে সম অধিকারে
প্রাণ প্রাণী তৃণ সবে হোক একাকার
আমাদের সাম্য স্নেহ শ্রদ্ধা ভালোবাসার বন্ধনে।
Samar Bhowmick Apr 2020
একটি মৃত্যুও
আমাকে দূরত্ব শেখায় না
বরং আপন সত্বাকে জাগিয়ে তুলে
কিন্তু ব্যতিক্রম বেঁচে থাকা।

আমরাও একদিন পতিত হবো
অবধারীত মৃত্যুর ঠিকানায়
মৃত্যু যেন শোক না হয় অণু
শোক; ভালোবাসাহীন নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা।

শোক নয় শূণ্যতা নয়; নয় অসুখ
মৃত্যু; আমাদের ছড়ানো ভালোবাসা গুলো
জিইয়ে রাখে ভিন্ন ভিন্ন অস্তিত্বে
এক অভিন্ন প্রেম।

অণু আমরা শূণ্য হই আমরা দরিদ্র হই
বেঁচে থাকা অবিশ্বাস আর হিংস্রতায়
তুমি বরং আমার মৃত্যুতে আনন্দিত হইও
বেঁচে থাকুক কীর্তি ও প্রেম।
Samar Bhowmick Jul 2020
সমর ভৌমিক
07 জুলাই 2020; 00:10

অণু’কে কিছু বলবো বলে দীর্ঘশ্বাস ঘোরপাক খায়
রাতের নিঃসঙ্গ নিরবতা পরমায়ুর ঘন্টা বাজায়-
অনুভবের পদাতিক বাহিনী উপস্থিত হয় বুকের জমিনে,
কিন্ত শূণ্য কন্ঠনালী ভালোবাসি শব্দের পিপাসায়।

ভালোবাসি শব্দেই অণু দিগন্তকে আবৃত করে রাখে্
যতবার দিগন্তের তাকাই সভ্যতা তাঁকে আড়াল করে রাখে,
অণুভব নামে আমার প্রেমের অস্ত্রগুলোতে আগুন ধরে,
আর অন্তরের বৃষ্টিতে তাঁর ভালোবাসা অনুভব করি।

মৃত্যুর দূর্গ ছেড়ে কোন স্বর্গভূমে যেতে চাই
যেখানে অণু’র সাদা আত্মায় রঙ্গিন ফুলের বাগানে-
মহৎ প্রেমের মহতি কোন মুহুর্তে শুধুই অণু’র ঘ্রাণ,
সন্দেহাতীত ভাবে পরম পবিত্র মাতাল করবে আমায়।

অণু’র আশ্চর্য্ ইশারা মেঘ হয়ে ঝরে লম্বা অপেক্ষায়
শান্তির পদক্ষেপের অধীনে পদক্ষেপ নেওয়ার আশায়-
কন্ঠে জড়িয়েছি প্রেম পদদলিত করে সভ্যতার শাষন,
আর; অণু’কে অনুভব করে হাঁটছি মৃত্যু দুর্গের পথে।
Samar Bhowmick Jan 2021
সমর ভৌমিক
5 জানুয়ারি 2021;14:52
.
আমার অশান্ত পথ
গন্তব্যহীন অচেনা
আমি হেঁটে যাই
অণু'র সীমান্তের দিকে।
.
যেতে যেতে বহুদূর
ঊনপঞ্চাশ বসন্ত
অবিরাম হেঁটে চলা
ক্লান্ত নিয়তি।
.
তবু প্রতি সেকেন্ডে
অপেক্ষা গুলো
আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়
অচেনা দিগন্তের দিকে।
.
সামনের ঝড়ো বাতাস
বৃষ্টি, ঝড় পেরোলে
হয়তো সীমান্ত অণু'র
আশায় আশায় হেঁটে যাচ্ছি, যাই- ।
Samar Bhowmick Apr 2020
ভেবে ভেবেই হারিয়ে ফেলি মনের যতো কথা
অণু কিছু লিখতে চাই তোমায়; ভাবি বারবার
অবচেতন মনে মাঝপথে ভুলে যাই সব
যেন আমি আজ মৃত্যুর মুখোমুখি স্মৃতির প্রহরী
লাগাম ছাড়া মন ছন্নছাড়ার মতো আজও উড়ে
শিরায় শিরায় তোমার স্নেহাগ্র শব্দের মিছিল।
যদিও প্রবীণ হতে চলেছে সেদিনের নবীন যৌবন
তবু তোমাকে কিছু না কিছু লিখতে ইচ্ছে করে
ল্যপটপের কীবোর্ডে দশ পান্ডবের শব্দ খেলায়
সাজায় আমাদের অতীতের নানা স্মৃতিকথা
ভালোবাসার মধুময় ভাষায় জড়ায়
বিভেদহীন অণু’র পঙতিমালার জটলা গুলো
শিমুল তুলোর মতো উড়ায় মনের আকাশে
শেষার্ধ বসন্তের উন্মোক্ত বাতাসে।
বর্ণমালা মনের ভিতর ঘোর-পাক খায়
ছন্দ খুঁজি; ছন্দ মিলায়
আবার ছন্দ হারিয়ে ভাবি
কিভাবে কখন কি লিখবো তোমায়
বয়সের ভারে ক্লান্তির ছাপ অবয়বে
সহস্র প্লাবনের আগুনে পুড়ে দগ্ধ আত্মা
অচেনা শব্দের ভাঙ্গাগড়ায় মৃয়মান অন্তর
টানাপোড়েন জীবনের সময় খাতায় এখনও
ভবঘুরে স্বপ্নের ভিড় সামাজিক দুরত্বে রাখা মনে
তবু প্রথাগত বসন্তের শেষ সীমায় পিপাসার্ত জমিনে
অস্তমিত সূর্যের তির্যক আলোয় জ্বলজ্বল করছে
পুরনো মন্দিরে গোলাপী আবিরে মাখা তোমার হাত
আর কাঞ্চন শিমুল ভাটফুলের বেগুনী নীলে
যৌবনে দেখা তোমার যুবতী বসন্ত।

29 মার্চ 2020, 20:23, ঢাকা, বাংলাদেশ।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু প্রতিটি কুয়াশা কণার অন্তরালে
রোদের ঝিলিক জ্বলে
একদিন কুয়াশা গলে যায়
দুঃখজনক হয় বোকামী গুলো।

দেখ অন্তরে ভিতরের গভীরে
একটি প্রেমের জন্ম
একটি শক্তিশালী সংগীত
যেখানে অস্পষ্ট কোন কথা নেই।

যেখানে আমাদের যত্ন গুলো
চুম্বনে পরিনত হয়; আর
চু্ম্বন গুলো হৃদয়ের স্পন্দন হয়ে
প্রবাহিত হয় আলিঙ্গনে।

জন্ম জন্মান্তরের বন্ধুত্ব
নিয়ন্ত্রন করে আমাদের
প্রেম ও প্রতিজ্ঞায়
আর তোমার একেকটি হাসি
আমাকে দান করে
অসীম যোগ্যতা।।
Samar Bhowmick Jul 2020
সমর ভৌমিক
01 আগষ্ট 2020; 01:10
.
বারো মাসে বছর ঘুরে
ঈদ যখন আসে
ঈদের দিনে খোকা বুড়ো
মন জুড়িয়ে হাসে।
.
দ্বিধা দ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে
ঈদের নামাজ পড়ে
ছোট বড় মিলে মিশে
বুকে জড়িয়ে ধরে।
.
সবার মুখে হাসি সেদিন
হিংসা ঘৃণা নাই
এমন দিনটি রোজই হবে
সেই সভ্যতা চাই।
.
মানব কুলে জন্ম নিয়ে
মুখোশ নাহি পড়ো
ধর্মে যদি বিশ্বাস তোমার
সত্য পথটি ধরো।
.
নবীজি গেলেন দেখিয়ে পথ
মানব কুলের মুক্তি
শত্রু মিত্র ভাবনা ভুলে
ভুলো হিংসার যুক্তি।
.
ঈদের মতো সকল দিনে
স্নেহ জড়িয়ে থাকো
নবীজির এই মহান শিক্ষা
বুকে ধরো রাখো।
.
তিঁনি দিলেন ত্যাগের শিক্ষা
বলছি গর্ব ভরে
বিভেদ জ্ঞান ভুলে গিয়ে
রবে সকলের তরে।
.
সেদিন কেবল মানুষ হবে
ত্যগিয়ে সকল জিদ
বলবে যেদিন তোমরা সবে
রোজ সকালে ঈদ।
Samar Bhowmick Jul 2020
শামুকচুমু
সমর ভৌমিক
19 জুলাই 2020; 02:54
/
প্রকাশ্যে হারিয়ে যাওয়ার দিনটি ছিলো ভালোবাসায় ভরপুর
আলোকিত প্রাণের আকুলতায় অণুর হাতে হাত রেখে,
অজান্তেই প্রতিজ্ঞারত মন আনমনে বলেছিলো-
ভালোবাসি; অবিকল আমরা আগামী অনন্তকাল।

হাতে হাত রেখে স্বর্গের সুর শুনেছিলাম বুকের পাটাতনে
নিউরণের কোষে খুলেছিলো প্রেমের অ্যালবাম-
আত্মার যৌতুক অণু’র প্রেমে ঘুরেছিলো সময়ের চাকা,
এবং পেতে চাই ভাবনা, এতটা আনন্দ আগে দেখিনি।

অণু’র স্পর্শ ঝলকানি দিয়ে অনুভবে আগুন জ্বালিয়ে
ফুলের রেণুর মতো কোমল আহ্লাদ জমেছিলো বুকে,
আগবেগের শব্দহীণ লিরিক্স নিয়ে বকবক করা স্বপ্ন-
উড়ে যেতে চেয়েছিলো হৃদয় এককরা কোন দূরদেশে।

এভাবেই হাঁটছিলাম যৌবনদীপ্ত পৃথিবীর পথে;
সময় বুড়ো হলেও চেয়েছিলাম ঝড়ের ঝড়ো হাওয়া,
আর; ভর বর্ষায় শ্রাবণের রোদে ভেজা বৃষ্টিতে-
নবীন জলের নবীন পদ্মপাতায় শামুকের চুমু।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; তুমি আমার জীবন ফিরিয়ে দিয়েছো
ভালোবাসার স্নেহময় স্পর্শে
যদিও সমাপ্তি চেয়েছিলাম জীবনের
কিন্তু তোমার দুঃখিত মুখ
অজানাভাবে আমার পরিবর্তন এনেদিলো
তোমার মায়াময় উষ্ণ স্পর্শ
জ্বলন্ত রোদের মতো
আমাকে দেখালো পরিস্কার আকাশ
উপরে, আরো উপরে তাকিয়ে দেখি
তোমার এলো চুল
সামান্য বাতাসের গোলমালে তরঙ্গে
কথা বলে প্রানের
অথচ সামান্য অতীতেই আমি
কঙ্করের গুঞ্জনে ম্রিয়মান ছিলাম
সমুদ্রের মতো তোমার বিশালতায়
আমার প্রশংসা রইলো ; অণু
আমি চারদিকে তাকাই; দেখি বর্তমান
সহস্র বছরের নিদ্রা ভেঙ্গে জেগে উঠেছি
তোমার যাদু দ্বারা
মধুর স্বাদের সঙ্গে
তোমার মিষ্টি কথায়
কানে পাঠানো একান্ত ফিসফিস শব্দে
দ্যাখো অশ্রুও শুকিয়ে যায়
তোমার কোমলতার যত্নময় চাহনিতে
নিজেকে আর একা ভাবছি না
অন্তরে নিজেকে পিষে; প্রেম
বেছে নিয়েছে শিকার।
Samar Bhowmick Apr 2020
আষাঢ়ের বৃষ্টি ভেজা রাত
খাটের উপর ক্লান্ত মুখে শুয়ে
বলি দিতে হাজারো স্বপ্ন
ঘুরে বেড়াই বন পাহাড় জল
আলোচনা পরিকল্পনা নিরব সংলাপ
একাকী…
অণু; কি অদ্ভুত দ্যাখো
আমি তোমার কথা শুনতে চাই
তোমার অবয়ব নাক ঠোঁট গাল কন্ঠস্বর
অবাস্তব…
সার্বভৌম সময় প্রবাহিত হয় মনখারাপের দিকে
সভ্যতার দরজা বন্ধ
অথচ এর মধ্যে আমাদের প্রেম
জ্বলে উঠে ঝলমল ঝকঝকান
নিরব আধাঁরে ঢাকা উপচে পড়া শুভেচ্ছা
এবং তোমার চোখ মুখ হাস্যউজ্জ্বল চেহারা
তারপর তুমি আর তোমার মধ্যে
আমি দ্রুত ঘুরে বেড়াই
কখনও দূরে
কখনও জীবনের শিরোনামে
যা মায়ের মতো সীমাহীন।।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু আমার ভালোবাসার প্রতিনিধিত্ব করো
খুলে রেখেছি অন্তরাত্মার দ্বার
যদিও ভালোবাসা আত্মার পক্ষে সবসময় নয়
কোথা থেকে এসেছো কেউ কখনও জানবে না
আমি জানি মানুষ চক্রান্তে লুকিয়ে থাকে
সম্মূখে কেবল ধন্যবাদে হাসি ঠাট্টা
কারণ সবাই জানেনা কিভাবে ভালোবাসতে হয়
কিভাবে হৃদয়ের আলো খুঁজতে হয়
জানে শুধু ভালোবাসার নিখুঁত অভিনয়
যেন নিজের ব্যাগ থেকে টেনে বেরকরা তৈজস
অণু তপ্ত রোদে গাছের নীচে যে ছায়া
তা কখনও পুরনো হয় না
তোমার জন্য যে ভালোবাসা এনেছি
অবিকল গাছের ছায়ার মতো
বিনষ্ট মৃত দেহের অবিনশ্বর আত্মার মতো
হৃদয় শক্ত করে বুঝে নিও
বয়সের পরিধি নগন্য হলে বিশ্বাস দৃঢ় নয়
বয়স চাকরের মতো হৃদয়কে সমৃদ্ধ করে
আর হৃদয় সংশোধন করে আত্মা প্রাণ অন্তর
তুমি জীবনের ভালো জ্ঞাণী বন্ধু
প্রায় কিংবদন্তির মতো মনে হয়
তুমি আত্মা প্রাণ এবং হৃদয়ের আবরণ
ভালোবাসা শেখা জগৎ দেখা চশমার নতুন কাঁচ
তোমার আবেগময় স্নেহ গুলোর কাছে আমি
পঁচিশ ডিসেম্বর পবিত্র রাতে
অবাক দৃষ্টিতে সান্তাক্লজ দেখা শিশু।
Samar Bhowmick Apr 2020
অবশেষে শুভ রাত্রি বলে বিদায় জানালে
কিন্তু তুমি কি জানো?
বিদায়ে কতবার তুমি এসেছিলে মনে
মনের বারান্দায় ঘরে উঠোনে।
অণু; তুমি কি এতবার আসার জন্য
একবার চলে গেলে?
জানি কাল প্রভাতী সংগীতে তোমার সুর ভাসবে
সূর্য্য হাসবে তোমার স্নেহে; আমিও
কিন্তু এতবার আসবে না
চলে যাওয়ার মতো।
তোমাকে বেঁধে রাখিনি
খুলে রাখি মনে, এখানে ওখানে
অস্তি মজ্জায় হৃদয়ের গ্রন্থিতে
আর সমগ্র নিউরনে
হাসি আনন্দ কষ্ট লজ্জায়
তবু তুমি এতবার আসো না
চলে যাওয়ার মতো।
Samar Bhowmick Apr 2020
সবই দিলে শূণ্য করে
পূর্ণ কি আর হই
ঋণী আমি; ব্যাধিগ্রস্ত
বিকারগ্রস্ত নই ?

দিতে চেয়ে নিয়ে নিলাম
পূর্ণতা দূর আশা
কাড়াকাড়ি কেড়ে নিয়ে
কেড়েছি হতাশা।

ভালোবাসায় লোভ এসে
করেছিলো বশ
স্বার্থ জলে সাঁতার কেটে
স্বপনের ধস।

বুঝবো বলে বুঝিনি কিছুই
হৃদয়ের চাষ
সবই নিলাম শূণ্য করে
নিলাম সর্বনাশ।

নেওয়ার সাধ ব্যাধি তুল্য
দেওয়ার সাধ মুক্তি
বুঝেছি আজ অস্ত বেলায়
হারিয়ে সকল যুক্তি।

পাওয়া মানেই লাভ নয়
দানেই পরম সুখ
মোহের ঘোরে কাটলো বেলা
অর্জিত অসুখ।

সবই দিলে শূণ্য করে
কৃপণতা হীন
ঋনের ভারে নু্হ্য আজি
বিকারগ্রস্ত; দ্বীন।

স্বর্গ সুখের স্পর্শে থেকে
করেছি কত ভুল
ডগায় যেন ঢেলেছি জল
কেটে দিয়ে মূল।

শান্তির আশায় ভ্রান্ত পথে
করেছি দিন গত
প্রাপ্য তুমি মিটাতে দিও
ঋণ করেছি যতো।

অণু অণূ ভালোবাসায় প্রাণ
হৃদয় ভরে আজ
প্রাপ্য তোময় মিটিয়ে দিতে
নাহি কোন লাজ।

ক্ষমা করো যদি পারো
নিজ গুণে তুমি
দিতে চাহি অন্তর মম
তব পদ চুমি।

সাথে থেকে সাথী হয়ে
করো আমায় ধন্য
বুঝেছি আজ বন্য আমি
শূণ্য মহাশূণ্য।।
Samar Bhowmick Apr 2020
কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সুযোগ পাইনি আজও
সম্পর্কের বেড়াজালে যতটুকু ভালোবাসা
পুরুটাই দ্বায়িত্বের নিজস্ব সীমানায়
অহংকারী গাম্ভির্য্য; আহত মন
নিরবে পুষে রাখি অবয়বের অন্তরালে।

জানিস অণু
অবহেলা প্রান্তরে মুঠোফোন
সাধারণ শুভেচ্ছা আসেনা কখনও
অথবা কোন কুশল সংবাদ
রিংটোন যেন তাচ্ছিল্যের চিৎকার
আত্মার সবুজ বনে অকষ্মাৎ দাবানল।

জানিস অণু
খরস্রোতা জীবনের পরতে পরতে দীর্ঘশ্বাসের ঢেউ
জীবনের দৃশ্যমান ভালোবাসাটুকু নিপুণ অভিনয়
তাঁরা মহান; যদিও নিছক কর্তব্যের দাবীদার
তির্যক শব্দ বেদানায় তবু দাঁত কেলিয়ে হাসি
বেদনাভূতি শূণ্য অবুঝ শিশুর মতো।

জানিস অণু
সম্পর্কের উপরে ভাসমান যে বিশ্বাসের সর
সবটাই মরুভূমির অনুর্বর শুষ্ক বালির পাহাড়
রস শূণ্য ঝরঝরে দৃষ্টি নন্দিত ঝলমলে বন্ধন
মুহুর্তেই উড়ে যায় দীর্ঘশ্বাসের বাতাসে।

জানিস অণু
রক্ত ধর্ম স্নেহের বন্ধনটুকুও ভাসমান কচুরিপানা
মানবতার অনন্ত দৈনদশায় দুর্বল দিন দিন
অর্থহীন অর্থে ব্যাপক স্নেহের সম্ভার; যেন
উন্মূখ হয়ে থাকা আমার লাশ টানা বেয়ারা।

জানিস অণু
নিতান্তই একান্ত আপন নিজস্ব সম্পর্ক গুলো
বারবার প্রণাম করে বিনিময়ের বিকলাঙ্গ পায়ে
কচুরিপানার মতো ভাসমান স্নেহের মানবতাটুকু
অবিকল সামাজিক মর্যাদার কোন এক সূচক।

জানিস অণু
তাচ্ছিল্যের পাহাড়ে আমি বনফুল কুড়াই
ঢেউ ভেঙ্গে লবনজলে ফেনা তুলি অলিন্দে
একাকীত্ব ঘোরপাক খায়; তবু আনন্দ
জগতে মানবতাহীন স্বার্থের ঘোর অন্ধকারে
আমরা এখনও ভালোবাসি শূণ্য আশায়
বেঁচে আছি নিঃস্বার্থ প্রেমিক যুগল
আমিও আমার শব্দে গ্রাস করা সভ্যতায়।।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু তোমাকে ছাড়া
আমার উচ্চারিত শব্দ নেই
তুমি ছাড়া সভ্যতা বাঁচে
ভাবিনি কখনও কিছুতেই ।

তোমার ভালোবাসায় বাঁচি
তোমার ভালোবাসায় নাচি গাই
তোমার স্নেহের সুরে হৃদয় জুড়ে
স্বর্গের সুখ পাই ।

যত ভালোবাসাবাসি যত অট্টহাসি
তোমার কাছেই শেখা
তোমার আদুরে অনুকম্পায়
আমার সকল কবিতা লেখা ।

যতো সবুজ দেখি কবিদের যতো লেখালেখি
সবখানেই তুমি
তোমার স্নেহে ভর করেই
জীবনকে ভালোবেসে চুমি ।

অণু তোমার মানবতা মানবিকতা
সবই আ্মার প্রিয়
তোমার চঞ্চলতা সরলতা
এমনকি তোমার ব্যর্থতাটিও ।

তোমার কাছে ধারকরা শব্দেই
ভালোবাসি তোমাকে
তোমাকেই স্বপ্নে রাখি তোমারই স্নেহ মাখি
থাকি অনন্ত সুখে ।

তোমার কাছেই মায়ের স্নেহ
ভাইয়ের আদর বোনের ভালোবাসা
তোমার সাথেই আমৃত্যু প্রেম ঝগড়া বিবাদ
তোমার সাথেই সকল সুখের আশা।

তুমিই আমার শরৎ হেমন্ত
তুমিই আমার ফাগুন
তুমিই আমার আষাঢ়ের মেঘ শ্রাবনের বৃষ্টি
তুমিই বসন্তের আগুন ।

তুমিই আমার আরাধ্য দেবী
তুমিই আমার নিয়তি
তুমিই স্নেহধাত্রী প্রেম প্রণয়ী
তুমিই শ্রেষ্ঠ অতিথি ।।
Samar Bhowmick Jul 2020
সমর ভৌমিক
02 জুলাই 2020; 16:30

ঈশ্বরে আমার উপাসনা-
অণু’কে শান্তিতে ফিরিয়ে আনুন,
চালতা ফুলের শুভ্রতা সতেজতায়-
প্রেমের শীতল বাতাসে হৃদয়ের ডগায়,
আমার প্রার্থনা শক্তি ছড়ায়।

এবং অন্তরে অণু-
বহ্মান্ডের একমাত্র উজ্জ্বল আলো,
ঈশ্বরের ঈশারায় অণু’ই নাচায় জীবন,
তাঁর হাতেই গুচ্ছ গুচ্ছ ভালোবাসা-
যাঁর জন্য সিংহাসন ত্যাগী হৃদয়,
গুণে যায় অপেক্ষার প্রহর।

আতঙ্কিত আত্মার শাখা প্রশাখা-
আনন্দের অপেক্ষায় মন্ত্র পড়ে,
শান্তির পায়রার খুঁজে; যেন-
আত্মার চিৎকারে আশির্বাদ রাখে,
অণু’র অনুভবেই আমার শ্রেষ্ঠ প্রেম।
Samar Bhowmick Jul 2020
সমর ভৌমিক
4 জুলাই 2020; 20:47

দৈব অনুভূতির সংমিশ্রনে সুন্দরী সমৃদ্ধ অণু
আশ্চর্য গভীরতায় ঈশ্বরের দুর্দান্ত আশীর্বাদ
আমার আত্মা অণু’র সমৃদ্ধিকে ভালোবেসেছে
তাঁর মানবীয় গুণ এক আশ্চর্য্ ফুল।

অণু’র মৃদু প্রেম তরঙ্গে তরঙ্গায়িত স্বপ্নপথ
অবাধে হৃদয়ের রাস্তায় নক্ষত্রের আলো ছড়ায়
ধমণী শিরা-উপশিরায় তাঁর প্রেমের মুকুল
আমার সফেদ চিন্তায় ছড়ায় স্বর্গের ঘ্রাণ।

অণু’কে আত্মার সাথী করে ছুঁই নীল আকাশ
আত্মার অপেক্ষমান শক্তিতে অনুভব করি প্রেম
কল্পনার জঞ্জালহীন আগুনহীন ছাইহীন সভ্যতায়
মিষ্টিময়তায় ঢেউ তোলে নবীন সবুজ।

যেন চাতুরী ব্যথায় অন্তরে অস্বস্তি অসুখ নেই
শীতল আগুনে জলের স্রোত নেই চোখের কার্নিশে
নরকের উত্তাপ নেই নীরব হৃদয়ের গভীরে
কেবল পবিত্রতায় প্রেমের পথ অতিক্রম করছি।

সভ্যতার অভিযোগ অনঢ় ক্নান্ত জীবন সীমানায়
বাড়িয়ে চলেছে আমার ভোগান্তির ভোগ
ঈশ্বরে ক্ষমা দৃষ্টির প্রার্থনা রেখে
নিঃশ্বাসের সরল ভালোবাসায় অণু’র বিশ্বাস।

তবু নতুন কোন বিভ্রম চিন্তা নেই অণু
আত্মায় বিনয়ী ধৈর্য্য পুষে ভয় পিষে
যদি আমরা হারাবার পথে হারিয়ে যাই
ঈশ্বর সযতনে আহ্বান জানাবেন শান্তির।

মানুষের প্রেম’ই পরম স্বর্গের পথ
অতিক্রম করে সুগন্ধময় স্বপ্নপূর্ণ গভীরতায়
অবিচল অশুভ কম্পন রেখে নিঃশব্দ প্রেমের পথে
কোন মিষ্টি প্র্রভাতে খুলে যাবে সুখের দরজা।

আত্মা আমার হৃদয়ের গভীরতায় বন্দি রেখেছি
অণু’র অশুভ অশ্রু ভাবনা দূরে সরিয়ে দিতে
অন্যায়ের ভূল শৃঙ্খল থেকে মুক্তি দিতে
জীবন ও মৃত্যুর মাঝে আমার সংগ্রামী প্রেম।
Samar Bhowmick May 2020
অণু; যাঁদের জন্য দুঃখ পাই
তাঁদের স্বপ্নগুলোর পরিপূরক হতে স্বপ্ন দেখি,
এবং এখনও ভালোবেসে যাই গোপনে;
আমার অস্তিত্ব দেহে বেঁচে নেই-
বেঁচে আছি বিশ্বাস ভাবনায়; মানবতায়-
আমি চাই তাঁদের শিক্ষিত করি,
ধীরে ধীরে বাঁচিয়ে তুলি মানুষে মানবতায়।

যদিও তাঁরা জীবনের অধিকারী-
যাপনের অধিকারী, জীবন
প্রভুর কৃপা কল্যানের অধিকারী হোক,
রাগযুক্ত বাতাসের পর্দা নামুক হৃদয় থেকে
গতিময় হোক ভাতৃত্ববোধ মায়া-
মানুষে মানুষে জীবে জলে অরণ্যে মৃত্তিকায়,
সমতায় ভাসোক জীবন-
আলো জল অন্ধকারের মতো।

আমি এখনও মানবতা পুরুদ্ধারে বিশ্বাসী-
প্রভুর কৃপা বৃথা হবে না,
মানুষের মনে কলুষতা কেটে যাবে একদিন
নতুন আলোতে রাঙাবে ধরণী-
এবং প্রায়শই গর্ব হয়; যখন দেখি
যখন দু’এক জন অনুকরণীয় মানুষ-
মানুষে প্রাণীতে কিংবা টবের শিশু চারা’র সাথে,
প্রাণের সখ্যতায় ভালোবাসে যায়।

কিছু প্রাণ সর্বদা বিশ্বে আগুন ধরিয়ে দেয়
এবং আনন্দের সাথে গুণে যায়-
অগ্নি দগ্ধ হৃদয়ের হাড় কঙ্কাল-
হিংস্রতারর উদ্ভট রসে হিংসার ক্ষরণে হাসে
অসুরের সর্বনাশা হাসি-
অজ্ঞানতার অন্ধকারে বিভৎস স্বপ্নের ঘোরে
ভুলে যায় নির্মল আনন্দ-
প্রেমহীন আত্মা অহরহ পদার্পণ নরকের পথে,
সন্দেহ এবং বিরক্তি স্নায়ু কোষের অলিতে গলিতে
অবিরাম ঘুরপাক খায়-
অবুঝের মতো বুঝে শরীরে নিজেকে বাঁচায়।

আমি মাঝে মাঝেই হতাশ হই
আবার হতাশাই আমাকে বাঁচিয়ে রাখে,
সময়ের আনাচে কানাচে আশার শব্দ শুনে
ভুলকে ভালোবেসে ফোটাতে যাই ফুল,
চাই মানবতার অপার সৌরভে ভরে উঠুক
বুদ্ধিদীপ্ত অবুঝ অসহায় মানব প্রজাতি-
ঈশ্বরের সুপারিশে ভুলের ভূমিকার বদল হোক
অদ্ভুত অভিনেতার মতো বদলে যাক অনুভব,
পৃথিবীতে প্রবাহিত হোক শান্তির সময়; সুখের
স্বর্ণালী ভবিষ্যতে উড়ে আসুক মানবতা।

আমি জন্ম নিয়েছি অনন্তকালীন জ্ঞানহীন সময়ে
চারিধারে আঁধারের বেড়াজালে ক্ষীন মানবতা,
পার্থিব দুর্দশা থেকে মুক্তি না পেলেও
চাই পুনরুত্থিত হোক প্রেম-
পৃথিবী থেকে সরে যাক দম্ভের অদ্ভুত বিশ্বাস,
সরে যাক সভ্যতার ক্রন্দন।।
Samar Bhowmick Apr 2020
“মানুষকে হারাতে মৃত্যু’র প্রয়োজন নেই।
মানুষের মানবতা হারালেই মানুষ হারিয়ে যায়”
                                         - সমর ভৌমিক
Samar Bhowmick Apr 2020
বিশ্বাস ছাড়া পুরোটাই জীবনের দৌড়
শুধু নতুন নতুন পথের শুরু
বিশ্বাসহীণ জীবনে ভালোবাসা খুঁজতে
যে হাতটিই আমরা ধরি অণু
সে হাতটিই হাসি থেকে বেড়িয়ে যায়
আর জীবন পায় অশ্রুপূর্ণ গর্ত
সরে যায় জীবন
অবিশ্বাসে উপায় নিরুপায় হলে
ব্যর্থতায় পারস্পারিক সহায়তা
আর ভালোবাসি শব্দটা
শোকে শোকের শব্দ
ব্যস্ত পদক্ষেপে হৃদয়
সাইরেন বাজায়
পর্দার রঙ ফাগুনে সাদাকালো হলে
সুর্যের আলোও অন্ধকারে হারায়
অবিশ্বাসী মেঘের আড়ালে
চিন্তা চেতনা ঘোর অন্ধকারে ঠাঁই নেয়
নিশ্চিত ভাবনাগুলো ধাক্কা দেয় আধাঁরে
ছিঁড়ে ফেলে হৃদয়ের মাথা
মস্তকহীন হৃদয় বিশৃঙ্খলা গিলে খায়
জীবনের সমাধী রচনায় ।।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু আমার অসহ্য ভালোবাসার আবেশে
কখনও কখনও দিশেহারা শরীর
আমি উপস্থিত হই তীব্র মুহুর্তে
ইচ্ছে করে অগ্নি স্ফুলিঙ্গ ছড়াতে ছড়াতে
ডুব সাঁতার খেলি সুগভীর অসীম সমুদ্রে
আমি সমুদ্রের পাড় ঘেঁষে নামতে থাকি; আর
আস্তে আস্তে পায়ের তলা থেকে সরে যাক বালি
ভয়ের আস্তরনে ঢাকা শিহরিত মনে
অনিশ্চিত অব্যক্ত শিহরণে
তুমুল ঢেউয়ে দুলিয়ে মন
কয়েক দানা শস্য বীজে সপে দেই ভবিষ্যত
স্বচ্ছ আত্মার দুষিত শরীরে
সেই মিষ্টি নিষ্ঠুর সমুদ্রে।
অণু মনে মনে একবার ঝঙ্কার তোল
মনের গভীরে নিরুত্তাপ মনে
কোন এক শ্রাবণের মেঘলা সন্ধ্যায়
তোমার হৃদয় দুলিয়ে দেখো; ভালোবাসায়
বিরহ বুদবুদের ফেনায়
কত অহংকারী অথচ দুঃখী সমুদ্র।
তোমার অশ্রুসজল ভেজা চোখে
আমার দূরবর্তী চিন্তার আবরণ খোলে
রোমাঞ্চকর শব্দ দাও; আর
আমাকে সমর্থন করো নির্দ্বিধায়
বলো আহ্ নামবে এসো !!
আমার ক্ষুদ্র বুকে ঠোঁটের বিশাল চাবুক চাপিয়ে
তোমার বিশালতার নিরব চিৎকারে
আমি প্রবেশ করবো অন্তিম গুহায়
এক অরণ্য আধাঁরে
আর্কের আলো ছড়িয়ে হৃদয়ে হৃদয়
সংগোপনে ছাড়ি প্রশান্তির নির্লিপ্ত নিঃশ্বাস; আর
একসাথে হাসি হৃদয়ের কানায় কানায়।

৩০•০৪•২০১৯;০১:১০, ঢাকা, বাংলাদেশ।
Samar Bhowmick Apr 2020
পূর্ব জনমের অজানা অভিমানে
আমাকে রেখেছো দূরে
অসীমে সরে গিয়েও তুমি
রয়েছো হৃদয় জুড়ে।

পূর্ব জনমে ভালোবাসার সাধ
মোটেও মিটেনাই মোর
তুমি শূণ্যতায় কাটেনি রজনী
হয়নি নতুন ভোর।

ভালোবাসি শুধু ভালোবাসি
জন্ম জন্মান্তরের চাওয়া
অজানা অযুহাতে কেটে গেলো বেলা
আজও হলোনা একান্তে স্নেহ পাওয়া।

অণু তুমি স্মৃতির পাতা উল্টে দেখো
জন্মান্তরের ভালোবাসময় দিন
আজো বেহিসেবী অবিকল ভালোবাসি
মিটাতে দাও ভালোবাসার ঋণ।

জন্ম জন্মান্তর ধরে অজানা অপরাধে
আজও হলো না কাছে আসা
হৃদয় পুড়েছে সভ্যতার জঞ্জালে
তবু অবিকল আছে ভালোবাসা।

সাধ্য আমার বাধ্য নহে আজি
তোমার অভিমানে
কন্টক হার মানিবো কি করে
তুমি সদা জাগ্রত প্রাণে।

ক্ষমা করো দেবী অজানা যতো ভুল
ক্ষমার হৃদয় দাও বাড়িয়ে
অতৃপ্ত মন দগ্ধ প্রাণ
স্নেহের টানে দেখো ঠায় দাঁড়িয়ে।

অবুঝের মতো অবুঝ হয়ে
কেঁদে কেঁদে কেটেছে কত রাত
পৃথিবী তোমায় দিয়েছে খুঁজে
ফিরিয়ে নিও না স্নেহময় হাত।।
Samar Bhowmick Apr 2020
সহস্রাব্দের শ্রেষ্ঠ স্বপনের জন্মভুমি; অণু
মাকড়সার জালের মতো জড়িয়েছে আমার পৃথিবী
বকুলে মিশে থাকা ঘ্রাণের মতো একাকার আমি
দূর-দূরান্ত থেকে চাঁদের মতো স্নিগ্ধতা
অবিরাম ছড়িয়ে যাচ্ছে হৃদয়ের সবুজ জমিনে
বিরহের লাঙ্গল ফলায় চষে যাচ্ছে
আমার প্রাণের প্রশান্ত মাঠ
চৈত্রের খরা ফাঁটা তৃষ্ণার্ত চঞ্চল আমি
অথচ; তৃষ্ণার্ত হৃদয়ে সহস্রাব্দের শ্রেষ্ট ভয়ের বাগান
সেখানে আমার জলজ্যন্ত কাঙ্খিত স্বপ্ন গুলো তুমি; অণু
আমি এখন কলমিলতার কোমল ডগায়
প্রজাপতির বর্ণিল পাখায়
দিঘীর জলে হাঁসের সাঁতারে
ঘাস ফুলের ছোট্ট পাপড়ির দোলায়
কিংবা দুর্বা ঘাসে শিশির কণায়
অবিরাম তোমাকে দেখি; অণু
ঘাসের ডগায় জমানো শিশিরে তোমার ভেজা পা
আমাকে স্পর্শ করে; চঞ্চলতায়
আন্দোলিত করে চৈত্রের দখিনা বাতাস
তোমার নিঃশ্বাসের উষ্ণতায় আমাকে অস্তির করে তোলে
কামরাঙ্গার শাঁখায় মিষ্টি সবুজ টিয়ে
সে ও তোমার স্বপ্ন দেখায়; ভাবায়
সবুজ পাতার ফাঁকে হলদেটে কামরাঙ্গায় টিয়ের রঙ্গিন ঠোঁট
তোমার অস্তিত্বেরই জানান দেয় বারবার
অণু; যেন তোমার হৃদয়োষ্ণ চুম্বনের অপেক্ষায়
সহস্রাব্দের বুকের ভিতর আমার শ্রেষ্ঠ স্বপনের বহর
অতঃপর-
হৃদয়ের স্বচ্ছ জলে তোমার প্রতিচ্ছবি দেখার অপেক্ষায়
বিরহ নেমে আসে বৈশাখের আচমকা হাওয়ায়
আকাশে ভেসে আসে বিবর্ণ মেঘ
আমাকে কাঁদায়; কাঁদে স্বপন
আর আমার স্বপনের ঘর।।
/
।।মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।।
Samar Bhowmick Jul 2020
সমর ভৌমিক
25 জুলাই 2020; 19:15
.
অণু জেনে রেখো
জীবন সংকীর্ণ ভ্রমনপথ,
যদি সুখী ভ্রমন চাও-
ভালোবাসা দিতে ভালোবেসো,
প্রকৃতির জন্য ভালোবাসা,
সৃষ্টির জন্য ভালোবাসা,
মানুষকে ভালোবেসে।
.
মৃত্যু বিপদজনক অঞ্চল
এবং বিপর্যয়ের ধাক্কা-
যদি অবাদে পার হতে চাও
ভালোবাসায় পথ চলো-
পাপপূর্ণ বুকের বক্র রেখায়,
শূণ্য আপোষে-
সরল করো জীবন।
.
মৃদু ভাবনায় পরম ভাবনাগুলো
যদি হৃদয়ে আটকে যায়,
মোহের সংবেদনশীলতায়-
ত্বকের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত বার্তা,
তখন একটি উদ্বিগ্ন প্রয়াস-
মহাকাল শেষে দ্যাখো,
ভালোবাসা মানে স্বর্গবাস।
Samar Bhowmick Apr 2020
24 মার্চ 2020

এক হাতে মৃত্যুর পরোয়ানা
অন্য হাতে অণুর প্রেম
মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে করতে
তবু অণুকেই ভালোবাসি
যদিও মৃত্যু স্বর্গের ছাড়পত্র
কেননা ঈশ্বর জানেন
অণু’র প্রেমের কলমে মানবতার কথা লিখেছি
সকল প্রাণে ভালোবাসার কথা লিখেছি
ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা লিখেছি
ধরিত্রীর শান্তির কথা লিখেছি।

এক হাতে অণুর প্রেম
অন্য হাতে মৃত্যুর পরোয়ানা
যদিও মৃত্যু স্বর্গের ছাড়পত্র
কেননা ঈশ্বর জানেন
আমি অণুর প্রেম দিয়ে
শিশু বৃদ্ধ প্রতিবন্ধীদের ভালোবাসার কথা লিখেছি
বাহাত্তর এর সংবিধানের কথা লিখেছি
বাক স্বাধীনতার কথা লিখেছি
বিশ্বজিৎ অভিজিৎদের কথা লিখেছি
ধরিত্রীর শান্তির কথা লিখেছি।

এক হাতে অণুর প্রেম
অন্য হাতে মৃত্যুর পরোয়ানা
তবু অণুকেই ভালোবাসি
যদিও মৃত্যু স্বর্গের ছাড়পত্র
কেননা ঈশ্বর জানেন
অণুর প্রেম দিয়ে তসলিমার স্বাধীনতার কথা লিখেছি
নিরপরাধ আবরার হত্যার কথা লিখেছি
নারীর অধিকার সম্ভ্রম রক্ষার কথা লিখেছি
প্রাণের অধিকারে সাম্যের কথা লিখেছি
ধরিত্রীর শান্তির কথা লিখেছি।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু নিরবতার চেয়ে ভয়ঙ্কর কিছু নেই
নরক যন্ত্রনায় থাকলেও তোমাতেই সুখ স্বর্গ
বিদায় বেলায় তোমাকে সম্ভোধন করতে
হাত ছুঁয়ে তোমাকে অস্পষ্ট স্বরে ডাকতে চাই
জানিয়ে যেতে চাই তোমার মানবতাময় হৃদয়ের
প্রেমময় চিন্তা এখনও আমাকে জাগ্রত রেখেছে
স্নেহের প্রয়োজনে আজো অপেক্ষায় রেখেছে
মূল্যবান ভালোবাসার গণনাহীন অপেক্ষা
সমস্ত কিছু থেকে বিদায় নেওয়ার আগে
আবারও ক্ষীণকন্ঠে বলতে চাই ভালোবাসি।

চাই মৃত্যু বিশেষ দিন হয়ে আসুক
মনে রেখো চুড়ান্ত বিদায় পর্যন্ত
মুক্ত হবেই ধর্মান্ধ স্বার্থান্ধ পৃথিবী
আজ অবাস্তব ভাবনা বলে মনে হলেও
অহিংস প্রেম একদিন যুদ্ধে জিতবে
বিশেষ গৌরব দিবে সভ্যতা
যদিও খুব দ্রুত আশা করিনি।

শুধু পূর্ববস্থায় ফিরে যেতে তোমার শব্দ চাই
মনের ক্যানভাসে সবচেয়ে আন্তরিক শব্দ
আমি বিভক্তি জানি না অণু
জানি স্নেহ সম্মান আনুগত্য ভালোবাসায় বৃহত্তর
ভালোবাসি শব্দের চেয়ে কোন বৃহৎ শব্দ নেই
তোমার ঠোঁটে ঠোঁট না থাকুক
তুমি যতই বধির চুপচাপ অথবা দূরে থাকো
আমার নরক যাত্রায় স্বর্গের স্পর্শ দিও।।
Samar Bhowmick Jan 2021
সমর ভৌমিক
10 জানুয়ারি 2021;02:12
.
কখনও কল্পনায় আসে অণু?
সম্মুখ থেকে চলে যায়
ক্ষুধার্তের খাবার-
ভালোবাসার সুদৃশ্য ভাগাড়ে।
.
কিভাবে সভ্যতার সুন্দর হাত
সুনিপুণ পর্দার আড়ালে
ছিন্ন ভিন্ন করে প্রেম
জ্বলে জীবন তরু।
.
জানো কতটুকু নগ্ন হয়
মানুষের মন
কতটুকু স্নেহ গড়ায়
পার্থিব পাহাড়ে?
.
গ্রাস কেড়ে নেয়া কোমল হাত
অহংকারের স্পর্ধা ছড়ায়
প্রকাশ্য সূর্যালোকে
জানো কখন ?
.
অথচ সুশীল সমাজ
সূর্যের আলোতে দেখে
জলাবদ্ধ নগ্নতায়
মাছের স্বর্ণালী চুম্বন।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু আমার অতিষ্ঠ কর্ণকুহরে
তোমার স্নেহময় ফিস্ ফিস্ শব্দে
আমি খুজে পেয়েছি ভালোবাসার বেদী
আশা
হৃদয়
যেখানে অঙ্কুরিত হয় প্রেম।
সেই অদম্য আগ্রহে
তোমার জন্য রোদ খুঁজছি অণু
সেই রোদের আলোকচ্ছটায় আলোকিত হবে বিদ্বান পৃথিবী
আর,
তোমার জন্য আনবো স্বাধীনতা।।
Samar Bhowmick Jan 2021
সমর ভৌমিক
15 জানুয়ারি 2021;20:41
.
আমার নিতান্তই ভাগ্য ভালো যে,
অণু আমার বিবাহিত স্ত্রী নয়,
আমিও চুক্তিবদ্ধ দলিলে স্বামী নই
অণু পরমাত্মা, জল, স্থল, অগ্নি
বায়ু, আকাশ, বাতাস, পরমেশ্বর ও বন্ধু।
.
তা না হলে অণূও বুঝতো না
আত্মার ক্রন্দন, প্রাণের চাওয়া
প্রেমের বিলাপ ভালোবাসার হাহাকার,
অণুও পার্থিবতার চক্রান্তে লীন হয়ে যেত
উদ্যম আর আধুনিকতায় হারিয়ে যেত সত্বা।
.
সভ্যতার সম্পর্কের সত্বাধীকারী হলে
নির্মম চাবুকে তুলেদিত হৃদয়ের ছাল
যুক্তির যুক্তিযুক্ত কষাঘাতে আহত হতো
প্রেমের নিবাস ভালোবাসার ঘর সম্পর্কের আশ্রয়
সময়ের একক গুলো বেদনার প্রহর গোনে জলের স্রোতে অপেক্ষা করতো অনন্তের।
.
ভাগ্যিস, অণু দলিল ভুক্ত স্ত্রী নয়
তাই আমার ভালোবাসা সুনিপুণ সুন্দর
প্রেম স্বর্গীয়, সম্পর্ক জন্ম জন্মান্তরের
অনুভব অবিস্বরনীয়, অকৃত্রিম
স্নেহ আত্মার, স্পর্শ দৈবীক, দৃষ্টি নন্দিত।
.
অণু দলিল ভূক্ত স্ত্রী নয় বলেই
প্রেম মোহহীন, স্বার্থহীন, অব্যয়, অক্ষয়।
অপেক্ষার প্রহর গোনা নিস্বার্থ প্রেমিকার চোখে
সাদা, সদালাপী, চঞ্চল, কামাতুর আশ্চর্য পুরুষের মতো
আমিও ক্ষমা যোগ্য আকাঙ্খিত এক স্বাধীন প্রেমিক।
Samar Bhowmick Apr 2020
একটি ভীমরতির উপন্যাস বলতে পারো
ইচ্ছে হলে রাঙাতে পারো হলুদ রঙে
মাঝ পথে গল্প শেষ না হতেই
অণু’র গল্প শুরু হয়েছিলো
সুচনা আমার মতোই
মাঝ বয়সী
কোমলতার যথেষ্ট বয়স তখন
তবু গাঢ় সবুজ রঙ
ক্লান্তিরা সবে মাত্র তরুণ
সাদা অপ্রাপ্ত।

আমি দ্রুত হেঁটে চলেছি
অণু’র দিকে
শুধু মাত্র একটি প্রাণ
কত ভালোবাসা
তার আলিঙ্গনে
তার পূর্ণ বিশ্বাসে কতটুকু নিষ্ঠুর ভাগ্য
কোথায় বিভক্ত পথ
এবং বেঁচে থাকা।

অণু’র হৃদয়ে খোদাই করা প্রেম
অণণ্য মুখের শব্দে
সমর্পিত বিশ্বাস
সাম্য মানবতার সঙ্গ
আর জীবনের সীমান্তে
তাঁর শেষ স্পর্শ
আমার আকাঙ্খার স্বীকারোক্তি।।
Samar Bhowmick Apr 2020
হে ঈশ্বর তোমার করুণায় আমরা বিমোহিত
আমরা সংশয়বাদী হলেও তোমাতে বিশ্বাস
আমাদের জন্য শক্তিশালী করো তোমার করুণা
আমাদের বিশ্বাসে বিড়ম্বনা তৈরী করো না
যদিও অপারগ হলেই তোমার প্রার্থনা করি
আমাদের পক্ষে ধর্ম গুরু উপাসনা করেন
আমাদের মাতাপিতা উপাসনা করেন
হে ঈশ্বর আদি পিতা মানবতার জন্মদাতা
তোমার পবিত্র সৃষ্টি রক্ষা করো
করোনার ভয়াবহ মহামারী থেকে পরিত্রান দাও
আমাদের বিশ্বাসে ঈশ্বর তুমি জীবিত আছো
তুমিই আমাদের দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্ত করবে
তুমিই চোখের অস্রু শুকাতে কৃপা করবে
আমাদের মুক্ত করবে অপ্রত্যাশিত বিপদ থেকে
হে ঈশ্বর দেখো মানবতার জন্য আত্মত্যাগ করেছে
কত ডাক্তার কত স্বেচ্ছা কর্মী
তুমি তাদের আত্মত্যাগ মহিমান্বিত করো
আমাদের কষ্টের কথা শোনো
তুমি আমাদের কাছে অদৃশ্য হলেও
বিশ্বাসে তুমি সর্বদা জাগ্রত
আমরা বেদনাময় ছোট্ট শিশুর মতো
তোমার করুণা প্রার্থনা করছি।

— The End —